ভেগান (VEGAN) পশুপ্রেম আর পেটা (PETA) 'র কুরবানী বন্ধের ফতোয়ার বিরুদ্ধে - !

লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ২০ মে, ২০১৬, ০৯:৩০:১০ সকাল



( পূর্ব সুত্রঃ মাঝখানে একটা খবর বেরিয়েছিল। মুসলিমদের পশু কুরবানি করার বিরুদ্ধে বিশাল জনমত গড়ে তুলার লক্ষ্যে ‘শাকাহারী ভেগান আর পেটা গ্রুপ ঐক্য গড়ে তুলেছিল, উদ্দেশ্য- মাংস ভোজী তথা আমিষ ভোজী জনগণ, বিশেষ করে মুসলিমদেরকে ‘দানব হিসেবে তুলে ধরা! এরা পশু মেরে খায়- কাজেই এরা দানব! দুর্ভাগ্য এই জাতিটির, এক আল্লাহ – এক কুরআন আর এক রাসূলের অনুসারী হয়েও এমনিতে এরা শতভাগে বিভক্ত, তার উপরে বোঝার উপর শাকের আঁটির মত সময়ে সময়ে ‘বজ্রাঘাত আসে ।এমনিতে এ জাতির গায়ে অতি অন্যায় ভাবে সন্ত্রাসের তকমা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, তার উপরে- পশুনাশী দানব! যদিও জাতীয়তাবাদ এর কাল রোগে এরা শতধা বিভক্ত, কিন্তু মিডিয়া আর বর্ণবাদী জাতি গোষ্ঠীর এ ক্রমাগত চাবুকের কষাঘাত গুলো, সবাই প্রায় একই সমতলে মুখ বুজে সহ্য করে। যতই অন্যায় ভাবে তাদের দোষারোপ করা হোক, এর প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, কেউ কেউ তো আর সহ্য করতে না পেরে ‘মুসলিম পরিচয় দিতেই কুন্ঠাবোধ করে! প্রতিবাদ করলে যদি আরও বিপদ হয়! কুরবানি ফরজ নয়, ওয়াজিব । তারপরেও এটা আমাদের ধর্মের অংগ, স্যাক্রিফাইস- বা ত্যাগের শিক্ষা – নবী ইব্রাহীমের মিল্লাত হিসেবে তাঁর স্মৃতিজড়িত এ ত্যাগ -ভুলি কি করে ! এর উপরে হস্তক্ষেপ করার অর্থ তো ধর্মীয় স্বাধীনতার উপরে হস্তক্ষেপ! তাই এর প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকাটা অন্যায়’ । কাউকে না কাউকে তো এ ‘প্রতিবাদের কাজ করতেই হবে! অন্ততঃ আত্ম পক্ষ সমর্থন করা তো প্রতিটি মানুষের জন্য এক স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া! নয় কি! )

পেটার ফতোয়াঃ কুরবানী বন্ধ করুন!

পেটা- অর্থ পেটানো নয়! PETA - people for the ethical treatment of Animals।

বড় বড় সেলিব্রেটী, যাদের অর্ধনগ্ন বা পুরো নগ্ন শরীরের ছবি পৃথিবীর মানুষ এই কর্মযোগে দেখে ফেলেছে- পশুর চামড়া দিয়ে পোশাক বানানো বন্ধের জন্য তারা ‘কাপড় খুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায়, আর পত্রিকার বিক্রি বাড়ে । উদ্দেশ্য নিয়ে কজন মাথা ঘামায়, তাদের ‘দেখানোর অসুখ আর কারো দেখার ‘সুখ! আমরা কিছু আমজনতা তখন চক্ষুলজ্জা ঢাকতে – হেডলাইন ছেড়ে উপসম্পাদকীয়তে নজর বুলাই।

তো, এবার PETA কুরবানীর বিষয়ে ‘মুফতে মুসলিমদেরকে কিছু জ্ঞান দিয়েছে! তারা পশু জবাই এর মত ‘নিষ্ঠুর পন্থা বন্ধের পক্ষে। তারা কি সত্যই পশু প্রেমিক? মানব প্রেমের কি হল? প্যালেস্টাইনে গাজায়- ইরাকে সিরিয়ায় মানব শিশু জবাই হলে, কার্পেট বম্বিং হলে এরা – মানব জাতির ethical treatment নিয়ে কথা বলে না, মুখে তালা মেরে রাখে, অথচ পশুর জন্য দরদে বুক ফাটিয়ে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে! বাড়াবাড়ি নয় কি?

PETA, Vegan –প্রভৃতি পৃথিবীর বিভিন্ন Cult এর মত এক ধরণের cult হিসেবে তাদের প্রচার প্রসারের জন্য উদ্ভাবনা মূলক কিছু কলাকৌশল অবলম্বন করছে।

১। তাদের এ কর্মগুলো মূলতঃ ‘প্রকৃতি বিরোধী (Act against nature) ও অনৈতিক (Un – ethical , বাংলায় - অনৈতিক বলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না, তবে স্ববিরোধী সন্দেহ নেই ) হলেও স্বপক্ষীয় প্রচার যন্ত্র- আর প্রভাবশালী সমর্থকদের সমর্থনে নিজেদেরকে ‘প্রকৃতি প্রেমিক বা পশুপাখি প্রেমিকা বানিয়ে ফেলেছে। আর যারা প্রকৃতপক্ষে দায়িত্বশীল ও এথিক্যাল মানুষ (এরাই সংখ্যাগরিষ্ট!) তাদেরকে ‘নিষ্ঠুর’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে, আক্রমণ করছে। অবশ্য এ কৌশল তাদের উদ্দেশ্য সফল করার LINE OF ACTION – এর ফলে এই সংখ্যাগরিষ্ট মানুষদের কিছু তাদের Guilty feeling এর কারনে তারা হয় ঐ CULT কে সমর্থন করবে, আর তা না করলেও সরাসরি ওদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলবে না, মৌন থেকে ওদের অপপ্রয়াসকে পরোক্ষ সমর্থন দেবে।

৩। PETA, Vegan দের যুক্তি – আমরা যারা মাংস খাই, তাদের খাবারের জন্য প্রানী হত্যা বন্ধ করতে হবে ! তাদের মত Vegan হতে হবে। আমরা মাংস না খেয়েও সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারি। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এটা জরুরী।

আমাদের যুক্তি-

ক) আমরা প্রকৃতির নিয়ম এর বাইরে নয়, বরং নিয়ম মেনেই চলছি। মানুষ একমাত্র প্রানী যার কর্তন, ছেদন ও পেষণ দন্ত রয়েছে। গরু বা তৃণভোজী প্রানীর পেষণ দন্ত আর কর্তন দন্ত হলেই চলে, ছেদন দাঁতের প্রয়োজন হয় না – বাঘ বা সিংহের জন্য তা অতি জরুরী। মাংসাশী প্রানীর মতই, মাংস হজম করার মত এনজাইমও সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দিয়েছেন; কাজেই মাংস আমাদের জন্য অখাদ্য নয়, বরং প্রয়োজনীয় পুষ্টির উৎস । শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান প্রানীজ মাংস না খেলে, শুধু উদ্ভিদ থেকে আসবে না। কোন ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন, নিরামিষ ভোজী মানুষদের রক্তে সাধারণতঃ কোন উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়! এছাড়া গড়পড়তা পরিশ্রমী মানুষের প্রয়োজনীয় ক্যালরি যোগাতে Vegan মানুষকে পরিমাণে অনেক বেশী খেতে হবে, অনেক বেশী সময় যাবে এ খাবার তৈরি আর ভক্ষনে ! আবার, ঠাণ্ডার দেশে যেখানে কয়েকমাস সবজি জন্মায় না- তারা কি খেয়ে বাঁচবে ? বাঘ সিংহ বা মাংসাশী প্রানীকে ‘ভেজিটেবল সূপ খেতে দিলে তারা কি তাতে সন্তুষ্ট হবে ? বা তাদের চাহিদা কি তাতে মিটবে? এটা প্রকৃতি বিরোধী নয় কি?

গরু ছাগল Vegan, ওরা মাংস খায় না। এখন মানুষ একেবারেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দিলে গরু ছাগলের মত ঘাসের বা উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে! যা গরু ছাগল বা অন্য তৃণভোজীদের খাদ্যের সরবরাহের সাথে, সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক। ওদের খাবারে ভাগ বসাতে হবে! ওরা কি প্রকৃতই পশু প্রেমিক? আমাদের ‘খাদ্য-শিকলে ( Food chain) পশু পাখির প্রয়োজন আছে জন্যই আমরা তাদের গুরুত্ব বুঝি, তাদের বাচিয়ে রাখা- তাদের রোগ শোকে যত্ন - সবই করি। PETA, Vegan দের সুপরামর্শে যদি ওদের ‘উপযোগ’ আমাদের কাছে ফুরিয়ে যায়, তখন ওদের কপালে কি জুটবে!আমরা কেন তাদের যত্ন করব? PETA গং যে দেশে আন্দোলন শুরু করেছে- সেখানে বুড়ো বুড়ি যারা নাকি এদের অর্থনীতিতে অপ্রয়োজনীয়’ হয়ে পড়েছে তাদের দুরবস্থা দেখে আমার ভয় হয়, সে অপ্রয়োজনীয় প্রানীদের না আবার জাহাজে ভর্তি করে সমুদ্রে জ্যান্ত ডুবিয়ে মারা হয়! ওদের ‘এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট’ কি এরকমই হবে!

খ) PETA, Vegan গ্রুপ কুরবানী বন্ধের ‘ফতোয়া দিয়েছে। দু-একজন হিজাব পরিহিতা ও মুসলিম নামধারী ‘প্রকৃতি প্রেমিকও ঐ দলে নাম লিখিয়েছে – বুঝে অথবা না বুঝে।

কুরবানী দেয়া হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার আদেশ মানার নিয়তে, যারা তা করছে তারা তাঁদের বিশ্বাস থেকে- সে অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নামে আরেক তৃণভোজী জন্তুকে উৎসর্গ করছে, সৃষ্টিকর্তার বিধি বিধান মেনেই । তারাতো Vegan দের জন্য ফতোয়া দিচ্ছে না, বা বলছে না – এসো, আমাদের উৎসর্গকৃত মাংস খেয়ে যাও! তোমাদের তৃণভোজী প্রানীর মত শাক পাতা চিবানো দু একদিনের জন্য বন্ধ রাখো! মাংস ভোজনের যা মজা তাকি আর ঘাস পাতায় মিলবে! বলছে না!! কাজেই ‘ভেজান গ্রুপের অতিমাত্রায় ‘সভ্য হয়ে উঠা অভ্যাস অন্যদের মধ্যে বিলানোর এই অপপ্রচেষ্টা কেন? পেটা কার বিধান অনুসারে তা করছে? ন্যাংটো সেলিব্রেটিদের!

যখন মানুষ গুহাবাসী ছিল তখনও শিকার করে মাংস খেয়েছে। “পরিমিত মাত্রার” মধ্যে থেকে মাংস খাওয়াটাও বিজ্ঞান সম্মত! তবে জ্ঞানপাপীদেরকে বিজ্ঞান শেখানোর আগ্রহ বোধ করছি না। ইচ্ছে করে, খাদ্য শিকল বা ফুড চেইনের কোন লিঙ্ক ‘নষ্ট করার প্রচেষ্টা কোন ‘প্রকৃতি প্রেমিকের কি সাজে! কোন ধরণের এথিকস এটা!

গ) শুধু প্রানীদের প্রান আছে, উদ্ভিদের কি প্রাণ নেই? খাবারের জন্য আমাদেরকে প্রানী বা প্রাণ হত্যা করতে নিষেধ করা হলে- Vegan বন্ধুরা কি খাবেন! পানি!! নাকি হাওয়া?

ঘ) প্রতিটি সৃষ্ট জীবের জীবনের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে! আমরা শুধু নিজেরটা ভাবব – নিজের পেট ভরব আর বংশ বিস্তার করে একদিন মরে যাব- এটা জীবনের উদ্দেশ্য নয়! বরং এটা ভাবলেই সবার জন্যই সহজ হবে যে- আমরা পৃথিবীতে প্রেরীত হয়েছি কতকগুলো সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নিয়ে ! একটা মৌমাছির বা পিপীলিকার যা কাজ, একটা বিশাল হাতি দিয়েও তা করা যাবেনা! আবার হাতির কাজ কুকুর বেড়াল দিয়ে সমাধা হবে না! আমাদের জন্য ‘কোড অভ কন্ডাক্ট বা আচরণ বিধিও ঠিক করে দেয়া আছে! আমাদের জন্য ঐশী গ্রন্থে- সেগুলো বলাও হয়েছে। সেটা দায় দায়িত্ব নিয়ে - সবাই অনুসরণ করলে (কমপক্ষে তাতে বাধা সৃষ্টি না করলেও) পৃথিবীটা আরও শান্তিপূর্ণ – আরও বাসযোগ্য হবে, সবার জন্য।

কোন জন্তু কি এটম বোমা বা হেলফায়ার মিশাইল বানাচ্ছে? –আণবিক বোমা বানাচ্ছে আরেক জন্তুকে মারার জন্য? অধিকাংশ প্রাণী – অন্য প্রানীকে হত্যা করে খাদ্যের প্রয়োজনে। আর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী -‘অতি সভ্য’ মানুষ, অন্য মানুষকে খুন করছে, গণহত্যা- ম্যসাকার করছে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ানোর জন্য, অন্যদেরকে নিজের ইচ্ছেমত- নিজের সুবিধামত চালানোর জন্য। আর সেইসব মানবরুপী ‘নরপশুদের আশেপাশে থেকেই –তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে যারা, তারা স্বজাতি মানুষ নয়, পশু বাঁচানোর নামে ধুঁয়া তুলছে কোন কোন ভণ্ড ! হয়তো সে পড়ে রেশমের পোশাক, পায়ে চামড়ার জুতো, বসে থাকে চামড়া মোড়া চেয়ার বা সোফায়, শীতের সময় পড়ে চামড়ার হাত মোজা যার সবগুলো এসেছে কোন না কোন প্রানীর মৃত্যুবরনের মাধ্যমে! আদিখ্যেতা আর কাকে বলে!

এদের যুক্তি থাকতে পারে – আমার এখন থেকে কোন প্রানীজ উপাদান ব্যবহার করব না। আচ্ছা! তবে কি প্লাস্টিক – পলিথিন আর কৃত্তিম তন্তু ! সাময়িক সুবিধা দিলেও, ওগুলো গোটা পৃথিবীতে আরও অভিশাপ বয়ে আনছে। প্রাকৃতিক উপাদান কত সহজেই না প্রকৃতিতে মিশে যায়! চামড়াও! কিন্তু প্লাস্টিক, পলিথিন! পাঁচশ বা হাজার বছরে কোন কোনটা মাটিতে গলবে না! নানা জীবের নানা অসুবিধা সৃষ্টি করবে, প্রকৃতির দূষণ ঘটাবে! ঐ মূর্খ গুলোকে কে বুঝাবে তা!

প্রানীজ বস্তু – খাদ্য- মাংস, চামড়া- তন্তু – এর সবগুলোর সাথে জড়িত হাজারো মানুষের রুটি রুজী ! আমজনতার খাবারের কথা না ধরলেও । ঐ লোক গুলো বেকার হয়ে যাবে, নয়কি! ওদের কাজ যোগাবে কে! PETA, বা Vegan এর মত cult ! যারা প্রথাগত বা ধর্মীয় কারনে বা হজম সমস্যার কারনে এই ‘শাকাহারী সন্ন্যাস নিয়েছেন তাদেরকে আমরাও সাধুবাদ দেই, শুধু নিজেদের অভ্যাস বা প্রথা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হল, তা প্রচার করে অন্যদের ‘দানব সাব্যস্ত করার অপচেষ্টা না করলেই হল! আমরা তো তাদেরকে শাক পাতা খওয়ার কারনে ‘গরু ছাগল বলছিনা ! তারা যে দুধ পাণ করেছেন সেটাও তো এক হিসেবে তাদের খাবার নয়; ওটা সেই প্রানীর ‘বাচ্চাদের খাবার! এক্ষেত্রে ‘অন্য প্রানীর শিশুদের খাবার ‘চুরি করাটা তাদের হিসেবে ‘অমানবিক হচ্ছে না? কাজেই কোন বিষয়েই বাড়াবাড়ি করা ভাল নয়!

শেষ কথা, উদ্ভাবনা মূলক বিষয় গুলো সবক্ষেত্রে খারাপ না! বরং অনেক ক্ষেত্রে এতে মানব জীবনের উপকার হয়! আমরা বাস করছি এমন এক জগতে যা আমরা তৈরী করি নি, সুতা ছাড়া ঝুলে আছে গ্রহ নক্ষত্র গুলো, কিন্তু অতি নিখুঁত ভাবে তারা পরিভ্রমণ করছে; আমাদের গ্রহ, পৃথিবীও ঘুরছে, এর প্রতিটি মুভ- আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি – ঘূর্ণনের সময়, কোন এলাকায় – কোন সময়ে কতটুকু সূর্যালোক পড়বে- তাও নির্ধারিত! পৃথিবীতে রয়েছে ‘ইকো সিস্টেম’ প্রানীকূল, উদ্ভিদকূল- বাতাস – পানি – সূর্যালোক – এর উপাদান। সব মিলিয়ে এ এক অবাক করা ভারসাম্য! এই ভারসাম্য রক্ষা করে জীবনধারনই মূল কথা ! PETA, Vegan গ্রুপদের ভারসাম্যবিহীন কথা বা কাজ – সারা পৃথিবীর জন্যই অমঙ্গল বয়ে আনবে। অবশ্য একটা কাজ হতে পারে, প্রচারণার যুগ এটা, প্রচার কৌশলের উদ্ভাবনায় ‘মুগ্ধ হয়ে কিছু ‘আদম তাদের দলে যোগ দেবে আর তোতা পাখীর মত শেখানো কিছু বড় বড় বুলি আওড়াবে আর ভাবতে থাকবে- ‘দুনিয়া উদ্ধার করে হয়েছে!

নেহায়েত আনন্দের জন্য আর কোন প্রজাতিকে যেন না খুন করা হয়, অনর্থক কোন প্রানীর জীবন নাশ যেন না ঘটে, নিজেদের আনন্দের জন্য তাদের জীবন যাত্রায় যেন কোন বিঘ্ন না ঘটে বা তারা যেন একেবারে ধ্বংস হয়ে না যায় তা মানুষকেই নিশ্চিত করতে হবে! মানুষের শুভ বুদ্ধির জয় হোক!



বিষয়: বিবিধ

২০৪৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

369643
২০ মে ২০১৬ সকাল ১০:১৭
হতভাগা লিখেছেন : ওরা পশু , তাই ওরা পশুর প্রতি দরদ দেখাবেই ।

আর আল্লাহ যেটা হালাল করেছেন আমরা সেটা হারাম বলতে পারি না ।
369660
২০ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : জরুরি ও শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। পেটা বর্তমানে ভারতে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে। সেই প্রভাব কিছুটা বাংলাদেশেও পড়ছে। পেটার বিরুদ্ধে অশ্লিলতা ও শিশুদের প্রতি আক্রমনাত্মক বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ আছে। বর্তমান বিজেপি সরকার এর মন্ত্রি সঞ্জয় গান্ধির বিধবা মেনকা গান্ধি পেটার সমর্থক। তাদের চাপে হিমাচল প্রদেশে সব ধরনের পশুবলি ও কুরবানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমার একটি পোষ্ট আছে।
২২ মে ২০১৬ সকাল ০৭:৩৬
306866
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
369664
২০ মে ২০১৬ রাত ০৮:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : নানা জনে নানা কথা বলবেই। আমরা আমাদের নবীর শেখানো পথে অবিচল থাকবো। তবেই আমরা পাশ করব। বিশ্লেষণ ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
369790
২২ মে ২০১৬ সকাল ০৭:৩৬
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
369791
২২ মে ২০১৬ সকাল ০৭:৩৭
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ জনাব!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File