চরমপন্থীরা বাড়ছে ক্রমশঃ –বিপাকে মধ্যপন্থীরা!
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ১৪ মার্চ, ২০১৭, ০৯:১৮:৪৮ সকাল
মানুষকে জন্ম দেয়া হয়েছে স্বাধীন ভাবেই – কিন্তু সর্বত্র সে শৃঙ্খলিত (Men is born free, but everywhere he is in chain) । কে বলেছে এই কথাটা তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে এই স্বাধীন চিন্তা করার আর সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীন ক্ষমতার জন্যই প্রায়শ্চিত্ত করবে সে – অথবা পুরস্কৃত হবে; একদিন- সেদিনে যদি তার বিশ্বাস থেকে থাকে! স্বাধীন জ্ঞানেই- একটা পথের দুই পাশের যে কোন একটা দিক সে বেছে নিতে পারে, চলতে পারে মাঝ বরাবর ! যারা নিজেদের বিবেচনায় তাদের পথ নির্ধারণ করতে পারে না- নিশ্চিত করতে পারে না তাদের ভাল মন্দ – তারা পরামর্শ আর পথনির্দেশ নেবে সমাজের যারা আদর্শ, জ্ঞানী – তাদের কাছ থেকে! সুস্থ বুদ্ধির মানুষ যারা – তাদেরএমনটাই করার কথা!
হযরত আলী ( রাঃ) এর ওফাতের পর রাজনৈতিক কৌশলে আর হযরত হাসানের বদান্যতায় মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ৬৬১ সালে ইসলামের খিলাফত এর দায়িত্বে আসেন! এ পর্যন্ত ইসলামী খিলাফত ইসলামের মূল বৈশিষ্ট একক নেতৃত্বের উপরেই ছিল, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব আর ধর্মীয় নেতৃত্ব আলাদা হয়নি। ইমাম বা নেতা একজনই, ’খলিফা বা গভর্নর একাধারে রাষ্ট্র প্রধান এবং মসজিদের ইমামও তিনি। মুয়াবিয়া (রাঃ) নিজেও মসজিদে নামাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন!
এরপরের ধাপেই ঘটে গেল পরিবর্তন। রাষ্ট্রপ্রধান খলিফা সর্বেসর্বা- কিন্তু তার জ্ঞান গরিমা, ঈমান আর আচরণ, মসজিদের মিম্বরে আরোহণের মত থাকল না। আমরা সুন্নি মুসলিমরা- অবলীলায় মেনে নিয়েছি সে বিধান বা মানতে বাধ্য হয়েছিলাম- এবং এ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টাও করিনি! সে খলিফা এবার মসজিদে ‘ইমাম নিয়োগ করলেন- এই নিয়োগকৃত ব্যাক্তি আর স্বাধীন ইমাম নন- সত্যিকারের ইমাম নন, আজ্ঞাবহ কর্মচারী, বেতনভুক! ! রাষ্ট্রপ্রধানের হাতের ইশারায় তাকে চলতে হয়, নাহলে রুটিরুজি বন্ধ! ইমাম আর কেবল আল্লাহর দাসই নন, তার নিয়োগকর্তার দাসত্ব এর সাথে যুক্ত হল!
এমন অনেক সময় আসে, রাষ্ট্র তার নিজের ইচ্ছা জনগণের উপরে চাপিয়ে দেয়- । ধর্মীয় অনুশাসনের সাথে যদি তা সাংঘর্ষিক না হয়, তাহলে সমস্যা নেই; আর যদি তা হয়? ক্ষমতার ধ্বজাধারিদের অসন্তুষ্ট করে সত্যি কথা বলার মত শক্ত ঈমান এমন অনেক ইমামের ছিল- তাদের অনেকের শিরঃচ্ছেদ করা হয়েছে, অনেকে কারাগারে ধুঁকে মরেছে- আর এদের উদাহরণে আরেক শ্রেণীর ‘বুদ্ধিমান ইমাম তৈরি হয়ে গেছে; যারা ‘বাতাস বুঝে চলতে শুরু করেছেন ! হাজার বছরের বেশি সময়ে এর কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ‘স্রোতের অনুকূলে ভেসে চলা শেওলা জাতের লোকজন আমাদের সমাজ জীবনের পথ নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন! যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বা ডিক্রির বিরুদ্ধে একটি আঙ্গুলি উত্তোলনেও অক্ষম – শুধু ধর্মীয় রিচুয়াল নামাজ - রোজা হজ্জ যাকাত আর বিবি তালাকের ফতোয়া দিয়ে তাদের জুম্মার খুৎবার কোর্স সম্পূর্ণ করেন- তাদের কাছে সামাজিক জীবনকে সুন্দর করার সঠিক, মজবুত পথনির্দেশ – আসবে কিভাবে! খারাপ কাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মত দৃঢ়তা? পরের হুকুমবরদার কোন কর্মচারীর কাছে এতখানি দৃঢ়তা আশা করা যায় না! কারণ আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নের ম্যাণ্ডেট তার প্রায়োরিটি নয়, – তারা নেহায়েত ভলান্টিয়ার বা ক্ষমতাসীনদের হুকুম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন- রাষ্ট্রীয় কাজে ‘শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন! আমরা বলছি না- নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত বাদ দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব! কিন্তু প্রকৃত ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের জন্য এগুলোই যদি যথেষ্ট হত, রাসূল (সাঃ) কে জীবন বাজি রেখে এতগুলো যুদ্ধ করতে হত না!
কুরআন এমন এক আলৌকিক গ্রন্থ’ এমনকি বিধর্মীরাও এই পবিত্র গ্রন্থের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান দেখে চমকে গেছে! কিছু উদাহরণ দেয়া যাক! কুরআনে ‘যতবার ‘দুনিয়ার কথা বলা হয়েছে (১১৫) ততবার আখিরা’র কথাও এসেছে-(১১৫); হালাল শব্দ এসেছে ২৫০ বার, হারামও ২৫০ বার; আদেশ শব্দ এসেছে ১০০০ বার, নিষেধও ১০০০ বার! ! সৎকাজে আদেশ অর্থাৎ ‘আমর বিল মারুফ’ এর সাথে সাথে আরও একটা বাক্য সব সময়ই কুরআনের ভারসাম্যতা প্রমান করেছে- ‘নাহি আনিল মুনকার’ খারাপ কাজে নিষেধ ! সৎ কাজে আদেশ- আর ‘অসৎ কাজে নিষেধ ! এর একটাকে অগ্রাহ্য করে বা বাদ দিয়ে আরেকটার গুরুত্ব দিলে সেই ‘ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়! আর কুরআন ভিত্তিক জীবনে ভারসাম্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! সবকিছু ছেড়ে ‘বিবাগী হওয়ার সুযোগ নেই- ইসলামে শুধু ইবাদতের রাস্তা বা বৈরাগ্য ‘প্রেস্ক্রাইব করেনি! কুরআন ভিত্তিক জীবনযাপন করলে সে মানবজীবন ভারসাম্য পূর্ণ হতে হবে! এখানে কোন সংশয় নেই, কোন দ্বিধা নেই! কথা হচ্ছে আমাদের জীবনে কি সেই ‘ভারসাম্য আসতে পেরেছে?
দেখা যাক আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থা! আমাদের সমাজের মানব জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে – দুই ধারে চরম পন্থী দুই গ্রুপ – মাঝে আমরা কিছু নাদান -অথৈ জলে হাবুডুবু খাচ্ছি আর ভাবছি কোনদিকে যাই ! কারন দুই চরম পন্থী গ্রুপ সদা সর্বদা বিষোদগার করে চলেছে- এই মর্মে যে - আমরা ‘কিছুই না!
এদের এই প্রথম গ্রুপকে আমরা বলেছি - ‘চরমপন্থী ধার্মিকঃ
লম্বা জুব্বা আর পাগড়ি এদের সাইন বোর্ড ! দাড়ির দৈর্ঘ দিয়ে ‘ঈমানের পরিমাপ করা হলে মাশাল্লাহ –এদের ধারে কাছে কেউ লাগবে না! চোখে সুর্মা, হাতে না থাকলে পকেটে মিসওয়াক- ‘বাহ্যিক সুন্নাহর প্রায় সবগুলো আমল তারা খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন । মাশাআল্লাহ! কিন্তু সাধারন মানুষ বা বিধর্মীদের সাথে তাদের আচরণ? এমনকি ঘরের মানুষদের সাথে – কর্মচারী বা প্রতিবেশী এমনকি কাজের মানুষের সাথে আচরণ? অনেক ক্ষেত্রে ‘ নাদান বললেও কম বলা হবে! এরা মেয়েদের সাথে কেমন আচরণ করবেন তা নিয়ে ‘দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকেন! মেয়েদের সালামের জবাব দিতেও তারা কুন্ঠা বোধ করেন – নারীরা শয়তানের জাল- কখন না গায়ে জাল ফেলে তাঁকে ‘গ্রেফতার করে ফেলে তা নিয়ে সদা সন্ত্রস্ত থাকেন! তারা বেগানা মেয়েদের দিকে তাকাবেন না; তাকালেই যেন তাদের ঈমাণ ‘কর্পূরের মত উড়ে যাবে! এজন্য তারা এমন ভাবে পথ চলেন- যে অনেক সময়ে রাস্তার ধারে তাদের ‘বাসে চাপা পড়ার পরিস্থিতি হয়ে যায়! যদিও ‘দুনিয়াভী স্বার্থের ক্ষেত্রে সাধারনের চেয়ে তারা এক ধাপ উপরেই; ছাড় দেয়া বা ক্ষমা দেয়া তাদের সিলেবাসে নেই! নামাজের জামাত মিস হয়ে যাবে – অজুর পানি দিতে কেন দেরি হল- এই অপরাধে হাতের ছড়ি কাজের মেয়ে বা ছেলেটির মাথায় বা পিঠে ভাংতে দ্বিধা করেন না এই চরমপন্থি ধার্মিক! সমস্যা হল – সাড়া দুনিয়ার উপর তিক্ত বা ক্ষিপ্ত হয়ে যেতে পারেন তিনি যে নামাজ জামাতে আদায়ের জন্য- তা কবুল হবে কিনা – আল্লাহর কাছে তা গ্রহনযোগ্য হবে কিনা – এর নিশ্চয়তা কে দিচ্ছে! বান্দার হক’ এর গুরুত্ব কিছু কম নয়’। যেদিন হিসাব হবে- আল্লাহর হক আল্লাহ মহানূভব, মাফ করতেই পারেন; কিন্তু কেউ বান্দার হক ‘নষ্ট করলে তার সংকট কিভাবে কাটবে সেই চরম সময়ে- আল্লাহই ভাল জানেন !
আমাদের ধর্মে এক দারুন সংকট সৃষ্টি হয়ে আছে! একেতো অন্যান্য ধর্মের মত আমাদের ধর্মে আল্লাহ আর বান্দার মধ্যে কোন ‘মধ্যস্বত্বভোগী নেই- এমনকি কেউ কেউ স্বঘোষিত ‘পীর কেবলা থাকলেও- তাকেও ‘ইয়া নাফসী করেই কাটাতে হবে! ৩০ পারা হাফেজ বলুন- সফেদ দাড়ি বুজুর্গ বলুন কিম্বা মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম বা মুদাররিস বলুন- আল্লাহতায়ালা কার ইবাদত কবুল করবেন – এটা কারো জানা নেই! কপালে ঘাঁটি পরে গেছে নামাজ পড়তে পড়তে, শরীর কৃশকায় হয়েছে রোজা রাখতে রাখতে- সেটা আল্লাহপাকের দরবারে কিভাবে গৃহীত হল আমরা কেউ জানিনা! এ ব্যাপারে সবাই আমরা এক কাতারে- আল্লাহর ক্ষমা আর করুণার উপর নির্ভরশীল !
এবার আসা যাক ২য় গ্রুপে। তারা হচ্ছেন চরমপন্থী প্রগ্রেসিভঃ
তারা সেই ‘ প্রাচীন জুব্বা আর পাগড়ির যুগ পেরিয়ে এসেছেন কবেই; তারা স্মার্ট – মিথ্যে বললেও তাদের মুখে তা সত্যের মত শুনায়; চলনে বলনে আচরণে ঝকমকে আধুনিক মানুষ! প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখা- কাজের মানুষ আর দরিদ্রদের প্রতি মানবিক অনুভূতি তাদের যথেষ্ট; মানবতাবাদকেই বড় ধর্ম বলে ভেবে ‘স্থির করেছেন; তারা কথা দিলে কথা রাখেন- মোড়ের দোকান তাদের বাঁকি দিতে দ্বিধা করেনা- কারণ এরা বিশ্বস্ত! মানুষের সাথে আচরণে – মেলামেশায় তারা সেরা স্তরের ! মাশাআল্লাহ! টাইট জিন্স আর টি শার্ট পড়েন তারা প্রায়শঃ মাঝসাঝে বাহারি পোশাক - এছাড়া পশ্চিমা পোশাকই তাদের ইউনিফর্ম, খবরের কাগজ তাদের বাইবেল- পশ্চিমাদের ঠাণ্ডা লাগলে তারা গলায় মাফলার পরে হাঁচি দিতে থাকেন ! ’পুবের চাইতে পশ্চিম তাদের লক্ষ্য! মসজিদের দুর্বলচেতা, হতাশাচ্ছন্ন ইমামদের চাইতে ঢের জ্ঞান রাখেন তারা -! ও ব্যাটারা আর কী জানে-? মানুষ হিসেবে ভাল হলেই হল- নামাজ রোজা বা যাকাতের মত মৌলিক বিষয়গুলোর গুরুত্ব এদের কাছে পূর্বোক্ত চরমপন্থী ধার্মিকদের ১৮০ ডিগ্রী উলটো দিকে! এরাও যে ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে তা বলতে গেলে – তীক্ষ্ণ যুক্তি তর্কে এবং বাস্তব উদাহরণ দিয়ে তারা আপনাকে বুঝাতে সক্ষম হবেন যে, জামে মসজিদের ইমাম বা বড় মুফতির তুলনায় তারা নিজেরা ফেরেশতাতুল্য !
আল্লাহ অসীম ক্ষমাশীল- আমরা জানি । ‘পঙ্গুং লঙ্ঘইতে গ্রিক যৎ কৃপাত মহম- তাঁর কৃপা হলে ‘পঙ্গুও পর্বত ডিঙ্গাইতে পারে ! পাপী তাপী সবাইকে ক্ষমা করবেন- তিনি চাইলে! তার ক্ষমা অনেক বড়! কিন্তু সেই চরম ধার্মিকদের দেখে যেমন আমাদের মনে হয় তাদের কিছু একটা ঠিক নেই- এই চরম প্রগেসিভদের জোরগলার তথ্যপ্রমান দেখেও আমরা আশ্বস্ত হতে পারি কি- যে এরা সঠিক পথে আছে? এদেরও সেই একই ভারসাম্যহীন জীবন ব্যবস্থা !
এই দুই চরমপন্থার জীবন যাত্রাকে এক করতে পারলে আমরা বোধ হয় এক ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা দেখতে পেতাম ! দুই দিককে একটি সীমার মধ্যে আবদ্ধ করতে গেলে এদের চরমদিক গুলো একটু কমে আসত – আর মানব জীবন অনেকটাই ভারসাম্যপূর্ণ হত! আর সেটা হতো মধ্যপন্থা ! রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা ‘মধ্যপন্থা অনুসরণ কর।
কিন্তু যারা আমাদের সেই সৎপরামর্শ দিতে পারতেন তারা নিজেরাই নিজেদের জীবনকে শান্তিপূর্ণ করতে, রুজি রোজগারের পথ নিশ্চিত করতে ‘আমর বিল মা’রূফ অবলম্বনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন – ‘নাহি আনিল মূনকার’কে তারা সিলেবাসে রেখেছেন কিনা তা আমাদের মত ‘আমজনতার চিন্তার বাইরে ! চাইলে এদের অনেকে হয়তো ভিন্ন ব্যখ্যা দিতে পারেন! কিন্তু দ্বীন ও দুনিয়ার ‘একক মডেল আমাদের সামনে নেই- ! একদিকে ‘দুনিয়া আরেকদিকে আখিরা’- আমাদের এক জীবনকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে ; আমরা ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি- এই দ্বন্দ্বে জীবন পার করছি! একদিকে ডঃ জাকির নায়েকের ভিডিও দেখে আবেগ প্রবণ হয়ে যাই, আবার হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের লাইভ শো’র টিকেটের জন্য মারদাঙ্গা বাধিয়ে দেই! একদিকে মসজিদে নামাজের জায়াগা পাওয়া যাচ্ছে না, অন্যদিকে চরম দুর্নীতি, সুদ আর ঘুষের বন্যা বয়ে যাচ্ছে! একই গতিতে বাড়ছে অপকর্ম খুন জখম রাহাজানি- বাড়ছে চোর বাটপার- হারাম হালালের কোন বাছ বিচার নেই- ! গরু ছাগল ও অনেক আগাছা খায় না; এদের জগতে সেই গরু ছাগলের মত বাছ- বিচার নেই! টুপি দাড়ি আর বোরখার সংখ্যাও বাড়ছে – মাশাল্লাহ! কিন্তু শান্তিপ্রত্যাশী মানুষের হতাশাও বাড়ছে সমান তালে!
আর দুনিয়া ভরে যাচ্ছে চরমপন্থী মানুষে; মধ্যপন্থীরা বিপাকে!
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহু খাইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন