আমাদের একতরফা ধর্মানুভুতি................।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য বচন ২২ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:১৬:০৩ সকাল
আঘাত প্রাপ্ত ধর্মানুভুতি.............!!
আমাদের মুসলমানদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের ধর্মানুভুতি অনেকটাই যৌনঅনুভুতির মত। সামান্য আঘাতে তড়াক করে উত্তেজিত হয়ে যায়। আর একবার উত্তেজিত হলে থামানো মুস্কিল। মুসলমানরা জনসভা ডেকে "কাফের-নাস্তিক-পৌত্তলিক-ইহুদী-নাসারা-সুশিল" সবার চৌদ্দগুষ্ঠির কল্লাফতে করার অধিকার রাখে বটে। কিন্তু মুসলমানদের "আল্লা, মোহাম্মদ এবং কুরআন" এই তিনের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করা যাবে।
অথচ এই সময়ে এই গ্লোবে সবচেয়ে মানবতা বিদ্বেষী, পরমত অসহিষ্ণু কোন কিছু যদি থেকে থাকে তা হছ্ছে ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন এবং নবী মোহাম্মদ। সব বিদ্বেষ, কটূক্তি এবং উস্কানির সূচনা সেখান থেকেই। এখন দেখা যাক কি সে বিদ্বেষ কটূক্তি উস্কানি??
নমুনা ১। সহিহ মুসলিম, বই ০১৯, হাদীসনং- ৪৩৬৬ :
"ওমর ইবনুল খাত্তাব বর্ণিত- আল্লাহর রসুল (সা বলেছেন, আমি ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে আরব উপদ্বীপ থেকে বহিস্কার করব, এখানে মুসলমান ছাড়া কেউ বসবাস করতে পারবে না।" তো এই যদি হয় মোহাম্মদের শান্তির বাণী তা হলে ইহুদী-নাসারা ওয়েব সাইট গুলো কি আঙুল চুশবে?
নমুনা ২। সহিহ বুখারী, বই- ৫৯, হাদীসনং- ৪৪৯ :
Narrated Al-Bara: The Prophet said to hassan, “abuse them (with your poems), and Gabriel is with you (i.e, supports you).” (Through another group of sub narrators) Al-Bara bin Azib said, “On the day of Quraiza’s (besiege), Allah’s Apostle said to hassan bin Thabit, ‘abuse them (with your poems), and Gabriel is with you (i.e. supports you).’ ” (Bukhari; Book #59, Hadith #449) কি বুঝলেন? নিরস্ত্র, নিরপরাধ অসহায় মানুষগুলোকে বন্দী করে গালিগালাজের আদেশ দিলেন মুহাম্মদ। আজকের গুয়ান্তানামো সহ পৃথিবীর জঘন্য বন্দী শিবিরে সামরিক জান্তা কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতন, যুদ্ধ-বন্দীদের প্রতি আশালীন অভদ্রে আচরণ আর মুহাম্মদ ও তার সামরিক বাহিনীর ভাষা ও আচরণে মূলত কোন পার্থক্য আছে কি? তাহলে ডেনিস কার্টুনওলার কি দোষ??? টিট ফর টেট।
নমুনা ৩। সুরা ৪:৮৯ ; "তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।" চিন্তা করে দেখুন কি ভয়ংকর উস্কানি! সুতরাং যথাযত কারনেই নাস্তিকরা মোহাম্মদের ১২ টা বাজিয়ে দেয়।
আরো দেখুন......................... :
সুরা ৯:২৮ ; "হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।"
সুরা ৯:২৯ ; "তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।"
সুরা ৫:৩৩ ; "যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।"
৬৪৫৪ নম্বর বুখারী শরিফের হাদীস ; "আবু নুমান মুহাম্মদ ইবন ফাযল (র) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন আলী (র) এর নিকট একদল যিন্দিককে ( নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী ) আনা হলো । তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিলেন । এ ঘটনা ইবন আব্বাস এর কাছে পৌছুলে তিনি বললেন আমি হলে কিন্তু তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলতাম না । কেননা রাসূলুল্লাহ এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিও না । বরং আমি তাদেরকে হত্যা করতাম । কেননারাসূলুল্লাহ এর নির্দেশ রয়েছে, যে কেউ দীন বদলে ফেল্লে তাকে তোমরা হত্যা কর ।"
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন