পাঁচ ডলার এর ব্যাংক
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:৪২:১৩ বিকাল
পকেট গড়ের মাঠ!
কিছু টাকা, দুঃখিত, কিছু ডলার উঠাতে হবে ! জিভের সংশোধন এক পুরুষে হবে বলে মনে হচ্ছেনা!
লাঞ্চের আগে অফিস থেকে বেরিয়ে এলাম। প্রায় তিন কি.মি. দুরে ব্যাংক। সিগন্যাল টাইম ধরে, মাত্র মিনিট পাঁচেকের ড্রাইভ! ব্যাংকে ঢুকলাম।
কর্মব্যস্ত ব্যাংক ! রিসেপশনকে পাশ কাটিয়ে টেলারদের এলাকায় চলে এলাম! শুধু টাকা উঠানো হলে ক্যাশ মেশিনেই কাজ সারতে পাড়তাম! আরেকটা বিষয় আছে ! লাইনে দাঁড়াতে হবে!
সাত জন লাইনে দাঁড়িয়ে, আমার স্থান হল অষ্টমে! আমার সামনে এক সোমালিয়ান লেডী, হিজাব পরিহিতা – মাশাআল্লাহ। সমস্যা এদের একটাই, মুঠো ফোনে বকবক করা। লাইনে দাঁড়িয়ে আছে জন্য অবসর সময়টা হয়তো কাজে লাগাচ্ছে, কিন্তু পাশের লোকজনের কানের পোকা বের করে দিয়ে! থোড়াই পরোয়া করে এরা অন্যদের ! প্যাচালে কান ঝালাপালা হলেও, সুশীল ভদ্র সন্তান আমরা! চুপচাপ ঠায় দাঁড়িয়ে! এই বকবকানি রোগ ‘টিন-এজ’ বালিকাদের বেশী বলে জানতাম, মাঝ বয়সীরাও পিছিয়ে নেই দেখছি!
তার সামনেও এক মাঝবয়সী ককেশিয়ান। পাশের কাউণ্টারে এক সুন্দরী টেলারের ( C.R- CUSTOMER REPRESENTATIVE, FRONT LINE WORKER; একজন ম্যানেজার, টিম লিডার ও কয়েকজন এমন টেলার’- নিয়ে ছোটখাটো শাখা গুলো চলে! আরও কিছু লোকজন আছে, তবে এটা আমাদের গল্পে মুখ্য নয়!) দ্রুত ডলার গুনা দেখছে নিবিষ্ট মনে! দেখার মতই ! টাকা গোণার মেশিনও আছে, তবে খুব বেশী টাকা নাহলে, মেশিনের ব্যবহার এরাও করে না!
তার সামনে এক বালিকা, কৃষ্ণময়ী; কৈশোরের ছাপ কাটেনি মুখ থেকে, লাবণ্যময়, বাড়ন্ত শরীর; এদিক সেদিক দেখছে । তার আগে ভঙ্গুর দেহের এক বৃদ্ধা, হণ্টন গাড়ীর (WALKER) হ্যান্ডেলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! এদেরকে কেন যে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখে! হয়তো তার স্বামী বাচ্চা নেই, বা থাকলেও ব্যস্ত, তাদের নিজেদের জীবন জীবিকায়। ব্যাংকে বুড়ো বুড়ীদের ভিড় লেগেই থাকে, অনলাইনের কর্মকাণ্ড তারা শিখে উঠতে পারেনি; ভবিষ্যতে শিখবে এমন ভরসা নেই, কাজেই যে কোন আর্থিক প্রয়োজনে ব্যাঙ্কে আসা ছাড়া উপায় কি!
তারও আগে এক কালো তরুণ; কালো বলা ঠিক হচ্ছে না জানি, কেমন ‘বর্ণবাদ এর মত শুনায়! বেশ লম্বা, হ্যাংলা পাতলা, গোঁফের রেখা উঠি উঠব করছে, পোশাকে আর আচরণে হাই স্কুলের উপরের দিকের ছাত্র মনে হচ্ছে! বড় চঞ্চল মতি । হাতের কাগজে কিছু দেখছে, আবার পকেট হাতড়ে ব্যাংক কার্ড বের করল একবার, প্যান্টের পকেটে তা ঢুকিয়ে রাখল আবার। কাল মানিক! হয়তো ভবিষ্যতের বাস্কেটবল খেলোয়াড়- মাইকেল জর্ডান! এর আগে একজন ভারি চেহারার ল্যাটিনো, নিজের ওজনে হাঁসফাঁস করছে। পাশের বুড়িটার সাথে সাথে, এর জন্যও একটা চেয়ার দরকার ছিল !
সমস্যা – হল, এদের ওয়েটিং লাইনে কোন চেয়ার নেই- খাঁটি গণতন্ত্র! সবাই লাইনে দাঁড়াও, আগে এসেছ, আগে যাও- ! কারো খালু নাকি কারো মামা বা মামী- এ সুত্রে স্পেশাল খাতিরের সুযোগ নেই! সুন্দর ব্যবস্থা । আমাদের লোকজন কেন যে এটা শিখল না! সমান সুযোগ এর গণতন্ত্রে বাঙ্গালীর অভ্যস্ত হতে আরও কয়েকশ বছর লাগবে বোধ হয়! আমরা ‘স্পেশাল ফেভার নিতেও ভালবাসি, দিতেও!
সবার সামনে, লাইনের মাথায় এক ক্যারিবিয়ান মহিলা, সমস্ত দুনিয়ার উপরে সে বিরক্ত এবং সবটুকু বিরক্তি মুখে মেখে সে অপেক্ষা করছে আর ৬ টা কাউন্টারে পালা করে নজর রাখছে। ডাক পড়লে, সে নিজে এরপর কোথায় যাবে এর হিসেব কষছে!
ল্যাটিনো যেখানে দাঁড়িয়ে, তার পেছনে ডেস্ক এর মত একটা আয়তাকার কাঠের আসবাব; এর মাথায় একটা চৌকোনা ফুটো, বড় জোর ৪ইঞ্চি লম্বা – পাশে দুই ইঞ্চি। ছোটখাটো জিনিষ, ব্যাংকের রসিদ, গাম এর খালি প্যাকেট বা কাগজের টুকরো এসব ফেলে দেয়ার জন্য ‘গারবেজ বিন’ এর ‘মুখ হিসেবে কাজ করছে । ইতিমধ্যে এই গারবেজ উপচে পড়ছে, কিছু কাগজের টুকরো মাথা বের করে দিয়ে সে সত্য জানান দিচ্ছে।
হঠাৎ লক্ষ্য করলাম - কালো ছেলেটার একটা হাত সে ‘গারবেজ বিন’ এর ফুটোর দিকে একবার এগিয়ে গেল। এখনও নাগাল পাচ্ছে না, কয়েক ইঞ্চির জন্য ! সে কি কিছু ফেলবে ঐ গারবেজে? নাহ- তার হাত তো খালি! কি আছে ওখানে ? হাত গুটিয়ে নিল সে! অপেক্ষা করছে!
নেক্সট প্লিজ!
ক্যাশের এক মহিলা টেলার হাঁক দিল- বেশ মধুর গলা! একটু হাসি দিয়ে ক্যারিবিয়ান মহিলাকে হাত তুলে ডাকল । নিচু ভি গলার লাল টপ পরেছে সে, তার উপরে সাদা কাডিগান, শুধু মাত্র উপরের বোতামটা লাগানো, উন্মুক্ত হয়ে আছে লাল টপের ভি, এবং উন্মুক্ত করেছে আরও কিছু! কাডিগানের উপরের একমাত্র বোতাম না লাগালেই বোধহয় আরেকটু ভদ্রোচিত হত! এদের প্রফেশনাল পোশাক পড়ার কথা! অবশ্য ম্যানেজাররা সবাই ফর্মাল পোশাক পরে!
ত্রস্ত গতিতে ‘ব্রায়ান লারার দেশী’ এগিয়ে গেল কাউণ্টারের দিকে। আমাদের লাইনেও প্রাণ সঞ্চার হল ! একধাপ এগুলো ল্যাটিনো পাহলোয়ান (সৈয়দপুরের পাহালওয়ান সুইটসের কথা মনে পরে গেল! আহা!) । এ কি খায় কে জানে! কোক আর পীজ্জা ধ্বংস করে বোধ হয় তার এই অবস্থা ! গোটা আমেরিকার ৫০ ভাগ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছে! কানাডিয়ানরাও খুব পেছনে নেই! গরু মোটা তাজা হলে আমরা খুশী- আর মানুষ মোটা হলে! নাহ! সে তার বাপের খেয়ে মোটা হয়েছে- আমার কি! মনকে শাসন করে ফিরিয়ে আনলাম!
আমাদের হ্যাংলা কালো মানিক নড়ে উঠল! এক ধাপ এগিয়ে, আগের ল্যাটিনোর জায়গা নিল সে! গারবেজের ফুটো এখন তার পেছনেই! তার বাম হাত দ্রুত এগিয়ে গেল সেদিকে! আমি ধ্যানী বকের মত নিরুদ্বেগ। তাকিয়ে আছি – বিশেষ কোন দিকে নয় – আবার সব কিছুই দেখছি, না দেখার মত! কি আছে ওখানে! কিছু একটা – নীলচে সাদা চকচকে কিছু! আরে! কানাডিয়ান ডলারের বিল (এরা নোট বলে না, বলে বিল!) মনে হচ্ছে! শুধু কোণাটুকু বেরিয়ে আছে! ওহ আচ্ছা! এই জন্য আমাদের কালো মানিকের আগ্রহ! বুঝলাম! গারবেজে আজকাল নোট ফেলে দিয়ে যাচ্ছে লোকজন? কিন্তু একি! সে তা উঠিয়ে নিল না, একটু নেড়ে চেড়ে দেখে আবার সেটা গুঁজে দিল নীচের দিকে! ঘাপলা একটা আছে – কি সেটা? গারবেজ হাতানো কোন ভদ্রলোকের কাজ নয়!
সত্যি সত্যি ভর্তি গারবেজ বিন টা, আগের মতই উপরে উঠে আছে ডলার- কোণা টুকু বের করে দিয়ে ! আকর্ষণীয় পোজ! কাগজের বদলে এদেশে এখন পলিথিনের নোট হয়েছে, খরচ বাঁচাতে। কারন, কাগজের নোট মানুষের হাতের ঘষায়- ঘামে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। এটা বদলাতে ব্যাঙ্কের খরচ বাড়ে – উন্নত মানের কাগজ বিধায়, দাম বেশী! আচ্ছা- আদৌ কি এর কোন মূল্য আছে! সাড়া মাস কাজ করে কয়েক হাজার ডলার হাতে পেলাম- আসলে তো পলিথিনের টুকরো! এটা দিয়ে জীবন চালাণোর সব ব্যায় সংকুলান হচ্ছে! যাকে দিচ্ছি সেও আগ্রহের সাথে নিচ্ছে- আসল মাল তো কিছুই না, কিছু সিল ছাপ্পর – আর লাগানো রয়েছে মরা মানুষের বা তাজা মানুষের মুখের ছবি । পলিথিনের মূল্য হিসেব করলে খবর ছিল! এই যে আমিও কাজের বিনিময়ে পলিথিনের টুকরোকে মেনে নিলাম, আর যাকে দিলাম সে ও মেনে নিল তার দ্রব্যের কিম্বা সেবার বিনিময়ে, এই মেনে নেয়াটাই আসল! এছাড়া সত্যিই সে পলিথিন এর কোন মূল্য নেই! তো, এখন পলিথিন দিয়ে বানানো হচ্ছে এই নোট, টিকবে অনেক দিন, ‘রিপ্লেস করতেও খরচ তেমন নেই, পকেটে থাকা অবস্থায় ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে ফেললেও সমস্যা নেই। সহজে ভাঁজ হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে না, চকচকে, পালিশ করা। কেবল মাত্র একটা দুর্বলতা, আগুনের কাছে অসহায়!
আর কেউ কি লক্ষ্য করছে! বুঝতে পারছি না! বুড়ি মহিলা অথর্ব! নাহ! সে পেরিয়ে গেল কিছু না দেখেই! কালো মানিকের ডাক এলো! এরপর বুড়ী । অপেক্ষা!
নেক্সট প্লিজ! চিলের মত গলার আওয়াজে স্বপ্ন ভঙ্গ হল – পূর্ব ইউরোপীয়ান অ্যাকসেন্ট এর তীব্র গলা – ও মারে মা! কানের একেবারে ভেতরে ঢুকে গেল! আমাদের বুড়িমা হেলে দুলে এগিয়ে গেল তার কাউন্টারের দিকে !
আরে। এযে দেখছি সেই কালো বালিকা ! এদিক সেদিক দেখে তার হাতও এগিয়ে গেল গারবেজ বিনের দিকে ! কিন্তু আবারো সেই পূর্বপাঠের পূনরালোচনা! একটু নেড়ে চেড়ে দেখে সেও আঙ্গুল দিয়ে পুশ করল ভেতরের দিকে, ডলারের নোট আবার ‘রিবাউন্ড করে ফিরে একই ভঙ্গীতে ফিরে এলো তার আগের স্থানে! লোভ জাগানিয়া ভঙ্গি! সমস্যা হল – কারো অসুখ বিসুখ থাকা অসম্ভব নয়, হাতের আঙ্গুলে সে রোগজীবাণু ছেড়ে যেতে পারে কাগজে, টিস্যু, এমনকি সেই নোটে আর– ঐ গারবেজে, আর যখন অন্য কেউ এই গারবেজ নাড়াচাড়া করছে, আঙ্গুলের মাথায় তুলে নিয়ে যাবে সে জীবাণু ! কিন্তু এটা কাউকে বলার নয়!
দৃশ্যটা ককেশিয়ান ভদ্রলোকের নজর এড়ায় নি! তার চোখে কি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ! তারও ডাক এলো, সে এগিয়ে গেল ! সোমালী ‘বহীনের গল্পে বিরতি নেই, কথা বলতে বলতেই, লাইনের শূন্যস্থান পূর্ণ করতে এক ধাপ সামনে এগিয়ে গেল সে! আমিও এগোলাম, লাইনের সাথে ! নিত্যসঙ্গী মুঠো ফোন নাড়াচাড়া করছি! এ দৃশ্য ক্যামেরায় না ধরলে চলছে না! কিন্তু এখানে প্রাইভেসী আইন কার্যকর! কারো বিনা অনুমতিতে ছবি উঠালে খবর আছে! আরে, ব্যক্তির তো নয়, বস্তুর ছবি!
হ্যাঁ কাছেই দাঁড়িয়ে আছি! ফোন চেক করছি- মেসেজ দেখার মত করে- । ফোকাস করলাম, সোমালিয়ান মহিলার বিশাল বপুর আড়ালে আমি, বেশীর ভাগ মানুষের দৃষ্টির আড়ালে ! আগেই নিঃশব্দ করে নিয়েছি- সুনসান- ক্লিক! আরে এযে প্যাঁচ ডলার এর নোটের এক খণ্ডিত অংশ! কারো পিক পকেট করতে গিয়ে কেটে ফেলেছে নাকি! এদেশে পিক পকেট হয় বলে শুনিনি এখনো!
অনেক মানুষ লাইনে ছিল, কেবল কালো তরুণ তরুণী দুইজনকেই শুধু দেখা গেল গারবেজ নাড়তে; এরা যথেষ্ট অভাবী – বুঝতে পারছি! নাহলে যত টাকাই পড়ে থাক – কেউ গারবেজে হাত বাড়াবে না! অভাবে স্বভাব নষ্ট! হবে হয়তো! এদেশেও কালোরা নিগৃহীত! শহরে সন্ধ্যার পরে চলাফেরা করার সময়ে - বাস স্টপ বা রেল ষ্টেশনের আশেপাশে কালো যুবক হলে পুলিশ তাদের দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে- একে বলে ‘কার্ডিং । সাদাদের তুলনায় এ বিষয়ে কালোদের পরিসংখ্যান অনেক অনেক বেশী! দক্ষিনে, সাদাদের মহল্লায় কালো যুবককে দেখে গূলী করে মেরেছে এক সাদা আমেরিকান, এবং খুন করেও খূণী নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে! বিচার কোথায়! যে অপরাধে এক সাদা যুবককে ধমক দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে, সে একই অপরাধে কালো যুবককে জেলে রাত কাটাতে হবে! এমন উদাহরণ অসংখ্য! কয়েকশ বছরের অবিচার অত্যাচার আর নিগ্রহ- মানুষকে পশু বানিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট! হয়তো সেটাই হয়েছে! সাদা পুলিশের হাতে কালো মানুষের মৃত্যু – উত্তর আমেরিকার এক ‘জ্বলন্ত ইস্যু!
সোমালি আপু প্যাচাল পারতে পারতেই কাউন্টারে চলে গেলেন, ব্যাঙ্কের কাজ শেষ হয়ে গেলেও- তার গল্প বোধ হয় শেষ হবে না! লাইনের একবারে সামনে আমি !
আরও কয়েকজন এসে আমাদের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়েছে! সাদা কালো বাদামী এবং আর কি কি মাঝারি শেডের! গারবেজ এর ভেতরে থেকে নোটের কোণাটা একই রকম লোভনীয় ভঙ্গীতে; হয়তো আরও অনেকের মনেই লোভ জাগাবে! এদের মধ্যে কেউ কেউ কি হাত বাড়াবে এই নোটের দিকে ?
হয়তো বাড়াবে! আর তা দেখে কেউ কেউ ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেবে! কেউ বা কিছুই দেখবে না, নিজের ‘জিন্দেগীর নানা যন্ত্রণার- টাণা পোড়েণে ব্যস্ত তারা; তাদের আশেপাশের জগৎ কিভাবে চলছে তা নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই! কেউ আবার না দেখার মত করে সব কিছু দেখে যাবে । এমনকি কিছুই না দেখার ভাণ করেই – গোপণে ছবিও হয়তো তুলবে কেউ!
নেক্সট প্লিজ!
আমার সময় এসে গেছে। পা বাড়ালাম কাউণ্টারের দিকে!
বিষয়: বিবিধ
১২১০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোড রয়েছে। জানি না আপনার ওখানের প্রতিষ্ঠান ফলো করে কিনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন