সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ [সংশোধিত ২০০২ ও ২০১৩] অনুযায়ী নিরীক্ষার প্রকৃতি ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন
লিখেছেন লিখেছেন কোঅপারেটিভ ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৩০:১৭ দুপুর
সমবায় সমিতিসমূহের নিরীক্ষার প্রকৃতি কি রকম হওয়া উচিৎ এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন কি ভাবে প্রণয়ন করতে তা সমবায় আইনে বলা হয়েছে। উহা নিম্নরূপঃ
নিরীক্ষার প্রকৃতিঃ
ধারা - ৪৫৷ ৪৩ ধারার অধীনে সম্পাদিত নিরীক্ষায় নিম্নোক্ত বিষয়াদি অর্ন্তভুক্ত থাকিবে, -
(ক) নগদ তহবিল ও নিরাপত্তা জামানত পরীক্ষা ;
(খ) আমানতকারী এবং পাওনাদারদের পাওনার স্থিতি এবং খাতকদের নিকট সমিতির পাওনার পরিমাণ পরীক্ষা ;
(গ) মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ, যদি থাকে, পরীক্ষা ;
(ঘ) সমিতির সম্পদ ও দেনার মূল্যায়ন ;
(ঙ) আর্থিক লেনদেনসহ সমিতির লেনদেনসমূহ বিধি মোতাবেক নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত পরীক্ষা ;
(চ) ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে প্রস্তুতকৃত হিসাব বিবরণী পরীক্ষা ;
(ছ) আদায়কৃত লাভের প্রত্যয়ন ;
(জ) হালনাগাদ সদস্য তালিকা পরীক্ষা ;
(ঝ) বিধিদ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য বিষয়সমূহ৷
নিরীক্ষা প্রতিবেদনঃ
ধারা - ৪৬৷ নিরীক্ষক সমবায় সমিতির নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীর সহিত নিম্ন বিবরণীসহ একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিবন্ধক এবং উক্ত সমিতির নিকট দাখিল করিবেন:-
(ক) এমন লেনদেন যাহা আইন, বিধিমালা বা উপ-আইনের পরিপন্থী বলিয়া তাহার নিকট প্রতীয়মান হয়;
(খ) এমন লেনদেন যাহা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত্ ছিল কিন্তু করা হয় নাই;
(গ) কোন ঘাটতি অথবা লোকসান যাহা অবহেলা কিংবা অসদাচরণের ফলশ্রুতিতে ঘটিয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হয় অথবা যাহার অধিক তদন্ত দরকার;
(ঘ) সমিতির মালিকানাধীন কোন অর্থ অথবা সম্পত্তি যাহা কোন ব্যক্তি কর্তৃক আত্মসাত্ করা হইয়াছে বা বেআইনী বা প্রতারণামূলকভাবে অধিকারে রাখা হইয়াছে;
(ঙ) সন্দেহজনক বা কুসম্পদ হিসাবে প্রতীয়মান হয় এমন সম্পদ;
(চ) নির্ধারিত অন্য কোন বিষয়৷
বিষয়: বিবিধ
১০৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন