ইসলামী মিডিয়াঃ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ২২ জুলাই, ২০১৪, ১২:১৯:৫৯ রাত
জাহিলিয়্যাতের দীর্ঘ রাতের অবসানের পর ইসলামের সুপ্রভাত যেদিন উদ্ভাসিত হলো, সেদিন থেকেই মানবসভ্যতা অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও যাবতীয় অবনয়ন/ অবনতিকে পেছনে ফেলে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সমুদয় উন্নতির পথে যাত্রা শুরু করল। মানুষের সাফল্যের চাকা ধীরে ধীরে ঘুরতে আরম্ভ করল। মানবসম্প্রদায় একে একে উতরে যেতে লাগলো প্রযুক্তির একেকটি ধাপ। তথ্য-বিনিময় ব্যবস্থা পরপর পায়রা, রানার, ডাকঘর, ওয়ারলেস, টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি পার হয়ে সবশেষে ইন্টারনেট-এ এসে উপনীত হয়েছে। গণযোগাযোগ মাধ্যম মিটিং, সমাবেশ, বিজ্ঞপ্তির আঙ্গিনা পেরিয়ে এখন অবতরন করেছে সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট ও ওয়েবসাইটের ছাউনিতে।নিঃসন্দেহে মানববংশের এ সমস্ত উন্নতি ও প্রগতির সূতিকাগার ছিল ইসলামী সাম্রাজ্যসমূহ, সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকপাল ছিলেন মুসলিম বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারকগণ। ইতিহাস তার জীবন্ত সাক্ষী, অতীত তথ্যভাণ্ডার তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। সভ্যতার যাত্রাপথে যোগাযোগব্যবস্থার প্রতিটি উপাদান মানবসমাজে পরিচিত ছিল ভিন্ন ভিন্ন নামে, পরে (মিডিয়া) শব্দ ও চিন্তাধারার উৎপত্তির সাথে সাথে ঐসব উপকরণগুলো সেই মিডিয়া নামক প্রতিষ্ঠানটির বলয়ে সংযুক্ত হতে শুরু করে। ফলে মিডিয়া পরিণত হয় একটি শক্তিশালি ও প্রভাবনীয় প্লাটফর্মে। সমাজমানসে তা লাভ করে ভিন্নতর এক পরিচিতি, দখল করে নেয় একটি অভূতপূর্বস্থান।
(মিডিয়া) নাম্নী এই অদম্য প্রাণীটির লাগাম যতদিন ইসলামের হাতে ছিল, ততদিন তা ছিল মানবতার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ এক অমীয় সুধা, ন্যায়ের প্রতিবিম্ব আর সত্যের ফ্রেমবন্দি কল্যাণের এক অফুরন্ত আধার। অসহায়ের ত্রাতা, নিরীহর ভ্রাতা আর মানবাধিকারের বিজয়গাঁথা। এরপর কালের আবর্তনে এর লাগাম মুসলমানদের হাত থেকে ছিটকে পাশ্চাত্যের বিষাক্ত থাবায় বন্দি হল, আর পরিণত হল অশুভ শক্তির ভয়ঙ্করদর্শী এক নারকীয় শয়তানে; যার লেলিহান শিখায় পুড়তে লাগল মানবতা, যার বিষে দংশিত হল সত্য-ন্যায়ের নধর কাঠামো, নোংরা থাবায় লুন্ঠিত হলো কল্যাণ ও সুন্দরের অমূল্য সম্পদ। মুসলিমদের দুধ-কলায় লালিত সেই সুন্দর মিডিয়া আজ পাশ্চাত্যের অপচ্ছায়ায় এক বিষাক্ত কালো সাপ, স্বয়ং ইসলামী বিশ্বই আজ যার ছোবলে আক্রান্ত। যার ভয়ঙ্কর ফণার কাছে ইন্সানিয়্যাত আজ পরযদুস্ত। পাশ্চাত্য সাপুড়েদের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে যার অবাধ বিচরন। ইউরোপিয়ান শিল্পকলায় পরিপুষ্ট সরীসৃপটি একচেটিয়া নীলবিষ ছিটিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা মানবসমাজদেহে।
কিন্তু আর নয়!এবার সময় হয়েছে ঐ কালনাগের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেবার, প্রয়োজন তীব্র হয়েছে এক ঝাঁক প্রকৃতিবান্ধব বেজীর যারা ঐ বিষাক্ত ফণা ছিন্নভিন্ন করে ছাড়বে, একদল বাস্তবসম্মত দক্ষ চিকিৎসকের বড়ই দরকার যাঁরা এই বিষাক্রান্ত মানবতাকে যথার্থ পথ্য দিয়ে আবার বাঁচিয়ে তুলবেন। ঐ ভণ্ড সাপুড়েদের সমস্ত জারিজুরি ফাঁস করে দেবেন। একজন সুপটু কারিগর চাই যিনি ঐ সাপের মমি করে রাখবেন, যাতে করে ঐ বিষাক্ত শব থেকেও যেন ক্ষতিকর জীবাণু সৃষ্টি হতে না পারে, ছড়াতে না পারে পরিবেশ দূষণকারী মারাত্মক দুর্গন্ধ, যাতে করে সেই স্টাফ করা সর্পের ধ্বংসাবশেষ দেখে প্রজন্মের পর প্রজন্ম আজীবন শিক্ষা নিতে পারে, সবাই যেন আঙ্গুল উঁচিয়ে বলতে পারে -ঐ দেখ! ওরাই মানবতার চরম শত্রু, আদম সন্তানেরা তাদের কখনোই ক্ষমা করবে না-প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবেই তাদের শেষ ঠাঁই হবে জাদুঘরে মিডিয়া নামের সোনার হরিণটি ফিরে আসবে তার প্রকৃত মালিকের কাছে।।
http://www.preacherofislam.wordpess.com
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১০৮৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন