রমজানের ফজিলত সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিসঃ
লিখেছেন লিখেছেন ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল ০৪ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৪৫:৫১ রাত
১:আবু ছায়ীদ
খুদরী রাঃ হতে বর্ণিত,
নবিজী বলেন “রমজানের
প্রতি দিবা- রাতে জাহান্নাম
হতে অসংখ্য
পাপিকে মুক্তি দেয়া হয়
এবং প্রত্যেক মুসলমানের
একটি করে দুয়া কবুল হয়”
২: আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত,
রমজানে হুজুর পাক
সাঃ শয্যা গ্রহণ
করতেননা (আল্লাহর
এবাদতে সদা মগ্ন থাকতেন)
৩: ইবনে উমর রাঃ হতে বর্ণিত,
নবিজী বলেন “আল্লাহ তায়ালা ও
তাহার সকল ফেরেস্তারা তাদের
প্রতি রহমত প্রেরণ করেন
যারা সেহরি খায়”
৪: আবু
হোরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,
নবিজী বলেছেন “অনেক
রোজাদার এমন রয়েছে, রোজার
বিনিময়ে অনাহার ব্যাতিত
যাদের আর কিছুই লাভ হয়না” এই
হাদিস দ্বারা ৩প্রকার
রোজাদার উদ্যেশ্য ১>
যে হারাম মাল দ্বারা ইফতার
করে ২>
যে রোজা রেখে যে গীবত
করে ৩> রোজা রেখেও যে পাপ
কাজ ত্যাগ করেনা।
৫: হুজুর সাঃ ফরমাইয়াছেন
“যে ব্যক্তি বিনা ওজরে ইচ্ছাপূর্বক
রমজানের একটি রোজা ভংগ
করিয়াছে,
পরবর্তী সময়ে সারা জীবনের
রোজাও এই একটি রোজার সমকক্ষ
হইবেনা”
৬: একবার রমজান মাস আগমন
করলে নবিজী এরশাদ করলেন
“তুমরা এমন একটি মাস প্রাপ্ত
হইয়াছ, যাহাতে এমন
একটি রজনী রয়েছে যা হাজার
মাস অপেক্ষা উত্তম। যে এই
পূণ্যময়ী রাত হতে (ফজিলত হতে)
বঞ্চিত রইল, সে সমস্ত কল্যাণ
হতে বঞ্চিত রইল।
যে অতি হতভাগা, কেবল সেই এর
মঙ্গল থেকে বঞ্চিত থাকে”
৭: হযরত
আয়েশা রাঃ নবিজীকে প্রশ্ন
করলেন “ইয়া রাসুলাল্লাহ!
আমি যদি সত্যিকার
ভাবে শবেকদর পেয়ে যাই
তবে কি দোয়া করব? হুজুর
সাঃ বলেন এই দোয়া করিও
“”হে আল্লাহ! তুমি বড় ক্ষমাশীল,
ক্ষমাকে ভালবাস, কাজেই
তুমি আমাকে ক্ষমা কর”"
৮: হুজুর পাক সাঃ বলেন রমজান
মাসের জন্য বেহেশতকে অপূর্ব
সুঘ্রাণে সুরভিত করা হয়। বছরের
প্রারম্ভ হতে শেষ পর্যন্ত
উহাকে কেবল রমজানের জন্যই
সুসজ্জিত করা হয় ৷
বিষয়: বিবিধ
১০৮৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন