বাক-স্বাধীনতা আজ বিলুপ্তের পথে
লিখেছেন লিখেছেন অধিকার ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৩৩:৩৫ সকাল
আমরা বড় গলাই কথা বলতে অভ্যস্থ, আমরা মানুষের অধিকারের কথা বলি, নারী উন্নয়নের গান করি, “জাতীয় শিশু উন্নয়ন দিবস” পালন করি,গরীব-দুস্তদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করি, করি মানুষের ধারে ধারে প্রতিজনের দোয়ারে-অন্দরে মূসাফাহা-মূয়ানাকা নির্বাচনের ঠিক পূর্বলগ্নে।
তবে বড় আশ্চর্য লাগে যে, “বাক-স্বাধীনতা” বা কথা বলার অধিকার বলতে আজকাল তাঁর নুন্যতম খোঁজটিও আমাদের Secular-বস্তুবাদি সমাজে মিলেনা!
প্রশ্ন: কিন্তু কেন? কেনইবা এমনটা হয়ে যাছ্চে আমাদের কৃস্টি, সমাজ, জাতি, ও দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্বটি পর্যন্ত? এটাই কী জাতির জন্য বড় এক দুঃখ বেদনা,ও হতাশার বিষয় নই? অথচ আমরা স্বধীনতা লাভ করেছি আজ থেকে প্রায় চল্লিশ (৪২) বছর আগে,কিন্তু এখনো আমরা একই পরাধীনতার গ্লানিতে নিমজ্জিত, যা স্বাধীনতার পূর্বেও ছিল আমাদের গলায় ঝুলন্ত!
স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে মূলত আমরা দেশ ও অঞ্চলগত বিভক্তি বা বিভাজনটিই পেয়েছি, তার থেকে কিয়ৎ পরিমাণও কিছু অর্জিত হয়নি।
আজকাল এক দিকে মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের বিচার চলছে, অন্য দিকে মানবাধিকার সংস্থার কর্মীদেরও সত্য বলার দরুনে (রমজানের পূর্ণ এক মাস সিয়াম কায়েম পেরিয়ে) বিশাল আনন্দের এক পূর্বমূহুর্তে ঈদের দিন রাতে, নৈশে অনাক্ষাংকিতভাবে সরকারি হায়েনা বাহিনী (অসৎ পুলিশ) এর হাতে সোপর্দিত হছ্চে।
উদাহরণসরুপ স্বরণ করতে পারি সবে মাএ ঘটে যাওয়া মানবাধিকার
সংগঠক ও অধিকার সম্পাদক “মোহাম্মাদ আদিলুর রহমান খান শুভ্র” এর সাথে সরকারের প্রহসনমূলক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত গ্রেফতারের করুন দৃশ্যটি।
“গেল রমজানের শেষে ঈদুল ফিতরের প্রথম দিবায় জুমাবার মানবধিকার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করেছে, শনিবার রাত (১০) টার দিকে তাকে গুলশান (১১৭) রোডের (৩৫) বাড়ির (৪) তলায় অবস্থিত অধিকারের কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অধিকার ও ডিবি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
ফ্যাক্ট ফাউন্ডিং অফিসার মোঃ আজম বলেন, রাত (১০) টার দিকে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। তবে কি কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।” -(http://www.anews24.net)।
একবার ভেবে দেখুন যে, আদিলুর রহমানের ন্যায় কেন একজন মানবাধিকার কর্মীকে এই ভাবে কোন রকমের ওয়ারেন্টি বা পূর্ববার্তা ছাড়া গ্রেফতার করা হল?
আমার মনে হয় এটা একটি মানুষের বাক-স্বাধীনতার উপর পরিপূর্ণ সরকারিও ক্ষমতাসীন দলের নিজস্ব এবং বে-আইনী হস্তক্ষেপ।
এটাওতো আবার মানবতা বিরোধী কার্যের সামীল, তাহলে এটারও বিচার হওয়া চাই!
নাকি "মানবতা ও মানবতাবিরোধী" এই দুয়ের সজ্ঞাও পরিবর্তন করতে হবে যেভাবে নিজেদের স্বার্থে কোন প্রকার জনমত ছাড়াই সংবিধানকে পরিবর্তন করে তাতে আনা হল পঞ্চদশ-(১৫তম) সংসোধনী!
তাহলে এত কিছু না করে মহা রবের মহা বাণি "আল-কোরান" নামের জীবন পরিচালিকা বা আল্লাহ প্রদত্ত সংবিধানটিই হোক আমাদের জীবনের একমাএ আলোকবর্তিকা-দিশারী?
যারা আমার ছোট্য এই প্রয়াসের সাথে একমত পোষণ করেন তারা কোনভাবেই দেরি না করে চটপট একটা লাইক-Like দিয়ে দিন, আর যারা না; দয়া করে কেন তা ব্যক্ত করুন।
আল্লাহ সবাইকে নিজ নিজ ঈমানী দায়িত্ব পালন করে তাঁর রেদা-সন্তুষ্ঠি অর্জনের তাওফিক দান করুন, এবং প্রত্যেকের মধ্যে নিজ মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা লালণের গুরুত্ব তৈরি করে দিন। (আমীন সুম্মা আমীন)।
বিষয়: বিবিধ
৯৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন