Michio kaku: When A physicist claims the existence of supreme power
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ০১ জুলাই, ২০১৭, ০৯:৩০:২২ সকাল
(বিগ ব্যাং থিওরি এবং একজন পদার্থবিদের উল্টো স্বীকৃতি)
প্রকৃতি প্রেমিকদের সংখ্যা বাড়ছে! আশার কথা! আমি আশাবাদী মানুষ! প্রকৃতি ভালবাসি এবং একই সাথে যুক্তি দিয়ে তা যাচাই করতেও পছন্দ করি । অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন! এটা তাদের অধিকার। প্রকৃতির সব কিছুই সুন্দর নয়। এইতো দ্বিমত শুরু হল! প্রকৃতিবাদীরা এক বাক্যে বলবেন – প্রকৃতির সবকিছুই সুন্দর! আমি বলব, আপনি প্রকৃতি দেখেছেন, কিন্তু পর্যবেক্ষণ করেন নাই! বিষয় দুটোর মধ্যে যোজন যোজন তফাত!
প্রাকৃতিক জঙ্গলে গিয়েছেন? এ আম জাম কাঁঠালের বাগান নয় যে সমান সাইজের গাছপালা নিখুঁত দূরত্বে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে! জঙ্গলে বেশীরভাগ অচেনা বৃক্ষরাজি! এখানে জানা অজানা- ছোট বড় মোটা চিকন নানা অসম আকৃতির লতাপাতা বৃক্ষ গুল্মের এক হযবরল; এরও এক ধরনের বুনো সৌন্দর্যে রয়েছে! তবে তা প্রতিসাম্য বা সুসজ্জিত বা সুশোভিত নয়! অনেক বনে কোন ফাঁক নেই, গুল্ম লতা বৃক্ষেরা জড়াজড়ি করে এক নিশ্ছিদ্র সবুজ দেয়াল সৃষ্টি করেছে! এই বুনো চক্করের গোলক ধাঁধায় পথ হারিয়ে ফেলবে শহুরে, সভ্য মানুষ!
কিন্তু মানব রচিত বাগান দেখুন! কেমন সারি সারি ফুল গাছ গুলো, একদিকে গোলাপ একদিকে জুঁই- একদিকে আম বা কাঁঠাল- নিখুঁত সরল রেখায় বা অন্য কোন জ্যামিতিক ধাঁচে! নিজের পরিকল্পনার বাইরে একটা আগাছাকেও বেড়ে উঠার সুযোগ দেয়া হয়না এখানে! এ এক সুন্দর পরিকল্পনার ফসল! প্রাকৃতিক ভাবে সব কিছু এমন সুবিন্যস্ত হয় না! আপনি ঝড়ের তাণ্ডব দেখুন! সাইক্লোন বা সুনামির প্রচন্ডতা দেখুন- সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে কেমন তালগোল পাকিয়ে যায়! সুনামি বা ঝড়ের তান্ডবে সুপারি বা নারকেল বাগান এর সুসজ্জিত সারি গঠিত হয় কি? দুর্ঘটনাবশতঃ ?
কিম্বা ধরুন লোহার রড, ইট এবং সিমেন্ট এর বস্তা রেখে দিয়েছেন, গাদা করে! হঠাৎ একটা বজ্র আর বিদ্যুৎ সহ কাল বৈশাখী আঘাত হানল সন্ধ্যা বেলায়! চলল মাঝরাত অবধি! আপনি সকালে উঠে দেখলেন কি দারুণ এক ছাব্বিশ তলা ভবন তৈরি হয়ে গেছে! আপনি স্তম্ভিত! হয় না এমন!
কিম্বা দেখলেন এক দারুণ সরল রেখায় এক মহাসড়ক তৈরি হয়ে গেছে! কিম্বা একটা দীর্ঘ রেলপথ ! হবে না?
কিন্তু তাই গোটা পৃথিবী বিশ্বাস করে বসে আছে! বিগ ব্যাং ( Big bang) থিওরি এমন গল্পের প্রশ্রয় দিয়েছে! কার্বন অক্সিজেন হাইড্রোজেন এমন সব গ্যাস কণা মিলে বিগ ব্যাং এর এক বিশাল ধাক্কায় তৈরি করে ফেলেছে অ্যামিনো এসিড- জীবনের কণা-প্রোটিন এর প্রারম্ভিক যৌগ- DNA এর সূচনা! আর এর থেকেই জন্ম নিয়েছে বিবর্তনের ধারায় আর সব গাছপালা- প্রানী এমনকি মানুষ ও! আর সে নিরেট রস গল্প আমরা সবাই বিশ্বাস করে বসে আছি- এমন ভাবে যে, যদি কেউ এর উল্টোটা বলে – আমরা তাকে পাগল ছাড়া আর কিছু ভাবব না! গ্রহ নক্ষত্র তারকামন্ডলী- তাদের নিজস্ব কক্ষ পথে ভ্রমণ? প্রতি বছরে বা দশ বছরে সেই কক্ষপথের ১ ইঞ্চি করে পরিবর্তন হলেও এতদিনে গোটা সৌরজগত ধ্বংস হয়ে যেত! সব আচানক হয়ে গেছে- ! আচানক ভাবে হয়েছে- এটা সত্যি, তবে প্রাকৃতিক ভাবে? কোন উদ্দেশ্য আর কোন স্রষ্টা ছাড়াই? এও কি সম্ভব!
যারা বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন – গবেষণা করেন – তাদের জন্য অনূধাবন করা একটু সহজ! সারা সৌর জগতের এত সব বিশাল পরিকল্পিত মহাযজ্ঞ এমনি এমনি হতে পারে না! হওয়া সম্ভব নয়! কোন কোন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী যখন এমন সুবিশাল পরিকল্পনা ও তার নিখুঁত বাস্তবায়ন দেখে অবাক হয়ে – বলে উঠেনঃ তাইতো – এটা এমনি এমনি হতে পারে না! তখনো ধামাধরা জড়জ্ঞান সম্পন্ন ‘জ্ঞান পাপীরা ‘বাকহারা হয়ে যায়; ‘নিস্তব্ধ হয়ে যায়! সরাসরি তো আর এমন বিজ্ঞানীর বিরোধিতা করা যায় না, এরা তো আর আধা পাগল মৌলবি মুন্সি নয়! তাই চুপ থাকাটাই মঙ্গল !
সমসাময়িক কালের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী বলতে যাদের বুঝায় তাদের একজন হলেন আমেরিকার জাপানী বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী মিচিও কাকু ( Michio kaku) ! তিনি সেদিন বলেছেন সেই কথা- । এত প্রমাণ রয়েছে সৌর জগতের চারপাশে যে, এক সুপার পাওয়ার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় তৈরী করেছে সব কিছু! এত কিছু এমনি এমনি হওয়া অসম্ভব!
তার কথায় বিশ্বাসীদের কিছুই যায় আসে না, তারাতো আগে থেকেই বিশ্বাস করে। কিন্তু অবিশ্বাসীদের এ খবর হজম করতে সমস্যা হবে তা বলা বাহুল্য! প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গেছে!
আমরা আবারো সেই বিজ্ঞানময় এক মহাগ্রন্থের আশ্রয় নেব! ফাবি আইয়ি আলা ইউ রব্বিকা মা তুকাজ্জিবান! তাঁর কোন নেয়ামতকে তুমি অস্বীকার করবে? ১৪০০ বছর আগে অক্ষরজ্ঞান বিহীন এক মরুচারী মানব এর মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল সেই বাণী! যার অক্ষর জ্ঞান নেই, এমন মানুষ কি রচনা করবে এমন কাব্যময়, বিজ্ঞানময় আয়াত সমূহ! যদিও সে অপবাদও কেউ কেউ দিয়েছে! সেই একই গ্রন্থের বিভিন্ন আয়াত সমূহ থেকে থেকে পুনরাবিষ্কার হয়েছে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রুনতত্ববিদ ডঃ কিথ মূর যখন দেখলেন- কিভাবে মানব ভ্রুনের সূচনা হয়, কেমন করে –জরায়ুর গায়ে ‘জোঁকের মত ‘অসংবদ্ধ কোষকলা’ আটকে থাকে- এটা ছিল ভ্রুন তত্বের ইতিহাসের শুভ সূচনা! আর যখন মেলাতে পারলেন- তার চাইতে ১৪০০ বছর আগেই এ নিরক্ষর আরব এমন কথা আগেই বলে গেছেন; তিনি ভেবেছিলেন, অসম্ভব! তা অসম্ভব! অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া, তিন স্তরের ‘আবরণের ভেতরে এত সুক্ষ্ম এই ডেভেলপমেন্ট প্রত্যক্ষ করা?
কিথ মুরের নিজের ভাষায়ঃ After the microscope was discovered in the 17th century by Leeuwenhoek descriptions were made of the early stages of the chick embryo. The staging of human embryos was not described until the 20th century. Streeter (1941) developed the first system of staging which has now been replaced by a more accurate system proposed by O'Rahilly (1972).
"The three veils of darkness" may refer to: (l) the anterior abdominal wall; (2) the uterine wall; and (3) the amniochorionic membrane (Fig. 1). Although there are other interpretations of this statement, the one presented here seems the most logical from an embryological point of view।
আমরাও বলব - অসম্ভব! যদি না ? যদি না সৃষ্টিকর্তা নিজেই তা জানিয়ে দিয়ে থাকেন! ইক্করা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক্ক, ‘খালাক্কাল ইনসানা মিন আলাক্ক--!
বিষয়: বিবিধ
৮৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন