ইসরাঈলের এখন লেজে-গোবরে অবস্থা
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ১২:২৭:১৪ রাত
গ্রাউন্ড অপারেশনে ঈসরাঈলের 62 সেনা নিহত, ৬ মারাকাভা ট্যাংক ধ্বংস। এটা মোটা দাগের হিসাব। অন্যান্য সামরিক যান এবং হাত-পা হারানো সেনাদের সংখ্যা ও বেশ! তার
উপর আজ শাউল আরোন নামের এক সেনা আটক হয়েছে ইজ্জেদিন-আল-কাসাম ব্রিগেডের হাতে। এই সেনা আটকের ঘটনায় যুদ্ধের মধ্যে ও গাজায় যেন ঈদ নেমে এসেছিল। এই ১ সৈন্যকে দিয়ে অনেক দর কষাকষি কর যাবে, যেমন কয়েক বছর আগে এক বন্দী ইসরাঈলী সেনার মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনীরা ১০৫০ জন ফিলিস্তিনী বন্দীকে ইসরাঈলী কারাগার থেকে মুক্ত করে এনেছিল। ইসরাঈলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামাস কমান্ডো অপারেশন চালিয়েছে সেটা ইসরাঈলকে ভীষণ ভড়কে দিয়েছে।
যে একজন হামাস যোদ্ধা শহীদ হয়েছে তাঁর কাছে পাওয়া গেছে হ্যান্ডকাপ। ধারণা করা হচ্ছে হামাস এখন ইসরাঈলী সেনাদের আটক করেতে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে। ইসরাঈল মরিয়া হয়ে সর্বশক্তি দিয়ে বেপোরোয়া গোলা বর্ষণ করে নারী-শিশু হত্যা করে যাচ্ছে। কিন্তু হামাস বা অন্যান্য সামরিক গ্রুপগুলোর বিশেষ ক্ষতি করতে পারছেনা। ৩ দিনে গাজার ১ হাত যায়গা ও
ইসরাঈল দখল করতে পারেনি। গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপ বন্ধ তো হয়নি! বরং আরো বেড়েছে। ইসরাঈল আসলে গাজায় চোরা-বালিতে আটকে গেছে। এখন অপমানের বোঝা মথায় নিয়ে লেজ গুটানো ছাড়া গত্যান্তর আছে বলে মনে হয়না। বিশেষ করে ইসরাঈলের পশ্চিমা বন্ধুরা যেভাবে যুদ্ধ-বিরতির জন্য লাফ-ঝাঁপ শুরু করেছে তা দেখার মত। গাজা যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য হামাসকে অকেজো করে ফেলা যে সফল হবেনা তা পরিস্কার। তাহলেই ইসরাঈলের পরাজয় বলে বিবেচিত হবে। নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। হামাস যেভাবে অনড় থেকে ইসরাঈলকে ঘরের ভেতর ডেকে এনে মার শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে হামাস হুট করে যুদ্ধ বিরতি মানবেনা। অন্তত: আগামী বছর পাঁচেক মাইরের ঘা যেন ইসরাঈলের পিঠ থেকে না শুকায়।
২০০৬ সালে হিযবুল্লাহ্র হাতে যে ধোলায় খেয়েছে তা এখনো ঐ জারজ রাষ্ট্রটিকে ভুতের মত তাড়া করে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত লেবাননের দিকে হাত বাড়ানোর সাহস করেনি। গাজা থেকে সেই শিক্ষা নিয়ে যাবে এবার শয়তানগুলো।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তো ভাইজান, আপনি কোন গ্রহে বাস করেন?
মন্তব্য করতে লগইন করুন