মিডিয়ায় ইসলামের প্রচারঃ আগামীর পথপরিক্রমা
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ১৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:০৬:২২ রাত
মুহাম্মদী মিডিয়া
চরম বৈরী পরিবেশে ইসলামের অঙ্কুরোদম হওয়ার পরও তৎকালীন মক্কায় ইসলামী মিডিয়া ছিলো অনুপম ও যথেষ্ট চৌকস। তখন সাহাবা(রাঃ)দের সংখ্যা ছিলো বড়জোর ১৫-২০ জন। ইসলাম বিরোধী শক্তি বলতে আমর ইবনে হিশাম ওরফে আবুল হিকাম কেই বুঝাতো। একদিন কোন কারনে তার আলোচনা উঠতেই নবীজি (সঃ) বললেন "সে তো আবুল হিকাম নয়, আবু জাহেল"। ব্যস, মক্কার অধিকাংশই আবু জাহেলের সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়লো তার নতুন "আবু জাহেল" নামটি। সেই থেকে "আবুল হাকাম" কে কেউ চেনেনা। "আমর বিন হিশাম" নামটিরও চিরবিলুপ্তি ঘটলো। এ-ই ছিলো ইসলামী মিডিয়ার অতুলনীয় প্রভাব।
অপরদিকে কাফেররাও বসে ছিলনা,'দারুন নাদওয়া' তে তারা মিলিত হয়ে আলোচনা-গবেষনা করত মুহাম্মদ(সঃ) কে উপাধি দেয়ার জন্য।কখনো পাগল,কখনো গনক উপাধি ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাতো। কিন্তু তাদের সে আশাতেও গুঁড়ে বালি ।ইসলামী মিডিয়ার প্রধান সংবিধান আল-কোরান সেই অপপ্রয়াসকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে পদে পদে।
প্রশ্ন হচ্ছে, একেবারে তৃনমূল পর্যায়ে এই মিডিয়া এতো প্রানশক্তি কোথায় পেয়েছিলো? কিভাবে রচনা করেছিলো সর্বজনবিদিত ইতিহাস?
গভীরভাবে ইতিহাস লক্ষ্য করলে বুঝা যায়, মদীনার সেই বিস্ময় রাষ্ট্রই আসলে বিশ্ব মিডিয়ার প্রধান সূতিকাগার, প্রথম প্রতিষ্ঠান। যে মিডিয়ার দর্পণে মানবতা দেখেছিলো ন্যায়ের প্রতিবিম্ব, যার আলোকবর্তিকায় ভিড়েছিলো হাজারো সত্যের নাবিক। হকের প্রসার ও বাতিলের সংহার করাটাই ছিলো যে মিডিয়ার অদ্বৈত লক্ষ্য। কিন্তু আজ আমরা যারা ইসলামী প্লাটফরমে নানাবিধ কাজে করমরত, তারা মিডিয়াকে ব্যবহার করে হকের প্রচারে যতটা না চুপচাপ, বাতিলের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তারচেয়ে বেশি নিশ্চুপ।
কুরআনিক যুগের নব পদচারণাঃ-
অনেক কাল পরে ইসলামী মিডিয়ার শবদেহে আবার প্রাণসঞ্চার হচ্ছে, জাগৃতি এসেছে জীবন্মৃত মিডিয়া-কোষে। হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল বলেছিলেন "ফকীহ হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি মানুষ কে সমাধানের পাশাপাশি প্রচলিত হারামের বিপরীতে সুন্দর একটি হালাল বিকল্প উপস্থাপন করেন"। তাঁর আরো একটি অমূল্য বাণী হচ্ছে-"এই উম্মতের শেষাংশকে সংশোধন করা সম্ভব, প্রথমাংশকে যা দিয়ে সংশোধন করা হয়েছিলো একমাত্র তা দিয়েই"।
পথের মাইলফলকঃ-
এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে আমরা এই রচনায় কিছু পথ-প্রনালীর উন্মোচন করার প্রয়াস পাবো-যা আমাদের ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা কে আরো সুগম ও সফল করবে।।
আমরা মিডিয়ার নানারকম সংজ্ঞা পাই,কেউ বলছে মানুষের পারষ্পরিক যোগাযোগের মাধ্যম হল "মিডিয়া"। কারো মতে, "আকাশের আন্তজাল, মাটি ও সাগরতলের ক্যাবল জাল, এবং কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ক্ষণিকের ব্যবধানে যে যোগাযোগ সৃষ্টি করা যায় তা-ই মিডিয়া"। (Communication:page.5,France.AFAA.)
মিডিয়ার প্রকারও অনেকে অনেক রকম করেছেন, তবে সামগ্রিক দৃষ্টিতে মিডিয়া ৩ প্রকার।
ক)local বা আঞ্চলিক মিডিয়া।
খ)domestic বা আভ্যন্তরিন মিডিয়া।
গ)international বা আন্তরজাগতিক মিডিয়া।
এ উপাদানগুলো ইসলাম প্রচার ও বাতিলের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা আলোচনা করার আগে আমরা দেখবো কিভাবে সমাজমানসে পৌছা যায়।
সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হচ্ছে "সমাজসেবা"। নবী করিম (সঃ) ঠিক এ পদ্ধতিতেই মানুষের অন্তর জয় করেছিলেন...তাঁর 'আল-আমিন' উপাধি, 'হিলফুল ফুযুল' থেকে শুরু করে জীবনবসানের আগ পর্যন্ত সমস্ত করমকান্ডই ছিলো মানবতার নিমিত্তে। অথচ, আজ আমরা আলেমসমাজ সমাজসেবা থেকে অনেক দূরে, বাতিলপন্থিরা ঠিকই তাদের মতবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে সমাজসেবার নামে।কখনো দারিদ্র বিমোচনের নামে, কখনো 'বদলে যাও বদলে দাও'র নামে, কখনো 'ক্ষুদ্রঋণ'র নামে, কখনও বা 'মানবাধিকার'র নামে। কারন, মানুষ চায় তাদের সমস্যার সমাধান, দুঃখের অবসান। যারা সেই সমস্যা দূরিকরনে ভূমিকা রাখে তারাই মানুষের চোখে সম্মানের পাত্র, তাদের কথাকেই গুরুত্ব দেয়া হয় বেশি। তাই, সর্বাগ্রে আমাদেরকে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করতে হবে।
শেকড় থেকে শিখরেঃ-
এখন দেখা যাক কিভাবে মিডিয়ার আলোকে আমরা দাওয়াতের কাজে সমাজসেবাকে ব্যবহার করতে পারি।
আঞ্চলিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন দ্বীনি সমাবেশ ও বিভিন্ন দাওয়াতী কার্যক্রম। এতে আরো অভিনব প্রজ্ঞা ও কৌশল এনে দিতে পারে সুদূরপ্রসারী সাফল্য।
যখন { ﻭَﺃَﻧْﺬِﺭْ ﻋَﺸِﻴﺮَﺗَﻚَ ﺍﻟْﺄَﻗْﺮَﺑِﻴﻦَ } আয়াত নাযিল হল, নবীজি এমনি দাওয়াত দেননি, অভিনব পদ্ধতিতে দিয়েছিলেন যা ইতিহাস! এক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয় তা হল, আমাদের দাওয়াতী কাজগুলো বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, উচ্চবিত্তরা এ থেকে লাভবান হতে পারেনা,কারন তারা সাধারন জনসমাবেশে উপস্থিত হতে কুন্ঠাবোধ করে। তাই কমবেশি সিম্পোজিয়াম, বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে গোল-টেবিল বৈঠক, ধনীদের নিয়ে বিভিন্ন আসরের আয়োজন করাটাও আবশ্যক। নবী (সঃ) ও খাবারের আয়োজন করে সমাজের গণ্যমান্যদের দাওয়াত করে ইসলামের বাণী পৌঁছে দিতেন।
এছাড়াও এলাকায় এলাকায় রক্তদান কর্মসূচি, দুর্গত এলাকায় ত্রান কার্যক্রম, ছোটদের মাঝে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আওতায় ইসলামী দাওয়াতী কাজ চালিয়ে নেওয়া অনেক বেশি সাফল্যব্যঞ্জক।
শহরাঞ্চলে দেখা যায় অনেক বিলবোর্ড ভাড়া করে এনজিও গুলো তাদের চিন্তাধারা গুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। জন্মনিয়ন্ত্রনের আহবান, আধুনিকতার নামে বেলেল্লাপনার নিমন্ত্রন থেকে শুরু করে নানাবিধ অপকর্মের লিপ্সা মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও অনেক দেওয়ালে ফ্রি পত্রিকা সাটিয়ে দেয়া হয়,বাম্পন্থিরা দেওয়ালে ধর্মবিরোধী বাক্য লিখে চলেছে। আমাদেরকে এসব স্থান দখল করতে হবে। আমরা বিলবোর্ড, দেওয়ালে কুরান-হাদীসের বাণী, ইসলামী পত্রিকা দিয়ে এর মোক্ষম জবাব দিতে পারি।
বর্তমানে এরা একধাপ এগিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে নানান বিষয়ে মেসেজ পাঠাচ্ছে, ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে উদবুদ্ধ করছে তাদের বই কেনার জন্য।যুবকদের টি-শার্টে দেখা যায় বিধর্মীদের অমিয় বাণী। এসব বিষয়ে এখনি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ভবিষ্যতের জন্য আমরা দায়ী থাকবো।
এসব ক্ষেত্রে আমাদের মূল সমস্যা হল স্পন্সর। এর সমাধান হিসেবে আমরা মহল্লায় মহল্লায় কিছু নিবেদিতপ্রান সেচ্ছাসেবকদল গঠন করতে পারি যারা একাধারে সামাজিক কাজ যেমনঃ এলাকার পরিচ্ছন্নতার কাজ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, নগরীর শোভাবর্ধন সহ বহুমাত্রিক সেবায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি স্পন্সর যোগাড় করবে। বিলবোর্ড, দেওয়াল সহ বিভিন্ন যানবাহনে লিখা ধর্মীয় বানীগুলোর নিচে সৌজন্যে ঐ স্পন্সরদের নাম থাকবে ,যাতে করে তাদের বিজ্ঞাপনের কাজটাও হয়ে যায়। নবী (সঃ) বলেনঃ-
" ﻣﺎ ﺑﺎﻝ ﺃﻗﻮﺍﻡ ﻻ ﻳﻔﻘّﻬﻮﻥ ﺟﻴﺮﺍﻧﻬﻢ. ﻭﻻ ﻳﻌﻠّّﻤﻮﻧﻬﻢ ﻭﻻ ﻳﻌﻈﻮﻧﻬﻢ ﻭﻻ ﻳﺄﻣﺮﻭﻧﻬﻢ ﻭﻻ ﻳﻨﻬﻮﻧﻬﻢ ..........ﻭﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻴﻌﻠّﻤﻦّ ﺃﻗﻮﺍﻡ ﺟﻴﺮﺍﻧﻬﻢ ﻭﻳﻔﻄّﻨﻮﻧﻬﻢ ﻭ ﻳﻔﻘّﻬﻮﻥ ﺟﻴﺮﺍﻧﻬﻢ. ﻭﻳﻌﻠّّﻤﻮﻧﻬﻢ ﻭ ﻳﻌﻈﻮﻧﻬﻢ ﻭ ﻳﺄﻣﺮﻭﻧﻬﻢ ﻭ ﻳﻨﻬﻮﻧﻬﻢ .......ﺍﻭ ﻷﻋﺎﺟﻠﻨّﻬﻢ ﺑﺎﻟﻌﻘﻮﺑﺔ ﻓﻰ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ". (ﻛﻨﺰ ﺍﻟﻌﻤّﺎﻝ : ﺹ683= )
"কি হলো লোকদের, তারা তাদের প্রতিবেশিদেরকে দ্বীনের কথা শিক্ষা দেয়না, সাধারণ জ্ঞান শিক্ষা দেয়না, উপদেশ দেয়না, সৎ কাজের নির্দেশ দেয়না-অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখেনা..., আল্লাহর শপথ! ঐ লোকেরা অচিরেই জানতে পারবে যারা প্রতিবেশিদেরকে প্রজ্ঞা দান করে, দ্বীনের শিক্ষা দেয়... # এই পৃথিবীতেই তারা তাদের কাজের প্রতিদান পাবে"।
আভ্যন্তরীণ মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপাদান হচ্ছে "তাবলীগ জামাত"। আমরা যদি আমাদের এ আলোকস্তম্ভটিকে আরো বিস্তৃত পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারি কল্যাণময় সমাজ গঠন দুঃসাধ্য নয়। বিশেষত আমাদের দেশে অপরাধীরা জেলে যাওয়ার পর আরো হিংস্র ও উগ্র হয়ে ফিরে আসে, এক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে আমাদের তাবলীগ যদি কয়েদীদের জন্য কারাগারে কারাগারে মারকায গঠন করে সমাজের অপরাধ-জগত অবলুপ্ত হতে বেশি দেরী লাগবেনা।
সংবাদপত্র জগতে মাসিক পত্রিকায় আমরা অনেকটা সফল হলেও দৈনিক পত্রিকার বলয়ে আমরা একেবারেই আনাড়ি বললে ভুল হবেনা। এছাড়া রেডিও শিল্পে আমাদের পশ্চাতগামিতা জাতিকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারে। চারুকলার বিপরীতে আমরা ইসলামী ক্যালিগ্রাফীকে যথেষ্ট সার্বজনীন করে তুলতে পারিনি।
সংবাদপত্রের বিষয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, তা সত্ত্বেও আমাদের অবহেলায় অনেক সময় নষ্ট হয়েছে বলে স্বীকার করতে হয়। আল্লামা মুফতী ত্বকী উসমানী পত্রিকা ও সাংবাদিকতা নিয়ে অনেক নিয়ম-বিধি আলোচনা করেছেন। পত্রিকা পরিচালনার ক্ষেত্রে ছবি তোলা ও বিজ্ঞাপন একটি গুরু সমস্যা। এক্ষেত্রে আমরা যেকোন দৃশ্যের ছবি দূর থেকে এমনভাবে নিতে পারি যাতে ব্যাপারটা উন্মোচনও হবে শরিয়তের বাঁধাও থাকবেনা। আর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবির বদলে তাদের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যেতে পারে। মোটকথা, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আমরা অনেকসময় সামাজিক বন্ধন অটুট রাখতে ধর্মীয় কৌশল অবলম্বন করি, ইসলামের প্রচার করতে তা গ্রহণ করা কি আরো বেশি উচিত নয়? যেহেতু ইসলামই সমাজ গঠনের মূল কারিগর।
বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে আমারা কিছু বিজ্ঞাপন-কেন্দ্র সংযোজন করতে পারি পত্রিকা অফিসে, যেখানে বিজ্ঞাপন আইডিয়াবাজরা থাকবে, যারা বিজ্ঞাপন দাতাদের বিনামূল্যে অশ্লীল বিজ্ঞাপনের পরিবর্তে সুন্দর ও কল্যাণময় বিজ্ঞাপনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে। এছাড়া দেশীয় মিডিয়া ব্যবস্থায় সিনেমা-হল গুলোর বিকল্প স্বরূপ বিভিন্ন আকারের পাঠাগার, ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী, ইসলামী থিয়েটার, নভোথিয়েটার প্রত্নতাত্ত্বিক ও আকাবিরদের জীবন সম্বলিত জাদুঘর নির্মাণ করাটা সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে মালয়শিয়া কিংবা ইরান আমাদের জন্য দিশারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
দেশে বেঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে 'মানবাধিকার সংস্থা', অথচ ইসলামের যারা পুরোধা, যারা ঈমানের বাহক তারাই এর সবচেয়ে বেশি হকদার! এছাড়া একটি সার্বজনীন "ফিকাহ একাডেমী" ও সর্বজনবিদিত "হালাল পণ্য পরিক্ষাগার" নির্মাণের সময় বয়ে যাচ্ছে।
নবী করিম (সঃ) বলেছেনঃ-
"ﺇﻥّ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺑﺪﺃ ﻏﺮﻳﺒﺎً.ﻭﺳﻴﻌﻮﺩ ﻛﻤﺎ ﺑﺪا.ﻓﻄﻮﺑﻰ ﻟﻠﻐﺮﺑﺎﺀ ﻭﻫﻢ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳُﺼﻠﺤﻮﻥ ﻣﺎ ﺃﻓﺴﺪ ﺍﻟﻨﺎﺱُ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﻯ ﻣﻦ ﺳﻨّﺘﻰ "
"ইসলাম আরম্ভ হয়েছিলো অপরিচিত হিসেবে, একদিন সেটা আবারো অপরিচিত হয়ে উঠবে। তাই সেই অপরিচিত লোকদের জন্যও সুসংবাদ; তারা সেই লোক যারা আমার পরে মানব কর্তৃক নষ্ট করে ফেলা দ্বীনকে সংস্কার করবে"।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বিষয়টি অনেক দীর্ঘ,তবে সবচেয়ে জরুরী হয়ে পড়েছে ওয়েবসাইট ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এসব সুক্ষ বিষয়ে নিয়ন্ত্রন গ্রহণ করতে তাবলীগ জামাতের মতো সুনির্দিষ্ট পারদর্শী গ্রুপ নিয়ে নেমে যেতে হবে। এছাড়া 'ওআইসি'র মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন গুলোকে জাতিসঙ্ঘ এবং ন্যাটোর মতো রূপ দিলে আমাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে বলে বিশ্বাস।
এসব উল্লেখিত উপাদান ছাড়াও বিশ্ব-মিডিয়ার এমন আরো উপাদান আছে যা সচরাচর আমাদের দৃষ্টির অগোচরেই থেকে যায়... যেমন সোশাল মিডিয়া বর্তমান সময়ে প্রত্যেক নাগরিককে সাংবাদিক রূপে প্রকাশ করছে। আর তাগুতী মিডিয়াগুলোর দাপটের দিন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এ সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে। উদাসীনতা বাদ দিয়ে একই প্লাটফরমে মিলিত হয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় পার হতে চলেছে, আমাদের আরো গাফলতির শেষপ্রান্তে কাফফারা দিয়েও ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া সম্ভব হবেনা।
কবি বলেনঃ-
শুধু খেয়ালের বশে,আমাদের ভুলে
দরিয়া অথই ভ্রান্তি নিইয়াছি তুলে
আমাদের ভুলে মুসাফির দল পানির কিনারে বসি
দেখেছে সভয়ে অস্ত গিইয়াছে তাদের সিতারা-শশি।।
ইসলামী মিডিয়ার একটাই উদ্দেশ্য, সমাজমানসের পরতে পরতে নৈতিকতা ও ধর্মীয় অনুশাসন এমনভাবে বিছিয়ে দেওয়া যাতে সাধারন জনগনই অন্যায়-অশ্লিলতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে। এ মিডিয়ার লক্ষ্য দুনিয়ার প্রতিটি প্রান্তর নবীযুগের "সোনালী মদীনা"র ছাঁচে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো। একমাত্র তখনি আমরা এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারব " ﻛﻨﺘﻢ ﺧﻴﺮ ﺃﻣّﺔ ﺍُﺧﺮﺟﺖ ﻟﻠﻨﺎﺱ ...."
"তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি যাদেরকে মানুষের কল্যাণের জন্য আনা হয়েছে..."।
******************************************************
WEBSITE- http://www.preacherofislam.wordpress.com
FACEBOOK- https://m.facebook.com/profile.php?id=361674527252580
TWITTER- https://mobile.twitter.com/preacherofislam
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৩৮৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু খেয়ালের বশে,আমাদের ভুলে
দরিয়া অথই ভ্রান্তি নিইয়াছি তুলে
আমাদের ভুলে মুসাফির দল পানির কিনারে বসি
দেখেছে সভয়ে অস্ত গিইয়াছে তাদের সিতারা-শশি।।
শুধু শত্রুর ভয়ে, মুনাফিকের ছলে,
ছায়াপথ সম দুর্ভাগ্য নিইয়াছি কপালে,
আমাদের অবহেলায় মজলুম দল রক্ত-নহরে বসি,
দেখেছে সভয়ে বিশ্ব-মিডিয়া বলছে তাদের সন্ত্রাসী
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন