পাকিস্তান ভেঙ্গে ভারতের সেবা দাস বানানোর ফসল....!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাধারী ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:৩৩:৩৪ সকাল

২০১০ সাল পর্যন্ত বর্ডারে বিএসএফএর হত্যাযজ্ঞে প্রান দিয়েছে ১০০৬ জন বাংলাদেশী। নিহতে কেউই বিচার পায়নি। সত্যি বলতে কেউ প্রতিবাদই করেনি কেউ।

২০১১, ৭ জানুয়ারী ধর্ষনের পর হত্যা করে পৈশাচিক কায়দায় কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখে কিশোরী ফেলানীর লাশ। এই পৈশাচিকতা দেখার পরই জেগে উঠে তরুন সমাজ। প্রথমবারের মত বর্ডারে বিএসএফের সন্ত্রাসের প্রতিবাদ মানববন্ধন।

চারদিকে প্রতিবাদের ঝড়ে বিব্রত ইন্ডিয়ার হাই কমিশনার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ঘোষনা দেয় এখন থেকে বিএসএফের রাবার বুলেট ব্যাবহার করবে। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রায় একই স্বরে- ফেলানী বাংলাদেশের নাগরিক না। ফেলানী হত্যার মত তুচ্ছ ঘটনায় বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কে অবনতি হবে না।

এরপরও কেন ভারত এ হত্যার বিচারের আয়োজন করল?

কারন যখনই বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত নিয়ে কথা হয় ফেলানী সামনে এসে যায়। দেশী ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ফেলানী বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফের সাদা সন্ত্রাসের বিপরীতে একটি কাল তিল হয়ে উঠে ছিল। এ কাল তিল মুছতেই বিচার নামক তামাশা আয়োজন করা হয়েছিল। যেহেতু পাচাটারা এখনো এ দেশের ক্ষমতায় তাই দায় মুক্তি খুব কঠিন কিছু ছিল না। হলও তাই, সন্ত্রাসী সংস্থা বিএসএফ এখন কিশোরী ফেলানীর ধর্ষন ও হত্যা থেকে দায় মুক্ত।

এখন পর্যন্ত (পররাষ্ট্র মন্ত্রী) ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।

হাজার চেষ্টা করেও এ তিল মুছা যাবে না। যত দিন পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশীরা থাকবে ততদিন ফেলানী বেচে থাকবে। ফেলানী কোন মানুষ না ফেলানী ইতিহাস। ফেলানী বিএসএফের সাদা সন্ত্রাসের ইতিহাস।

বিষয়: বিবিধ

১১৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File