যারা ডাঃ জাকির নায়েককে পথভ্রষ্ট মনে করেন তাদের উদ্দেশে কিছু কথাঃ

লিখেছেন লিখেছেন মহাজাগতিক শয়তান ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:২৮:২০ রাত



আমাদের বাঙালিদের একটা সমস্যা যাকে ভালবাসি তাকে ফেরেশতা বানিয়ে ফেলি, যাকে পছন্দ করি না তাকে শয়তান বানিয়ে ফেলি। মোট কথা হচ্ছে এই জামানায় আমরা কেউই ১০০% বিশুদ্ধ হতে পারব না। এখন সাহাবীদের যুগ নেই, এখন তাবেঈনদের যুগ নেই, তাবে তাবেঈনদের যুগও নেই। এতএব বলা যায়, জাকির নায়েক ফেরেশতা হতে পারেন না। তার কিছু ভুল থাকতেই পারে, মানুষ মাত্রই ভুল করে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হচ্ছে তা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেশিরভাগই তাঁর বক্তব্যকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বা অভিযোগকারীরা তাঁর বক্তব্য বুঝতে ভুল করছেন। কিন্ত একশ্রেণীর পথভ্রষ্টরা জাকির নায়েককে বাতিল প্রমানের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকি জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কুফুরির ফতওয়াও জারি করছে। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কথা বললে, আল্লাহ্‌ খুসি হয় কিনা জানি না। শয়তান খুসি হয় কিনা তাও জানি না। তবে এটা জানি জাকির নায়েক এর বিরুদ্ধে কথা বললে, ইহুদি- খ্রিস্টান, নাস্তিকরা প্রচণ্ড খুসি হয়। কারন জাকির নায়েকই একমাত্র বেক্তি যিনি এই জামানায় ইহুদী, খ্রিস্টান, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে তর্ক, বিতর্ক করে চলেছেন। যারা জাকির নায়েকের বিরোধিতা করছেন তাদের বুঝা উচিত অমুসলিমকে বা নাস্তিককে দাওয়াত দিতে হলে এমন একজন বেক্তির প্রয়োজন যিনি বিজ্ঞান জানেন, তাদের মতাদর্শ বুঝেন এবং তাদের সাথে বিতর্ক করতে সক্ষম। এটা ঠিক যে ইসলামের পক্ষে কথা বললে বাধা আসবেই। রাসুল(স) এর বিরুদ্ধে প্রায় দশ হাজারের বেশি বই লিখা হয়েছে। তাই জাকির নায়েক এর বিরুদ্ধে বাতিলরা প্রচারনা চালাবে এটাই স্বাভাবিক। যারা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে লেগেছেন তাদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কয়জন অমুসলিমকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন???কয়জন নাস্তিককে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন??? কতজনের সাথে ইসলাম নিয়ে তর্ক করেছেন???সে কি পরলো আর কি না পরলো এটা কি মুখ্য বিষয় নাকি তার ইসলামের দাওয়াত মুখ্য বিষয়??? নিজে যেটা করতে পারছেন না সেটা অন্য কেউ করছে এতে আপনার এতো চুলকানী কেন??? তিনিতো এই আয়াতের উপর আমল করছেন "হে রসূল! আপনি পৌছে দিন যা আপনার রব-এর পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, যদি পৌছে না দেন, তাহলে আপনি আপনার রিসালাতের দায়িত্ব পালন করলেন না। (৫.সূরাহ আল-মায়িদাহ :৬৭)"---আর আপনাদের জন্য এই আয়াত "একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (৩১. সুরা লুকমান: ৬)"

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File