ইসলাম ধর্মের নিঃস্বার্থ প্রেমিক এ যুগের তালেবান।

লিখেছেন লিখেছেন মেয়ে বেলা ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৫৮:১৫ রাত



মুরতাদের শাস্তি, ১০০ ভাগ ইসলামী বিধান মতে। এটাই তো জামাত-হেফাজতী মুমিন মুসলমানদের প্রনের দাবি....................।

ইসলামের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে এত কিছু করারপরও এ যুগের মুসলমানরা তালেবানদের প্রসঙ্গ আসলে কৌশলে এড়িয়ে যেতে চায়। তা হলে- কোরান, হাদীস, নবী মোহাম্মদ এবং আল্লার প্রকৃত বিধান কি এতোটাই খারাপ এবং লজ্জাজনক যে কারনে মুসলিমরা তালেবানদের প্রকৃত ইসলামী বিধান নিয়ে বিব্রত????

তালিবান শব্দের অর্থ "দ্বিনের ছাত্র"........................

নাস্তিক রাশিয়াকে উছ্ছেদ করার পর ১৯৯৬ সালে নিঃস্বার্থ ইসলাম প্রেমিক তালেবানরা আফগানিস্তানের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা দখন করে। তালিবান আন্দোলনের প্রধান ছিলেন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার। উমারের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের। এছাড়াও ইউরোপ ও চীন থেকে অকেক স্বেচ্ছাসেবক, আলেম ওলেমারা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।

ক্ষমতা দখলের পর পরই তালেবানরা আফগানিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে এবং কোরান-হাদীসের আলোকে এযাবৎ কালের সবচেয়ে কঠোর মুসলিম শরিয়াহ্‌ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

১। তালেবানরা নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা কঠর ভাবে নিয়ন্ত্রন করে এবং মেয়েদের সর্বাঙ্গ ঢেকে বোরকা পরার ডিক্রি জারি করে।

২। মেয়েদের সব স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেয়।

৩।মুসলিম পুরুষের দাড়ি রাখা বাধ্যতা মুলক করা হয়।

৪। চিকিতসার জন্য মহিলারা শুধু মহিলা ডাক্তারের কাছে যেতে পারবে, যদি নিতান্তই পুরুষ-চিকিৎসকদের দেখাতে হয় তবে কোনো ঘনিষ্ট আত্মীয়কে সঙ্গে রাখতে হবে।

৫। ধর্ম রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বিনা অনুমতিতে যে কোন স্থানে তল্লাসি চালাতে পারবে।

৬। পাথর ছুড়ে জেনার শাস্তি বিধান চালু করা হয়। চাবুক,দোররা, হাতকাটা, পাকাটার আইন জারি করা হয়।

৭।মদ, জুয়া, সুদ, গান, বাজনা, টিভি, ক্যাসেট, সিনেমা, কবিতা, উপন্যাস............ সহ সব অনৈসলামিক কাজ নিষিদ্ধ করা হয়।

৮। সাদা পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে চিত্রিত করে এবং ঐ পতাকায় শাহাদাহ চিহ্ন যুক্ত করা হয়।

৯। অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জেহাদ কে বাধ্যতামুলক করে প্রত্যেক সক্ষম পুরুষকে বিভিন্ন উৎস থেকে ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদের প্রশিক্ষণ দেয়ার নিয়ম চালু করা হয়।

এক কথায় বলতে এই তালেবান মুমিনরাই এ যুগে সর্ব প্রথম নবী-সাহাবী আমলের ১০০ ভাগ ইসলামী বিধান কঠর ভাবে চালু করার সাহস দেখিয়েছেন। কিন্তু তারপরও মুসলিমরা তালেবান প্রসঙ্গ এলেই কোন এক অজানা লজ্জায় মুখ লুকায়।



জেনাকারী বেল্লা নারীর শাস্তি, এটাই তো জামাত-হেফাজতী মুমিন মুসলমানদের প্রনের দাবি....................।

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File