কবি নজরুলের কবিতা প্রসঙ্গে । <<<ওবায়দুল্লাহ_সোহেল>>>>

লিখেছেন লিখেছেন ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল ২৭ জুন, ২০১৫, ০৯:৩৯:১২ রাত

কবি নজরুল একদিন কথার প্রসঙ্গে

বলেছিল

খোদার বক্ষে লাথি মার।

.

এই কথা বলার পর সারা কুমিল্লা

উত্তাল

হয়ে গেল। মাওলানারা তাকে

কাফের

ঘোষনা দিল; আরো বললঃ যে মানুষ

খোদার

বুকে লাথি মারতে পারে সেই

বেয়াদবের

জায়গা এই দেশে হবেনা।

.

কবিকে বলল এর জবাব দিতে হবে।

কবি বললেন, ঠিক আছে আমি জবার

দিবো।

আপনারা একটি সমাবেশ আয়োজন

করেন।

.

হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হল।

কবি আসলেন, সবাই কবিকে বেইজ্জত

করার

প্রস্তুতি সম্পন্ন করল।

কবি মঞ্চে উঠে শুধু দুইটি কথা

বললেন।

তিনি বললেনঃ খোদা নিরাকার।

যে

খোদার বুক আছে সেই খোদার বুকে

লাথি

মারতে বলেছি।

.

কবি দেব দেবীকে কথাটি বুঝাতে

চেয়েছেন।

দুধ বিক্রি করে চা খাওয়া জনগণ

বেটকায়

বেটকায় নুরাণী জর্দা দিয়ে পান

খাওয়া

মাওলানারা বুঝ পেয়ে

গেল। না বুঝে চিল্লাইয়া, এককাপ

চাতে

বিক্রি হয়

একমাত্র আমাদের বাঙ্গালীরা।

.

আমাদের এলাকায় এক লোকের খুব জ্বর

উঠেছে।

ডাক্তার সেলাইন দিল একটু সুস্থ

হওয়ার

পর

রিক্সা করে কাঁপতে কাঁপতে

বাড়ী আসার পথে দেখতেছে;

অনেক লোক একজন চোরকে

মারতেছে।

এই রোগী অনেক কষ্ট করে রিক্সা

থেকে

নেমে অনেক জামের মধ্যে ডুকে ঐ

চোরকে একটি ঘুসি দিল।

রিক্সাওয়েলা বললঃ

আপনি ওনাকে কেন মারলেন?

রোগী বলল আমি কিছুই জানিনা।

সবাই মারছে তোই আমিও

মেরেছি।

.

প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে এত কষ্ট করে এই

একটি

ঘুসি মারার কি দরকার ছিল?

পরে দেখা গেল সে আসলে চোর নয়।

আমরা এই রকম হুজুগে বাঙ্গালী।

.

স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে

ইসলামী যুদ্ধ করেনি।

অস্ত্র হাতে নেয়নি।

শুরু হয়ে গেল রাজাকার উপাধি।

আজ ৪৫ বছরেও কেউ জানতে চাইনি

জামায়াতের বক্তব্যটি আসলে কি

ছিল।

কেউ জানতে চাইনি জামায়াত

ইসলাম

কেন সেই দিন অস্ত্র হাতে নেয়নি।

.

জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতা

বিরোধী ছিলোনা।

যুদ্ধের কৌশলের বিরুধী ছিল।

আজম সাহেব শেখ মুজিবকে

বলেছিলেন

পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তান ভৌগলিক

যে সীমারেখার যে পার্থক্য;

এইভাবে কোন দেশ চলতে

পারেনা।

আমরা আজ না হয় কাল স্বাধীন হবই

হব।

দয়া করে আপনি গান্ধীর ফাদে পা

দিবেন না।

শিয়ালের হাত থেকে আমাদের

বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না।

.

কারণ শিয়াল হাটুর নীচে

কামড়ায়।

আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়।

শেখ সাহেব আজম সাহেবকে আস্বস্ত

করলেন যে

আপনি কোন চিন্তা করবেন না।

.

শেখ সাহেব ৭ই মার্চ ভাষণের

একদিন

আগেও

স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে

ছিল।

কিন্তু কিছু বাংলাদেশী গান্ধীর

ভারাটে দালাল

শেখ সাহেবকে জোর করে

স্বাধীনতা ঘোষণা করাইলো।

এই অগোচালো সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশের

কোন আলেম সমাজ মেনে নেয়নি।

জামায়াতে ইসলামী তাদের একটি

অংশ।

.

সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে

এক কোটি মানুষও এই স্বাধীনতা

চাইনি।

আপনি আপনার এলাকায় যাচাই করুন

কয়জন মুক্তিযুদ্ধা আছে।

যুদ্ধ বেজে গেল পাকিস্তানিরা

ভারতের উপর ক্ষেপে গিয়ে

পাইকারী

ভাবে,

হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে।

ভারত সরাসরি যদ্ধে অংশ গ্রহণ

করে।

.

দেখা গেল উভয় পক্ষে মুসলমান

মরতেছে

মজা মারতেছে ভারত।

এরী মধ্যে ভারত আবার

পাকিস্তানীর

প্রধান

নিয়াজীকে যুদ্ধে বিরতির প্রস্তার

দিল।

নিয়াজী মেনে নিল।

যুদ্ধ বিরতী হয়ে গেল

৯৩.হাজির সৈন্যের পরাজয়।

এগুলো সবার জানা বিষয়।

.

কিন্তু এই বাস্তব ইতিহাস আজ

বিলুপ্ত।

এই ইতিহাস আজ হাস্যকর।

এই অপরাধে আজ জামায়াত নেতারা

ফাঁসির মঞ্চে।

.

কবি নজরুলের কথার মত বাঙ্গালিরা

কিছুদিন পর বুঝতে শুরু করে জামায়াত

ইসলামীর ভাষা।

স্বাধীনের পর যখন ভারতীয় সৈন্যদল

বাংলাদেশের সব জিনিষ লুট করে

নিয়ে

যাচ্ছে তখন সেক্টর কমান্ডার মেজর

জলিল অস্ত্র উচিয়ে বলেছিলেনঃ

আমাদের আর একটি মুক্তি যুদ্ধের

দরকার।

স্বাধীনের পর শুরু হল ভারতের যুদ্ধের

বিনিময়।

.

নয় মাস আগে গান্ধী শেখ সাহেবকে

কথা বলতে বুক কাপত।

সেই গান্ধী শেখ সাহেবকে ২৫

বছরের

গোলামী চুক্তি করাইল।

এখনও জাতী জানেনা এই গোলামী

চুক্তিতে

আসলে কি লিখা ছিল।

সেখানে ছিল শেখ সাহেবকে

গান্ধী

বললঃ

ফারাক্কা বাধটি একটু খুলে দাও'

শুধু পানির কিউচেক পরীক্ষা করার

জন্য।

7 দিন পর আবার বন্ধ করে ফেলব।

৪৫ বছরে হয়ে গেলো, এখনও সে

৭ দিন শেষ হলো না।

.

হঠাৎ আমরা হয়ে গেলাম এক হিন্দু

রাজার গোলাম।

এই গোলামী বোঝা বহন করে এখনও

চলছি।

এখন কাদের সিদ্দিকী যখন বলেঃ

স্বাধীনতা যুদ্ধে করে ভুল করেছি।

অনেক মুক্তিযুদ্ধা যখন বলেঃ

যদি এমন জানতাম স্বাধীনতা যুদ্ধ

করতাম না।

তাহলে এখন প্রমাণিত হলঃ

৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর

সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

আজ ন্যায্য মুল্যে কিনা স্বাধীনতা"

বিনামুল্যে ভোগ করছে ভারত।

.

এই বাঙ্গালি যেমন চিন্তা না করে

কবি

নজরুলকে কাফের ডাকল।

সেই বাঙ্গালী না বুঝে

রাজাকার ডাকা শুরু করল।

এমন একদিন আসবে যেদিন বাঙ্গালী

জাতি

গোলাম আযমের কবর ধারে মাফ

চাইবে।

আর এত কিছুর পরেও যদি জামাত

রাজাকার হয়। তাহলে আমি একজন

রাজাকার....?

বিষয়: বিবিধ

১৮৯৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

327712
২৭ জুন ২০১৫ রাত ১১:৫৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইতমধ্যেই অনেকে বুঝে গেছেন সেই সত্য।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৮ জুন ২০১৫ রাত ০২:৫০
269999
ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল লিখেছেন : স্বাগতম
327742
২৮ জুন ২০১৫ রাত ০২:৫৮
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : লাইক Good Luck Rose
০১ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:২৯
270421
ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল লিখেছেন : thankuuuu
327743
২৮ জুন ২০১৫ রাত ০৩:০০
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ১) তিনি বললেনঃ খোদা নিরাকার।-আসলে তা সঠিক নয়।
২)আজ ন্যায্য মুল্যে কিনা স্বাধীনতা"
বিনামুল্যে ভোগ করছে ভারত।
-১০০% ঠিক।
অসাধারণ এই পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
০১ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:২৭
270420
ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল লিখেছেন : same to u
328568
০৪ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৫
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
১৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
272497
ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল লিখেছেন : same to u boss

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File