samabaay / samabay / samity bidhimala , 2004 সমবায় সমিতি বিধিমালা। ২০০৪ [ বিধি ৪ হতে বিধি ১২]

লিখেছেন লিখেছেন নবীউল এর ব্লগ ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৭:১৬:৫৬ সন্ধ্যা

samabaay / samabay / samity bidhimala , 2004

chapter 2 & chapter 3

দ্বিতীয় অধ্যায়

সমবায় অধিদপ্তর

৪। সমবায় অধিদপ্তরের শাখা কার্যালয়।-- প্রশাসনিক বিভাগ, জেলা ও উপজেলা বা থানায় অবস্থিত সমবায় দপ্তর এবং বাংলাদেশ সমবায় একাডেমী ও আঞ্চলিক সমবায় ইনষ্টিটিউট অধিদপ্তরের শাখা কার্যালয় হইবে।

তৃতীয় অধ্যায়

নিবন্ধন

৫। নিবন্ধনের জন্য আবেদন।-- (১) প্রাথমিক সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য ফরম ১ এবং কেন্দ্রীয় ও জাতীয় সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য ফরম ২ অনুযায়ী আবেদনপত্র প্রস্তাবিত উপ আইনের ৩(তিন) কপিসহ নিবন্ধকের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

(২) আবেদনপত্রের সাথে সরকারী কর্মসূচীর আওতায় বিত্তহীন, ভূমিহীন এবং আশ্রয়হীনদের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে গঠিত প্রাথমিক সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকার ট্রেজারী চালান, অন্যান্য প্রাথমিক সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য ৩০০(তিন শত) টাকার ট্রেজারী চালান কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য ১,০০০ (এক হাজার) টাকার ট্রেজারী চালান এবং জাতীয় সমবায় সমিতির নিবন্ধনের জন্য ৫,০০০( পাঁচ হাজার) টাকার ট্রেজারী চালান আবেদনপত্রের সহিত জমা দিতে হইবে।

(৩) দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় বা সরকারী কর্মসূচীর আওতায় গঠিত প্রাথমিক সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ৩,০০০ (তিন হাজার) টাকা, ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি ব্যতীত অন্যান্য প্রাথমিক সমিতি নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা, ক্রেডিট কো অপারেটিভ সোসাইটি নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ১,০০,০০,০০০(এক কোটি) টাকা এবং কেন্দ্রীয় সমিতি ও জাতীয় সমিতি নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ১,০০,০০০(এক লক্ষ) টাকা পরিশোধিত শেয়ার মূলধন থাকিতে হইবে।

(৪) প্রস্তাবিত সমবায় সমিতি পরিচালনার জন্য পরবর্তী ২(দুই) সমবায় বর্ষের আয়-ব্যয়ের বিবরন সম্বলিত একটি বাজেট প্রাক্কলন আবেদন পত্রের সঙ্গে দাখিল করিতে হইবে ।

(৫) পেশা ভিত্তিক কিংবা বিশেষ কোন শ্রেণির সমবায় সমিতির নিবন্ধনের পুর্বে নিবন্ধক কর্তৃক নির্বাহী আদেশ দ্বারা চাহিত অন্য যে কোন তথ্যাদি আবেদনপত্রের সহিত সংযুক্ত করিতে হইবে।

(৬) উপ-বিধি(১) হইতে (৫) এ যাহাই কিছুই থাকুক না কেন-

(ক) গৃহায়ণ সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্রের সহিত-

(অ) একজন অনুমোদিত পুর প্রকৌশলী অথবা স্থপতি কর্তৃক যথাযথভাবে প্রণীত প্রকল্পের নক্সা এবং প্রাক্কলন দাখিল করিতে হইবে;

(আ) সমিতির প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ১০% সদস্যগণের নিকট হইতে সংগ্রহ করিয়া বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক কিংবা অন্য যে কোন তফসিলী ব্যাংকে প্রস্তাবিত সমিতির নামীয় হিসাবে জমা রাখিতে হইবে; এবং অবশিষ্ট ৯০% অর্থ কিভাবে কোথা হইতে সংগ্রহ করা হইবে, তাহা আবেদনপত্রে উল্লেখ করিতে হইবে;

(ই) উক্ত সমিতির উপ-আইনে এই মর্মে বিধান থাকিতে হইবে যে, উহার কোন সদস্যকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার জন্য ৫(পাঁচ) কাঠা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৭(সাত) কাঠার অতিরিক্ত জমি বরাদ্দ প্রদান করা হইবে না।

(খ) কো-অপারেটিভ ক্রডিট সোসাইটি নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্রের সহিত উক্ত সোসাইটি পরিশোধিত মূলধনের উৎস সহ আবেদনকারী সদস্যদের হাল নাগাদ আয়কর পরিশোধের সনদপত্র দাখিল করিতে হইবে এবং পরিশোধিত শেয়ার মূলধনের কমপক্ষে ৫% অর্থ স্থায়ী আমানত হিসাবে নিবন্ধকের অনুকূলে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক কিংবা অন্য যে কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।

(গ) কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ ছাড়পত্র আবেদনপত্রের সহিত দাখিল করিতে হইবে।

৬। নিবন্ধক কর্তৃক সমিতির নিবন্ধন এবং প্রত্যাখান।- (১) নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক প্রস্তাবিত সমিতির উপ আইনে নিম্নবর্ণিত তথ্যসমূহ সম্পর্কে নিশ্চিত হইবেন, যথাঃ-

(ক) নিবন্ধনের আবেদন সমবায় আইন ও বিধিমালার সহিত সঙ্গতিপূর্ণ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না;

(খ) সমিতির উদ্দেশ্য সাধনকল্পে উক্ত উপ আইন উপযোগী ও কার্যকর কি না এবং

(গ) উক্ত উপ আইন নিরাপদ ও নিরাপত্তার সহিত সমিতির ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিশ্চয়তা প্রদান করে কি না।

(২) উপ বিধি(১) বর্ণিত বিষয়ে নিবন্ধক নিশ্চিত হইলে আবেদন প্রাপ্তির ৬০ (যাট) দিনের মধ্যে তিনি নিবন্ধন সনদ(ফরম ৩) ইস্যু

করিবেন এবং উক্ত সমিতির উপ-আইনের ৩ (তিন) কপি যথাযথভাবে অফিসিয়াল সীলমোহর করিয়া উহার ১ (এক) কপি তাহার

কার্যালয়ে সংরক্ষণ করিবেন এবং অপর ২(দুই) কপি নিবন্ধন সনদের সহিত উক্ত সমবায় সমিতিতে প্রেরণ করিবেন।

(৩) নিবন্ধনের আবেদন প্রাপ্তির সর্বোচ্চ ৬০ (যাট) দিনের মধ্যে নিবন্ধন সনদ ইস্যু করা না হইলে নিবন্ধক উহার কারণ উল্লেখ পূর্বক তাহার সিদ্ধান্ত আবেদনকারীর নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত সময়ের মধ্যে কারণ উল্লেখ পূর্বক সিদ্ধান্ত প্রেরণ করা না হইলে প্রস্তাবিত সমবায় সমিতি নিবন্ধিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে নিবন্ধক আবশ্যিকভাবে উক্ত ৬০(যাট) দিন অতিবাহিত হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) দিনের মধ্যে নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিয়া উহা আবেদনকারী সমিতি বরাবর প্রেরণ করিবেন, অন্যথ্যয় নিবন্ধন প্রত্যাশী সমিতির আবেদনক্রমে নিবন্ধকের পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন নথিটি তলব করিয়া বিধিমালা অনুযায়ী উক্ত সমিতি নিবন্ধনযোগ্য হইলে তিনি পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিবেন অথবা উপযুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক লিখিতভাবে আবেদন প্রত্যাখান করিবেন।

৭। সমবায় সমিতির বিভক্তিকরণ ও একত্রীকরণ।- (১) কোন সমবায় সমিতি উহার সদস্যগণকে অন্যূনপক্ষে ১৫ (পনের) দিন পূর্বে নোটিশ প্রদানপূর্বক বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিয়া কার্যবিবরণীর, অতঃপর প্রাথমিক কার্যবিবরণী বলিয়া উল্লিখিত, মাধ্যমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে, যথাঃ

(ক) সমিতিকে দুই বা ততোধিক সমিতিতে বিভক্তিকরণ; অথবা

(খ) দুই বা ততোধিক সমিতিকে একত্রীকরণ করিয়া একটি সমিতিতে রূপান্তর করা।

(২) কোন সমিতিকে বিভক্তিকরণের জন্য উপ-বিধি (১) অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে বিভক্তিকরণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ উক্ত সভার কার্যবিবরণীতে নিম্নবর্ণিত তথ্য অন্তর্ভূক্ত থাকিতে হইবে, যথাঃ

(ক) সম্পদ ও দায়-দেনা;

(খ) কর্ম এলাকা; এবং

(গ) সদস্যগণের তালিকা।

(৩) কোন সমিতির সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে সভা অনুষ্ঠানের তারিখ হইতে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে সভার কার্যবিবরণী সমিতির সকল সদস্য এবং পাওনাদারগণের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(৪) উপ-বিধি (৩) অনুসারে কার্যবিবরণী প্রেরণের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে -

(ক) দেনাদার বা জামিনদার নহেন এমন কোন সদস্য লিখিতভাবে নতুন সমিতির সদস্য হইবার ইচছা প্রকাশ করিতে পারিবেন; এবং

(খ) সমিতির কোন পাওনাদার তাহার পাওনা পরিশোধের দাবী করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-বিধি (৩) এর অধীন কার্যবিবরণী প্রেরণের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিন অতিবাহিত হইবার পর, সমিতির সদস্যগণকে অন্যূনপক্ষে ১৫(পনের) দিন সময় প্রদান করিয়া নোটিশপূর্বক সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিয়া এবং উক্তরূপ বিশেষ সাধারণ সভায় যেই সকল সমিতি একত্রীকরণের প্রস্তাব কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভূক্ত হইয়াছে, সেইসকল সমিতির সকল সদস্যকেও উপস্থিত হইবার জন্য নোটিশ প্রদান করিতে হইবে।

(৬) উক্ত সভায় উপস্থিত সদস্যগনের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থনে উক্ত সভায় নি¤েœাক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে, যথাঃ-

(ক) পাওনা পরিশোধের দাবীদারদের দাবী নিম্পওিকরণ, অথবা উহা পরিশোধের জন্য সভায় সময়সীমা নির্ধারণ অথবা সমিতিসমূহের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিবন্ধক কর্তৃক ধার্যকৃত সময়সীমার মধ্যে দাবী পরিশোধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

(৭) সমিতিসমূহের সদস্যগণ তাহাদের শেয়ার বাবদ প্রাপ্য অর্থ এবং পাওনাদারগণের দাবী যথাযথভাবে পরিশোধ করিয়া আবেদন করিলে নিবন্ধক নতুন সমিতি গঠনের অনুমতি প্রদান এবং উহার উপ-আইন নিবন্ধন করিবেন;

(৮) নিবন্ধক উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া নিবন্ধন প্রত্যাখান করিতে পারিবেন এবং নিবন্ধক কর্তৃক নতুন সমিতি নিবন্ধিত হইলে একত্রীভূত পুরাতন সমিতিসমূহের নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হিসাবে গন্য হইবে ।

(৯) উপ-বিধি (১) হইতে উপ-বিধি (৮) এ যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন সরকার বা নিবন্ধক জনস্বার্থে তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ও সময়ের মধ্যে যে কোন সমবায় সমিতিকে একাধিক সমবায় সমিতিতে বিভক্তকরণ কিংবা একাধিক সমবায় সমিতিকে একটি সমিতিতে একত্রীকরনের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

৮। উপ-আইন প্রণয়ন।- (১) প্রত্যেক সমবায় সমিতির উপ-আইনে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভূক্ত থাকিবে, যথাঃ

(ক) সমিতির নাম ও ঠিকানা;

(খ) সমিতির সদস্য নির্বাচনী এলাকা;

(গ) সমিতির কর্ম এলাকা;

(ঘ) সমিতি গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য;

(ঙ) সমিতির সদস্যপদের যোগত্যা ও সদস্য ভূক্তির শর্ত;

(চ) সমিতির সদস্যগণের অধিকার ও দায়বদ্ধতা;

(ছ) সমিতির মূলধন সৃষ্টির উপায় বা পদ্ধতি;

(জ) সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব ও ক্ষমতা এবং কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ পদ্ধতি;

(ঝ) সমিতির সভা আহ্বান ও পরিচালনা এবং ভোটদান পদ্ধতি;

(ঞ) সমিতি পরিচালনা ও ব্যবসার সাধারণ নিয়মাবলী;

(ট) মুনাফার বিলিবন্টন;

(ঠ) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন পদ্ধতি ও দায়িত্বভার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া।

(ড) সমিতির সদস্যপদ প্রত্যাহার, সদস্য বহিস্কার ও অপসারণ এবং সদস্যগণের পাওনা পরিশোধের পদ্ধতি;

(ঢ) সমিতির কোন সদস্যের শেয়ার অথবা স্বার্থ হস্তান্তর;

(ণ) সমিতির সাধারণ সভা আহ্বান পদ্ধতি এবং উক্ত সভার কর্মপরিধি ও ক্ষমতা;

(ত) সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণের দায়িত্ব ও ক্ষমতা;

(থ) সমিতির পক্ষে দলিলাদি স্বাক্ষর করিবার জন্য কর্মকর্তাকে ক্ষমতা অর্পণ;

(দ) সমিতির সদস্যগণ কর্তৃক সমিতির খাতা-পত্র পরিদর্শন; এবং উহার প্রত্যায়িত অনুলিপি সরবরাহ;

(ধ) সমিতির ব্যবসার বাহিরে তহবিল বিনিয়োগ বা লগ্নিকরণ ও উহার হেফাজত প্রক্রিয়া;

(ন) সমিতির হিসাব রক্ষণ পদ্ধতি;

(প) সমিতির বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি;

(ফ) সমিতির সংরক্ষিত তহবিল সৃষ্টি ও উহার ব্যবহার এবং লভ্যাংশ প্রদানের হার;

(ব) সমিতির উপ-আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের পদ্ধতি;

(ভ) সমিতির নোটিশ প্রদান বা প্রেরণের পদ্ধতি;

(ম) কোন সদস্যের নিকট সমিতির প্রাপ্য অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হইলে উক্ত সদস্যকে জরিমানা আরোপের পদ্ধতি;

(য) সমিতির অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান ও হিসাব নিরীক্ষা পদ্ধতি;

(র) সমিতির সদস্যগণকে উপ-আইন এবং সমিতির হিসাবে উদ্বৃত্তপত্র (ব্যালান্স শীট) ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন সরবরাহের পদ্ধতি ; এবং

(ল) নিবন্ধক কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন বিষয়।

(২) প্রত্যেক সমবায় সমিতি উহার প্রকৃতি অনুযায়ী আইন ও বিধিমালার সংগে সংগতিপূর্ন অন্য যে কোন বিষয়াদি উপ আইনে অন্তর্ভূক্ত করিতে পারিবে।

৯। উপ-আইনের সংশোধনের পদ্ধতি।- (১) এতদুদ্দেশ্যে আহুত কোন সমবায় সমিতির সাধারণ সভায় সাধারণ সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতিতে উহার উপ-আইন সংশোধন করা যাইবে এবং উপ-আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে উক্ত সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন হইবে।

(২) সংশোধিত উপ-আইন নিবন্ধনের জন্য ফরম-৪ মোতাবেক নিবন্ধকের নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং উহার যথাযথতা বিবেচনা করিয়া নিবন্ধক উহা নিবন্ধন করিয়া ফরম-৫ মোতাবেক সনদ ইস্যু করিবেন।

১০। সদস্য ভূক্তি, সদস্যপদ হইতে বহিস্কার কিংবা অপসারণ ।- (১) কোন সমবায় সমিতির উপ-আইন অনুযায়ী যোগ্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত সমিতির সদস্যপদে অন্তর্ভূক্ত করা যাইবে ।

(২) কোন ব্যক্তি একটি সমবায় সমিতির সদস্য হইবার পর উপ-আইন অনুযায়ী সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে তাহাকে সদস্যপদ হইতে বহিষ্কার কিংবা অপসারণ করা যাইবে ।

(৩) কোন ব্যক্তির কোন সমবায় সমিতিতে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভূক্তি কিংবা বিদ্যমান সদস্যের সদস্যপদে বহাল থাকা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে কিংবা উপ-আইন মোতাবেক সদস্যপদ হইতে বহিস্কার অথবা অপসারিত হইলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য নিবন্ধকের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে নিবন্ধকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে ।

(৪) সমবায় সমিতির সদস্যপদের মেয়াদ শেয়ার ক্রয়ের তারিখ হইতে গণনা করিতে হইবে।

১১। সদস্যপদের সীমাবদ্ধতা।- কোন ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত শর্তপূরণ ব্যতীত কোন সমবায় সমিতির সদস্য হইবার উপযুক্ত হইবেন না, যথাঃ

(ক) অন্যুন ১টি শেয়ার ক্রয়সহ শেয়ার মূল্যের সমপরিমান অর্থ সমিতির সঞ্চয়ী হিসাবে জমা প্রদান; এবং

(খ) বয়স ১৮ বৎসরঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ১৮ বৎসরের কম বয়সের কোন ব্যক্তির পক্ষে তাহার আইনানুগ অভিভাবক যদি জামিনদার রূপে উক্ত ব্যক্তির বয়স ১৮ বৎসর না হওয়া পর্যন্ত সমুদয় দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে ১৮ বৎসরের কম বয়সী উক্ত ব্যক্তি ঐ সমবায় সমিতির সহযোগী সদস্য হইতে পারিবেন। সহযোগী সদস্য সমিতি হইতে ঋণ গ্রহণ, ভোট প্রদান কিংবা নির্বাচন প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হইবেন না।

১২। সমবায় সমিতির কর্ম এলাকা।-- (১) নিবন্ধনের সময় উপ-আইনে সমিতির কর্ম এলাকা সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে । একই কর্ম এলাকায় একই নামে একাধিক সমবায় সমিতি নিবন্ধন করা যাইবে না ।

(২) নিবন্ধকের পুর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোন সমবায় সমিতি কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে কোন শাখা খুলিতে কিংবা উপ-আইনে বর্ণিত কর্ম এলাকার বাহিরে তাহার কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে না।

বিষয়: বিবিধ

২০১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File