ইনুকসুকঃ কানাডার আদিবাসীদের হাতে গড়া মানব প্রতিকৃতি
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ২৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:০৫:৪৮ সকাল
ক্যানাডার আদিবাসীদের এক জাতির নাম ‘ইনুই! আর এই ‘ইনুইত’ ভাষার একটি শব্দ- “ইনুকসুক”; যার অর্থ হচ্ছে- মানব সাদৃশ্য বা মানব প্রতীক ! আধো অন্ধকারে দূরে থেকে দেখলে একজন অতিকায় মানুষ দাঁড়িয়ে আছে বলে ভ্রম হয় ! এগুলো হচ্ছে অব্যবহৃত, পথের পাশে পড়ে থাকা পাথর দিয়ে বানানো মানুষের প্রতিকৃতি- যা কিনা ইনুইত গোত্রের মানুষ তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামে, রাস্তা বা বিশেষ স্থানকে নির্দেশ করতে, পারস্পরিক যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এটাকে অতীত যুগে খালি হাতে গড়া স্থাপত্য কর্ম বললেও ভুল হয় না!
আদিম মানুষ দিক ঠিক করার জন্য কম্পাসের সাহায্য পায় নি। দিনের বেলা সূর্য আর রাতের বেলা চাঁদ বা তারা, তাদেরকে পথ চিনে নিতে সাহায্য করেছে! শিকার করতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলা খুব নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল! বিশেষ করে শিকারের সন্ধানে নূতন নূতন এলাকায় গেলে! কাজেই হাতের কাছে থাকা পাথর বা অন্য বস্তুকে কাজে লাগিয়ে তারা পথের দিশা দিতে চেষ্টা করেছে!
শিকারে গিয়ে কিম্বা পানির উৎস খুঁজে পেলে পাহাড় বা বড় বৃক্ষকে মার্কার হিসেবে মানুষ ব্যবহার করেছে! মনে রেখেছে কোথায় একটা ঝরনা বা বড় খাদ বা সাময়িক আশ্রয় নেয়ার জন্য কোন গূহা ! জীবন রক্ষার জন্য অনেক সময় এগুলো নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে! কিন্তু যে এলাকায় কোন পাহাড় বা গাছ পালা নেই? সেখানে ?
যেখানে বাড়ীতে নাম্বার দেয়া নেই বা রাস্তায় নাম লেখা নেমপ্লেট নেই, সেখানে মানুষকে ঈপ্সিত ঠিকানা খুঁজে পেতে, ইশারার বা প্রতীকের সাহায্য নিতেই হয়! এমন ক্ষেত্রে রাস্তা ঘাটকে আমরা কেমন করে মনে রাখি? এই যেমন, বড় বট বা তেঁতুল গাছ বা আম গাছ! কলা বাগান বা বাঁশ ঝাড়! নদী বা রাস্তার বাঁক! একজনকে বাড়ি খুঁজে বের করার নির্দেশনা দেই এভাবেঃ বাস থেকে অমুক স্টপে নেমে, মাইল খানেক পশ্চিমে এগিয়ে, প্রথম মোড়ে ডানে যেতে হবে!~ এরপর পঞ্চাশ গজ এগিয়ে বামে মোচড়, তারপর সোজা মাইল খানেক হেঁটে গেলে সামনে বড় বটগাছ পড়বে! বট গাছকে ডানে রেখে এগিয়ে গেলে পড়বে ছোট নদী ! নদী পেরিয়ে ওপারে গিয়ে নাক বরাবর সামনে মাইল খানেক! এখানে একটা তেমাথা ! একটা ডানে গেছে- একটা সোজা আর তৃতীয়টা বামে! প্রথম দুটো বাদ দিয়ে বামেরটা ধরে এগিয়ে যেতে হবে! এরপর হাতের ডানে একটা জংগল পড়বে! এটাকে পাশ কাটালেই হাতের বামে তিনটে বাড়ি, তৃতীয় বাড়ীটা আমাদের!
এই ধরনের বর্ণনায় নদী, বড় গাছ, তেমাথা –জংগল – এর সবগুলোই হচ্ছে মার্কার বা চিহ্ন ! যারা বরফের দেশ দেখেন নাই তাদের একটু ধারনা দেয়া যাক! সারারাত তুষার পাত হলে সকালে উঠে বাইরে বের হলে, চেনা জগতকে বড় অচেনা মনে হয়! সব সাদা আর সাদা! পূর্বে আর পশ্চিম কিম্বা উত্তর আর দক্ষিনে কোন প্রভেদ নেই! অথচ এই ‘প্রভেদ গুলো দিয়েই মানুষ মনে রাখে, স্মরণ করে-দিক আর পথ চলাচলের দিশা ! কাজেই মেরুবাসী একজন শিকারীর পক্ষে পথ হারালে নিজের গ্রাম খুঁজে বের করা কোন সহজ কাজ ছিল না! বড় গাছ কেন, ছোট গাছও হিমাংকের নীচের তাপমাত্রায় জন্মায় না!
একই কারনে, কানাডার আদিবাসী ইনুইত – রাস্তায় পড়ে থাকা পাথর গুলো– একটার উপর আরেকটা বসিয়ে দিয়ে, মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করে রাখতে শেখে! সে পথ দিয়ে আবার তার গোত্রের কেউ অতিক্রম করলে সহজেই বূঝে যাবে- তার গোত্রের কেউ একজন এদিকে চিহ্ন রেখে গেছে! এক একটা জাতির হাতের কাজ ভিন্নতা থেকে তারা বুঝে যায় – কারা এটা বানিয়েছে ! এই ‘ইণূকসুক তাকে তথ্য দেবে- “কেউ একজন এখানে ছিল”- অথবা – “তুমি ঠিক রাস্তাতেই যাচ্ছ, পথ হারানোর ভয় নেই”!
পথের দিশা দেয়ার জন্যই এই ইনুকসুক এর উদ্ভাবনা ! ট্র্যাডিশনাল বিশ্বাসে, তারা কোন ইনুকসুক ভেঙ্গে ফেলে না; এগুলো তাদের পূর্বপুরুষের স্মৃতি চিহ্ন! ইনুকসুক এর হাত বা পায়ের দিক নির্দেশনা অনেক সময় মুক্ত সাগর – জলাভূমি বা নিজেদের গোত্রের বিশেষ কোন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নির্দেশ করতে পারে!
পুরোপুরি মানুষ আকৃতির ইনুকসুককে তারা বলে, ইনুনগূয়াক! ক্যানাডার আদিবাসীদের সম্মান দেখিয়ে ২০১০ সালের শীতকালীন অলিম্পিক ( ভ্যাঙ্কুভার ২০১০) এর লোগো হিসেবে এমন এক ইনুনগূয়াক কে নির্বাচন করা হয়! আর্টিস্ট ‘এলেণা রিভেরা ম্যাকগ্রেগর’ এর ডিজাইন খুব প্রশংসিত হয়েছে, আর নর্থ ওয়েস্ট টেরিটরির আর্টিস্ট এলভিন কাণাক এটা তৈরি করেছেন! ভ্যাঙ্কুভার ইংলিশ বে – তে সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই ইনুকসুক।
ক্যানাডার আদিম ‘আর্ট’ এর চিহ্ন হিসেবে, টোটেম পোল ( বড় গাছের গুঁড়ির উপরে খুদে তৈরি করা ভাস্কর্য) আর ইনুকসুককে ক্যানাডার বিভিন্ন এলাকায়, পার্কে বা যথেষ্ট জনসমাগম হয় এমন জায়গায় ‘পাবলিক ডিসপ্লে- হিসেবে রাখা আছে! প্রতিটা দেশই তার অতীত ঐতিহ্যকে মর্যাদা দেয়- কানাডা তার ব্যতিক্রম নয়! বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ‘ইনুকসুক স্থাপন করে কানাডিয়ানরা তাদের আদিবাসী ইনুইতদের এবং তাদের সৃজনশীল কর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে!
প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হচ্ছে-কানাডার আদিবাসী ইনুইতরা
ইউরোপিয়ান বা শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর কেউ নয়; এরা আমাদের মত বাদামী চামড়ার মানুষ ! মঙ্গোলীয় বৈশিষ্টের এশিয়ান!
ছবি দেখলে তাদের ‘শেকড় কোথায় তা বুঝতে অসুবিধা হয় না! এডভেঞ্চার প্রিয় এশিয়ান জনগোষ্ঠীর মানুষ বরফ যুগের শেষ দিকে, যখন রাশিয়ার মাথার উপর দিয়ে উত্তর মেরুতে সরাসরি আসা যেত, সাগর এই প্রণালীকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে নি, সে সময়ে তারা কানাডার উত্তরে পৌঁছে গিয়েছিল! এখনো বহাল তবিয়তে তাদের উত্তর সূরীরা সেখানে বাস করছে। পৃথিবীর আরও অনেক দেশের আদিবাসী জাতি / জনগোষ্ঠীর মতই অনেকটা অবহেলিত, অনেকটা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে বাস করছে! অতীতে ইউরোপিয়ান বা শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী এদের উপর অত্যাচার করেছে। কানাডার কনজারভেটিভ সরকার -এর সময় কিছুটা হলেও ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তারা, ঘটা করে তাদেরকে ‘সরি বলা হয়েছে। তবে লিবারেল পার্টির প্রাইম মিনিস্টার জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে, বর্তমান সরকার যিনি ভোটের আগে আদিবাসী জনগোষ্টির বিভিন্ন সংগঠন গুলোকে আশ্বাস দিয়েছেন- যে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদের প্রতি যে সকল বৈষম্যমূলক আচরণ অতীতে করা হয়েছে তা দূর করবেন, তাদের হৃত ‘মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবেন! সরকারের সাথে তাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উষ্ণ হয়ে উঠবে বলে আমরা আশাবাদী !
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৯ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইনুইতদের কথা না হয় তারাই ভাবুক!
ইনুইতদের কথা না হয় তারাই ভাবুক!
আজকের লেখায় ধর্ম বিষয়ক নয়। তবে ইসলামের শত্রুদের সমস্যা সেখানে নয়। যে কোন অজুহাতে ইসলামকে আক্রমণ করতেই হবে! সেই যে কালিপদ’র নৌকাভ্রমণ ফর্মুলা!
সবাই আপনাদের চরিত্র জানে! অনেক সময় পাল্টা মন্তব্য করতেও রুচিতে বাধে –আপনাদের ‘প্রতিহিংসা মিশ্রিত বিষাক্ত মন্তব্য দেখে! কারণ এতে ‘ছাগলদের ব্যা ব্যা করাকে গুরুত্ব দেয়া হয়!
বাংলাদেশে ব্লগার জবাইয়ের উস্কানিদাতা কিন্তু আপনার মতই জঘন্য কিছু জাহান্নামের নোংরা কীট!~ এসব উস্কানীতে কেউ ক্ষিপ্ত হলে, দোষ হয় যারা প্রতিক্রিয়া করেছে তাদের; কিন্তু যাদের ‘ক্রিয়ায় ঐ প্রতিক্রিয়া- তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়! আমরা প্রতিক্রিয়াশীল নই – কিন্তু কোন কুকুর কামড়াতে এলে তার পশ্চাদ্দেশে কষে লাথি মারলে অন্যায় হয় না!
হিংসা কেবল প্রতিহিংসা ছড়াবে – সমাজের কোন উপকার বয়ে আনবে না! গঠণ মূলক সমালোচনা না করে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য বন্ধ না করলে আপনাকে ‘ব্লক করা হবে!
প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে! ব্যক্তিগতভাবে যেমন, সামষ্টিক ভাবেও তেমন। সমাজবিজ্ঞানীরা এক সময় খুঁজে বের করবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কালো মানুষদের সংখ্যা ১২%, ( প্রতি আট জন মানুষের মধ্যে একজন কালো; ) অথচ জেলে এদের সংখ্যা প্রায় ৬৫%।
কানাডায় আদিবাসীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪%, আর প্রায় ৭৭% শ্বেতাঙ্গ। অথচ জেলখানায় এদের সংখ্যা শ্বেতাঙ্গদের চাইতে প্রায় ৫ গুণ! এর পেছনে নিশ্চয়ই ‘কারণ রয়েছে!
কোন মানুষ যখন চরম জুলুম বা অত্যাচারের শিকার হয়, এরা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠবেই। একটা বিড়ালকে প্রতিদিন খোঁচাতে থাকুন- একদিন সে তার ‘থাবা চালাবে! দুঃখজঙ্ক ভাবে প্যালেস্টিনিয়ান বা আইসিস-নেহায়েত রাজনৈতিক ‘ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট ‘অফসুট’ দের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বা ঘটছে। অথচ তাদের গায়ে ধর্মীয় লেবেল লাগিয়ে দেয়া হয়েছে! সামাজিক অনাচারের ফল কখনো সুফল বয়ে আনবে না! এটা আমরা যত দ্রুত বুঝব, এবং তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে পারব, সভ্য সমাজের জন্য তত মঙ্গল হবে। জেলে রেখে, গুলি চালিয়ে- গুমখুন করে বা বোমাবাজি করে সামাজিক সমস্যার সমাধান কেউ করতে পারে নি- পারবেও না!
শুধু শুধু পশ্চিমা বিশ্বের গিবত গেয়ে বর্বর ইসলাম ধর্মের দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসী মুমিনদের লজ্জা আড়াল করার সুযোগ নেই মোটেও। ভিয়েতনামীরা ২৫ বছর আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছে। আমেরিকা শত চেষ্টা করেও সেখানে আইসিস, বোকোহারাম, আলকায়দা টাইপের কিছু পয়দা করতে পারেনি। অথচ জন্মলগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনীরা মধ্যাকাশে যাত্রি বিমান ছিনতাই করে ইহুদী/খ্রীষ্টান'দের বিরুদ্ধে ইসলামের জেহাদ শুরু করে। যার ১৬ কলা এখন পুরণ হয়েছে প্রকৃত ইসলামের খলিফা রাষ্ট আইসিস, বোকোহারাম, আলকায়দা, মুজাহিদ, জামাত, হেফাজত, মসজিদবোমাবাজ, সেক্টেরিয়ান ভায়লেন্সের মধ্য দিয়ে। মুসলিমদের মাঝে ৯০% ই টেররোরিষ্ট অথবা টেরোরিষ্ট সেম্পেথাইজার। অনেকে ভয়/লজ্জায় বিষয়টি চেপে রাখে। সুযোজ পেলে সহজেই আবার দানব বনে যায়। আর এই দানবীয় বিষফোঁড়া ইসলাম ধর্ম স্বয়ং। সংগত কারনেই আজকের বিশ্বে ধনী-গরিব প্রায় প্রতিটি মুসলিমদেশই সন্ত্রাসের চারন ভুমি। পাকিস্তানে নিশ্চয় আদিবাসী/সংখ্যালঘু'রা প্রতিদিন মসজিদে বোমাবাজী করে না। মূলত ইসলামের পয়জনে(POISON) আসক্ত সত্যিকার মুসলিমরাই যত অপকর্মের কৃত্তিকর্মা। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
আপনি কি কখনো ‘রেসিডেণ্টসিয়াল স্কুলের বিভীষিকা সম্বন্ধে শুনেছেন! আদিবাসী শিশুদের ‘সভ্য বানানোর জন্য মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে আনা হত, পুরে দেয়া হত ‘সভ্য বানানোর কারিগর – পাদ্রীদের হাতে! এরা এই শিশুদের শুধু মারধোর করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি; বলৎকার, নিজেদের পেশাব পায়খানা খাওয়ানো খুন গুম কিছুই বাদ যায় নি।
আপনি ঐ পরিস্থিতিতে ভাবুন তো- নিজেকে! আপনার বাচ্চাকে ছিনিয়ে নেয়া হল শৈশবে, যেন আপনার ভাষা না শিখতে পারে, না আপনার সংস্কৃতি! ঐ বাচ্চার উপরে যে জুলুম চলেছে তাতে ‘নূতন শেখানো – সেই চাপিয়ে দেয়া সংস্কৃতি কি তারা এরপরেও মেনে নিতে পারবে?
চাপিয়ে দেয়া ভাষা – উর্দুর কারনে কি আমরা ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করিনি!
একটা কথা মনে রাখা দরকার- ওরা ওদের নিজেদের দেশে ‘প্রবাসী হয়ে গেছে! আরও বিচিত্র, এদেশে তাদেরকে বলা হয়, ফার্স্ট নেশন- কিন্তু সেকেন্ড বা থার্ড নেশন কিন্তু নেই! আমার মুখের ভাষা - আমার স্বাধীনতা – আমার দেশ কেড়ে নিয়ে- আমার সংস্কৃতি কেড়ে নিয়ে কেউ যদি বলে – আসো – আমি ভবন বানিয়ে দিয়েছি – এখানে এসে খাও আর ঘুমাও ( বন্দী দশায়), আমি কি সেটা পছন্দ করব!
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা অনেকেই কিন্তু ‘সেকেন্ড বা থার্ড নেশনদের ‘ভাষ্য’ পত্রিকায় পড়ে ভাবি- আরে তাইতো- ওদের কত সুবিধা দেয়া হয়েছে! ওদেরকে তো বেহেশত দেয়া হয়েছে! কিন্তু পরাধীনতার জোয়াল কাঁধে নিয়ে বেহেশতে থাকতেও- বেশীর ভাগ আত্মমর্যাদাশীল জাতিই পছন্দ করবে না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন