মেঘের অনেক রং
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৯:৪৯ সকাল
হালকা তুলার মত ভেসে যায় মেঘ। বাতাসে ভর করে। মনে হয় বেলুনও তার চেয়ে ভারী! উড়োজাহাজে উড়বার সময় দেখা যায়- কত হাজারো মেঘের ভেলা ভেদ করে বিমান এগিয়ে যাচ্ছে। সাদা, রঙ্গিন। পাতলা, ঘন ! আকাশে কত রকমের মেঘের আনা গোণা যে হয়! যেমন রয়েছে নেক্রিয়াস (Necreous- মাদার অফ পার্ল) মেঘ । সকাল সন্ধ্যা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় গমুক্তার মত, পাতলা উজ্জল এই মেঘ ভেসে যায়, উদ্ভাসিত হয় লাল রঙ্গে! আরও আছে High cirriform, cumulonimbus, startocumuliform and stratiform cloud। Genus cirrus – এরও আবার অনেক ধরন রয়েছে। যাক সে কথা! এই মেঘের ওজন কত হবে? দেখে তো খুব বেশি মনে হয়না !
একটা cumulonimbus মেঘ, যাকে সাধারন ভাবে বলা হয় ‘বজ্রপাতের মেঘ’, ঊর্ধ্বে প্রায় ৩ লাখ টন পানি ধারন করতে পারে! বিশ্বাস হয়? তিন লাখ টন পানি আকাশে ভেসে রয়েছে- “দেখিয়াও যেন না হয় প্রত্যয়”। এসব বৈজ্ঞানিক তথ্য মানুষ জেনেছে খুব বেশীদিন আগে নয়!
মর্ত্যের মানুষের জন্য মেঘের খবর বয়ে এনেছিল মহাগ্রন্থ কুরআন। মেঘের ভর বা ওজন নিয়ে কথা বলেছে কুরআন এভাবেঃ
“ তিনিই (মহান আল্লাহ্), যিনি বাতাসকে (বৃষ্টি ও) রহমতের বার্তা বাহক হিসেবে পাঠান, শেষ পর্যন্ত যখন সে ভারী মেঘমালা বহন করে ( চলতে থাকে), তখন আমি তাকে একটা নিষ্প্রাণ ভূখণ্ডের দিকে পাঠিয়ে দেই, অতঃপর সে মেঘ থেকে আমি পানি বর্ষণ করি, যা দিয়ে সে ভূখণ্ড থেকে উৎপাদিত হয় ফলমূল ফসল- নানাধরনের; (সূরা আরাফ- আয়াত ৫৭ থেকে) ।
“তিনিই, তোমাদের বিদ্যুতের চমক দেখান, তা (মানুষের অন্তরে) ত্রাস (সঞ্চার করে), তেমনি আশারও (সঞ্চার করে) । এবং তিনিই ভারী মেঘমালা জমা করেন (সূরা আর রাদ, আয়াত ১২) ।
যখন কুরআন নাজিল হয়, সে সময় অবশ্যই মেঘের যে ওজন রয়েছে এবং সেই ওজনের পরিমাপ করার চিন্তা অকল্পনীয় ছিল। বাতাসের যে ওজন আছে এবং তা জায়গা দখল করে – বিজ্ঞানের এই প্রাথমিক জ্ঞানও মানুষের বোধগম্যতায় এসেছে – খুব বেশী দিন আগে নয়! আর মেঘের ওজন! সেতো ছিল বহু দূরের কথা!
তবে তাঁর জন্য তো দূরের কথা নয়- যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন!
'নিদর্শন' রয়েছে তাদের জন্য – যারা ‘চিন্তা ভাবনা’ করে!
বিষয়: বিবিধ
১৯১৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Pickthall: And He it is Who sendeth the winds as tidings heralding His mercy, till, when they bear a cloud heavy (with rain), We lead it to a dead land, and then cause water to descend thereon and thereby bring forth fruits of every kind. Thus bring We forth the dead. Haply ye may remember.
Yusuf Ali: It is He Who sendeth the winds like heralds of glad tidings, going before His mercy: when they have carried the heavy-laden clouds, We drive them to a land that is dead, make rain to descend thereon, and produce every kind of harvest therewith: thus shall We raise up the dead: perchance ye may remember.
Shakir: And He it is Who sends forth the winds bearing good news before His mercy, until, when they bring up a laden cloud, We drive it to a dead land, then We send down water on it, then bring forth with it of fruits of all kinds; thus shall We bring forth the dead that you may be mindful.
বাংলা-(islamdharma.com) তিনিই বৃষ্টির পূর্বে সুসংবাদবাহী বায়ু পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ন মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি এ মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দেই। অতঃপর এ মেঘ থেকে বৃষ্টি ধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনি ভাবে মৃতদেরকে বের করব-যাতে তোমরা চিন্তা কর।
উত্তর পর্ব :
১। আমার বুঝে আসেনা এই নিরেট মামুলি কথার মাঝে আপনার আল্লার কি কারিস্মা/বাহাদুরি/নতুনত্ব খুঁজে পেলেন??
'দমকা হাওয়ার সাথে পুঞ্জিভুত ঘন কালো মেঘমালা ভারি বর্ষন বয়ে আনে' এমন কথা আজ থেকে হাজার বছর আগে বাংলাদেশের নৌকোর মাঝিরাও মরুভুমির আল্লার চেয়ে ভাল জানতেন। আর বৃষ্টিতে যে গাছ/পালা/শষ্য গজায় এটি ১০ বছরের শিশুরও অজানা ছিল না।
২। তবে, এই সূরার বিজ্ঞাপন জাহির করতে যেয়ে আপনি খেঁচো খুড়তে শাপ বের করে আনলেন।
আপমার আল্লা দাবি করেছেন- "তখন আমি এ মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দেই। অতঃপর এ মেঘ থেকে বৃষ্টি ধারা বর্ষণ কর.....।/until, when they bring up a laden cloud, We drive it to a dead land, then We send down water on it....
কিন্তু বাস্তবে এমনটির ঠিক উল্টো চিত্রই আমরা দেখতে পাই। আরবের মরুভুমি অথবা উত্তর সাহারার মৃত ভুমিতে কদাচিৎ বৃষ্টি হয় কিনা সন্দেহ আছে। যে কারনে ওসব খরা পিড়িত অঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে শষ্য উৎপাদ সম্ভব হয় না। বৃষ্টি হয় মূলত সুজলা সুফলা বাংলাদেশ, আসাম অথবা চির সবুজ আমাজন রেইন ফরেষ্ট অঞ্চলে। যেখানে বরংচ অতি বৃষ্টির কারনে বন্যা এবং ফসলের হানি ঘটে।
ভৌগলিক জলবায়ু বিষয়ে আপনার আল্লার জ্ঞানের সীমা যে প্রাইমারী লেভেলের চেয়েও নিম্ন মানের ততে সন্দেহ আছে??
“তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন এবং মৃত্যুর পর ভূমির পূনরুজ্জীবন করেন। নিশ্চয়ই এতে, বুদ্ধিমান লোকদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলী।” (সূরা আর রুম -২৪ )
আসলেই কোরআনের বানীর মধ্যে রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শনাবলী। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্যদের তো সেখানেই সমস্যা -!
ধন্যবাদ আপনাকেও!
তাইতো!! ঘন কালো সঞ্চারিত পুঞ্জীভূত মেঘমালা থেকেই যে বৃষ্টি নেমে আসে তা বাঙ্গদেশের বেয়াকুব, বেয়াক্কেল, বেহাল.... লোকগুলো জান্তই না। অথচ আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে তপ্ত রুক্ষ খা খা মুরভূমির আল্লা এই নিরেট বিষয়টি জানান দিলেন। তিনি কতইনা বুদ্ধিমান!??! @ বৃত্তের বাইরে।
(৬৩) ‘রহমানের বান্দা তো তারাই, যারা পৃথিবীতে বিচরণ করে শান্তভাবে এবং মূর্খেরা তাদের সাথে বাক বিতণ্ডা করতে চাইলে তারা বলে সালাম (বিদায়)।
কাজেই বিদায় !
মন্তব্য করতে লগইন করুন