ঈমানের ঠিকাদারী কি মুসলমানদেরকে দেয়া হয়েছে?
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ২০ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:৩৮:৪৮ সন্ধ্যা
অধুনা নাস্তিকদের সবচেয়ে প্রিয় উক্তি এটাই, তুনীরের শেষ তীরও বটে। আর যাদের উদ্দেশ্যে এই সানাইড বিষ ছুড়ে দেয়া হয় তারা হয়তো একেবারে চুপসে যায় কিংবা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
গত বছর যখন হেফাজত মাঠ গরম করলো, শাহরিয়ার কবিরের মার্কেটও তখন তুঙ্গে। টক শো গুলোতে একের পর এক চলতে লাগলো অবাধ মিথ্যাচার। এক টক শো অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবিরও লালবাগের মুফতি সাখয়াতকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়ে হাপ ছেড়েছিলেন-“ঈমানের ঠিকাদারী কি আপনাদেরকে দেয়া হয়েছে??”।
প্রশ্নটার উত্তর জুসের মতোই সহজ ও তৃপ্তিদায়ক। আসুন ধাপে ধাপে জেনে নিই সেই উত্তর।
যদিও একথা সত্য যে কিছু কিছু ছোটখাট বিষয়ে মুসলমানদের মধ্যে আভ্যন্তরিন মতভেদ আছে, কিন্তু ঈমানের প্রশ্নে সারা বিশ্বের মুসলিম এক ও অভিন্ন। এই ঈমান ও মৌলিক বিধানাবলি মুসলমানদের মধ্যে একমাত্র সার্বজনীন সাঁকো। আর আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন- “যে ব্যক্তি হেদায়াত উদ্ভাসিত হওয়ার পরও রাসূলকে কষ্ট দেয় এবং মু’মিনদের পথ ছেড়ে দিয়ে অন্য পথ অনুসরণ করে তাকে আমি ধরবো এবং জাহান্নামে পুড়াবো”। (সূরা নিসা- ১১৫)
তাহলে দেখা যাচ্ছে নাস্তিকের ফয়সালা করা হবে মু’মিনদের মুসলমানদের মানদণ্ডে। প্রশ্ন উঠতেই পারে মানুষের কাজের বিচার কি মুসলমানদের হাতে ন্যস্ত?
ঠিক বিচার বলা যাবেনা, তবে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মুসলমানদের। কুরআন বলছে-“বলুন, তোমরা আমল করে যাও। তোমাদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করবেন আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মু’মিনগন”। (সূরা তাওবা-১০৫)
তাই একথাই সুস্পষ্ট যে কেউ যদি মুসলমানিত্ব বর্জন করে নাস্তিক হিন্দু যায়-ই হোক ইসলামের দৃষ্টিতে সে মুরতাদ। তার যদি ধর্ম ত্যাগের অধিকার থাকে(তার ভাষ্য মতে) তাহলে ইসলামেরও অধিকার আছে তার রায় ঘোষণা করে সেই মতো বিচারকার্য সম্পন্ন করার। আর এ কথা তো পিচ্চি ছেলেও বুঝবে যে যারা মুসলিম নাম নিয়ে ঘুরাফিরা করবে অথচ ইসলামকেই অস্বীকার করবে- এটাই তো প্রমাণ যে সে ইসলামের বৈশিষ্ট গায়ে নিয়ে ঘুরছে, ফলত তার উপর ইসলামের বিধানও আপতিত হয়া উচিত।
কিন্তু নাস্তিকরা তো সত্যকে অর্জন করার উদ্দেশ্যে বিতর্ক করে না। ওরা তো জানেই যে তারা ভ্রষ্ট... শুধুমাত্র কম্যুনিষ্টদের তল্পিবাহক হিসেবেই তারা একমাত্র ইসলামকেই টার্গেট করে এতো লম্ফঝপফ করে। কারণ কম্যুনিজমের পতন যে ইসলামেরই হাতে।
তাই নাস্তিকদের ধর্ম হচ্ছে বিজ্ঞান। সেই বিজ্ঞান দিয়েই এবার প্রমাণ দেয়া যাক। আমরাই প্রশ্ন করি- আচ্ছা সৌরজগতের গ্রহ-নক্ষত্র নির্ধারনের ঠিকাদারী কি শুধু বিজ্ঞানীদের হাতে?। তা না হলে “প্লুটো” কে একবার গ্রহ ঘোষণা করে আবার তা ছিনিয়ে নেয়া হলো- এ যদি হয় সুবিচার তাহলে আমাদেরটা হচ্ছে ন্যায়বিচার।
তাই নির্দ্বিধায় বলছি ঈমানের ঠিকাদার আমরা মুসলমানরাই।
website-Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৭ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন