সাচ্চা গোলামের জন্য ফাঁকিস্তান পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব।

লিখেছেন লিখেছেন আমি ছাত্র ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৪:২২:৪০ বিকাল



১৯৭১ এর ফাইল ফটো ; কুখ্যাত নিয়াজীর পাশে মাদারচোদ কাদের মোল্লা।

জিও নিউজ-২৪ : পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে রাজাকার কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। পাকিস্তান জামায়াতের সাংসদ শের আকবর খান এই প্রস্তাব উত্থাপন করলে তাতে সমর্থন জানায় সরকারি দল মুসলিম লিগ। এ ছাড়া ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ, আওয়ামী মুসলিম লিগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদে আজম) ও জমিয়তে উলামা ইসলাম এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়।

পাকিস্তানজুড়ে শোকের মাতম এখনও থামেনি। ‘মিরপুরের কসাই’ নামে পরিচিত কাদের মোল্লার জন্য এই মাতম। পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী ক্রোধ, আক্রোশ ও হিংসা লুকিয়ে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশের জামায়াতের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে চলছে তাদের স্বজনহারানোর আহাজারি।

বৃহস্পতিবার কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর নিন্দায় ফেটে পড়ে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল দলটির আমির সৈয়দ মুনাওয়ার হাসান। আরেক প্রভাবশালী জামায়াতনেতা লিয়াকত বালুচের কথায়, কাদের মোল্লার ফাঁসির মাধ্যমে ন্যায়বিচারকে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াতের পাকিস্তান অংশ কাদের মোল্লাকে শহীদ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, তাদের বাংলাদেশ শাখার একজন মহান নেতাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশে আক্রমণ করতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে। সমালোচনা করা হয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নীরবতার।

জামায়াতের সুরেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান। তিনি বলেছেন, মোল্লার ফাঁসি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক পদক্ষেপ। মোল্লাকে ফাঁসি দিয়ে পাকিস্তানের পুরনো ক্ষতে আঘাত করেছে বাংলাদেশ।


চৌধুরী নিসার আলী খান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তাতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে কাদের মোল্লা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে পাকিস্তানের মানুষ অত্যন্ত মনোক্ষুণ্ন ও দুঃখভারাক্রান্ত।

বাংলাদেশের একজন ঘৃণ্য অপরাধীকে নিয়ে পাকিস্তানের এই প্রতিক্রিয়ায় চুপ থাকা যায় না। এ ঘটনাবলির মাধ্যমে নতুন করে কয়েকটি বিষয় আমাদের সামনে এসেছে এবং এ নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার আছে। কাদের মোল্লার অপরাধ, বিচার ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অথচ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এর মধ্যে নাক গলিয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের জামায়াত বলেছে, মিরপুরের কসাই তাদের লোক। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলটি তাদের শাখা। এ দুটি দিক আমাদের অবশ্যই গভীরভাবে ভাবতে হবে।

পাকিস্তানিদের কথা থেকে আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশে জামায়াত ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পাকিস্তানের এজেন্ট। বাংলাদেশে তারা কাজ করছে পাকিস্তানের পক্ষে।

বিষয়: বিবিধ

১৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File