ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সুন্দর একটি গল্প:

লিখেছেন লিখেছেন হাশেমি ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৪৯:২৪ রাত

-স্লামালিকুম চাচা

: ওআলাইকুম সালাম , ভাতিজা কি খবর তোর ? পড়ালেহা কেমন চলতাছে ? ওই হারুন চা দে তো , স্পেশাল কইরা বানাইস , ভাতিজা খাইব ।

কিরে মন খারাপ কেন তোর ?

-একটা খারাপ খবর শুনলাম কাকা , ফেলানীর খুনি অমিয় ঘোষের বেখুসুর খালাস হয়া গেসে ।

: এইটা মন খারাপের কি হইল ? দূর ব্যাডা , এই অমিয় বাংলাদেশের কত দরকার হইব জানস ?

-কি কন এইসব কাকা ? রাজনিতী কইরা আপনার মাথা পুরাই গেছে ।

: আবেগে না , যুক্তিতে আয় । আচ্ছা একটা গল্প পরস নাই – দুই বন্ধু সাইকেল চালানো শিখতে চায় , একজন একটা বই কিনা পড়তে শুরু করে আরেকজন সাইকেল নিয়া বেরিয়ে পড়ে । কিছুদিন পর একজন খালি সাইকেল চালানো্র নিয়মটুকু জানে , আর আপরজন চালাইতে পারে ।

-হু বুঝলাম , কিন্তু এর সাথে ফেলানীর ব্যাপারটার সম্পর্ক কি ?

: আরে আগে কথা শো্ন , এই গল্পের মো্রাল কি ? প্র্যাক্টিস , যে কোন কিছুর দক্ষতার পুর্ব শর্ত হইল প্র্যাক্টিস !

-হুম ,এইটার সাথে ফেলানী…

: বলবো বাবা , কথা শেষ করতে দে । ১৯৭১ সালে আমগোরে সবচে বেশী সাহায্য করছে কোন দেশ ?

-ভারত , কাকা ।

: হুম , ভারত-ইন্ডিয়া । ওরা হেল্প না করলে আমরা জিততে পারতাম পাকিদের সাথে ?

-মনে হয় না ।

: কখনোই পারতাম না , ওরা না থাকলে আরো বিশ লাখ মানুষ মরতে পারত না ? পারত… তার মানে কি ? ওদের হাতে আরো বিশ লাখ বাঙ্গালীর প্রান রিজার্ভ আছে । ভারতের কারনে যদি এখন দশ লাখ মানুষও মারা যায় , তাইলেও ওগ সেই ত্যাগ আমরা ভুলতে পারব না , ভুলা উচিত হবে না , আরো দশ লাখ রিজার্ভে ।

-আপনি পাগল হইয়া গেছেন কাকা ।

: আগে শেষ করতে দে বাবা – এই যে সিরিয়ায় হামলা করার প্ল্যান করতেছে যুক্তরাষ্ট্র ; বাংলাদেশকে হামলা করব না কোন গ্যারান্টি আছে ? তখন কে পাশে আইসা দাড়াইব ? নিঃসন্দেহে ভারত ! আর এর লাইগা প্র্যাক্টিস করা লাগব না ? ফেলানীরে মারার কারনে আমগো ক্ষ্যাপলে চলব না , ফিউচারে যাতে ভারত আমগো পাশে দাঁড়াতে পারে এজন্য ওরা প্র্যাক্টিস করতেছে ; একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে ভারতের এই উদ্দ্যোগকে সস্মান করা উচিত । ভারত বরাবরের মতোই আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র , আওয়ার স্মাইল ইজ দেয়ার স্যাটিসফেকশন !

-থাক কাকা , আমি বাসায় যাই – পড়া আছে ।

: ওকে যা বাবা , মাথায় রাখিস কথা গুলা ।

-হুম , যাই এখন…

: যা , আর শোন – হিন্দি সিনেমা তো ভালই দেখস , এখন তো হিন্দি সহজ লাগার কথা…

-সহজ’ইত লাগে …

: তাইলে বাবা পারলে ভারতের জাতীয় সংগীত’টা একটু কষ্ট কইরা শিখে ফেলিস !

-কি কন কাকা ? ভারতের জাতীয় সংগীত আমি শিখতে যাব কোন দুঃখে ?

: তোর ভালোর লাইগ্যাই বললাম বা’জান , আমি কিছুদিনের মধ্যে রাজনিতী থেকে অবসর নিমু , দেখি আমার পদটা তোরে দিতে পারি কিনা …

বিষয়: বিবিধ

১৪৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File