কুরবানী- কানাডিয়ান স্টাইল!

লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:০৮:০৮ সকাল



পর্ব -১

সবে ল্যান্ড করেছি কানাডায়। ঈদুল ফিতর- তখন প্রচন্ড ঠাণ্ডার মধ্যে পার করেছি। ঈদ উল আজহা এগিয়ে আসছে। অভিজ্ঞজনদের পরামর্শ নিলাম। জানা গেল, তারা বরাবর দেশে টাকা পাঠিয়ে দেন। কুরবানী সেখানে হয়ে যায়, তাদের নামে। আমিও তাই করলাম।

মামলা খতম। জানলাম কুরবানী হয়ে গেছে, দূরালাপনী নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা । মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ে এসে হালাল গ্রোসারী থেকে কেনা হালাল মাংস দিয়ে লাঞ্চ এবং ডিনার করে তৃপ্তির ঢেকুর তুললাম। যারা আমার ঘরে মেহমান হয়ে এল এবং আমরা যাদের মেহমান হলাম, একই অবস্থা সবখানে। কার কুরবানী – কোথায় হয়, কে দেয় আর কে খায় ! কার গোয়ালে কে দেয় ধুঁয়ো!

পর্ব -২

এবারেও একই ভাবে- চলছে, দেশে টাকা – Sorry- ডলার পাঠিয়ে বসে থাকা, এরপর টেলিফোনে নিশ্চিত করা- কুরবানী হয়েছে! সব ঠিক ছিল! সমস্যা হল, আমরা দেশ থেকে প্রায় ১২-১৩ ঘণ্টা পেছনে। এবার দেশে যখন ঈদ এবং কুরবানী সারা হয়েছে, কানাডায় অনেকের ঈদের জামাত হয়ে পারেনি! কুরবানী একটা এবাদত, ওয়াজিব ! তবে এটা ঈদের নামাজের অব্ব্যহিত পরে হতে হবে! ঈদের নামাজের আগে তা কোন ভাবেই ‘শুদ্ধ হবে না!

মনের অতৃপ্তি দূর হল না। আমি বাস করব পশ্চিমের এক জায়গায়, আর আমার পুত্র কন্যারা জানবে ঈদ উল আজহার সময়ে কুরবানী করার অর্থ হচ্ছে সময় মত প্রাচ্যের এক দেশে টাকা পাঠানো আর, টেলিফোনে জেনে নেয়া- কুরবানী হয়েছে। আবার খোঁজ খবর নিতে শুরু করলাম। কোন ব্যবস্থা কি নেই অথবা কোন ব্যবস্থা কি করা যায় না এখানে? জানলাম, হালাল গ্রোসারী ষ্টোর গুলো নগদ নারায়ণের বিনিময়ে এ কাজ করে দেয়! মারহাবা!

গেলাম তেমন একটা ষ্টোরে । নির্দিষ্ট পরিমাণে ‘ডলার জমা দিয়ে নাম লেখালাম ঈদের আগে সপ্তাহ খানেক আগেই!

ঈদের নামাজ পড়ে এসে ফোন করছি তো করছিই – সে ষ্টোরের ফোন ‘ব্যাস্ত। গিন্নীর প্ররোচণায় বিকেলের দিকে সেই দোকানে চলে গেলুম। আমাদের কুরবানী মাংসের ট্রাক এখনো আসে নাই! অপেক্ষা!

সন্ধ্যা গেল। এশার সময় যায় যায়, আমার মত আরও কিছু ভুক্তভোগী অপেক্ষমান। কারো মেয়ে জামাই এসেছে, কুরবানীর মাংস না নিয়ে ঘরে ফিরলে লজ্জার সীমা থাকবে না, কারো নাইট শিফটে কাজে যেতে হবে, কখন আসবে মাংস- এসব নরম গরম বাদ বিসম্বাদ শুনছি-। অনিশ্চয়তা সবাইকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে- কেউ কেউ যথারীতি ক্ষিপ্ত । রাত এগারোটার সময় জানা গেল আমাদের ‘কুরবানীর ট্রাক’ কখন আসবে তার ঠিক নেই! কাল আবার আসতে হবে! ব্যর্থ মনোরথে ফিরে এলাম! মনে মনে আমিও ক্ষিপ্ত! ঘরের মধ্যে কি করলে কি হতে পারত, আর কি না করলে কি না হত এমন ‘গুণগুণাণীও ‘সহতব্য নয়!

পরের দিন অফিসে যাওয়ার কথা থাকলেও, দেরীতে যাব বলে ‘কল দিলাম। সেই ষ্টোরে ফোন দিলাম ৯টার দিকে! কেউ ফোন ধরছে না। অনেক রাত পর্যন্ত তারাও জেগেছিল – কাজেই দেরীতে দোকান খুলবে আজ, সম্ভবত। এগারোটার দিকে ফোনে পেয়ে গেলাম।

ভাই, আমাদের কুরবানীর মাংস কি এসেছে?

সেই কখন এসেছে!

মনে হল গত রাতে মাংস এসে বসে আছে, আর আমি অর্বাচীনের মত আজ যোগাযোগ করছি! গেলাম দোকানে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে মেঝেতে বসে আছে কুরবানীর মাংস ভর্তি বক্সগুলো, অনেকক্ষণ ধরে ফ্রিজের বাইরে বিধায় ‘রস বের আসছে- স্বাস্থ্যকর দৃশ্য নয়!

ভাই, কোনটা আমার?

“নিয়ে যান একটা বক্স!”

এটা কেমন কথা, আমার নামে কুরবানী হয়েছে, একটা সিরিয়াল নাম্বারও রয়েছে ! তাহলে কার কুরবানির মাংস নিয়ে যাব আমি? আমারটাই বা কে নিচ্ছে?

“আল্লাহ্‌র নামে জবেহ করা- সবতো একই! দোকানদার ‘সাধু সন্তদের মত উদার কণ্ঠে ফতোয়া দিল!

কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি! ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে প্রতীক্ষার! ক্লান্ত ভরাক্রান্ত মনে একটা বক্স উঠিয়ে নিয়ে বাসায় এলাম! ষ্টোরে কুরবানী দেয়ার সাধ মিটে গেছে! ভাগ্য ভাল এদেশে মশা মাছির অত্যাচার খুব কম। নাহলে মাংস দোকানেই রেখে আসতে হত। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য, এশিয়ান গ্রোসারী বা রেস্টুরেন্ট গুলো খুব বেশী পরিচ্ছন্ন নয়। গন্ধে টের পাওয়া যায়- পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিয়ম মেনে চলে না এখানে। প্রথম প্রথম শুচি বাই রোগের জন্য এ দোকান সে দোকান পাল্টে এখন রফা করেছি। খেতে তো হবে! (চলবে)

পর্ব -৩

এবার আর ষ্টোরে যাচ্ছি না! নেড়ে কবার যায় বেল তলায়! খোঁজ নিতে হবে আশে পাশের লোকালয় গুলোতে কসাইখানা কোথায় আছে!উল্লেখ্য, শহরের পরিবেশ যেন দূষিত না হয় – এজন্য শহরের ভেতরে কোন পশু জবেহ করার জন্য কোন কসাই খানা নেই, একটা পাখীও জবাই করা যাবে না শহরের সীমানার মধ্যে! মাংসের দোকান গুলো ‘সরবরাহকৃত ক্যারাকাস গুলো ‘প্রসেস করে মাত্র!

কাবুল ফার্ম নামের এক আফগান ফার্ম রয়েছে মিসিসগায়। একই নামে এদের গ্রোসারিতে বাজার করেছি দু’একবার। এরশাদ নাম এক পাকিস্তানীর সাথে মসজিদে পরিচয় হল। সে আবার নাকি কোন এক কসাই খানায় মুরগী হালাল করার কাজ করেছে! জিজ্ঞেস করলাম –কসাইখানায় গিয়ে কখনো কুরবানী করেছে কিনা! সে জানাল – আছে! আমাকে জিজ্ঞেস করল- আমি কুরবানী করতে চাই কিনা! আমি তো এমন কাউকে খুঁজছিলাম।

ঈদের দিন সকালের জামাতে নামাজ আদায় করলাম। এরপর এরশাদকে সাথে নিয়ে মিসিসগা – বাসা থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে। আমরা যখন ফার্মে পৌঁছুলাম – খুব বেশী লোক তখনো ফার্মে এসে ভীড় জমায় নি ।

বড় একটা ঘরের মধ্যে কসাইখানা। বাইরে বেড়া দেয়া একটা ঘেরের মধ্যে অনেক ভেড়া আর ছাগল জাবর কাটছে, অপেক্ষায়!ঐ পশুপালের মধ্য থেকে পছন্দসই পশুটা ধরে নিয়ে এসে আমাদেরকে লাইনে দাঁড়াতে হবে! এরপর সবকিছুই ক্রম অনুসারে হবে। একটু কঠিন হলেও বেশ বড়সড় দেখে একটা ভেড়া ধরে আনলাম, ছাগলের রোগা চেহারা পছন্দ হয়নি। এরশাদও তাই।

আমাদের লাইন এগুচ্ছে। সন্ধানী দৃষ্টিতে ধরা পড়ল আমাদের লাইন গিয়ে শেষ হয়েছে একটা বড় কক্ষে, এখানে জানোয়ারকে ধরে শুইয়ে ফেলা হচ্ছে চোখের নিমিষে । এক দল লোক যান্ত্রিক দক্ষতায় কাজ গুলো করছে- পশুর পা ধরা-চিত করে শুইয়ে ফেলা এবং টুপী মাথায় ছুরি হাতে কসাই এর জবেহ প্রক্রিয়া- সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এক দারুণ ধারাবাহিকতায়।

পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক ইন্সপেক্টর। তার কাজ দেশের খাদ্য শিকলে যেন কোন অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত পশু ঢুকে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা! জবাই হয়ে গেলে রক্ত পড়ে প্রাণীটা নিঃসাড় হয়ে গেল, তাকে ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে এক লোহার শিকল এর সাথে, যেটা আবার আটকানো ওভার হেড এক ধাতব রেইল এর সাথে । এখানে দারুণ ক্ষিপ্র কসাই অভ্যস্ত দ্রুততায় চামড়া খূলে নেয়ার কাজ করছে, বলতে গেলে চোখের পলকে! এবার পেটের দিকে কেটে বের করে ফেলে দিচ্ছে নাড়ীভুঁড়ি এবং সেই সাথে বের করে আনছে হৃৎপিণ্ড আর লিভার। পরিদর্শক মহোদয় হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে তা দেখেছেন – প্রয়োজনে সেখাণ থেকে একটু কেটে নিচ্ছেন পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য! সবকিছু ঠিক থাকলে, একটা ‘স্ট্যাম্প মেরে দিচ্ছেন নীল কালীতে – জবাই করা পশুর ছাল ছাড়ানো দেহের উপরে। এর অর্থ এটা ভক্ষণযোগ্য!

এবার সেই শিকলে ঝুলে ঝুলে এই ‘দেহ ঢুকবে ‘শীতল ঘরে, শীতে মাংস জমে শরীরটা শক্ত হবে।একদিকে যেমন তা মেশিনে কাটার উপযোগী হবে, তেমনি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকলে সেটাও জমে গিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে- মারা যদি নাও গিয়ে থাকে!

বিসমিল্লাহে আল্লাহূ আকবর !আমার আগের পশু কুরবানি হয়ে গেল! এরশাদ জিজ্ঞেস করছে আমি নিজে হাতে কুরবানি করতে চাই কিনা! করতে পারলে ভাল হত, রাসূল (সঃ) নিজে হাতে কুরবানী করেছেন। তবুও একটু দ্বিধা এলো, এদিকে ইন্সপেক্টর সাহেব এর দৃষ্টিতে তাড়া ।

নাওয়াইতূয়াণ আজবাহা হাজাল হায়ওয়াণা...... ! হায়ওয়াণ- জন্তু! দুয়ার সাথে সাথে যিনি জবাই করছেন তার ছুরি ধরা হাতটা ছুঁয়ে দিলাম, এভাবেই এদেশে প্রথম সশরীরে ‘অকুস্থলে গিয়ে কুরবানী করার অভিজ্ঞতা হল!

চেইন এর পেছনে আর যাওয়া গেল না- ততক্ষণে আমার হাতে একটা সিরিয়াল নম্বর চলে এলো! এই নম্বর দিয়ে পরের রুমে কাটিং মেশিনের কাছে আবিষ্কার করলাম আমাদের কুরবানির পশু দুটোকে – আমার পরেই এরশাদ! ফ্রিজে রাখলে অনেক সময় ব্যায় হবে। এদেরও আজ ব্যস্ত দিন, কুরবানীর লাইন দীর্ঘ হতে শুরু করেছে ! পনের মিনিটের মাথায় কাটা শুরু হল! নরম মাংস পিছলে যাচ্ছে মেশিনের কাছে- বিপদজনক, একটু এদিক ওদিক হলে এই মেশিন চালকের হাত ‘টুকরো হয়ে যাবে! এজন্যই ফ্রিজে রেখে শক্ত করে এরপর মেশিনে কাটার নিয়ম! যাহোক- ছোট টুকরো করা আর হল না, বড় বড় টুকরো করে পাঁচ মিনিটের মাথায় শক্ত প্লাস্টিকের ব্যাগে ভর্তি হয়ে আমার হাতে এলো কুরবানির মাংস। দুপুর আড়াইটায় বাসায় এসে পৌঁছেছি – এই প্রথম এবং শেষ এত দ্রুততার সাথে কানাডায় কুরবানী শেষ করা –! যারা শুনছে তারাও অবাক হচ্ছে; আমার অনেক আগে কানাডায় এসেছেন এমন অনেকেই জানতেন না যে এভাবে কুরবানি করা যায় এখানে! আল্লাহ পাকের শূকরিয়া আদায় করলাম! কুরবানী একটা এবাদত, নিজেরটা নিজে করতে না পারলে আর এবাদতের মজা কোথায়!

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৩০৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377562
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:২১
হতভাগা লিখেছেন : আস্‌সালামু'আলাইকুম , ঈদ মুবারাক ।

এরকম হ্যাসলফ্রি কুরবানিই ভাল । জায়গা জায়গা নোংরা হবার সম্ভাবনা থাকবে না । ২/৩ দিন পর মাংশ পেলেও সমস্যা নেই ।

এরকম হলে তো ভালই হত । কিন্তু ....

সেই কসাইরাইতো কাটবে এবং রাখার বন্দোবস্ত করবে এই ২/৩ দিন যারা কি না সারা বছর মাংশ নিয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে !
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১১:০৮
312988
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম।ঈদ মুবারক! এখানে খরিদ্দার ঠকানোর ব্যাপারটা দেশের মত নয়! বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা আছে! কেউ অভিযোগ করলে এদের ব্যবসা লাটে উঠবে!
377579
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনার চমৎকার অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মেশিনে এভাবে যদি ঠান্ডা করে কাটকে হয় তবে তো গোস্তের আসল স্বাদ ই পাওয়া যাবে না!!
আমাদের দেশের কসাইখানাগুলির পরিবেশ দেখলে মনে হয় কেউ কিনা গোস্ত খেত না!!!
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১১:২৩
312989
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : যে দেশের যে রীতি। এখানে গাভীর দুধে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে বিধায় সরাসরি গাভীর দুধ বিক্রী করতে পারবে না ফার্ম গুলো। আগে পাস্তুরাইজেশন করতে হবে! স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আইন!
377657
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম!!
আলহামদুলিল্লাহ..
বান্দা যদি প্রচেষ্টায় ক্লান্ত হয়ে ক্ষান্ত না দেয়, আল্লাহতায়ালা পথ একটা বের করে দেন!!


وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا
যে ব্যক্তিই আল্লাহকে ভয় করে চলবে আল্লাহ তার জন্য কঠিন অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সৃষ্টি করে দেবেন৷ [ সূরা তালাক, আয়াত ২]

وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْرًا
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার কাজ সহজসাধ্য করে দেন৷ [ সূরা তালাক, আয়াত ৪]

وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُعْظِمْ لَهُ أَجْرًا
যে আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তার গোনাহসমূহ মুছে ফেলবেন এবং তাকে বড় পুরস্কার দেবেন৷ [ সূরা তালাক, আয়াত ৫]
Praying Praying Praying Praying
377690
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:৪৮
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File