উদ্ভাবনা কৌশলঃ এক বিস্মৃত প্রায় সুন্নাহ

লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ৩১ মে, ২০১৫, ০৫:২০:১৭ বিকাল



ইসলামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল ‘স্রোতের উল্টো দিকে। সে সময়ে মূর্তিপূজক মানুষের কাছে ‘নিরাকার, অদৃশ্য ঈশ্বরের আরাধনা’ – এ ছিল এক অতি অভিনব ‘বস্তু ! আর সে সময়ের রাষ্ট্র বা সমাজের প্রভাবশালীগণ এই ‘নব্য ধারনাকে গ্রহণ তো করেই নাই, বরঞ্চ তা অংকুরেই যেন বিনষ্ট হয়ে যায়, তার জন্য সহিংস/ অহিংস- সর্ব রকমের পন্থা অবলম্বন করেছে। শারীরিক অত্যাচার, বয়কট এমনকি দেশান্তরে বাধ্য করেছে নূতন ধর্ম গ্রহণকারীদেরকে। রাসূল (সাঃ), তাঁর পরিবার পরিজন, গোত্র, অনুসারী এবং সমর্থকগণও সে অত্যাচারকে সহ্য করেছেন, এক পর্যায়ে গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারন করেছেন। শেষ পর্যন্ত রাসূল (সাঃ), এর নেতৃত্বে, মুসলিমগণ জয়ী হয়েছে। তিনি যখন বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হলেন, তিনি শুধু একটা ‘আদর্শ, কল্যাণ রাষ্ট্রই গড়েন নাই, আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করছেন। আর তাঁকে কারা সহায়তা করলেন! তিনি গড়ে তুলেছিলেন এক দল আত্মনিবেদিত অনুসারী- সাহাবা! মুহাম্মদ (সাঃ) নামের এই ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপ রেকর্ড করা হয়েছে, যেমনটি পৃথিবীর আর কোন মানুষের ক্ষেত্রে হয় নাই- ভিডিও প্রযুক্তি তো সেসময়ে ছিল না, প্রায় সে ধরনেরই লিখিত রেকর্ড রয়েছে তার জীবণ যাত্রার। তিনি দ্বীনের ক্ষেত্রে যা করেছেন, যা বলেছেন, যা অনুমোদন করেছেন, তাঁর সবকিছুই সুন্নাহ। তাঁর জীবন যাত্রার প্রতিটি ধাপ, শারীরিক পবিত্রতা অর্জন এমনকি কেমন খিলান বা মিসওয়াক ব্যবহার করতেন সেটাও। ইসলামের অনুসারীদেরকে শুধু ফরয এবাদত করলেই চলে না, সুন্নাহ অনুসরণ করতে হয়। এটাই সর্বসম্মত অভিমত! ধর্মীয় অনুশাসনের ক্ষেত্রে কোন নূতন উদ্ভাবনা বা ‘বিদাহ’ আগুনের দিকে মানুষকে টেনে নেবে, এই ভয়ে, অতি প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনা কৌশলও যেন মুসলিমগণ এই ‘বিদাহ’ এর খাতে লিখে দিয়েছে।

খন্দকের যুদ্ধের ঘটনা । মুষ্টিমেয় ৩০০০ মুসলিমদের বিরুদ্ধে তিন গুনেরও বেশী, প্রায় ১০ হাজার সৈন্যের মুকাবেলা! অবশ্য প্রায় প্রতিটি যুদ্ধেই সংখ্যার দিক থেকে মুসলিমরা ‘নগণ্য ছিল- শত্রু সৈন্যের অর্ধেক বা তিন ভাগের এক ভাগ! খবর পাওয়া গেল, মদিনার এগিয়ে আসছে শত্রু বাহিনী- শুধু সংখ্যাতেই নয়, সামরিক সরঞ্জামেও তারা সমৃদ্ধ! সে যুগের হাতাহাতি যুদ্ধে যখন সমান সংখ্যক সৈন্যের মুকাবিলা করাই কঠিন, আর তখন এই তিনগুন সেনা সংখ্যার সাথে যোগ হয়েছে অনেক বেশী পরিমাণ মাউণ্টেড অর্থাৎ অশ্বারোহী সৈন্য! ক্ষুদে মুসলিম বাহিনীর যেন আর রক্ষা নেই!

এমন বিপদ জনক পরিস্থিতিতে, রাসূল (সাঃ) পরামর্শ সভা আহবান করলেন। ( এটাও প্রায় ভুলে যাওয়া একটি সুন্নাহ ! ) বিভিন্ন সাহাবী বিভিন্ন মত দিলেন। ইরান দেশের বাসিন্দা সালমান ফারসী (রাঃ) তাঁর অভিমত দিলেন। পারস্য তখন ছিল পৃথিবীর দুই পরাশক্তির একটা, যুদ্ধ বিদ্যাতেও তাঁরা পারদর্শী ছিল। তিনি জানালেন, পারস্য দেশে ‘ডিফেন্সিভ যুদ্ধে, অপেক্ষাকৃত সুপিরিয়র- প্রতিপক্ষ সৈন্যদের বাধা দিতে ‘খন্দক খুঁড়ে নিজেদের অবস্থান সংহত করার কৌশল ব্যবহৃত হয়। খন্দক এমন বড় হবে যেন শক্তিশালী ঘোড়াও দৌড়ে এসে পার হতে পারবে না, আর এত খানি গভীর হবে যেন শত্রু সৈন্য সহজে তা পার হয়ে বা সহজেই সে খন্দক ভরাট করে এপারে এসে আক্রমণ করতে পারবে না! আর গর্ত পার হয়ে যখন উপরে উঠতে থাকবে- খন্দকের পাড়ে দাঁড়ীয়ে থেকে – তীর, বর্শা বা তরবারি দিয়ে তাদের মোকাবেলা করা সহজ, যেহেতু কোন ঘোড়া বা উট এ বাধা পেরিয়ে আসছে না। এক্ষেত্রেও শত্রুর ‘সুবিধা ছেঁটে ফেলার এক দারুন কৌশল এই খন্দক।

আরবে এমন কৌশল ইতিপূর্বে কেউ দেখে নাই, এই কৌশলে যুদ্ধও কখনও করে নাই। এ ব্যাপারে তাদের কোন ধারনাই ছিল না! বহিরাগত ‘সালমানের এমন পরামর্শ আরবের বড় বড় কুশলীগণ কি শুনবেন বা মেনে নেবেন?

কিন্তু যুগ শ্রেষ্ট ‘প্রগ্রেসিভ মাইন্ড’ রাসূল (সাঃ) ঠিকই বুঝলেন এর হকিকত এবং গ্রহণও করলেন সেই উদ্ভাবনী কৌশল। তিনি শুধু আদেশ দিয়ে ক্ষান্ত হলেন না, নিজেও মাটি আর পাথর খুঁড়ে খন্দক বাণাতে শুরু করলেন, প্রতি দশ জণের জন্য প্রায় চল্লিশ হাত দীর্ঘ আর তদনুপাতে প্রশস্ত আর গভীর গর্ত খুঁড়ার প্রজেক্ট! কুরাইশ তথা আরবদের জন্য অতি অভিনব এই কৌশল, তিন ভাগের এক ভাগ সমর শক্তি নিয়ে যুদ্ধের ফলাফল মুসলিমদের পক্ষে নিয়ে আসতে অতি কার্যকর ভুমিকা পালন করল। শত্রুদের মনোবাঞ্চা পূর্ণ হয়নি, ইসলামের আলোকে চিরতরে নিভিয়ে দিতে এসে সেই ‘বহুজাতিক বাহিনী শেষ অব্দি লেজ তুলে পালিয়ে গেছে। মদিনা ও তার অধিবাসীগণ কোন বিশাল রক্তপাত ছাড়াই রক্ষা পেয়েছে!

সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, উদ্ভাবনী কৌশলের কার্যকরী ব্যবহার একটা জাতির জন্য ‘ইতিবাচক ফলে বয়ে আনতে সক্ষম হয়! এটা প্রমাণিত সত্য।

মুসলিম দেশ গুলোর বর্তমান অবস্থা কি? আনবিক শক্তিতে সত্যিকারের গবেষণা করতে পারলে তা সামগ্রীক ভাবে মুসলিমদের কাজে লাগতে পাড়ত। আজ ‘পৃথিবীর মহারথীরা- আর তাদের বহুজাতিক বাহিনী- সেই সালমান ফারসী’র ইরানকে পারমানবিক শক্তি অর্জনে সর্বশক্তি দিয়ে বাধা দিচ্ছে, আর পাশাপাশি ভারতের ‘নব্য হিটলার মোদীর হাতে তিন হাজার টন ইউরেনিয়াম বিক্রির রসিদ ধরিয়ে দিচ্ছে ! মুসলিমদের কোণঠাসা করে রাখার সকল ‘কৌশল তারা সফল ভাবে ব্যবহার করছে। কত মিলিয়ন মানুষ সিরিয়া থেকে, প্যালেস্টাইন থেকে উদ্বাস্তু হয়েছে নিজেদের ঘর বাড়ি হারিয়ে? সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আফগানিস্তান- কাশ্মীর – এমনকি মিয়ানমারে মুসলিমদের কচুকাটা করছে ইসলামের শত্রুরা। এই বহুজাতিক বাহিনীর মাথা ব্যাথা সেটা নয়, তারা বরং, যারা সিরিয়ার আসাদের ঘৃণ্য বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অসম সংগ্রাম করে যাচ্ছে তাদের সীমিত শক্তি দিয়ে, তাদের উপরে বোমা হামলার জন্য যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে। এই গেরিলা যোদ্ধাদের অপরাধ? তারা ইসলামিক স্টেট বা ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার কথা বলে!

মুসলিমদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে কবে? ইউরেনিয়াম হাতে পেলেও কাজে লাগাবার প্রযুক্তি কয়টা মুসলিম দেশের রয়েছে? কোটী কোটী ডলার শুধু মোবাইল ফোন ব্যবসাতেই দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে! বাংলাদেশের একটা পথের ফকিরও দিনে মাসে ৫/ ১০ ডলার খরচে করে এই খাতে, অন্যদের কথা বাদই দিলাম। ১৬ কোটী মানুষের দেশ, কত টাকা মাসে খরচ হয় এ খাতে? এই মোবাইল ফোন এর প্রযুক্তি দূরে থাক, এর একটা স্ক্রু ও কি বাংলাদেশ তৈরি করে? কিম্বা নিজেদের ফোন নিজেরা তৈরী করার ইচ্ছে কি এদেশের সরকার বা ব্যবসায়ীদের মাথায় এসেছে? নাকি জুম্মার পরে বসে দুহাত তুলে ঘন্টা খানেক ধরে মুনাজাত করে হাতে ব্যাথা করালেই আল্লাহ্‌ পাক সমৃদ্ধি দান করে দেবেন? সামরিক বা অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত পৃথিবীর বর্তমান সকল রাষ্ট্রই বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনার দিকে থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে । একটা জাতি নিজেদের উদ্ভাবনা ছাড়া কখনও স্বনির্ভর হতে পারবে না! নিজেদের উদ্ভাবনা কম থাকলে অন্যদের উদ্ভাবনার ‘অনুকরণ বা কপি করেও একটা জাতি ‘অগ্রসর হতে পারে, এর জন্য মানসিকতা আর প্রচেষ্টা থাকার দরকার। কুরআনের বাণীও তেমন সাক্ষ্য দিচ্ছেঃ ‘ যে জাতি নিজেদের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে না, আল্লাহ্‌ও তাদেরকে সাহায্য করেন না’।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323634
৩১ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম!

চিন্তার খোরাক জোগানো বিশ্লেষনধর্মী লিখাটি খুবই ভালো লাগলো!

আমাদের দেশেও অনেক মেধাবী রয়েছেন কিন্তু এই মেধার সঠিক প্রয়োগ দেশে হচ্ছে না বা সুযোগ নেই বা সুযোগ সৃ্ষ্টির ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে! প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ থাকার পরও যেমন আমরা অভাগা রয়ে গেলাম তেমনি প্রতিভা থাকার পরও প্রতিভারাও পরাধীন হয়ে আছে!


একটা জাতি নিজেদের উদ্ভাবনা ছাড়া কখনও স্বনির্ভর হতে পারবে না! খুবি চমৎকার বলেছেন!

সমাধান কিভাবে আসতে পারে ? ছোট কিছু উদাহরন যদি দিতেন!

জাযাকাল্লাহু খাইর!
৩১ মে ২০১৫ রাত ১০:৫৯
265132
ছালসাবিল লিখেছেন : আপপু, দেশের আর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে মেধাবিরা পড়ালেখার জন্য বিদেশে গিয়ে আর দেশে ফেরে না। আপনি জদি জাপানিজ, তাইওয়ানের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন তারা এমেরিকার মতো জায়গায় পড়ালেখা করেও তার দেশে ফিরে এসে নিজের দেশে কি উদ্ভাবন করা যায় তা চিন্তা করে।

আজ তাইওয়ান তারা নিজেরাই বিমান তৈরির কারখান বানিয়েছে। যা বিশ্বের সবথেকে বড় ও লাভজনক খাত। তারা বিভিন্ন ধরনের জন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করছে। তারা দেশে এসে এগুলো করছে । কিন্তু আমাদের দেশের লোকজন চায় আরো বাহিরে সেটেল হওয়া যায় কি ভাবে।

আমার একজন পরিচিত বুয়েটের ভাইয়া, সে এমেরিকায় গেছে পড়ার জন্য আর ফিরবে বলে মনেহয় না। তার ইচ্ছাও না ফেরা।
আমি সাক্ষ্য দিতে পারি তার মতো ইনিস্ট্যান্ট চিন্তা করে নতুন কিছু করার মতো মানুষ আর একটি ও পাওয়া যাবে না।

আসলে আমাদের নিজেদের দোষ তা নয় সরাকর, পলিটিকস, রাষ্ট্রব্যাবস্থা, ভয়, দারিদ্রতা এগুলো সবগুলোই কাজ করে।
তবে জাপানিজ ও তাইওয়ানিজ ও চায়নারা এত ভয় থাকার পরেও তারা আজ সফলকাম কেননা তারা নিজেদের পরিবর্তন নিজেরাই করার চেষ্টা করেছে পরন্ত আল্লাহ তাদের দুনিয়াবী জীবনে হেল্প করেচে।

আর আমরা দুনিয়ায় ও নাই আখেরাতেও নাইরে খাতায়।

নিজে নিজের অস্ত্র না বানিয়ে মানুষের অস্ত্র কিনে যুদ্ধ্যে যাওয়া সত্যি বোকামি। এর চেয়ে বোকামি হয় না।

আমার ব্লগ লাইফে মনেহয় সবথেকে বড় কমেনট করলাম-দুঃখিত রাগ হলে বকা দিয়েন। Worried
৩১ মে ২০১৫ রাত ১১:৪৪
265145
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনার কমেন্ট পড়ে সত্যি অভিভূত হলাম! চমৎকার লিখেছেন! বাব্বাহ আমাদের ছালসাবিলের মাথায় এতো বুদ্ধি! মাশা আল্লাহ!Happy
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৩২
265505
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম!
আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় একজন চোর বদমায়েশ আর সন্ত্রাসী যে মর্যাদা পায়, যে গুরুত্ব পায়- সংবাদপত্রে বা মিডিয়ায় যে কভারেজ পায়, একজন মেধাবী উদ্ভাবক সে তুলনায় ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো! বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ‘মেধাবী, গবেষক প্রফেসর’ এর চাইতে ‘তল্পিবাহক, ধামাধরা- ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আজ্ঞাবাহী- মেরুদণ্ডহীন - নপুংসক প্রফেসর হবেন ' উপাচার্য ! এ কালচার এর পরিবর্তন জরুরী! এর সাথে আমাদের নূতন প্রজন্মকে – স্বনির্ভর হওয়ার জন্য উদ্দীপিত করা দরকার- তা হতে পারে তাদেরকে পুরস্কৃত করে, তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে সামনে তুলে ধরে! একটা জাতির জন্য উদ্ভাবনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করা গেলে আর উদ্ভাবনার উপযুক্ত মুল্যায়ন হলে, মানুষ আগ্রহী হবে সেদিকে অগ্রসর হতে!
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৫০
265535
ছালসাবিল লিখেছেন : আপপপু, ভয় কেটে গেল Angel
323658
৩১ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৪২
265523
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও!
323659
৩১ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
শেখের পোলা লিখেছেন : এ জন্যই কবি নজরুলের আক্ষেপ;-'দুনিয়া যতই এগিয়ে চলেছে আমরা ততই বসে/বিবি তালাকের ফতওয়া লিখি কোরান হাদীশ চোষে৷
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৪৩
265525
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : হুমম! ঠিক বলেছেন জনাব! আমরা এখনো সেই পর্যায়েই রয়ে গেছি!
323682
৩১ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ চমৎকার লিখাটির জন্য। আমাদের প্রধান সমস্যাই আমরা নতুন কিছুকে গ্রহন করতে বেশি দেরি করি। অথচ বৈজ্ঞানিক গবেষনায় অর্থের চেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় উৎসাহ। এমনকি মেধাও নয়।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৩৪
265512
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : খুব সুন্দর বলেছেন সবুজ ! বৈজ্ঞানিক গবেষনায় অর্থের চেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় উৎসাহ। Inspiration is very important for innovation!
323684
৩১ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সুন্দর পোষ্টটির জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
০৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৮:১৫
266964
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও !
323736
৩১ মে ২০১৫ রাত ১১:০২
ছালসাবিল লিখেছেন : মুসলমানরা বর্তমানে সবথেকে বড় বোকা। কেননা তারা মানুষের কাছে অস্ত্র কিনে যুদ্ধ্যে যেতে চায়। আরে ওরা তো তোমার কাছে ৫ নাম্বার সিরিয়ালের অস্ত্র বিক্রি করবে আর ১ নাম্বারটি রেখে দিবে তোমাকে শায়েস্তা করা জন্য । এটাই আমরা বুঝি না। Crying
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৪৩
265527
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : খুব সত্য কথা! দুটো সিনারিও আপনার প্রথম কমেন্ট এর জন্য ছালসাবিল!
প্রথম যখন টেলিফোন লাইন লাগল সাউদি আরবে, কিছু আলেম ফতোয়া দিলেন- এটা ইহুদী নাসারাদের তৈরী, প্রাইভেসি বলে কিছু থাকবে না- এটা ব্যবহার করা হারাম~!
বাংলাদেশে একজন নেহায়েত ‘আম জনতাদের একজন, অগভীর নল কূপের ইঞ্জিন দিয়ে একটু কৌশল করে – শুন্যে উড়তে পারে এমন এক ‘মেশিন ( হেলিকপ্টার এর প্রটোটাইপ ) বানালো। এর জন্য তাকে যথেষ্ট সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যায় করতে হয়েছে! খবর যখন ছড়িয়ে পড়ল, বাংলাদেশ পুলিশ এর সুযোগ্য কর্ণধাররা হস্তক্ষেপ করলেন, বেচারা উদ্ভাবক গ্রেফতার হল, তার উদ্ভাবনা পুলিশ তুলে নিয়ে গেল রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে, এই ‘লোক বিবেচিত হল জন নিরাপত্তার প্রতি হুমকী হিসেবে।
আপনার কি মনে হয়! এমন পরিবেশ কি উদ্ভাবনার জন্য উপযোগী! দেশে মেধাবীদের মূল্যায়ন হলে মেধা পাচার হতো না, অনেক প্রবাসীই হয়তো বিদেশীদের কাছে মেধা বিক্রি করা বাদ দিয়ে দেশে ফিরে আসবে! আমি গ্যারান্টি দিতে পারি!
সবুজ ঘাস আর পানি দেখলে একটা বিবেকহীন- অবলা প্রানীও সেদিকে হাঁটতে থাকে,আর বুদ্ধিমান প্রাণী – মানুষের তো কথাই নেই!
আপনাকে ধন্যবাদ !
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৪৯
265534
ছালসাবিল লিখেছেন : Crying একসময় ইংরেজি ও নিষিদ্ধ ছিলো। তবে সেটা ঐ সময়ের ব্যাপার ছিলো। যুগ পরিবর্তনে সেটা চলে গেছে। তাছাড়া আলেমরা অনেক চিন্তা করে কিছু ডিসিশান নেন যা ঐ সময়ের জন্য উপযুক্ত পরবর্তিত নয়।

সেজন্য তাদের বলে কিছু করার নেই। আমারা জদি সেই ইংরেজ আমলে থাকতাম হয়তো তখন আমরাও ইংরেজী বয়কট করতাম। এটাই স্বাভাবীক।

তবে দেশের প্রধানরা বা যারা দেশ চালায় তারা জদি এগুলো নিয়ে চিন্তা না করে। শুধু নিজের আখের গোছানোর চিন্তা করে তাহলে তো এরকম হবেই Broken Heart
324944
০৬ জুন ২০১৫ রাত ০৪:১৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : চমৎকার বিশ্লেষন। ঈমানী শক্তি, উদ্ভাবনী মেধা, উদার মনোভাব ও বাস্তবতার উপলব্ধি পৃথিবীর নানা দেশের নানা সভ্যতার মানুষকে বরাবরই ইসলামের কাছে টেনেছে। বলা হয় মুসলমানরাই বিজ্ঞানের উদ্ভাবক। মধ্যযুগের জ্ঞানবিজ্ঞানে খুব উন্নত শহরের মধ্যে বেশীরভাগই ছিল মুসলিম শাসনাধীনে। এগুলো সম্ভব হয়েছিল সে সময়ের মুসলিম শাসকদের জন্য। মুসলিম শাসকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎসাহ ছিল এসবে। আজ ইউরোপ আমেরিকা একই রকম পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আমাদের দেশে কি আর এভাবে আগানো সম্ভব? দেশের ইসলামিক পন্ডিত বর্গ আজও জ্ঞান চর্চাকে সংকীর্ন করে রেখেছেন ,সমাজের অর্ধেক জনসংখ্যা নারীদের শিক্ষা, চাকরির বিষয়ে নানা ফতোয়া, কর্মবিমুখ মাদ্রাসাগুলো দরিদ্র সৃষ্টির কারখানা হয়ে উঠেছে। উপরন্তু আমাদের দেশে মুসলিম শাসক আছে কিন্তু তাদের কাছে শাসক হওয়াটাই সব ।
এরপরও সীমিত সুযোগ, সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যারা তাদের মেধাকে কাজে লাগাচ্ছেন তাদের এগিয়ে যেতে আপনার লেখাটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আশাকরি। এমন প্রচেস্টায় শুভ প্রচেষ্টায় সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
324955
০৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৮:১৪
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File