ইসলাম কি শুধু আত্ত্বরক্ষা মূলক জিহাদের অনুমতি দেয় ???-#1

লিখেছেন লিখেছেন লুঙ্গি পাগলা ১৮ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:২৮:২২ রাত



আমাদের সমাজের বেশীর ভাগ

মুসলীমই মনে করে থাকেন ইসলামী শুধু

আত্ত্বরক্ষা মূলক জিহাদের

অনুমতী আছে । এর

বাইরে যারা আল্লাহর

জমীনে কাফিরদের

বিপক্ষে লড়ছে (আল-

কায়দা ,তালেবান) তারা সবাই

খারেজী !!আসুন দেখি এ

সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ??

=>"তোমরা যুদ্ধ কর ঐসকল লোকদের

বিরুদ্ধে ,যারা আল্লাহর প্রতি ও

পরকালের প্রতি ঈমান রাখেনা ,

আল্লাহ ও রাসূল যা হারাম

করে দিয়েছেন তা হারাম

করে না এবং গ্রহন করে না সত্য ধর্ম ,

যতক্ষন

না তারা করজোড়ে তারা জিজিয়া প্রদান

করে । "[৯ :২৯ ]

উক্ত আয়াদের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানু

তায়ালা কাফিরদের সাথে যুদ্ধ

করার নির্দেশ দিয়েছেন ।আল্লাহ

সুবহানু তায়ালা কাফিরদের

ব্যাপারে বিধান দিয়েছেন যে নয়

তারা ইসলাম গ্রহন

করে শান্তিতে থাকবেন

অথবা জিজিয়া কর প্রদান

করে মুসলীমদের অধীনে থাকবেন ।

অন্যথায় তাদের উপর জিহাদের হুকুম

রয়েছে ।নবীজী (স) কাফিরদের

ব্যাপারে বলেছেন প্রথমে তাদের

ইমান আনার জন্য ডাক

যদি তারা তা করে তবে তারা আমাদের

হয়ে যাবে আমাদের মত

মর্যাদা পাবে । যদি তা অস্বিকার

করে তবে তাদের জিজিয়া কর

দিতে বল ।

যদি তা করে তবে তারা তাদের

জান ও মালের নিরাপত্বা পাবে ।

আর যদি তাও অস্বিকার

করে তবে বিসমিল্লাহ বলে শুরু

করে দাও ।

=>"আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর

যতক্ষন না ফিতনার অবসান হয়

এবং দ্বীন পূর্ণরুপে আল্লাহর হয়ে যায়

।"[৮ :৩৯ ]

আল্লাহ সুবহানু

তায়ালা আমাদেরকে ফিতনা অবসান

ও আল্লাহর জমীনে আল্লাহর বিধান

প্রতিষ্ঠায় জিহাদের হুকুমুত

দিয়েছেন ।

ইবনে উমার (রাHappy

ফিতনা সম্পর্কে বলেন:

"তোমরা কি জান

ফিতনা কাকে বলে ? নবী (সাHappy এ সময়

মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করতেন সে সময়

মুশরিকদের সাথে থাকা ও বসবাস

ছিল ফিতনা ।আর তোমাদের যুদ্ধ

তো শুধু ক্ষমতা আর নেতৃত্বের লোভেই

চলছে ।"(ফাতহুল বারী ৮/১৬০)

যাহহাক (রাহHappy বলেন যে এ আয়াত

সম্পর্কে ইবন আব্বাস (রাHappy বলেন :

"তাদের সাথে যুদ্ধ কর যতক্ষন

না শিরকের অবসান হয়

।"[তাবারী ১৩\৫৩৫]

এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাস (রাHappy

আরো বলেন , এর অর্থ

হচ্ছে যাতে আল্লাহর একত্ববাদের

ব্যাপারে লোকজন নিবিঘ্নে আমল

করতে পারে ।

মুহাম্মদ ইবনে ইসহক (রহHappy

বিষয়ে মন্ত্রব্য করেন যে , এর অর্ত

হচ্ছে শীরক্ বিহীন তাওহীদের আমল

এবং এর বীপরীত সমস্ত বাতিলের

প্রতিরোধ ।(ইবনে হিশাম ২/৩২৭)

বিষয়: বিবিধ

১১২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File