এলকোহল: এক ভয়াবহ স্নায়বিক বিষ
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ০৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৭:৫৯:১২ সকাল
বহুত পূরাতন নেশা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এলকোহলের নেশা, সৃষ্টির প্রথম দিক থেকেই যা মানব জাতির সংগে জড়িত হয়ে গেছে!
শ্যাম্পেন এর ফেনায় ভেসে যাওয়া দেখে অনেকেই ‘উত্তেজিত বোধ করতে পারেন, উৎসাহিত হতে পারেন তেমন অনুকরণ করার। যারা খেয়েছেন, তাদের ভাষ্যে, অনুভূতি উচ্চমার্গে উঠে যায়। কম কথা বলা মানুষও ‘দ্রব্যগূণে হঠাৎ প্রগলভ হয়ে উঠে! কিন্তু মনে রাখা দরকার – এ বস্তু আসলে বিষ - ! অনেক স্নায়বিক রোগের সৃষ্টিকারী এবং মানব শরীরে প্রায় ২০০ রোগের উৎপত্তিতে এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে! এর কারণে ক্যান্সার হয় – পানকারীদের শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ তা জানেই না!
গলা দিয়ে নীচের দিকে নামার আগেই মুখের মিউকাস মেমব্রেনে তা শোষিত হওয়া শুরু করে এবং শেষ অবধি রক্তে মিশে যকৃতে গিয়ে উপস্থিত হয়! যকৃত হচ্ছে প্রথম যাত্রাবিরতি, যকৃতের এনজাইম এলকোহলকে বিভাজিত করে, হাইডেলবার্গের এক গবেষক, হেলমুট শিৎজ বলেন।
“যকৃতের একটা কাজ হল, শরীর থেকে বিষ শুষে নিয়ে তা বাইরে বের করার ব্যবস্থা করা, এলকোহল সেই বিষ গুলোর একটা! কিন্তু যকৃতে এর বিভাজন সম্পূর্ণ হয় না, অন্য অঙ্গেও গিয়ে পৌঁছে কিছু! পিত্তাশয়, মাংসপেশী ও হাড়ে পর্যন্ত এর ‘বিষময় প্রভাব গিয়ে পৌঁছে”!
প্রথম ধাক্কা ব্রেনেঃ
অন্ত্র, যকৃৎ, পিত্তাশয়, পেশী ছাড়িয়ে এলকোহল মূল ধাক্কা দেয় ব্রেনে! বিচার বুদ্ধি ভোঁতা হয়ে যায়, বোধশক্তি বিকৃত হয়, মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার বা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। একই সাথে ‘বাধা দানের (INHIBITION) বা আত্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নষ্ট হয়, কেয়ার ফ্রি, বা মজার অনুভূতি – আনন্দদায়ক – ফুর্তির অনুভূতি হতে পারে! আর এই ফুর্তিই যত নষ্টের মূল!
তবে এই অনুভূতির আধিক্য হলে মানুষ সংজ্ঞা হারাতে পারে! বিষণ্ণতা এবং আগ্রাসীপরায়ণতার অনুভূতি তীব্র হয়! ২০১২ সালের এক বেদনাময় পরিসংখ্যান বলছেঃ এলকোহল ও দুর্ঘটনা; এলকোহলের প্রভাব ও সহিংসতা প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন মানুষের জীবণ কেড়ে নিয়েছে! ৩.৩ মিলিয়ন মানুষ এলকোহলের কারণে মারা গেছে!
শরীরে শোষিত হওয়ার ৬ মিনিটের মধ্যে এলকোহল ব্রেনে পৌঁছে! যাদের শরীরে এলকোহল ডিহাইড্রোজিনেজ এনজাইম নেই (৪০% জাপানিজ, কোরিয়ান), তাদের মুখের দিকে তাকালেই অধিক রক্ত প্রবাহের চিহ্ন দেখা যাবে, মুখ লাল হয়ে উঠবে! ইথাইল এলকোহল ছোট অণু, সহজে পানিতে মেশে, আর আমাদের রক্তে পানির পরিমাণ ৭০ ভাগের উপরে। মানব শরীরে পানির সামগ্রিক পরিমান ৭০—৮০ ভাগ! কাজেই এলকোহল সহজে সারা শরীরে পরিবাহিত হতে পারে! এলকোহল ব্রেনে নিউরোট্রান্সমিটারকে এফেক্ট করবে! কাজেই ভুল ট্র্যান্সমিশান বা ছদ্ম- ট্র্যান্সমিশান হতে পারে, যা নার্ভের উপর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে! ভিটামিন ও অন্য খনিজ দ্রব্য / ট্রেস এলিমেণ্টস যা কিনা কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রে বড় ভূমিকা পালণ করে, দীর্ঘদিন এলকোহল সেবনে এই ভিটামিন ও ট্রেস এলিমেণ্টকে অকেজো করে দিতে পারে! যেমন ব্রেনের দরকার হয় ভিটামিন বি-১ । এলকোহল সেবনের ফলে এটা যদি হারিয়ে যায়, তাহলে Wernicke-Korsakoff syndrome দেখা দিতে পারে, গবেষক শীৎজ বলেছেন!
ক্যান্সারঃ
এলকোহল মুখে ও গলায় মিউকাস মেমব্রেনের ক্ষতি করে। গলা -ইসোফীগাস - মূখ গহ্বরে টিউমার, লিভার বা কোলণে ক্যান্সার – এগুলোর পেছনে এলকোহলের ভূমিকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, এমন কি ব্রেষ্ট ক্যান্সার ; ‘আমরা প্রায়শ ভুলে যাই এলকোহল এসবের জন্য বড় হুমকি’ – শীৎজ বলেন!
লিভার সিরোসিস ( লিভার ক্যান্সার) তো খুব স্বাভাবিক! এলকোহলের ভাঙ্গন প্রক্রিয়া শুরু হয় এখানে, বিষ প্রস্তুত হয়, আর তা লিভারকে ড্যামেজ করে ফেলে । প্রতি বছর কেবল জার্মানিতে ২০-৩০ হাজার মানুষ কেবল লিভার সিরোসিসে মারা যায়!
এলকোহল ভেঙ্গে ‘এসিটালডিহাইড আর এসিটালডিহাইড থেকে এসেটিক এসিডে পরিণত হয়! যদি তা না হচ্ছে, তখন এসিটালডিহাইড হিসেবেই রক্তে জমা হয়! ৪০% জাপানিজ, কোরিয়ান এর এলকোহল ডিহাইড্রোজিনেজ এনজাইম নেই, কাজেই তাদের অবস্থা শোচণীয় ! এলকোহল সেবন মাত্র এদের মাথা ব্যথা, বমি ভাব, মুখ লাল হয়ে এর সবগুলো লক্ষণ দেখাতে শুরু করে তারা !
কানাডার চিফ পাবলিক হেলথ অফিসার ড. গ্রেগরি টেলর এলকোহলের প্রভাব বিষয়ে ডেইলি স্টার (টরন্টো) কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেনঃ “Recent evidence is suggesting there is no (health) benefit”. Canada’s chief public health officer wants you to think twice before reaching for that glass of red wine. প্রচুর ‘ডাটা সমৃদ্ধ এক রিপোর্ট তার অফিস থেকে প্রকাশিত হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন এলকোহলের উপকারিতার ‘পাবলিসিটি যে বুজরুকী তা প্রমাণ করেছে এই তথ্য সমূহ। এমনকি যারা বিজ্ঞানের নিতান্ত ‘প্রাথমিক জ্ঞান রাখে- তারাও জোরেশোরে রেড ওয়াইনের কল্পিত ‘উপকারিতার লেকচার দেন!
ডঃ টেলর নীতি নির্ধারণকারী ব্যক্তিবর্গ, মদ প্রস্তুতকারী কোম্পানি, সাংসদ, খুচরো বিক্রেতা, এবং আরও ২২ মিলিয়ন ক্যানাডিয়ান যারা মনে করে তারা ওয়াইন, বিয়ার এবং স্পিরিট সম্বন্ধে যথেষ্ট জানে – তাদেরকে এসব তথ্যের আলোকে ২য়বার ভাবতে বলেছেন! কমপক্ষে ৪.৪ মিলিয়ন ক্যানাডিয়ান এলকোহলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর সম্ভাবনার সাথে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন; এবং এদের ৭০ ভাগই জানে না যে, প্রকৃতপক্ষে এলকোহল একটি কার্সিনোজেন ( Carcinogen-ক্যান্সার উৎপাদক; যা থেকে ক্যান্সার হয়) । কানাডায় প্রতিবছর এলকোহল সম্পর্কিত রোগে গড়ে ৪হাজার লোক মারা যাচ্ছে। মহিলাদের মধ্যে মদপানের পরিমাণ বাড়ছে, ২০০৪ সালের ৪৪% এর তুলনায় ২০১৩ সালে, ৩৫ বা তদূর্ধ্ব বয়সের ৫৬% মহিলারা স্বীকার করেছেন, তার binge-drinking ( এক বসায়, কমপক্ষে চারবার পাণ করা)- করেছেন।
ডঃ টেলর বলেছেন - “Because the majority of Canadians drink, and choose to drink, I’d like to see a conversation started,”. “There might be a number of things we as a country want to do in terms of how we can reduce the harms.”
এলকোহল খাদ্য /পানীয় নাকি ড্রাগঃ
যদিও এটা মস্তিস্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক, ব্রেন, মুড বা আচরণ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, ড্রাগের উপর নির্ভরতা বাড়ায় এমনকি, বেহুঁশ হয়ে মানুষ কি করছে তা অনুধাবন করতে পারেনা; তারপরেও এলকোহলকে ‘খাদ্য’ ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়! Norman Giesbrecht (senior scientist emeritus Centre for Addiction and Mental Health) বলেনঃ নিঃসন্দেহে এটা ড্রাগ! তামাককে আর যেমন শুধু একটা দানাদার বস্তু হিসেবে ভাবা হয় না! এটা তার চেয়েও অনেক বেশী! তিনি এলকোহল এডিকশন এর উপর প্রচুর গবেষণা করেছেন। এখন ‘এলকোহল এবং সুইসাইড এর মধ্যে সংযোগ’ নিয়ে গবেষণা করছেন ! তিনি ডঃ. টেলর এর রিপোর্ট এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। গবেষক, সরকারী নীতি নির্ধারক, এলকোহল এর প্রস্তুতকারী উৎসাহদাতা/ বিজ্ঞাপনদাতা থেকে শুরু করে সাধারন মানুষদেরও এই রিপোর্ট মনোযোগ দিয়ে পড়া দরকার, তিনি বলেছেন। বিশেষ করে প্রভিন্সিয়াল প্রশাসন যখন মুদি দোকানে বিয়ার বিক্রি অনুমোদন করতে যাচ্ছে, এই সময়ে। তিনি খুশি এইজন্য যে, এই রিপোর্ট – সেই আদ্যিকালের – রেড ওয়াইন সহ এলকোহলের উপকারীতা- প্রমানের গবেষণাকে অসার এবং এর প্রচার-প্রসারের ‘গুজবকে চ্যালেঞ্জ করেছে। টেলরের রিপোর্টে এমন ধারনাকে নাকচ করে দেয়ার বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রমাণ ও রয়েছে।
“কিছু গবেষণা এমন ধারনা দেয়------ অল্প বা পরিমিত পরিমাপের ডোজ, উপকারী হতে পারে! এই তথাকথিত ‘উপকারীতা সরাসরি এলকোহল পাণের কারণে তা নাও হতে পারে, বর্তমান গবেষণা এই ‘সম্পর্ক বিষয়ে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে! --- স্বল্প বা পরিমিত ডোজ কেবল ischemic stroke (blood clots) এর বিরুদ্ধে কার্যকর হলেও হতে পারে; কিন্তু অন্য কোন স্ট্রোকের বিষয়ে তা কার্যকর নয়; উল্টোদিকে, মাত্রা বেশীর সাথে সাথে সব ধরণের স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়! এখানে এলকোহলের কোন উপকারীতা প্রমাণ হচ্ছে না!
কিন্তু এলকোহলের প্রচার যেভাবে বাড়ছে, এর পাণকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে; রোমান্টিক আর পারিবারিক সহ সামাজিক এমনকি কর্পোরেট – রেস্টুরেন্ট, পার্টীতে অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে এর প্রচারণা ক্রমশঃ তুঙ্গে উঠছে! তরুণ তরুণীদেরকে এলকোহলের প্রতি আকৃষ্ট না করার জন্য বিজ্ঞাপণের প্রতি বিধিবদ্ধ বাধা’ বা আইন থাকলেও এখনো সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে প্রতি বছর গড়ে প্রায় তিন লাখ প্রচারণার মুখে পড়ছে উঠতি বয়সীরা (তথ্য সুত্রঃ Canadian Journal of Public Health, ২০১২)! এলকোহল বা মদ পাণ করে গাড়ি চালানোর প্রত্যক্ষ কুফল হিসেবে ১৯৮২-২০১০ সময় কালের মধ্যে ৪৩২৭৬ লোক মারা গেছে! এলকোহল পাণের প্রত্যক্ষ ক্ষতি ছাড়াও পরোক্ষ ক্ষতি- রোগে ভুগে মৃত্যু এবং ক্যান্সার এর মত অসুস্থতা –সারা পৃথিবীর জন্য কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সৃষ্টি করেছে- এই ডাটা না থাকলেও, এটা যে বিশাল একটা অঙ্ক হবে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই! ডঃ টেলর বলেছেনঃ “তুমি যখন পাণ করছ, তোমার জানা উচিত, তুমি কতখানি ঝুঁকি নিচ্ছ”!
তরুণদের ‘উৎসাহী করার মত তামাকের ‘গ্ল্যামারাস’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হয়েছে এবং এর ক্ষতিকর বিষয় সিগারেট প্যাকেটের গায়ে প্রকাশ করতে কোম্পানিকে বাধ্য করা হয়েছে। খুব ভাল উদ্যোগ; খারাপ জিনিষের খারাপ দিক সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা – এটা আমাদের নৈতিক এবং সামাজিক দায়িত্ব! কিন্তু তামাকের চাইতে আরো ভয়ানক ড্রাগের বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে উঠতি বয়সীদের নিরুৎসাহিত করতে কেন এলকোহলের বিজ্ঞাপনের উপরে বিধিনিষেধ কার্যকর করা হবে না? এটা তো আরও বেশী জরুরী! সিগারেটে একটা টান দিলেও মাথা ঘুরতে পারে, কিন্তু তাৎক্ষনিক মস্তিস্ক এলোমেলো করে দেয়ার ক্ষমতা তামাকের নেই। আর এই মারাত্মক ড্রাগ- বা স্নায়বিক বিষ যা পাণের সাথে সাথে মস্তিস্ক তার নিয়ন্ত্রন হারাতে শুরু করে – এবং বিষে আক্রান্ত হয়, স্নায়ু অসার হয়ে পড়তে শুরু করে তেমন জিনিষের বিজ্ঞাপনে কোন বিধি নিষেধ আরপ করা হবে না- এটা কিভাবে গ্রহণ যোগ্য!
আমরা জানি এটা, বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা ! ধনী, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা এর পেছনে- রয়েছে, রয়েছে ‘প্রভাবিত লবিস্ট, স্বার্থান্বেষী রাজনীতিক বা আমলা এমন কি অসাধু বৈজ্ঞানিক, যারা গবেষণা তহবিল এর যোগানদাতার ‘স্বার্থ দেখে আর ‘গবেষণা ফলাফলের ‘আংশিক প্রকাশ করে একটা অপদ্রব্যের ‘পুরো সাফাই গায়। কিন্তু সব মানুষ একসাথে তাদের বিবেক হারিয়েছে তাতো নয়!
বড় বড় তারকাদের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করে, এর বাজার বাড়ানোর প্রচার-কৌশল সমাজে এলকোহলের বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি করছে! যেমনটা হয়েছে- এক ক্যানে ৮ চামচ চিনি সমৃদ্ধ কোক বা কোমল পানীয়ের বিষয়েও!এই প্রচারণা কৌশল ভয়াবহ! ভয়াবহ কোন ‘বিষ জাতীয় ড্রাগের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা – কোন সমাজ ব্যবস্থা বা কোন দেশের জন্য চরম ভুল একটা পদক্ষেপ। ফুড এবং ড্রাগ আইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন এসেছে । সময় হয়েছে মানুষকে সত্য জানার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়ার। ডঃ. টেলর এর দলের গবেষণা রিপোর্ট এই বিষয়ে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলেই – আমাদের বিশ্বাস!
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অভ্যাস!
মন্তব্য করতে লগইন করুন