জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ- গনতন্ত্রের পথে বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে গেল।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য বচন ১৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৪৫:১৮ রাত
না, সিডনি অথবা টরোন্টো না। এটি আমাদের ঢাকা, বর্তমান সরকারের আরো একটি সাফল্য। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো.......................
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের প্রতি এই প্রস্তাব দিয়ে বলেন, আমরা সকল দলকে সঙ্গে নিয়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চাই।
বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোমা মেরে, আগুন জ্বালিয়ে জনগণের জান-মালের ক্ষতি করবেন না। কোরান শরীফ পুড়িয়ে, মসজিদে আগুন দিয়ে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা বন্ধ করুন। মাদ্রাসায় বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করে এতিম বাচ্চাদের লাশ বানাবেন না। নিরীহ পথচারী আর গরিব বাস ড্রাইভারকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারবেন না। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনোই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অনুমোদন দেয় না। যারা নির্দোষ মানুষকে ধর্মের নামে হত্যা করে তাদের চূড়ান্ত ঠিকানা হবে দোজখ।
ছুরি, দা, খন্তা, কুড়াল নিয়ে মানুষ মারার নির্দেশ প্রত্যাহার করার জন্য বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি ও ঐক্যের পথই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। জনগণের ওপর আস্থা রাখুন, সন্ত্রাসের পথ পরিহার করুন। আপনারা কি চান-তা সংসদে এসে বলুন। আলোচনা করুন। আলোচনার দরজা সবসময় আমাদের পক্ষ থেকে উন্মুক্ত আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিরোধী দলীয় নেত্রীকে সংলাপে ডেকেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তার জবাবে তিনি আলটিমেটাম দিয়ে বললেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমাকে ক্ষমতাচ্যুত ও দেশছাড়া করবেন। ৪, ৫ ও ৬ মে' মতিঝিল শাপলা চত্বরের ধ্বংসযজ্ঞ জাতিকে আতঙ্কিত করেছিল। আমরা সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছি, নিরাপত্তা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন- একটি সুন্দর সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলতে পারি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সকল ভেদাভেদ ভুলে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন