লুঙ্গি পাগলা ও ডারু'দা
লিখেছেন লিখেছেন লুঙ্গি পাগলা ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:১১:০৮ সন্ধ্যা
ইহা বহুকাল পূর্বের ঘটনা । তখন লুঙ্গি পাগলা পেলাগোছা নামক একখানা নির্জণ দ্বীপে বসবাস করিত । বড়ই আজিব ছিল সেই দ্বীপ সেই দ্বীপে লুঙ্গি পাগলা ব্যাতিত আর কোন মনুষ্য বসবাস করিত না । একদা লুঙ্গি পাগলা দ্বীপের পাশ দিয়া হাটিতেছিল ।হঠাত্ সে একখান ভাঙ্গা নৌকা দেখিতে পাইলো সে অবাক হইয়া তাহার কাছে গিয়া দেখিলো একখানা লোক তাহার পাটাতনের উপর গালে হাত দিয়া বসিয়া রইয়াছে ।লুঙ্গি পাগলা তো অবাক এই মনুষ্যহীন দ্বীপে হঠাত্ এর আগমনের হেতু জানতে চাহিয়া যেই না তাহাকে ডাকিলো লোকটি অমনি ফুপিয়া কাদিয়া উঠিল । লুঙ্গি পাগলা অনেক কষ্ট করিয়া তাহার কান্না থামাইয়া জানিতে পারিলো তাহার নাম ডারুদা ।সে একদা বিক্ষেত বিজ্ঞানী ছিল ।তাহার ম্যালা সম্পদ ছিলো । কিন্তু বিধির
বাম সে প্রেম
করিয়া বিবাহ করিল ।কিন্তু বিধির
বাম সে প্রেম
করিয়া বিবাহ করিল ।
তাহার থেকে তাহার
বউ এর গহনা আর
শাড়ি সাপ্লাই
দিতে দিতে সে পথের
ভিখারিতে পরিনত
হইয়াছে । সেই
দুঃখে এখন
সে জঙ্গলে চলিয়া আসিয়াছে ।
লুঙ্গি পাগলা তাহাকে সান্তনা দিয়া জঙ্গলের
ভেতরে নিয়া গেল ।বেশ
ভাল
কাটিতে লাগিলো তাহাদের
দিনকাল । হঠাত্
একদিন ডারুদা লক্ষ
করিলো ঐ জঙ্গলে দু
পা দুই হাত ওয়ালা এক
আজিব পরিবার বাস
করে ।
ডারুদা জিজ্ঞাসিল
ইহা কি লুঙ্গি পাগলা বলিল
ইহার নাম বান্দর ।
ডারুদা আরো অবাক
হইয়া দেখিলো উক্ত
পরিবারের স্ত্রীর
কোন চাহিদা নাই ।
শাড়ি গহনা কোন
কিছুই দ চাহেন না । এই
দেখিয়া তিনি ঐ
বান্দনীর প্রেমে পতিত
হইলেন ।
তিনি তাহাকে পাবার
জন্য পাগল প্রায়
হইয়া গেলেন ।
তিনি বান্দরনীকে তাহার
মনের কথা বলিলেন ।
বলিলেন
তিনি তাহাকে বিবাহ
করিতে চান । কিন্তু
বান্দরনী সাথে সাথে তাহাকে রিফিজ
করিয়া দিল
বান্দরনী তাহাকে বলিল
তুমি মনুষ্য আর
আমি বান্দর আমাদের
মিলন হইতে পারে না ।
তখন
ডারুদা তাহাকে পাবার
জন্য বলিল
কে বলিয়াছে বান্দর
আর মনুষ্য
আলাদা তুমি কি জান
বান্দর আর মনুষ্য
একই জাত
হইতে আগত !
ইহা শোনার পর
বান্দরনী আর
তাহাকে ফিরাইয়া দিতে পারিলো না ।
আর এভাবেই
পৃথিবী পাইলো এক
নতুন প্রেম সূত্র । যে সূত্র আবিস্কারের পর বান্দর এবং মনুষ্য বংশের মিলনের মধ্যে কোন বাধা রহিলোনা ।
বিষয়: বিবিধ
১১১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন