মুরতাদ কতল করার বিধান- মৌলবাদী ইসলামের সবচেয়ে ভয়ংকর বর্বর অধ্যায়।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য বচন ১৫ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:১৭:৪৪ রাত
২১ শতকের গ্লোবাল সভ্যতার এই যুগে ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারীর(মুরতাদ) কল্লাফতে করার বর্বর শরিয়তি বিধান নিয়ে টুডে ব্লগের সিকি-আধুলী-থ্রীকোয়ার্টার সাইজের মোল্লারা এখন বিপাকে পরেছে। চালাক মোল্লারা নিজেদের মনগড়া পোষ্টদিয়ে আজকের গ্লোবে মধ্যযূগীয় ইসলাম কে মানবিক প্রমান করার জন্য যে ধানাইপানাই শুরু করেছে তা এখন আর হালে পানি পায় না। কারন- "ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারীর(মুরতাদ) কল্লাফতে করার বর্বর শরিয়তি বিধান" টি কোরান ও হাদীস গ্রন্থে এতোটাই খোলামেলা(well documented) যা এই মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে লুকিয়ে রাখা একেবারেই অসম্ভব। তা হলে দেখা যাক মুতাদের শাস্তির বিষয়ে ইসলামের নির্ভরযোগ্য সোর্স কোরান হাদিসে কি বলা আছে?
মুরতাদ কাকে বলে? মুরতাদ বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে যে প্রথমে মুসলমান ছিল। তারপর ইসলাম ত্যাগ করে অন্য কোন তত্ব, আদর্শ বা ধর্মে চলে গেছে। মুরতাদের শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড। মুরতাদকে প্রথমে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হবে। যদি না মানে, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। দেখুম কি ধরনের বর্বরতা!! একজন লোককে কল্লাফতে করার ভয় দেখিয়ে জোর করে মুসলমান বানিয়ে রাখা।
এ বিষয়ে অসংখ হাদীসের মধ্যে নীচের কয়েকটি হাদীসটি দেখুন-
"যখন উমর রা. এর নিকট ‘তুসতার’ নামক এলাকা বিজয়ের সংবাদ এলো, তখন তিনি সংবাদবাহীদের কাছে কোনো বিরল ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলেন। লোকেরা বললো, এক মুসলমান ব্যক্তি মুশরিক হয়ে গিয়েছিলেন তাকে আমরা গ্রেফতার করে নিয়েছি। তিনি বললেন, ঐ লোকের সঙ্গে তোমরা কী আচরণ করেছো? তারা বললো, আমরা তাকে হত্যা করে ফেলেছি। হযরত উমর বললেন, যদি তাকে একটি ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে এবং ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রতিদিন রুটি দিতে। এইভাবে তিনদিন তওবা তলব করতে তাহলে কত ভালো হতো! তখন সে তওবা করলে তো করল, না হয় হত্যা করে ফেলতে।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদীস ২৯৫৮৮)"
আরো দেখুন :
"হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। ওহুদ যুদ্ধে এক মহিলা মুরতাদ হয়ে যায়,তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,তাকে তওবা করানো হোক,আর যদি তওবা না করে,তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২১, সুনানে বায়হাকী কুবরা,হাদীস নং-১৬৬৪৫"
"বর্ণনাকারী বলেন, মুআয যখন আবু মুসার কাছে পৌঁছলেন, তখন আবু মুসা তাকে স্বাগতম জানালেন এবং বসার জন্য তাকিয়া এগিয়ে দিলেন। ইতিমধ্যে দেখা গেল, আবু মুসার পাশে বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে এক ব্যক্তি। মুআয বললেন, এর কী হল? তিনি বললেন, এই লোক ইহুদী ধর্ম ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। কিন্তু আবার সে তার বিকৃত ধর্মে ফিরে গেছে। মুআয বললেন, একে হত্যা করার আগ পর্যন্ত আমি বসব না। এটাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়সালা। আবু মুসা বললেন, হাঁ, ঠিক আছে। আপনি একটু বসুন। কিন্তু তিনি বললেন, না, একে হত্যা করার আগ পর্যন্ত আমি বসব না। এটাই আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নিদের্শ। তিনি এ-কথা তিনবার বললেন। অবশেষে আবু মূসা লোকটিকে হত্যা করে ফেলার আদেশ দিলেন এবং তাই করা হল। (সুনানে আবু দাউদ : হাদীস ৪৩৫৪)"
তাহলে যথার্তই বলা যায়- বর্বরতা অজ্ঞতার আর কিছু নাম যদি থাকে তাই হচ্ছে ইসলাম। মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড । কিন্তু মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে উক্ত ইসলাম ত্যাগকারী ব্যক্তিকে সুযোগ দেওয়া হবে ইসলাম গ্রহন করার জন্য । কতটা বাজে ধর্ম । একটা মানুষকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তাকে ইসলাম ধর্মে ফেরত আনতে হবে । যে মানুষ সেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে সেই মানুষকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ইসলাম গ্রহন করানো ব্লাকমেইল নয় কী?
বলা হয়- ইসলাম মুক্তির ধর্ম, শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, দাসপ্রথা বাতিলের ধর্ম, নারী স্বাধীনতার ধর্ম......................... আরো কত চটকদার কথামালা! কিন্তু কোরান-হাদীস ঘেটে এর একটিরও সন্ধান মিলে না।
বিষয়: বিবিধ
৩১৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন