শবে-বরাত
লিখেছেন লিখেছেন গ্রাম থেকে ০৪ জুন, ২০১৪, ১১:৩৩:২৭ সকাল
শবেবরাত ঘনিয়ে এলে ও আগের মতো মুসলিম সমাজে এই নিয়ে কোন তাড়াহুড়ো নেই,
এখন আর মানুষ শিন্নী তাবারুক নিয়ে ব্যাস্ত হয়না।
আগে এইসময় আসলে কিভাবে হুজুরকে খুশী করা যায় এই চিন্তায় বিভোর থাকতো।
কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে,
মানুষ কোরআন হাদীস পড়ে বুঝতে পারছে এর কোন ভিত্তি নেই ইসলামে।
এই সংস্কৃতি পালন করতে গিয়ে মানুষ যে কতো কষ্ট স্বীকার করতো তা ভুক্তভোগী মাত্রোই জানে।
এমন ও পরিবার দেখেছি নিজেরা খাবার খেতে পারেনা ঠিকমতো কিন্তু হুজুরকে যেকোনভাবে খাইয়েছে।
আবার অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি সারা বছরে কোন খোঁজ খবর নেই কিন্তু এই সময় এলে জিয়ারত করতে আসতো।
মনে হতো তখন আলেম উলামাদের হক, আত্মীয় স্বজনের হক এই সময়ে আদায় করে সারাবছর না করলে হবে।
আলহামদুলিল্লাহ,
সেসব দিন এখন পঁচা অতীত।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৬ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরোও দেখা যেতে পারে এখানে...
শবে বরাত ও প্রাসংগিক কিছু কথা জেনে নিন।
ভাল পোস্ট । ভাল লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া ।
এটা ঠিক এসব কুসংস্কার বিদায় নিয়েছে।কিন্তু মনে হয় কি সাথে সাথে সবে বরাতের নামাযেরও গুরুত্ব কিছুটা কমেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
(১) ............................
عن عائشة قالت: فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فخرجت، فإذا هو بالبقيع، فقال: «أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله» ، قلت: يا رسول الله، إني ظننت أنك أتيت بعض نسائك، فقال: «إن الله عز وجل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا، فيغفر لأكثر من عدد شعر غنم كلب»
আয়েশা () থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি একদা রাতে রসুলুল্লাহ () কে আমার বিছানায় পেলাম না। ফলে আমি তাকে খুজতে বের হলাম। পরে আমি তাকে বাকীতে (মদীনার কবরস্থান) পেলাম। তিনি বললেন < তুমি কি মনে করেছো আল্লাহ ও তার রসুল তোমার প্রতি অবিচার করবেন?> আমি বললাম আমি তো ধারণা করেছি আপনি কোনো এক স্ত্রীর নিকট আছেন। তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ শাবান মাসের মাঝ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং কালব গোত্রের ছাগলের সংখার চেয়েও বেশি লোককে ক্ষমা করেন।
{তিরমিযী/ أبواب الصوم/باب ما جاء في ليلة النصف من شعبان }
{ইবনে মাযা/ كتاب إقامة الصلاة والسنة فيها/ باب ما جاء في ليلة النصف من شعبان}
{মিশকাত/ كتاب الصلاة/ باب قيام شهر رمضان - الفصل الثاني}
শায়খ আলবানী বলেছেন,
ورجاله ثقات لكن حجاج وهو ابن أرطأة مدلس وقد عنعنه، وقال الترمذي " وسمعت محمد (يعني البخاري) : يضعف هذا الحديث
এই হাদীসের সকল রাবীই বিশ্বস্ত কিন্তু হাজ্জাজ ইবনে আরতা একজন মুদাল্লিস আর সে এখানে আনআন পদ্ধতিতে হাদীস বর্ণনা করেছে। তিরমিযী বলেছেন আমি ইমাম বুখারীকে এই হাদীসটি দূর্বল বলতে শুনেছি।
{সিলসিলাতুস সাহীহা/১১৪৪}
(২) ....................................
وَعَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:্রهَل تدرين مَا هَذِه اللَّيْل؟গ্ধ يَعْنِي لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ قَالَتْ: مَا فِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ:্রفِيهَا أَنْ يُكْتَبَ كلُّ مَوْلُودٍ مِنْ بَنِي آدَمَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَفِيهَا أَنْ يُكْتَبَ كُلُّ هَالِكٍ مِنْ بَنِي آدَمَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَفِيهَا تُرْفَعُ أَعْمَالُهُمْ وَفِيهَا تَنْزِلُ أَرْزَاقُهُمْ
আয়েশা () হতে বর্ণিত তিনি বলেন রসুলুল্লাহ () বলেন, তুমি কি জানো এই রাতটির কি মর্যাদা? অর্থাৎ শাবান মাসের মাঝ রাত। তিনি বললেন এতে কি আছে হে আল্লাহর রসুল? রসুলুল্লাহ () বললেন, আদম সন্তানের মধ্যে এই বছর কে জন্মাবে কে মারা যাবে এসব বিষয় এই রাতে লিপিবদ্ধ করা হয়, মানুষের আমল এই রাতে উপরে তোলা হয় এবং তাদের রিযিক আকাশ হতে অবতীর্ণ হয়।
{মিশকাত/كتاب الصلاة /باب قيام شهر رمضان - الفصل الثالث}
এই হাদীসটিকে শায়খ আলবানী দূর্বল বলেছেন।
(৩) ...................................
إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ، فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا نَهَارَهَا، فَإِنَّ اللَّهَ يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا، فَيَقُولُ: أَلَا مِنْ مُسْتَغْفِرٍ لِي فَأَغْفِرَ لَهُ أَلَا مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ أَلَا مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ أَلَا كَذَا أَلَا كَذَا، حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ
যখন শা’বান মাসের মাঝ রাত্রি আগমন করে তখন তোমরা উক্ত রাতে সলাত পড়ো আর দিনে সওম পালন করো কেননা আল্লাহ ঐ রাতে সূর্য ডোবার সাথে সাথে প্রথম আসমানে নেমে এসে বলেন কেউ কি ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করবো? কেউ কি রিযিক প্রার্থনা করবে আমি তাকে রিযিক দেবো? কেউ কি সমস্যায় আছে আমি তার সমস্যা মিটিয়ে দেবো? এভাবে ফজরের সময় সূর্য উঠার পূর্ব পর্যন্ত একের পর এক বলতে থাকেন।
{ইবনে মাযা/ كتاب إقامة الصلاة والسنة فيها/ باب ما جاء في ليلة النصف من شعبان}
এই হাদীসটির সনদ ভীষণ দূর্বল। শায়খ আলবানী বলেছেন,
وهذا إسناد مجمع على ضعفه، وهو عندي موضوع؛ لأن ابن أبي سبرة رموه بالوضع كما في " التقريب "
এই হাদীসটির সনদ দূর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকলে একমত। বরং আমার নিকট এটি জাল (موضوع) হাদীস। কেননা আবু সিবরা হাদীস জাল করতো বলে অভিযোগ আছে যেমনটি আত-তকরীব নামক কিতাবে উল্লেখ আছে।
{সিলসিলাতু আদ-দাইফা/২১৩২}
(৪) .................................
إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
নিশ্চয় আল্লাহ শা’বান মাসের মাঝ রাতে বান্দাদের দিকে দৃষ্টি দেন এবং সমস্ত সৃষ্টিকে ক্ষমা করেন শুধু মুশরিক ও অন্য মুসলিমের সাথে বিবাদে লিপ্ত ব্যক্তি ছাড়া।
{ইবনে মাযা/ كتاب إقامة الصلاة والسنة فيها/ باب ما جاء في ليلة النصف من شعبان}
{মিশকাত/ كتاب الصلاة/ باب قيام شهر رمضان - الفصل الثالث}
হাদীসটির অন্য একটি রেওয়ায়েত হলো,
يطلع الله إلى جميع خلقه ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن
এই হাদীসটির অর্থ পূর্বের হাদীসটির মতই শুধু শব্দগত কিছু পার্থক্য ছাড়া।
{তিবরানী, ইবনে হিববান, আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, সিলসিলাতুস-সাহীহা/১১৪৪}
শায়খ আলবানী সিলসিলাতুস সাহীহাতে বলেন,
حديث صحيح، روي عن جماعة من الصحابة من طرق مخةلفة يشد بعضها بعضا وهم معاذ ابن جبل وأبو ثعلبة الخشني وعبد الله بن عمرو وأبي موسى الأشعري وأبي هريرة وأبي بكر الصديق وعوف ابن مالك وعائشة
এই হাদীসটি সহীহ। এটি বহু সংখক সাহাবী হতে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত আছে যার একটি অন্যটিকে শক্ত করে। যেসব সাহাবা হতে হাদীসটি বর্ণিত আছে তারা হলেন, মুআজ ইবনে জাবাল, আবু ছা’লাবা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, আবু মুসা আল আশআরী, আবু হুরাইরা, আবু বকর আস-সিদ্দীক, আওফ ইবনে মালিক এবং আয়েশা ()।
{সিলসিলাতুস সাহীহা/১১৪৪}
وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب والصحة تثبت بأقل منها عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث، فما نقله الشيخ القاسمي رحمه الله تعالى في " إصلاح المساجد " (ص ১০৭) عن أهل التعديل والتجريح أنه ليس في فضل ليلة النصف من شعبان حديث صحيح، فليس مما ينبغي الاعتماد عليه، ولئن كان أحد منهم أطلق مثل هذا القول فإنما أوتي من قبل التسرع وعدم وسع الجهد لتتبع الطرق على هذا النحو الذي بين يديك. والله تعالى هو الموفق
মোট কথা সমস্ত সুত্র একত্রিত করলে এই হাদীসটি সহীহ হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ অবশিষ্ট থাকে না। এখানে যা কিছু শর্ত পাওয়া গেছে তার চেয়ে অনেক কম শর্তে হাদীস সহীহ হয় যতক্ষণ না তাতে ভীষণ দূর্বলতা থাকে যেমনটি এই হাদীসে নেই। শায়খ কাসেমী রহেমাহুল্লাহ ‘‘ইসলাহুল মাসাজিদ’’ নামক কিতাবে জারহ্ ও তা’দীল শাস্ত্রের ইমামদের থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শা’বান মাসের মাঝ রাতের ফজীলত সম্পর্কে কোনো সহীহ হাদীস নেই তার এ মতের উপর নির্ভর করা যাবে না। যদি কেউ সাধারনভাবে একথা বলে থাকে তবে তা এই হাদীসের সমস্ত সনদকে একত্রিত কারার মতো কষ্ট শিকার না করে তাড়াহুড়া করে রায় দেওয়ার কারণে বলেছে। যেভাবে তুমি এখানে একত্রিত দেখতে পাচ্ছ আর আল্লাহই তওফীক দাতা।
{সিলসিলাতু আস সহীহা/১১৪৪}
ومن هذا الباب ليلة النصف من شعبان فقد روى في فضلها من الأحاديث المرفوعة والآثار ما يقتضي أنها ليلة مفضلة وأن من السلف من كان يخصها بالصلاة فيها وصوم شهر شعبان قد جاءت فيه أحاديث صحيحة ومن العلماء من السلف من أهل المدينة وغيرهم من الخلف من أنكر فضلها وطعن في الأحاديث الواردة فيها كحديث إن الله يغفر فيها لأكثر من عدد شعر غنم بني كلب وقال لا فرق بينها وبين غيرها لكن الذي عليه كثير من أهل العلم أو أكثرهم من أصحابنا وغيرهم على تفضيلها وعليه يدل نص أحمد لتعدد الأحاديث الواردة فيها وما يصدق ذلك من الآثار السلفية وقد روى بعض فضائلها في المسانيد والسنن وإن كان قد وضع فيها أشياء أخر
এই অধ্যায়ের আর একটি বিষয় হলো শাবান মাসের মাঝ রাত। এ রাতের ফজীলতে বেশ কিছু মারফু হাদীস এবং আছার বর্ণিত আছে যা প্রমাণ করে যে এ রাতটি ফজীলতপূর্ণ। পূর্ববর্তীদের কেউ কেউ এ রাতে বিশেষভাবে সলাত আদায় করতেন। শাবান মাসে (সাধারনভাবে শাবান মাসে বিশেষভাবে শাবান মাসের মাঝ রাতের উদ্দেশ্যে নয় ) সওম পালন করা সম্পর্কেও বেশ কিছু সহীহ হাদীস বর্ণিত আছে। মদীনবাসী কোনো কোনো পূর্ববর্তী আলেম এবং অন্যান্য এলাকার পরবর্তী কিছু আলেম এর রাতের ফজীলত অস্বীকার করেছেন। তারা এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন যেমন যে হাদীসে বলা হয়েছে আল্লাহ কালব গোত্রের ছাগলের পশম পরিমান মানুষকে ক্ষমা করেন (এই হাদীসটি ঐ হাদীসটি নয় যেটিকে আলবানী সহীহ বলেছেন)। তারা বলেন এই রাতের সাথে অন্য রাতগুলোর কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু যে মতের উপর আমাদের মাযহাবের বা অন্যান্য মাযহাবের বহু সংখক বরং বেশিরভাগ আলেম রয়েছেন তা হলো এই রাতটি অন্যান্য রাতের উপর ফজীলত রাখে। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বাল এর স্পষ্ট কথার মাধ্যমে এটিই জানা যায়। আর যেহেতু এবিষয়ে একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং পূর্ববর্তীদের আমল সেসকল হাদীসকে সত্যায়ন করে। এই রাতের কিছু ফজীলত সুনান ও মুসনাদ গ্রন্ধ সমূহতে উল্লেখিত রয়েছে তবে এ রাত সম্পর্কে কিছু জাল হাদীসও রয়েছে।
{ইক্তিদাউস-সিরাত আল মুস্তাকীম}
اعْلَمْ أَنَّهُ قَدْ وَرَدَ فِي فَضِيلَةِ لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ عِدَّةُ أَحَادِيثَ مَجْمُوعُهَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ لَهَا أَصْلًا
জেনো নাও শাবান মাসের মাঝ রাত সম্পর্কে প্রচুর হাদীস এসেছে যা একত্রে প্রমাণ করে যে বিষয়টির শরয়ী ভিত্তি রয়েছে।
পরে তিনি একের পর এক বিভন্ন রেওয়ায়েতে উল্লেখ করে শেষে বলেন,
فَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ بِمَجْمُوعِهَا حُجَّةٌ عَلَى مَنْ زَعَمَ أَنَّهُ لَمْ يَثْبُتْ فِي فَضِيلَةِ لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ شَيْءٌ وَاَللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ
অতএব এই সমস্ত হাদীস একত্রে তার বিরুদ্ধে দলীল যে দাবী করে শাবান মাসের মাঝ রাতের ফজীলত সম্পর্কে কোনো হাদীস প্রমাণিত হয়নি আর আল্লাহই ভাল জানেন।
{তুহফাতুল আহওয়াযী}
এর পর তিনি উক্ত রাত সমুহতে পূর্ববর্তীদের কে কি আমল করতেন তা বর্ণনা করেন পরে বলেন,
قال الشافعي وانا استحب كل ما حكيت في هذه الليالي من غير ان تكون فرضا هذا آخر كلام الشافعي واستحب الشافعي والاصحاب الاحياء المذكور مع أن الحديث ضعيف لما سبق في أول الكتاب أن أحاديث الفضائل يتسامح فيها ويعمل علي وفق ضعيفها
ইমাম শাফেঈ বলেছেন, আমি এসব রাতে পূর্ববর্তীরা যা কিছু আমল করতো বলে বর্ণনা করেছি তা সবই মুস্তাহাব মনে করি ফরজ নয়। (ইমামা নাববী বলেন) ইমাম শাফেঈর কথা এই পর্যন্তই। তিনি এই রাত সমুহে আমল করা মুস্তাহাব মনে করেছেন যদিও এসব রাত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ দূর্বল কারণ আমরা পূর্বেই বলেছি ফজীলত সংক্রান্ত ব্যাপারে দূর্বল হাদীস গ্রহনযোগ্য হয় এবং দূর্বলতা সত্বেও তার উপর আমল করা হয়।
{আল মাজমু’}
الذي عليه كثير من أهل العلم أو أكثرهم من أصحابنا وغيرهم على تفضيلها وعليه يدل نص أحمد
আমাদের মাযহাবের বা অন্যান্য মাযহাবের বহুসংখক বরং বেশিরভাগ আলেমের মত হলো এই রাতের ফজীলত রয়েছে। ইমাম আহমদের স্পষ্ট কথার মাধ্যমে এটাই প্রমানিত হয়।
{ইক্তিদাউস-সিরাত আল মুস্তাকীম}
শাবান মাসের মাঝ রাতে সলাত পড়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন,
إذَا صَلَّى الْإِنْسَانُ لَيْلَةَ النِّصْفِ وَحْدَهُ أَوْ فِي جَمَاعَةٍ خَاصَّةٍ كَمَا كَانَ يَفْعَلُ طَوَائِفُ مِنْ السَّلَفِ فَهُوَ أَحْسَنُ . وَأَمَّا الِاجْتِمَاعُ فِي الْمَسَاجِدِ عَلَى صَلَاةٍ مُقَدَّرَةٍ . كَالِاجْتِمَاعِ عَلَى مِائَةِ رَكْعَةٍ بِقِرَاءَةِ أَلْفٍ : { قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ } دَائِمًا . فَهَذَا بِدْعَةٌ لَمْ يَسْتَحِبَّهَا أَحَدٌ مِنْ الْأَئِمَّةِ . وَاَللَّهُ أَعْلَمُ
যদি কেউ শাবান মাসের মাঝ রাতে একাকি সলাত আদায় করে বা ব্যাক্তিগত জামাতে সলাত আদায় করে যেমনটি একদল সালাফ করতেন তবে তা খুবই সুন্দর। আর যদি কেউ নির্দিষ্ট সংখক যেমন ১০০ রাকাত সলাত ১০০০ বার ‘‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’’ পড়ে আদায় করার জন্য মসজিদে একত্রিত হয় তবে এটা বিদআত হবে কোনো ইমাম এটা পছন্দ করেননি।
পরে তিনি আরো বলেন,
وَأَمَّا لَيْلَةُ النِّصْفِ فَقَدْ رُوِيَ فِي فَضْلِهَا أَحَادِيثُ وَآثَارٌ وَنُقِلَ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْ السَّلَفِ أَنَّهُمْ كَانُوا يُصَلُّونَ فِيهَا فَصَلَاةُ الرَّجُلِ فِيهَا وَحْدَهُ قَدْ تَقَدَّمَهُ فِيهِ سَلَفٌ وَلَهُ فِيهِ حُجَّةٌ فَلَا يُنْكَرُ مِثْلُ هَذَا
আর শাবান মাসের মাঝ রাতের ফজিলত সম্পর্কে বহু সংখক হাদীস ও আছার বর্ণিত আছে এবং একদল সালাফ হতে এমন বর্ণনা আছে যে, তারা এই রাতে সলাত আদায় করতেন। অতএব যদি কোনো ব্যাক্তি একা একা সলাত আদায় করে তবে তার পক্ষে একদল সালাফকে পাওয়া যাবে এবং তার পক্ষে দলীলও রয়েছে সুতরাং এমন বিষয়কে অপছন্দ করা যেতে পারে না।
{মাজমুআয়ে ফাতাওয়া}
ইমাম আন-নাববী বলেন,
من البدع المنكرة ما يفعل في كثير من البلدان من ايقاد القناديل الكثيرة العظيمة السرف في ليال معروفة من السنة كليلة نصف شعبان فيحصل بسبب ذلك مفاسد كثيرة منها مضاهات المجوس في الاعتناء بالنار والاكثار منها ومنها اضاعة المال في غير وجهه ومنها ما يترب على ذلك في كثير من المساجد من اجتماع لصبيان وأهل البطالة ولعبهم ورفع أصواتهم وامتهانهم المساجد وانتهاك حرمتها وحصول أوساخ فيها وغير ذلك من المفاسد التى يجب صيانة المسجد من أفرادها
বছরের কিছু বিশেষ রাতে যেমন শা’বান মাসের মাঝ রাতে বিভিন্ন এলাকাতে বড় বড় ব্যায়বহুল বাতি প্রজ্বলিত করা হয় এটা নিকৃষ্ট বিদআত সমূহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। কেননা এর মধ্যে বহু অপ্রিতীকর বিষয় রয়েছে। যথা মাজুসীদের মতো আগুনকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া, অকারণে সম্পদ ব্যায় করা। তাছাড়া এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ছোট ছেলে মেয়ে ও কুপ্রকিতির লোকেরা মসজিদে একত্রিত হয় এবং খেল তামাশা করে ও হৈ চৈ করে। এভাবে তারা মসজিদের সম্মান বিনষ্ট করে, মসজিদ নোংরা হয় ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষতিকর কাজ একত্রে ঘটে যার কোনো একটি হতেও মসজিদকে পবিত্র রাখা উচিত ছিল।
{আল-মাজমু’}
কোনো কোনো এলাকাতে হালুয়া রুটির প্রচলন আছে। এটাও ইবনে তাইমিয়ার কথার মধ্যে পড়ে। কেউ কেউ বলেন এ মাসে রসুলুল্লাহ () উহুদের যুদ্ধে আহত হন এবং তার দাত ভেঙে যায় ফলে তিনি অন্যান্য খাবারের পরিবর্তে হালুয়া রুটি খেতেন তাই এ দিনে হালুয়া রুটি খাওয়া সুন্নাত। এ কথার কোনো ভিত্তি নেই বরং উহুদের যুদ্ধ হয়েছিল শবে বারাতের প্রায় দুই মাস পর শাওয়াল মাসের ৭ তারিখ মতান্তরে ১১ তরিখ।
চার্জ না থাকায় মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
তাই আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে একটু দেরী হলো।
সবাইকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
চার্জ না থাকায় মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
তাই আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে একটু দেরী হলো।
সবাইকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এবং বন্ধ হয়ে যাবে আশা করছি।
ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন