ঊষালগ্নে ইসলামের খুনাখুনি, অশান্তি, রক্তপাত।
লিখেছেন লিখেছেন রায়হান রহমান ০৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫৬:৪৬ সকাল
মুহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই লাশ দাফনের আগেই আমির নির্বাচন নিয়ে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। মক্কা থেকে আগত মোহাজের আর মদিনাবাসীর মধ্যে বাধে এ লড়াই। এরপর আবু বকরকে নির্বাচন করা হলে নবী মুহাম্মদের কাজিন হজরত আলী এর বিরোধিতা করেন। তিনি ভেবেছিলেন, রক্তের সম্পর্ক হিসাবে তিনিই বোধহয় হবেন খলিফা। কিন্তু হতে না পেরে মনোক্ষুণ্ণ হন। বিরোধিতা করেন। সেই থেকে শুরু ইসলাম জুড়ে ফ্যাৎনা-ফ্যাসাদ। ফ্যাসাদের তীব্রতা এতোই যে, প্রথম খলিফা আবু বকরের সন্তানই হত্যা করেন তৃতীয় খলিফা হজরত উসমানকে। যখন উসমান নামাজরত অবস্থায় ছিলেন, তখন কোরান বুকে চেপেও নিস্তার পাননি নবীর স্ত্রী আয়েশার ভাই, এবং প্রথম খলিফা আবু বকরের পুত্র মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরের রক্তাক্ত ছুরি থেকে। এমনকি উসমান হত্যার পেছনে আয়েশারও হাত ছিল। তার মদদ ছিল। উসমানের পরবর্তী খলিফা আলীর সাথে লড়াই হয় মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার। জঙ্গে জামাল নামে পরিচিত এই যুদ্ধ। এটা কি গৃহযুদ্ধ নয়? এই যুদ্ধে কত লোক প্রাণ হারিয়েছিল? অগণিত লাশ পড়েছিল সেই যুদ্ধে। কেন এতো মৃত্যু? কিচ্ছু না। কোনো গায়েবি নির্দেশ না। কোনো জনকল্যাণের কিছু না। জাস্ট ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। প্রাসাদ দখলের লড়াই। এরপর আলীর সাথে যে যুদ্ধ হয় সাহাবি মুয়াবিয়ার সিফফিনের মাঠে, তাতে ৭০ হাজার লাশ পড়ে উভয় পক্ষে। যে খারিজিদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন আলী, সেই খারিজিরাই হত্যা করে আলীকে। আজকে যে আমরা বোকো হারাম, আইএস দেখতে পাই, এরা হচ্ছে সে যুগের খারিজি। মসজিদ প্রাঙ্গনে হত্যা করে আলীকে। খারিজিরা কিন্তু অমুসলিম ছিল না। ছিল না ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান। এরা মুসলমানই ছিল। তারপরও তারা নবীর ভ্রাতা আলীকে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
হজরত আলি নবীর ভ্রাতা হলেও তিনি নবীর কন্যা ফাতেমাকে বিয়ে করেছিলেন। এরপর আর বিয়ে করেন ৮টি। তার সন্তান-সন্ততি ছিল ৩৩; এদের মধ্যে কেবল বিখ্যাত হাসান আর হুসেন। বাকিদের নাম বেশিরভাগই মুসলমান জানেন না। যাই হোক, মুয়াবিয়া আর তার পুত্র এজিদ মিলে হত্যা করেন হাসান আর হোসেনকে। মুয়াবিয়া কিংবা এজিদ এরা হত্যাকারী হলেও নবীরই আত্মীয়। এরা সাহাবি। এরা মুসলমান। ভাই হয়ে ভাইকে এরা হত্যা করে হাত রাঙিয়েছে। অর্থাৎ ইসলামের ইতিহাসে ভয়ঙ্কর দলাদলি, ফ্যাৎনা-ফ্যাসাদ বহিরাগত কিংবা বিধর্মীরা কেউ করেননি। সৃষ্টি হয়েছে নিজেদের মধ্যে। এটাই বাস্তবতা।
বিষয়: বিবিধ
২০১৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : শালার পুত লাথ্থি দিয়া তোরে গাজায় পাঠায়া দিমু। ইহুদীর কিলগুতা খাইয়া আল্লা আল্লা করবি।A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : বর্বর মোনিন মুসলমানারা ভদ্রতা বুঝে?আপনার বিদ্যার দৌড় কতটুকু তা আমার জানা নেই! যারা ১.৩ বিলিয়ন মানুষের আদর্শ মুহাম্মদ (সঃ) এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করে বা তাঁর সম্বন্ধে নোংরা কথা ছড়ায় তাদের আমি বলি, মাইকেল হার্ট এর লেখা দ্য হান্ড্রেড বইটি পড়ার জন্য।
গুগল থেকে সার্চ দিলেও এর পি ডি এফ পাওয়া যাবে। একজন খৃষ্টান মাইকেল হার্ট কেন মুহাম্মদ ( সাঃ) কে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষদের সেরা হিসেবে স্বীকৃতি দিল তা আপনার ও জানা উচিত। হয়তো ঐ টুকু জ্ঞানলাভ করলে- তার বিরুদ্ধে আপনি কোন কিছু লেখার আগে দুবার ভাববেন!
কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দেয়া ঠিক নয়,আপনার বাবা মা বা অভিভাবক থাকলে তাঁদের জিজ্ঞেস করে দেখুন! কোটী কোটী মানুষ যাকে শ্রদ্ধা করে তার নামে অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে আপনি আপনাকেই খাটো করছেন- আপনি অন্যদেরকে আপনার জাত চিনিয়ে দিচ্ছেন । আপনার ঘৃণা প্রকাশের ধরন দেখে মনে হয়, কী- বোর্ড নয়, হাতে অ্যাটম বোমা থাকলে গোটা পৃথিবীর মুসলিমদের এক হাত দেখে নিতেন!
এটা মানসিক সুস্থতার লক্ষণ নয়! বুঝতে পারছেন কি বলছি! আপনাকে আপনার ‘কর্মের জন্য ধন্যবাদ দিতে পারছি না বলে দুঃখিত!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : ১। ঐ ছেলেপুলেদের বাবা (যদি তাদের লিগ্যাল বাবা থাকে আর কি!) যদি তাদের আদব কায়দা না শিখিয়ে থাকে, আমার কি করার আছে!আসলেই আপনার করার তেমন কিছু নেই। বাইজান্টাইন থেকে চালান হয়ে আসা মুস্লিমদের উম্মেমুমিনূন মারিয়ার গর্ভের সন্তান নিয়েই যখন মানুষের সন্দেহ, সেখানে আজকের যুগের সন্তানদের বাবা ইস্যু অতি মামুলি। তাছাড়া ইসলামের নবী মোহাম্মদ এবং তার লোকজন যে হারে মুতা, হিল্লা এবং গনিমত দাসীদের সাথে মৌজ ফূর্ত্তি যৌনতা করেছে তাতে আজকাল মুসলিম ছেলেপেলের বাবার পরিচয় খুজে পাওয়া দুস্কর।
২। "যারা ১.৩ বিলিয়ন মানুষের আদর্শ মুহাম্মদ (সঃ) এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করে বা তাঁর সম্বন্ধে নোংরা কথা ছড়ায়"
ভালই! সংখ্যার দোহাই? অথচ মোহাম্মদের আমদানী করা কোরাণের পাতায় পাতায়, পরতে পরতে পৃথিবীর অবশিষ্ট মানুষকে অভিশপ্ত, লাঞ্চিত, তুছ্ছ তাছ্ছিল্য এবং এমন কি কতল করার হুকুম দিয়েছে তার ফয়সালা কে করবে?।
৩। "কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দেয়া ঠিক নয়"
ভুতের মুখে রামরাম!! ইহুদী, খ্রীষ্টান, পৌত্তলিন, প্যাগান ধর্ম নিয়ে ইসলাম কি বলে? কাবাঘরের ৩৬০টি মূর্ত্তি কে ভেংগেছে??
মন্তব্য করতে লগইন করুন