গুটিকয়েক সমবায় সমিতির অপকর্মের কারণে সমবায় আন্দোলন ব্যাহত হবে না
লিখেছেন লিখেছেন নবীউল এর ব্লগ ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৩৯:২৭ রাত
গুটিকয়েক সমবায় সমিতির অপকর্মের কারণে সমবায় আন্দোলন ব্যাহত হবে না
ইদানীং দেখা যাচ্ছে কোন কোন বহুমুখী সমবায় সমিতি বা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে গা ঢাকা দিচ্ছে । শতকরা হিসাব করলে কিন্তু এদের অনুপাত নগণ্য । অনেক ভাল ও বিশ্বাসযোগ্য সমবায় সমিতি কিন্তু এখনো সুনামের সাথে টিকে রয়েছে । শহরাঞ্চলে অর্থ আত্মসাত করে গা ঢাকা দেওয়া সমিতির সংখ্যাই বেশী । দেখা গেছে যে , যে সব সমিতির উদ্যোক্তারা অন্য এলাকা থেকে এসে স্থানীয় কিছু লোক সংগ্রহ করে সমিতি গঠন করেন , তাদের বেশীর ভাগই আত্মসাতের ধান্দায় থাকেন । তাই বহুমুখী বা মাল্টিপারপাস সমিতিতে যাঁরা আমানত রাখতে চান তাঁরা অনুগ্রহ করে একটু খোঁজ-খবর নিয়ে দেখুন সমিতির মূল উদ্যোক্তা কারা । বেশী মুনাফা পাবার লোভে খোঁজ-খবর না নিয়েই যে সে সমিতিতে আমানত জমা দিবেন না । আর আমানতকারী হবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট সমিতির সদস্য হয়ে নিন । মনে রাখবেন আপনি যদি সদস্য না হয়ে ই টাকা পয়সা জমা রাখেন তাহলে আপনি বিপদে পড়লে আইনী কোন সহযোগিতা পাবেন না । আর সমিতির সদস্য হওয়া খুব সহজ ।
(বিঃ দ্রঃ আগের পোস্টে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে) ।
যথাযথভাবে আইন ও বিধি মেনে চললে সমিতি কর্তৃক তার সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব । শহরাঞ্চলের ও বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে ফুটপাতের হকার , পান-বিড়ি বিক্রেতা , মুদী দোকানীসহ প্রচুর ব্যবসায়ী মাল্টিপারপাস বা বহুমুখী সমিতি হতে ঋণ গ্রহণ করে ব্যবসা করছেন । (বিষয়টি দেশের অর্থনীতিবিদদের জন্য গবেষণার দাবী রাখে) । এর ফলে বহুসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে , বহুসংখ্যক পরিবারের ভরণ-পোষণ হচ্ছে , দেশ বেকারত্বের অভিশাপে অভিশপ্ত হচ্ছে না । আবার অনেক মাল্টিপারপাস বা বহুমুখী সমিতিতে আদায়কারী , ম্যানেজার প্রভৃতি পদে ফুল টাইম বা পার্ট টাইম বেতনভোগী কর্মী হিসেবে অনেকে নিয়োজিত রয়েছেন । এসব কর্মীর বেশীর ভাগই স্টুডেন্ট , যারা সংসারে টুকটাক আর্থিক সহযোগিতা করে নিজেদের পড়াশুনা খরচ চালাচ্ছেন ঐ বেতন দিয়ে । মাল্টিপারপাস বা বহুমুখী সমিতির এ সফলতা অতটা প্রচার পায় না , যতটা প্রচার পায় কতিপয় সমিতি কর্তৃক অর্থ আত্মসাত করে গা ঢাকা দিলে । এ প্রচারের কারণে জনমনে তৈরি হয় আতংক , আর তখন ভাল সমিতিগুলো পড়ে যায় চাপে । কারণ তখনই সঞ্চয় জমা ও ঋণের কিস্তি আদায়ে ভাটা পড়ে । তাই আতংকাবস্থা তৈরি না করে কিভাবে মানুষ সমবায়ের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে , কিভাবে সমিতিগুলো পরিচালনা করা হলে আমানতকারীদের জমানো অর্থের সুরক্ষা হবে সে বিষয়ে ভাববার সময় এসেছে । বর্তমানে মানুষের সঞ্চয় অনেক কমে গিয়েছে । সমবায় আন্দোলনকে বেগবান করে সততা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সমিতি পরিচালনা করে সঞ্চয়ের হার অনেক বাড়ানো সম্ভব । ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে মর্মে আশা করা যায় ।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন