মাক্কি জিবনে কেন জিহাদ করা হয় নি? ?
লিখেছেন লিখেছেন লুঙ্গি পাগলা ২৫ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:২২:২৭ রাত
অনেক ভাইকেই দেখা যায় আমাদের
নবী (স) এর মক্কার প্রথম
জিবনকে কেন্দ্র করে অধিক
বিভান্তি ছড়ান ।তাদের
মতে আমাদের নবীকরীম (স) যেহেতু
মক্কা জীবনে অনেক অত্যাচার
সয়েছেন ।অনেক সাহাবিদের
কে অত্যাচার করা হয়েছে কিন্তু
নবীকরীম (স) কখনো কোন প্রতিবাদ
করেন নি ! যার ফলে তারাও
অত্যাচার স ইবে কিন্তু প্রতিবাদ
করবে না ।আসলে এগুলো জিহাদ
থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবার
বাহানা ছাড়া কিছুই নয় ।
তারা ভুলে যায় যে মক্কার জীবন
ছিল ইসলামের প্রাথমিক সময়কাল ।
তখনও দ্বীন পরিপূর্ণ ভাবে নাযিল হয়
নি । যার ফলে তখনকার বিধান ছিল
ধৈর্য্য ধারন করে আল্লাহর
সন্তুষ্ঠি অর্জন করা ।সেই সময়
ধৈর্য্যধারন করাই ছিল পরিক্ষা ।কিন্তু
পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ইসলাম
পরিপূর্ণ হতে থাকে এবং জিহাদের
বিধান নাযিল হয় । প্রকৃত
পক্ষে জিহাদের বিধানের
সাথে মদ্যপানের বিধানের
তুলনা করা মদ্যপানকে যেমন
প্রথমে অনুসাহিত
করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাকে হারাম
করা হয়েছে ।জিহাদের ক্ষেত্রেও
প্রথমে শুধুমাত্র অনুমতি প্রদান
করা হয়েছে ।আল্লাহ সুবহানু
তায়ালা বলেন
"যুদ্ধের
অনুমুতি দেয়া হলো তাদেরকে যাদের
উপর আক্রমন করা হচ্ছে এজন্য যে ,
তাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে ।"-
[২২;৪০]
দ্বীতীয় স্তরে আল্লাহ সুবহানু
তায়ালা আত্তরক্ষা মূলক জিহাদের
আদেশ দান করেছেন ।আল্লাহ সুবহানু
তায়ালা বলেন
"আর যুদ্ধ কর আল্লাহর রাস্তায় তাদের
বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে তোমাদের
সাথে । অবশ্য
কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না ।
নিশ্চই আল্লাহ সীমালঙ্গন কারীদের
পছন্দ করে না ।"-[২:১৯০]
তৃতীয় পর্যায়: আল্লাহ সুবহানু
তায়ালা এ পর্যায়ে আমাদেরক এ
তার দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে , তার
দ্বীনকে সমুন্যত রাখতে ,তার
বান্দাদের নিরাত্তার জন্য
জিহাদকে আমাদের জন্য ফরয
করে দিয়েছেন । আল্লাহ সুবহানু
তায়ালা বলেন
"আর তোমরা যুদ্ধ করো ঐ সব লোকের
বিরুদ্ধে যারা আল্লাহর প্রতি ও
পরকালের প্রতি ইমান রাখে না ,
আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম
করে দিয়েছেন তা হারাম
করে না এবং গ্রহন করে না সর্ত ধর্ম .
যতক্ষন না করজোড়ে তার
জিজিয়া প্রদান করে ।"-[৯:২৯]
তিনি আরো বলেন
"আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কর যতক্ষন
না ফিতনার অবসান হয় এবং দ্বীন
পূর্ণরুপে আল্লাহর হয়ে যায় ।"-[৮:৩৯]
এছাড়া আল্লাহ সুবহানু
তায়ালা আমাদের মজলুম ভাই
বোনদের মুক্তির জন্য ,তাদের কাফের
জালীম দের কবল থেকে মুক্তির জন্য
জিহাদকে ফরয করে দিয়েছেন ।
"আর তোমাদের কি হলো যে ,
তোমরা আল্লাহর রাহে যুদ্ধ
করছো না দুর্বল সেই পুরুষ .নারী ও
শীশুদের
পক্ষে যারা বলে হে আমাদের রব !
আমাদেরকে এই জালিম অধ্যূষিত জনপদ
থেকে নিস্কৃতি দান করুক । অর তোমার
পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অভিভাবক
নির্ধায়ন করে দাও এবং তোমার পক্ষ
থেকে আমাদের জন্য
সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও ।"-
[৪:৭৫]
বিষয়: বিবিধ
১৫১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন