প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স) যেভাবে রোযা রাখতেন ।

লিখেছেন লিখেছেন ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৫৮:২৯ সকাল

প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)

যেভাবে রোজা রাখতেন

আজ রহমতের সপ্তম দিন। বিশ্বের

প্রতিটি মুসলিম জনপদকে আল্লাহ

তায়ালা রহমতের

বারিতে ঢেকে দিন- এ

প্রত্যাশা সব মুমিনের। প্রিয়

নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র

মাহে রমজান যেভাবে পালন

করতেন, তাঁর প্রিয় উম্মত

সেভাবে রমজান পালন

করলে নিশ্চয় মহান আল্লাহ

তাদের রহমতের

চাদরে ঢেকে নেবেন।

রমজানুল মুবারকের

আগমনে মহানবী (সা.) ইবাদতের

যাবতীয় উপকরণে রোজার

দিনগুলোকে সুশোভিত

করে তুলতেন। সাজিয়ে নিতেন

যাবতীয় ইবাদতে। অত্যন্ত আগ্রহ ও

ব্যাকুলতার সঙ্গে তিনি সেহরি ও

ইফতার গ্রহণ করতেন। সময়

হওয়া মাত্রই তিনি ইফতার

করতেন। সেহরি খেতেন

কিছুটা দেরিতে। ইফতার করতেন

ভেজা বা শুকনো খেজুর

কিংবা সামান্য পানি দিয়ে।

সেহরিতেও পছন্দ করতেন

ভেজা খেজুর। তাঁর সেহরি ও

ইফতার ছিল খুবই সাদাসিধে।

তিরমিজি শরিফের এক বর্ণনায়

উল্লেখ আছে, রাসুল (সা.)

মাগরিবের নামাজের

আগে কয়েকটি ভেজা খেজুর

দিয়ে ইফতার সেরে নিতেন।

ভেজা খেজুর না থাকলে সাধারণ

শুকনো খেজুরই গ্রহণ করতেন।

যদি তাও না থাকত, তবে সামান্য

পানি দিয়েই ইফতার করতেন।

(তিরমিজি)

নাসায়ি শরিফের এক বর্ণনায়

উল্লেখ রয়েছে, হজরত আনাস (রা.)

বলেন, “রাসুল (সা.)

আমাকে উদ্দেশ করে বললেন,

‘হে আনাস,

আমি রোজা রাখতে আগ্রহী,

আমাকে আহার করাও।’ আমি তাঁর

সামনে কিছু শুকনো খেজুর ও

পাত্রে পানি রাখলাম।

বেলালের প্রথম আজানের পর

তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন।” এই

ছিল রাসুল (সা.)-এর সেহরি ও

ইফতার। তাঁর প্রিয় সাহাবাদের

ইফতারের নমুনাও ছিল এমনই।

সম্প্রতি সেহরি ও

ইফতারকে কেন্দ্র

করে যে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান ও

ভোজনবিলাসিতা লক্ষ করা যায়,

রাসুলের যুগে, সাহাবাদের

যুগে ও পরবর্তী ইসলামের

সোনালি যুগে এমনটা ছিল না।

এর

কল্পনাও কেউ করেনি।

তদুপরি ইফতার ও সেহরি শুধু

খাওয়াদাওয়ার নাম নয়,

বরং এগুলো নিখুঁত ইবাদত। এ

ইবাদতগুলোকে রাজনৈতিক

কর্মসূচির মতো পালন

করা ইসলামের আদর্শ নয়।

মুসলমানদের জন্য এটি খুবই

দুঃখজনক।

আল্লাহ তায়ালা ইবাদত

হিসেবে সেহরি ও ইফতার করার

আমাদের তাওফিক দান করুন।

ইফতার শেষে নবী (সা.)

যে দোয়াটি পাঠ করতেন,

‘জাহাবাজ-জমাউ,

ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু,

ওয়া ছাবাতাল আজরু

ইনশা আল্লাহ।’ অর্থাৎ

পিপাসা নিবারিত হয়েছে।

সিক্ত হয়েছে শিরা-

উপশিরা এবং আল্লাহর ইচ্ছায়

পুরস্কারও নির্ধারিত হয়েছে। (আবু

দাউদ)

বিষয়: বিবিধ

১৪০২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242495
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
242519
০৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ্ । রমজানে আমরা রাক্ষসের মত হয়ে পড়ি,ান্যের দিকে তাকাইনা...
242552
০৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File