নামাজ পড়তে গেলে শিশুদের গাঢ় ধরে বের করে দিবেন না
লিখেছেন লিখেছেন ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল ০২ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৪৬:৪৭ সকাল
মসজিদে গেলে দেখবেন পন্ডিত
টাইপের কিছু লোক আছে;
রোযা আসলেই
তারা নামাজী সাজে!
বাচ্চাদের দেখলেই তাদের
গায়ে চুলকানী শুরু হয়!
বাচ্চাদেরকে তারা ধমক দিয়ে,
ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মসজিদ
থেকে বের করে দেয়!
আহারে নামাজী!
আহারে পরহেযগার!!
এই
বাচ্চারা মসজিদে আসবেনা তো সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখবে নাকি???
হ্যাঁ, বাচ্চারা দুষ্টুমি করে।
তাই বলে তাকে ঘাড়
ধাক্কা দিয়ে ইবাদাতস্থল
থেকে বের করে দিবেন?
-না, বরং তাকে আদর করে বলুন যে,
দুষ্টুমি করোনা,
দুষ্টুমি করলে মানুষের
নামাজে সমস্যা হবে।
তা না হলে সে আপনার ধমকের
ভয়ে আর মসজিদেই আসবেনা! তখন
সে অন্য রাস্তা খুঁজবে, আর
সেটা হতে পারে তার নষ্ট হবার
মূল কারণ!!!
তাদেরকে আদর করুন ঠিক
সেভাবে, যেভাবে বিশ্ব
মানবতার মুক্তির দূত হযরাত
মুহাম্মাদ (সাঃ) শিশুদেরকে আদর
করতেন।
বর্ণনায় আছে, নাবী (সাঃ) যখন
সিজদায় যেতেন তখন হাসান/
হুসাইন (রাঃ) তাঁর
পিটে উঠে যেত, যতক্ষণ
তাঁরা পিট
থেকে না নামতো তক্ষণ তিনিও
সিজদা থেকে উঠতেন না।
সুতরাং শিশুদেরকে ইবাদাতস্থল
থেকে তাড়িয়ে না দিয়ে বরং ইবাদাতের
প্রতি তাদেরকে আগ্রহী করে তুলুন।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার মেয়েকেও পরশু তারাহবীতে দেখে এক দাড়িওয়ালা বলে-এহহে-মেয়ে, বিদেশে চলে কিন্তু বাংলাদেশে চলেনা।
আমি বললাম-ইসলাম কি দু'রকম নাকি আর আপনারাও ইসলাম বানান নাকি?
এটা একদিক দিয়ে ঠিক কারণ বাচ্চারা নামাজে যদি ঠিকঠাকভাবে না দাঁড়িয়ে অনবরত চন্চল আচরন করতে থাকে তাহলে অন্যান্য মুসল্লীদের নামাজে মনোযোগ দেওয়া ব্যাহত হয় । এটা ঠিক এমন যে জামায়াতের সময় যখন মোবাইল বেজে উঠে উচ্চস্বরে তখন যেমন মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে তেমন ।
মাসজিদে তাই স্টিকার আকারে লেখা থাকে মাসজিদে প্রবেশের পূর্বে ''আপনার মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট/বন্ধ রাখুন''।
তেমনিভাবে বাচ্চাকে বুঝিয়ে নিয়ে আসতে হবে, মাসজিদে বাসার মত এরকম দৌড়াদৌড়ি বা চিল্লাচিল্লি করা যাবে না এবং চুপচাপ বাবা/ভাইকে অনুসরণ করে নামাজ পড়তে হবে ।
বাচ্চাদের যদি ঠেলে পিছনে দাঁড় করানো হয় তাহলে তারা নিজেরা নিজেরা দুষ্টামী করবে পেছনে থেকে । সেটা সবার সাথে এক কাতারে দাঁড়ানোর চেয়ে খারাপ ।
েএসব বাচ্চারাই পরে বড় হয়ে নামাজ তো ঠিকঠাক মত পড়েই না , শুধু জুম্মার নামাজ পড়তে যায় খুব মান্জা মেরে । পেছনে দল বেঁধে বসে বন্ধু বান্ধব নিয়ে ধুমসে আড্ডা মারে , এমনকি খুতবার সময়েও । খুব যে মহা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ তাও না । আলাপ এত করে যে মনে হয় ১০-২০ বছর পরে দেখা হয়েছে এদের । অথচ প্রতিদিন , এমনকি প্রতি বেলাতেই তাদের দেখা হয় , কথা হয় ।
এজন্যই বাচ্চাদের বের করে না দিয়ে , পেছনে ঢেলে না দিয়ে বরং উচিত বড়দের মাঝেই রাখা । তাতে তারা ঠিকভাবে নামাজ পড়তে শিখবে । বুঝবে যে বড়রা তাদেরকে অব হেলা করে না , স্নেহই করে ।
তারাও বড়দের আরোও বেশী বেশী করে শ্রদ্ধা করতে শিখবে ।
বাচ্চাদের প্রতি এরকম দয়ার্দ্র আচরনের প্রভাব সুদূরপ্রসারী ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন