এ শর্ট জার্নি টু পতেঙ্গা সী-বিচ
লিখেছেন লিখেছেন Sada Kalo Mon ৩১ মে, ২০১৪, ০১:২২:৩২ দুপুর
ভাগিনা হোসাইনের আবদার বড় মামার কাছে! বেড়াতে নিতে হবে তাকে ছুটির দিনে! আমাকে বলবে না কারণ আমি তার ছোট মামা আর আমার পকেট যে একদম ফাঁকা তা সে আগেই জানে! হোসাইনের আবদার বলে কথা- সু, নো চান্স টু এবয়েড ইট!!
বড় ভাইসহ সবাই ভাবতেছে কোথায় যাওয়া যায়? কোথায় যাওয়া যায়?
হঠাৎ প্ল্যান, এ শর্ট জার্নি টু পতেঙ্গা সী-বিচ। -
যেখানে পাথরের ঠেস দেওয়া মাঠির বেড়ি বাঁধ, যেখানে নিত্য ঘটে ঢেউ আর পাথরের অদ্ভুধ আলিঙ্গন , যেখানে অক্সিজেনময় প্রকৃতির বিপুল সমাহার, যেখানে প্রতিদিন ঘটে বিপুল মানুষের সমাগম, সেই পতেঙ্গা সী-বিচ!
বলা মাত্রই- হোসাইন রেড়ি হওয়ার জন্য তাড়াহুড়া শুরু করল। অন্যদেরকেও রেড়ি হওয়ার জন্য তদারকি করতে লাগলো!
হয়তো-
তার মনের মধ্যে ঢেউ খেলছে অন্যরকম আনন্দ! অনেকবার গেলেও এবারেরটা অন্যরকম।
ইদানিং সময়টাও একটু ধোঁয়াশাময় যাচ্ছে আর আমার পরিবারের সবাই আর সাথে ভাগিনারাও তাই!
আস্তে আস্তে সবার রেডি হওয়ার পালা শেষ, সময়ও এখন পড়ন্ত দুপুর- এখন-ই বেরিয়ে পড়ার সময়!
মেজু ভাই গিয়ে একটা টম্ টম্ নিয়ে আসলো, আমরা সেটাতে উঠে পড়লাম,
আর- ধীরে ধীরে টম্ টম্ আমাদেরকে নিয়ে চলল সেই প্রকৃতির লীলাভুমির দিকে! কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা পেীঁছে গেলাম। গাড়ি থেকে নেমে সবাই বেড়ি বাঁধের উপরে উঠলাম,
সী-বিচটা লোকে লোকারণ্য! লোকগুলোর সঙ্গী হয়ে আমরাও কিছুক্ষণ হাটলাম,
কিন্তু হোসাইনতো পাথরের নিচে বালিতে নামবেই, আর তাই আমি হোসাইনকে নিয়ে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বালিতে নেমে পড়লাম! এখন আবার সে নাকি পানিতেও নামবে! তাই প্যান্টটা হাটু পর্যন্ত মুড়িয়ে জুতাগুলো হাতে নিয়ে দু’জনই পানিতে নেমে পড়লাম!
তারপরও দু’জনেরই প্যান্ট ভিজে গেল! ঐদিকে বড় ভাইসহ সবাই আমাদের দু’জনকে খুজঁতেছে , কয়েকবার ফোনও দিল
তাই তাদের সাথেই চললাম, বালিতে কিছুদুর হাঁটার পর তারাও পানিতে নামতেছে আমরাও আবার তাদের সাথে পানিতে নামলাম এবার ভাগিনা হোসাইন ,হাসান এবং ভাগিনি শিরিন পুরাই ভিজে গেছে! আজ তাদের মনে কি আনন্দ! তিনজন-ই হই হল্লোড়ে মেতে আছে, তারপর একটা ক্যামরাম্যানকে ডেকে সবাই ছবি তুললাম!
এখন সময় পড়ন্ত বিকাল, আকাশটাও রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে, গুধুলিময় চারদিক, এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ, হালকা বাতাস মাঝে মাঝে গায়ের লোমগুলোকে স্পর্শ করছে!
তারপর একটা রেসটুরেন্ট-এ গেলাম! সেখানে এখন আরেক জামেলা, কে কি খাবে? কেউ চটপটি আর কেউ ফুসকা! এভাবেই অর্ডার দেওয়া হলো, ফুসকা আর চটপটি খেলাম তারপর কিছুক্ষণ গুধুলিময় আকাশের নিচে বসে থাকলাম।
আস্তে আস্তে সুর্যটা মেঘের আঁড়ালে লুকিয়ে যাচ্ছে, আর রাস্তার দু’ পাশের নিয়ন বাতিগুলো একটি একটি করে সবক’টি জ্বলে উঠতে লাগলো,পাখিগুলো তাদের ডানা মেলে উড়ে উড়ে নীড়ে ফিরে যাচ্ছে, আর আমরা সেই টম্ টম্ গাড়িতে করে বাসার দিকে রওনা দিলাম! বাতাসের শু শু শব্দ আর গাড়ির পে পুঁ শব্দময় পরিবেশের মধ্যে আমারা বাসায় পেীঁছলাম!
বিষয়: বিবিধ
২১৯৬ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মানুষ চিউন অইলি এক্কানা বেশী সুবিধা। শু শু আবাজ দিয়েরে বাতাসর দৌড় যতই বেশী অউক সমস্যা নাই। যারা চিউন মানুষ তারারে বাতাসে ফালাইদিত ন পারিবু।
অসংখ্য ধন্যবাদ...
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ.....
অনেক ধন্যবাদ...
আরও ছবি দেন
বর্ণনা ভালো লাগলো
অসংখ্য ধন্যবাদ......
সূর্যাস্তের ছবিটি খুবই সুন্দর। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন