<>তবুও নেতৃত্বে ইসলামী ব্যাংক<> <>ওবায়দুল্লাহ_সোহেল<>

লিখেছেন লিখেছেন ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল ২৯ মার্চ, ২০১৫, ১০:৩২:৪৯ সকাল

তবুও নেতৃত্বে ইসলামী ব্যাংকই

========================

বেসরকারি খাতের ইসলামী

ব্যাংক বাংলাদেশকে ঘিরে

আলোচনা যেমন আছে, একই সঙ্গে

আছে সমালোচনাও। বড়

উদ্যোক্তারাও এখনো

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ

নিতেই বেশি আগ্রহী। তার পরও

২৪ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল

আবদুল মুহিতের পক্ষে সংসদে

উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়,

ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণে

নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংকই।

.

৬৩ শতাংশ বিদেশী

বিনিয়োগে গড়ে ওঠা ইসলামী

ব্যাংক বাংলাদেশ

লিমিটেডের যাত্রা ১৯৮৩

সালে। কৃষি, শিল্প, এসএমইসহ সব

ধরনের অর্থায়নেই এ খাতের সব

প্রতিষ্ঠানকে ছাড়িয়ে গেছে

ব্যাংকটি।

.

তথ্যমতে, ২০১৪ সালের ৩১

ডিসেম্বর পযন্ত ব্যাংকটির

বিতরণ করা ঋণ ৪৬ হাজার ৬৯০

কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

ব্যাংকিং খাতে বিতরণ করা

ঋণের যা ৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

.

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরভিত্তিক

হিসাবে ব্যাংকিং খাতে

বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ

১৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।

.

২০১৩ সালের ডিসেম্বরভিত্তিক

হিসাবে ইসলামী ব্যাংকের

বিতরণ করা ঋণ ছিল ৪০ হাজার

৭৫৫ কোটি ও ২০১২ সালে ৩৮

হাজার ১২৮ কোটি টাকা। ২০১৪

সালে ইসলামী ব্যাংক নিট

মুনাফা করে ৫১৩ কোটি টাকা।

২৯৪টি শাখা ও মোবাইল

ব্যাংকিং ‘এম ক্যাশ’-এর মাধ্যমে

সেবা দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটি।

জানতে চাইলে ইসলামী

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন,

‘প্রতিনিয়ত আমরা উৎপাদনশীল

খাতে ঋণ দিয়ে দেশকে এগিয়ে

নেয়ার চেষ্টা করছি। এ কারণে

আমাদের ঋণের পরিমাণ

সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

পাশাপাশি অন্য সব সেবায়ও

আমরা শীর্ষে রয়েছি।’

.

রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের সবচেয়ে বড়

ব্যাংক সোনালী। দেশের

উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম

পর্যায়ে বিস্তৃত ব্যাংকটির

শাখা। ঋণ বিতরণে ইসলামী

ব্যাংকের পরই সরকারি খাতের

ব্যাংকটির অবস্থান। ২৪ মার্চ

সংসদে জানানো হয়, ২০১৪

সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের

পরিমাণ ২৮ হাজার ৮৫৯ কোটি

১৫ লাখ টাকা। যদিও ২০১৩ সালে

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির বিতরণ

করা ঋণ ছিল ২৯ হাজার ৯৮৬

কোটি ও ২০১২ সালে ৩৩ হাজার

৯৪৯ কোটি টাকা।

.

হল-মার্ক কেলেঙ্কারির পর বড়

ধরনের সংকটে পড়ে সোনালী

ব্যাংক। ওই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক

হারে কমে এসেছে ব্যাংকটির

ঋণ বিতরণের পরিমাণ। কেন্দ্রীয়

ব্যাংক থেকে ঋণসীমা বেঁধে

দেয়াকেও এজন্য দায়ী করছেন

সংশ্লিষ্টরা।

সোনালী ব্যাংকের

ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ

কুমার দত্ত বলেন, কেন্দ্রীয়

ব্যাংক থেকে ঋণসীমা বেঁধে

দেয়ার কারণে আবেদন সত্ত্বেও

অনেক ক্ষেত্রে ঋণ দেয়া যায়

না। তাছাড়া অস্থিরতার

কারণে উদ্যোক্তারাও সময়

নিচ্ছেন। আগে সবাই প্রকল্পের

শুরুতে সোনালী ব্যাংকে

এলেও এখন অনেকে বেসরকারি

ব্যাংকে যাচ্ছেন।

.

তৃতীয় স্থানে থাকা জনতা

ব্যাংক লিমিটেড ২০১৪ সালের

৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিতরণ

করেছে ২৮ হাজার ৭৯৬ কোটি ৮৫

লাখ টাকা। ২০১৩ সাল পর্যন্ত

ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের

পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৫৯৪

কোটি ও ২০১২ সালে ২৭ হাজার

৮০২ কোটি টাকা।

.

২০১৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত

অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণ করা

ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৯০৭

কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৩

সালে এর পরিমাণ ছিল ১৮

হাজার ১৬৭ কোটি ও ২০১২ সালে

১৯ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা।

গেল বছর ব্যাংকটি নিট মুনাফা

করে ৩৭৬ কোটি টাকা। ঋণ

বিতরণে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের

মধ্যে অগ্রণীর অবস্থান চতুর্থ।

.

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা

পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন,

নিয়মের মধ্যে থেকে যতটুকু ঋণ

দেয়া যায়, আমরা ততটুকুই দিচ্ছি।

আগে কোনো সীমা ছিল না,

তাই সরকারি ব্যাংকগুলো

সহজেই উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন

করতে পারত। এখন পরিস্থিতি

ভিন্ন।

.

গত বছর উদ্যোক্তা অর্থায়নে

উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল

বেসরকারি খাতের এক্সিম

ব্যাংকের। ২০১৪ সালের ৩১

ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩১৯

কোটি ৪২ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ

করে ব্যাংকটি রয়েছে

তালিকার পঞ্চম স্থানে; আগের

বছরে যা ছিল ১৪ হাজার ৬৩

কোটি টাকা। গেল বছর

ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয় ২৬৯

কোটি টাকা।

.

পরের অবস্থানে থাকা

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল

ব্যাংক ২০১৪ সাল পর্যন্ত অর্থায়ন

করেছে ১৬ হাজার ৯০৭ কোটি ১৫

লাখ টাকা। ২০১৩ সাল পর্যন্ত

তাদের বিতরণ করা ঋণের

পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৭০

কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটি

নিট মুনাফা করে ২৭২ কোটি

টাকা।

.

২০১৪ সাল শেষে এবি ব্যাংকের

ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৬৯

কোটি ৭৩ লাখ টাকা, আগের বছর

যার পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ১৯৩

কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটির

নিট মুনাফা ছিল ১৫৫ কোটি

টাকা।

.

শীর্ষ দশে থাকা বেসরকারি

খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল

ব্যাংক (ইউসিবিএল) গত বছরের ৩১

ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ বিতরণ

করেছে ১৬ হাজার ৫৪৫ কোটি ৬২

লাখ টাকা; ২০১৩ সালে

যেখানে অঙ্কটি ছিল ১৪ হাজার

৫২১ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে

ব্যাংকটির নিট মুনাফার

পরিমাণ ৩৭২ কোটি টাকা।

তালিকায় নবম স্থানে থাকা

রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের

বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি

ব্যাংক ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিতরণ

করে ১৬ হাজার ৩০৮ কোটি

টাকা। ২০১৩ সাল পর্যন্ত এর

পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ১২৩

কোটি টাকা। গত বছর রাষ্ট্রায়ত্ত

ব্যাংকটি লোকসান করে ১৮৫

কোটি টাকা।

বেসরকারি ফার্স্ট সিকিউরিটি

ইসলামী ব্যাংক গত বছরের ৩১

ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থায়ন করেছে

১৫ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা,

২০১৩ সালের তুলনায় যা ঢের

বেশি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত

ব্যাংকটি বিতরণ করে ১১

হাজার ৪৪০ কোটি টাকার ঋণ।

গেল বছর ব্যাংকটির নিট মুনাফা

ছিল ৬৮ কোটি টাকা।

ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব

ব্যাংকসের (বিএবি)

চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার

এ প্রসঙ্গে বলেন, বেসরকারি

খাতের ব্যাংকগুলোই এখন

অর্থায়নের মূল ভূমিকায়। গত এক

দশকে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে

উঠেছে, তাতে বেসরকারি

ব্যাংকগুলোর অর্থায়নই বেশি।

ভবিষ্যতে তা আরো বাড়বে

বিষয়: বিবিধ

৮২৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

311598
২৯ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
311605
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই টাকু আবার ইসলামি ব্যাংকিং এর বিরুদ্ধে বলে! লজ্জা বলতে এদের কিছু নাই।
311655
২৯ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:২১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জেনে খুব ভাল লাগল!

কিন্তু লিখাটি কপি পেস্ট করেই পোস্ট করে দিলেন!!!! আপ্নারা যে কেন এমন করেন, আমার বুঝে আসে না! লাইনগুলো কেমন কবিতার লাইনের মত দেখায়!!!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File