ডলার ব্যবসার মাধ্যমে আয় করুন - জানুন কিভাবে করতে হয়
লিখেছেন লিখেছেন সামছুল করিম ৩১ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:৩৯:৪৩ সন্ধ্যা
বাংলাদেশে ডলারের ব্যবসা আংশিক বৈধ। ব্যাংক এবং লাইস্যান্স প্রাপ্ত মানিএকচেইন্জের জন্য এই ব্যবসা বৈধ। অনেকেই হুন্ডির ব্যবসা করেন। হুন্ডি দু ধরনের - সাদা হুন্ডি, কালো হুন্ডি। উন্নত বিশ্বে সাদা হুন্ডির ব্যবসা বৈধ, কালো হুন্ডি অবৈধ। কিন্ত বাংলাদেশে দু ধরনের হুন্ডিই অবৈধ। বৈধভাবে এ ব্যবসা করতে হলে আপনার সাথে বৈধ মানিএকচেইন্জ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক থাকতে হবে। আর জানতে হবে এ ব্যবসার খুটিনাটি।তবে ব্যক্তিগতভাবে অঘোষিতভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমানের বেশী ডলার সংগ্রহে রাখা অবৈধ।
মুলত আপনি তখনই একজন ভাল ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন যখন জানবেন এ ব্যবসার গতি প্রকৃতি। সাধারণত ডলারেের দামের ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্যের পার্থক্যই একজন ব্যবাসয়ীর লাভ। কিন্ত এ লাভ সামান্যই । মূল লাভ হচ্ছে দামের উঠানামার কারণে ডলারের মজুত এবং বিক্রয়। আন্তর্জাতিক বানিজ্যের প্রভাবের কারণে ডলার, সোনা, এবং তেলের দাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটির দাম অন্যটিকে প্রভাবিত করে। এই তিনটির কোন একটির দামের পরিবর্তন অন্যটির দামের সম্ভাব্য পরিবর্তন নির্দেশ করে। নীচের চিত্রটি দেখুন:
আন্তর্জাতিক ভাবে, যখন ডলারের দাম বাড়ে তখন সোনার দাম কমে; আর ডলারের দাম কমলে সোনার দাম বাড়ে। তেলের দাম কমলে ডলারের দাম বাড়ে, আবার তেলের দাম বাড়লে ডলারের দাম কমে। তবে ডলারের দাম আরও নির্ভর করে আমেরিকার কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সুদের হার, বিশ্ব আমদানি-রপ্তানী, এবং নিজ দেশের (বাংলাদেশের) সুদের হারের উপর। আর তেলের দাম নির্ভর করে বিশ্বের ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল প্রোডাকশন,মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের গতি প্রকৃতির ঊপর।
বর্তমান অবস্হা বিবেচনায়, অদূর ভবিষ্যতে জ্বালানী তেলের দাম বাড়বেনা, বাংলাদেশকে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে তার সুদের হার কমাতে হবে। সুদের হার কমালে স্বল্প মেয়াদে টাকার দাম কমবে। ফলে ডলারের দাম বাড়বে। একই সময়ে বিশ্ববাজারে ডলারের দামও বাড়বে - এর মূল কারণ চীনের উৎপাদনশীলতা (প্রোডাকটিভিটি) কমে যাওয়ায় বিশ্ব উৎপাদনশীলতা কমে গেছে। ফলে চীন তার মুদ্রার অবমূল্যায়ন করেছে আন্তর্জাতিক বানিজ্যে টিকে থাকার জন্যে। চীন প্রভাবের কারণেও বাংলাদেশকে সুদের হার পরিবর্তনের মাধ্যমে তার মুদ্রার অবমূল্যায়ন করতে হবে।
আবার, ইরানের তেল আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করলে তেলের দাম আরও কমবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই তার সুদের হার এই মুহুর্তে বাড়াতে পারবেনা। সুতরাং এই মুূহুর্তে ডলারের দাম ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। যেহেতু ডলারের দাম শক্তিশালি হবে, তাই সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে আরও কমার সম্ভাবনাই বেশী।
বিষয়: বিবিধ
২১৪৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আন্তর্জাতিক অর্থবাজারের চক্রটি আমার কাছে খুব জটিল লাগে
যেখানে জটিলতা সেখানেই ব্যবসার সুযোগ বেশী। না হলেতো এটা মুদি দোকানের ব্যবসার মত হয়ে যেত। একটু সময় দিয়ে এ বিষয়টি বুঝলেই সহজ!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন