ইসলামে বর্বরতা (নারী-অধ্যায়) ।

লিখেছেন লিখেছেন রায়হান রহমান ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৮:২৭:৪১ সকাল



ইসলামী আইন অনুযায়ী যে সব কাফের যুদ্ধ বন্দিনী ইসলামী সৈন্যদের হাতে বাধা পড়বে, তাদের সাথে ইসলামী সৈন্যরা অবাধ যৌন সঙ্গম করতে পারবে। নবীজির সময় থেকেই এই ব্যবস্থা চলে আসছে। নবীজি নিজেও এই কর্ম করেছেন এবং তাঁর সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকেও এই কর্ম করতে আদেশ দিয়েছেন। নবীজি স্বয়ং যৌনাবেদনময়ী যুদ্ধলব্ধ রিহানাকে বানু কুরাইজা যুদ্ধ, জুয়েইরাকে বনী মুস্তালিকের যুদ্ধ এবং সফিয়াকে খাইবারের যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে পাকড়াও করে যুদ্ধ ময়দানেই যৌন সঙ্গি করেছেন।

একজন নবী দাবিদার ব্যক্তির এহেন আচরণকে অনৈতিক, নোংরা, জঘন্য ও বর্বরোচিত বলা ছাড়া আর কি বলা যায়? অথচ নবীজীর এই জঘন্য কালো অধ্যায় গুলোকে জায়েজ করার জন্য ইসলামী পন্ডিতরা অদ্ভুত যুক্তি উপস্থাপন করেন। ঐ সব মহিলারা, যাদের স্বামী, ভ্রাতা ও পিতাদের নবীজি হত্যা করেছেন, তারা নাকি নিজেদের যৌন তাড়নায় নবীর উপর উত্তেজনায় ঝাপিয়ে পরেন।

এ বিষয়ে অসংখ্য হাদীদের মাঝে কয়েকটি নিচে দেয়া হল।

সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:

আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:


এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।

সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭:

বুরায়দা বর্ণনা করলেন:


রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিলেন (এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর)। আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”। তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য”।

সহিহ্‌ বোখারী ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯:

ইবনে মুহাইরিয বর্ণনা করেছেন:


আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল খুদরিকে দেখলাম। আমি তাঁর পাশে বসে পড়লাম। তাঁকে আজল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাইদ বললেন: “আমরা আল্লাহ্‌র রসুলের সাথে বনি মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম। আমরা আরব যুদ্ধবন্দিনী পেলাম। আমাদের জন্যে কৌমার্য (celibacy) পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাই আমরা চাইলাম সহবাস করতে। সত্যিই আমরা আজল করতে ভালবাসতাম। তাই আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম: “রসুলুল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কি ভাবে আজল করি?” আমরা তাঁকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন: “তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই।“

বিষয়: বিবিধ

২১৫৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

292932
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০৫
না বলা কথা লিখেছেন : অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। না জেনে না বুঝে হাদিসের ভুল ব্যাখা করবেন না।
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
236550

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : এত বিদ্যা নিয়ে হাদিসের ব্যাখ্যা গুলো অপনি করে দিন্না।
292938
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৫

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : অনবদ্য পোষ্ট, ধন্যবাদ।



১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
236559

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : ধন্যবাদ।কাছে থাকুন মুক্তি আফা।
292951
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪২
নাছির আলী লিখেছেন : অল্প বিদ্যায় ভয়ংকর জুতারে বলে আলমারি। ছি...
292959
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২১
বেআক্কেল লিখেছেন : ইশরে...... হাদিস গুলা রায়হান সাহেবের গায়ে লাগছে...... আহা... হা.....বেচারা নারী দরদী। বাসের সিটে ওনার পাশে মাইয়া লোগ পাশে বসিলে তাঁর উত্যক্তের ভয়ে মাইয়া লোগ সিট ছাইড়া দেতে বাধ্য হয়... ওনার নারী প্রিতী দেইখ্যা তো পেটে পেশাব ধইরা রাখিতে পারছি না। আমনের উত্তর নিচে দেলাম.....

আগের দিনে যারা যুদ্ধবন্ধী হইত, তাদের কে জেলখানায় রাখা হইত না। তখন জেল খানার ব্যবস্থা ছিল না। বন্ধিদের হাতে-পায়ে শিকল বাধা থাকিত। তারা গ্রামে মহল্লায় গিয়া মানুষের দুয়ার দুয়ারে ঘুরিয়া ভিক্ষা করিয়া খাইত। মানুষ তাদের ভিক্ষা দিতে চাইত না। এভাবেই তারা বাচিয়া থাকিত। মাইয়া লোকের জন্য ছিল আরো বিপদ, ভিক্ষাতো পাইতই না, উল্টো পথে ঘাটে কুত্তা-কুত্তির মত দেহ দান কইরা চলিতে হইত। খারাপ মানুষ চলিবার পথে বুকে-মুকে-পেটে হাত দিত, এ্টাই তাদের শাস্তি হইত।

পুরুষ যুদ্ধ বন্ধী হইলে না হয় কথা ছিল, সেই জমানায় মুক্তিযুদ্ধের কণ্যাদের মত মাইয়ারাও কম ছিলনা। তারাও পুরুষের সাথে যুদ্ধ করিতে যাইত। নারীরা যুদ্ধ করিতে যায় মানুষ হত্যা করিবার জন্য। কারো চুম্বা খাইবার জন্য নয়। এই মাইয়ারা জানিত, যদি পরাজিত হই, তাইলে আমাদের ভিক্ষা করিতে হইবে, কারো যৌনদাসী হইতে হইবে।

এই সব জাইনা যেই সব মাইয়ারা যুদ্ধ করিতে যাইত, আবার যুদ্ধে পরাজিত হইয়া রানীর ইজ্জত কেউ চাইতে পারেনা। যদিও লন্ড-ভন্ড রায়হানেরা সেটাই চাইতেছে।

মুসলমানেরা যুদ্ধবন্ধী মাইয়াদের ভিক্ষা করিতে না পাঠাইয়া কারো একজনের নিরাপত্তায় রাখিত। যুদ্ধবন্ধী মাইয়ারা তো যুদ্ধ করিতে আইছে, তারে তো হাজার জনে ধর্ষন করিবার কথা, না খাইয়া রাখনের কথা, বেইজ্জত করিবার কথা, পতিতালয়ে পাঠাইয়া দেওনের কথা।

কার কি গরজ পড়িছে একজন শত্রু মাইয়ারে বসাইয়া নিজের ঘরের খানা খাওয়াইবে! তারপরও মুসলমানেরা তো একটা বিনিময়ের মাধ্যমে কাজটা সারাইছে, একজনের কাছেই থাকছে। সেই জমানায় এইটাই একজন যুদ্ধবন্ধী নারীর জন্য উত্তম বিচার ছিল। আমাদের মন্ত্রীরা তো ইডেন কলেজের ছাত্রীদের নিজের বউয়ের মত জোড় কইরা ইজ্জত কাইরা লয়। একটা শাড়িও দেয়না, একসেট গহনা ও দেয়না, এক বেলা খানাও খাবায় না। রায়হান সাহেব নিজেই তো সেই রাস্তার মানুষ কিন্তু তেনারা বুঝিতে চায়না, বেতন ভাতা বন্ধ হইবার ভয়ে।
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০৮
236611
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : বেআক্কেল ভাই বলেছেন: আমাদের মন্ত্রীরা তো ইডেন কলেজের ছাত্রীদের নিজের বউয়ের মত জোড় কইরা ইজ্জত কাইরা লয়। একটা শাড়িও দেয়না, একসেট গহনা ও দেয়না, এক বেলা খানাও খাবায় না। রায়হান সাহেব নিজেই তো সেই রাস্তার মানুষ কিন্তু তেনারা বুঝিতে চায়না, বেতন ভাতা বন্ধ হইবার ভয়ে।
Good Luck Good Luck
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৯
236692
রুম্মাম সাকিব রুশো লিখেছেন : বেআক্কেল ভাইয়ের আক্কেলকে সাধুবাদ জানাই। ধন্যবাদ চমৎকার জবাব দেবার জন্য।
১১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৬
236944

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : গাধার বাচ্চা, বেশি হাউকাউ করলে তোরে তোর মোহাম্মদের ঐটার ভিত্রে ঢুকাইয়া দিমু। ভাগ এইখান থিকা।
292982
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০৭
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আমাদের মন্ত্রীরা তো ইডেন কলেজের ছাত্রীদের নিজের বউয়ের মত জোড় কইরা ইজ্জত কাইরা লয়। একটা শাড়িও দেয়না, একসেট গহনা ও দেয়না, এক বেলা খানাও খাবায় না। রায়হান সাহেব নিজেই তো সেই রাস্তার মানুষ কিন্তু তেনারা বুঝিতে চায়না, বেতন ভাতা বন্ধ হইবার ভয়ে।
293045
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
চোরাবালি লিখেছেন : নিজের যখন দুর্বার খড়া তখন অনন্ত মাল্টি দিয়ে নিজের ব্লগে মন্তব্যের খায়েশ Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File