লালখান বাজার মাদ্রাসা ইতিবৃত্ত এবং দাবার ঘরে ভুল চাল...।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুয রহমান ১২ অক্টোবর, ২০১৩, ০৫:৫০:৩২ সকাল

নাহ, সরকার নাটকটা জমিয়ে উঠাতে পারেনি। নাটকের রচয়িতা ছিলেন অদক্ষ-অপটু। যে নাটক সারাদেশে এক যোগে প্রচারিত হবে, সে নাটক লেখায় এত অসঙ্গতি!! অবশ্যই মেনে নেয়া যায় না। যে কোনো আনাড়ি দর্শক এর এক গাদা অসঙ্গতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবে। বিজ্ঞ দর্শক হলে তো কথাই নেই।

যান্ত্রিক বিস্ফোরণ ঘটে সকাল এগারটায়। এতে ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উড়ে যায় কক্ষের জানালা পর্যন্ত। তাৎক্ষণিক অগ্নি নির্বাপন (দমকল) কর্মীরাসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত হয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালান। কেনই বা চালাবেনা (মুফতি হারুন ইজহার সাহেবের মাদ্রাসা বলে কথা। তার উপর হেফাজত-ই-ইসলামের প্রভাবশালী সদস্য)...?? কিন্তু বোমা বা এই জাতীয় কিছু উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর কমিশনার শফিকুল এসে 'তাজা' গ্রেনেড উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় আমরাতো বেসম্ভব রকমের বিস্মিত। ঘটনা জন্ম দিয়েছে অনেক রকমের প্রশ্ন, যা নেহায়েত কম নয়। তবে যে প্রশ্নগুলো উত্তর জানা চাই...;

প্রশ্ন এক: অন্য পুলিশরা কি অন্ধ ছিলেন, একা কমিশনার সাহেব ছিলেন চক্ষুষ্মান?

প্রশ্ন দুই: কক্ষের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উড়ে যায় জানালা পর্যন্ত। বিস্ফোরকদ্রব্য হিসেবে গ্রেনেড পুড়ে যাওয়ার কথা সবার আগে। তিনটি গ্রেনেড অক্ষত রয়ে রয়ে গেল কীভাবে!

প্রশ্ন তিন: হেফাজত-ই-ইসলামের গ্রেনেড বানানোর বুদ্ধি আছে। অথচ পাঁচ ঘন্টার মধ্যে এসব সরিয়ে ফেলার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার মতো বুদ্ধি কি ছিল না?

কী কারণে ঘটনার সূত্রপাত? জানতে চাইলে দমকল কার্যালয়, আগ্রাবাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, 'বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। তবে বিস্ফোরণস্থলে কোনো বারুদের গন্ধ পাওয়া যায় নি।'

প্রশ্ন হলো: গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছে, তা সত্ত্বেও বারুদের গন্ধ পাওয়া যায় নি কেন?

ঘটনার কিছুক্ষণ পর যুব ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বোমাবাজীর প্রতিবাদে মিছিল করেন। তাদের হাতে শোভা পায় ডিজিটাল ব্যানার। স্বাধীন দেশে যে কেউ মিছিল, সভা-সমাবেশ করতে পারবেন। এটা তার সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার।

কিন্তু প্রশ্ন হলো: এত দ্রুত তারা ডিজিটাল ব্যানার পেলেন কোথায়?

বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসক বলেছেন, 'হতাহতদের দেহে স্প্লিন্টারের চিহ্ন পাওয়া যায় নি।'

প্রশ্ন হলো: এত বড় বোমার কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটার পরও হতাহতদের দেহে স্প্লিন্টারের চিহ্ন না থাকে কীভাবে?

সব মিলিয়ে একটা বাজে নাটক। এই সরকারের অতীতের প্রদর্শিত নাটকগুলোর থেকে এর বিশেষ ব্যবধান নেই। সামনে এই সরকারের মেয়াদকালে আরো নাটক লিখতে হবে। নিখুঁতভাবে লেখার জন্য চাই দক্ষ রচয়িতা। আর তাই কর্তৃপক্ষের কাছে অতিসত্তর এক বা একাধিক দক্ষ রচয়িতা নিয়োগ দেয়ার আবেদন রইল। নতুবা জনপ্রিয়তায় আরও ধ্বস নামবে...।

বিঃদ্রঃ- আমি বেকার আছি...!

বিষয়: রাজনীতি

২০০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File