আমার লেখা ব্লগ "শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা" -এর রেফারেন্স এর উপর আনা আপত্তি ও তার জবাব
লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ২৫ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৪১:৫১ রাত
ভুমিকাঃ বেশ কিছুদিন আমি একটা ব্লগ পোস্ট করেছিলাম শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা শিরোনামে। আমার ঐ পোস্টে এক ভাই, যিনি শীআ মতাবলম্বী বলে দাবী করেন, তিনি আপত্তি তোলেন আমার দেওয়া রেফারেন্সগুলো মিথ্যা বা বানোয়াট বা ভূল। এমন কিছুই নাকি তাদের আক্বিদার কিতাবগুলোতে নেই। ঐ ভাইয়ের সাথে কথপোকথনের এক পর্যায়ে তিনি একটি বইয়ের নাম উল্লেখ করে বলেন "এই বইটিতেও এমন কিছুই লেখা নেই।" অতঃপর আমাদের প্রিয় ব্লগার বুড়া মিয়ার প্রস্তাবমতে আমি উক্ত বই হতে রেফারেন্সগুলো স্ক্যান কপি আকারে জবাবে পোস্ট করি। আবার বুড়া মিয়া ভাইয়ের প্রস্তাবমতেই এটিকে ভিন্ন পোস্ট হিসেবে দিলাম, দেখার ও পড়ার সুবিধার্থে।
যারা পূর্বোক্ত ব্লগটি পড়েন নি, তারা একবার কষ্ট করে পড়ে নিলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে ইনশাআল্লাহ।
======================================
আমি প্রথমেই একবারে সহজলভ্য সুত্র থেকেই শুরু করতে চাই। পোস্টে আমি শিআদের কিছু আক্বিদার বিবরণ দিয়ে লিখেছি
(উপরোক্ত কিছু কিছু বিষয় তাদের বাংলা বই ”শী’আ দের মৌলিক বিশ্বাস” (মুল: আকাঈদ আল ইমামিয়াহ, মুহাম্মাদ রেজা আল মুজাফফার, অনুবাদ: মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন তালুকদার, প্রকাশক-মারকাজ এ জাহানী এ উলুমে ইসলামী) হতে বিস্তারিত দ্রষ্টব্য)
দাবী অনুযায়ী উল্লেখিত বই হতেই আমি সেই কিছু বিষয় প্রমাণ করবো।
এই বইয়ের রেফারেন্সের উপর সরাসরি আপত্তি তোলা হয়েছে। সেদিক বিবেচনা করে, এবং বইটি সবচেয়ে সহজলভ্য ও বাংলায় হওয়ায় প্রথম দলীল এখান থেকেই সাবিত করছি ইনশাআল্লাহ। এগুলোকে যদি মিথ্যা প্রমাণ করতে পারে, বা আদৌ খন্ডাতে পারে তাহলে পরবর্তী মূল আরবী আক্বিদার কিতাবগুলোতেও যাবো।
লক্ষনীয় যে, একই অধ্যায় বা পৃষ্ঠায় একাধিক পয়েন্ট এসেছে, যার কারণে চিহ্নিতকরণ ও একই সাথে করা হয়েছে। পড়ে দেখলেই সমস্যা হবে না আশা করি।
১। তারা ইমামতে বিশ্বাসী। তাদের মতে নবী আ. গনের পর পৃথিবীর মুসলমানদের (তাদের মতে) নেতৃত্ব দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বংশের নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গকে ইমামত দেয়া হয়।
পর্ব-৩, পৃষ্ঠা-৪১ হতে এ বিষয়ে পৃথক অধ্যায় লিখিত আছে।
২. ইমামগণ নবীর ন্যায় আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত
পর্ব-৩, পয়েন্ট-২৩, পৃষ্ঠা: ৪১
৩. ইমামগণ পয়গম্বরগণের মতই আল্লাহর প্রমাণ, নিস্পাপ ও আনুগত্যশীল
পর্ব-৩, পয়েন্ট-২৪, পৃষ্ঠা: ৪৩
৪. ইমামগণ পয়গাম্বরগণের মত নিস্পাপ। ইমামগণ সমস্ত গুনাহ ও ভূল ত্রুটি থেকে পবিত্র
পর্ব-৩, পয়েন্ট-২৪, পৃষ্ঠা: ৪৩
৫. ইমামগণের আনুগত্য করা ফরজ
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৫
৬. যে ইমামকে মানে না সে কাফের।
অন্যত্র সরাসরি পাওয়া গেলেও আলোচিত বইয়ে সরাসরি না প্রকাশ করে ইঙ্গিতে প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যেহেতু উপরে প্রমাণ করা হয়েছে যে ইমামগণের অানুগত্য করা বাধ্যতামূলক (শিআ ফিকাহ অনুসারে), সুতরাং যৌক্তিকভাবেই তাদের আনুগত্য না করা অথবা না মানা নিশ্চিতরূপেই অবৈধ বা কুফর।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৬
৭. শী’আ দের বক্তব্য হল কুরআন মজীদে ইমামত ও ইমামগণের বর্ণনা ছিল।
একটু ভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে, এবং দলিল হিসেবে দেয়া হয়েছে কুরআনের দুটি আয়াত – সুরা রাদ-এর ৮নং ও সুরা ফাতির-এর ২৪নং আয়াত। মজার বিষয় হলো সূরা রাদ এর ৮নং আয়াতটি হলো
اللّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنثَى وَمَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِندَهُ بِمِقْدَارٍ
আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়। এবং তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুরই একটা পরিমাণ রয়েছে।
যাই হোক, এই দুটি আয়াত দ্বারাই ইমামগণের অনুসরণের বাধ্যবাধকতা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৩, পৃষ্ঠা: ৪২
৮. ইমামগণের জন্য কুরআন-হাদীস ছাড়াও জ্ঞানের অন্যান্য অত্যাশ্চর্য সূত্র রয়েছে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৫, পৃষ্ঠা: ৪৩
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৫, পৃষ্ঠা: ৪৪
৯. ইমামত, ইমামগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও তা প্রচারের আদেশ সকল পয়গম্ব ও সকল ঐশী গন্থের মাধ্যমে এসেছে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৬
১০. জান্নাতে যাওয়া না যাওয়া ইমামদের মান্য করা না করার উপর নির্ভরশীল।
বিষয়টি কিছুটা ঘুরিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, পড়া মাত্রই বুঝা যাবে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৬
১১. তারা ”তাক্বিয়ায় (প্রয়োজনে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলা)” বিশ্বাসী। তাদের মতে, তাক্বিয়া ঈমানের অঙ্গ। তারা বলেন ইমাম জাফর সাদিক রহ. নাকি বলেছেন, ”যার মধ্যে তাক্বিয়া নেই, তার মধ্যে দ্বীন নেই।”
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ৩৩, পৃষ্ঠা: ৬০
১২. তারা ”রাজাআত” মতবাদে বিশ্বাসী। তাদের মতে কিয়ামতে পরে এবং হাশরের পূর্বে সমস্ত সৃষ্টিকে পৃথিবীতে একত্রিত করা হবে। আবার অপর এক দলের বিশ্বাস সমস্ত সৃষ্টিকে না, বরং কিছু মানুষকে জীবিত করা হবে; এবং সেটা কেয়ামতের পর নয় ইমাম মাহদির খিলাফত কালে। একে বলা হয় রাজাআত।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ৩২, পৃষ্ঠা: ৫৬
(এই তিনটি লেখা অন্য আরেকটি সহজলভ্য বই "ইসলামী নামায: শী'আ দীনিয়াত" থেকে রেফারেন্স দেওয়া হল। রেফারেন্স স্ক্যান কপি দিতে পারলাম না, আমার স্ক্যানারটা হঠাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে। তবে পুরোপুরি রেফারেন্স থাকছে, যে কেউ বইটি সংগ্রহ করে চেক করে নিতে কোন অসুবিধা হবে না।)
১৩. তাদের মতে, মাটিতে সিজদাহ করা অনুত্তম। তারা সিজদার জন্য রওযায়ে খাখ/খাখে শিফা বা কারবালার মাটির টুকরা সাথে রাখে। নামাজের সময় তারা এই টুকরোটি সিজদার স্থানে রেখে তার উপর সিজদাহ করে।
ইসলামী নামায: শী’অ দীনিয়াত, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাসেম (জান সাহেব), তাবলীগাতে হোসাইনি প্রকাশিত, ”সেজদা সম্বন্ধে বর্ণনা”, পৃষ্ঠা-৪০
১৪. তাদের মতে, নামাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে কাযা করলেও সমস্যা নেই। যোহর ও আসরের এবং মাগরীব ও ঈশার নামাযে একত্রেও পড়া যায়, কোন ওজর ব্যাতিতই।
ইসলামী নামায: শী’অ দীনিয়াত, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাসেম (জান সাহেব), তাবলীগাতে হোসাইনি প্রকাশিত, ”নামাজের সময় নিরূপন”, পৃষ্ঠা-৩৯
১৭. তাদের কালিমা হলো ”আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না আলীয়্যান ওয়ালিউল্লাহ ওয়া ওয়াসিউর রাসূলুল্লাহ”। তারা আযানেও এই বাক্যটি যোগ করে।
কালিমার বিষয়টি উল্লেখিত বইদুটিতে নেই, তবে আযান স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে এবং যথারীতি সেখানে "আশহাদু আন্না আমিরুল মো'মিনিন ওয়া ইমামুল মুত্তাক্বীন আলীয়্যান ওয়ালিউল্লাহ ওয়া ওয়াসিয়ে রাসূলুল্লাহ" স্পষ্টভাবেই উপস্থিত আছে।
ইসলামী নামায: শী’অ দীনিয়াত, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাসেম (জান সাহেব), তাবলীগাতে হোসাইনি প্রকাশিত, ”আযান - আযানের নিয়ম”, পৃষ্ঠা-৪২
এখানে একটি বিষয় বিশেষ করে উল্লেখ করা জরুরী। আলোচিত বই বা বই দুটি
শীআ আক্বিদার একেবারে ক্ষুদ্রতম সংস্কার, যেমনটি আমরা বিভিন্ন নামায শিক্ষা ইত্যাদি বই দেখি ঠিক তদ্রুপ। তাই বিস্তারিত, এবং স্বাভাবিক ভাবেই বির্তকিত বিষয়গুলো বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই এখানে আসেনি। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সাহাবাদের, বিশেষ করে আবু বকর, উমর ও উসমান (রাযি.)-এর মুরতাদ বা কাফির হওয়াটা শীআদের সকল শাখাই বিশ্বাস করে। কিন্তু অবস্থা দ্রষ্টে সেটিও এই বইয়ে আলোচিত হয়নি।
সুতরাং, যারা প্রকৃতপক্ষেই এ বিষয়গুলো স্পষ্ট ভাবে জানতে চান তারা কষ্ট করে মূল লেখায় রেফারেন্সরূপে দেওয়া বইগুলো পড়ে দেখবেন, তাহলেই সমস্ত দ্বিধা দন্দ্ব দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
২৮২৬ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার মাথা কি ঠিক আছে??
আপনি কি বলছেন??
শিয়ারা কাফের আর ব্লগে শিয়াদের তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে। এখান যুদ্ধ শির্কের বিরুদ্দ্যে।
বোঝার চেষ্টা করুন।
আমার নিজেরেও ২টা পোস্ট আছে শিয়া সম্বন্ধে ,ফেসবুকে নোট পর্যন্ত লিখতে ছাড়িনাই !
কিন্তু ফল কি হল ?
গোল আন্ডা !
ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনে আক্রমন করল তখনই আমার টনক নড়ল !
আসলে মাজহাব ভাগের দুর্বলতাই ওরা চরম ভাবে ধরে নিয়ে মুসলিমদের আক্রমন করছে !
আর পরবর্তীতে আল্লামা ইকবালের কথাটা পড়ে আমার বুঝ হইছে ,কানে ধইরা ওঠ বস করছি আর কোন দিন মাজহাব নিয়া চিল্লামুনা ।
আল্লামা ইকবাল যথার্থ বলেছেন,
“এই জাতির লাভ-ক্ষতি একই; সবার
নবীও এক; দ্বীন- ঈমানও এক;
কাবা-বায়তুল্লাহ ও স্রষ্টা সবই
এক; কতই না ভালো হতো যদি সব
মুসলমানও এক হতো!”
আমরা যারা মাযহাবের অনুসরণ করি তারা কিন্তু মাযহাব নিয়ে মারামারি বা রেশারেশি করছি বিষয়টা তো সেরকম কিছু আমার মনে হয় না। উদারহণ স্বরূপ: আমি নিজে তাবাকাতে ফিকহে শাফেঈ-এর অনুসরণ করি, অর্থাৎ ফিকহী মাসআলা মাসাইলের ক্ষেত্রে ইমাম শাফেঈ (রাযি.)-এর উসূল ও সিদ্ধান্ত অনুসরণ করি। কিন্তু আমার পরিচিত মহল, বন্ধুবান্ধব এমনকি উস্তাদগনও তাবাকাতে ফিকহে হানাফিয়্যার অনুসারী। আজ পর্যন্ত তাদের সাথে বহু মাসআলায় আমার বিতর্ক হলেও ঝগড়া তো দূরের কথা, নূন্যতম রেশারেশীও হয়নি। তাহলে আমরা আমরা ঠিকই আছি, তৃতীয় কোন পক্ষ কৌশলে আমাদের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি করে সুবিধা আদায় করতে চাচ্ছে।
রইলো শীআদের বিষয়টা। শিআদের সাথে আমার দ্বন্দ বা যাই বলি, সেটা তখনই যখন তারা আসহাবে রাসূল (সাঃ)-সম্পর্কে কুরূচীপূর্ণ ও অসম্মানজনক মন্তব্য করে, যখন তারা আবু বকর, উমর, উসমান (রাযি.)-কে মুরতাদ, কাফির বলে গালি দেয়, যখন তারা উম্মাহাতুল মু'মিনীন আয়িশা (রাযি.)-এর পবিত্র চরিত্রের উপর অপবাদ আরোপ করে। এমতাবস্থায় একজন মুসলমান হয়ে আমি কিভাবে এগুলো দেখে, শুনে, জেনেও চূপ করে থাকি?
ব্যক্তিগত ভাবে আমি হামাসকে শুধু সমর্থনই না, বরং চরম ভাবে সমর্থন করি। কারণ? কারণ তারা যুদ্ধ করছে মজলুমের পক্ষে জালিমের বিরুদ্ধে। আর আপনি আমাকে এমন একজন হামাস নেতা বা সদস্য দেখাতে পারবেন না, যারা বির্তকিত আক্বিদা নিয়ে বিভেদ বা দ্বন্দ করে, এমনকি পোষণ করে। তবে আমি ইরান ও খোমেনিকে সমর্থন করি না, পছন্দ করি না। কারণ হিসেবে খোমেনির "কাশফুল আসরার" বইটি পড়াই যথেষ্ঠ। নেটে পাওয়া যায়, সুযোগ হলে একবার পড়ে দেখবেন।
শিআরা যে মুসলমান নয়, তা সূদীর্ঘ অতীত থেকেই উলামায়ে হক্ব দ্যার্থহীন কন্ঠে ঘোষনা করে এসেছেন, এখনো করছেন। আমি তাদের সাথে একমত পোষণ করি। আর ইতিহাস দেখে আমি যতটুকু অনুধাবণ করতে পারি, ভবিষ্যতে এই শিআরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সাথে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করবে। এটাও তাদের কিতাবে আছে।
বইটি না পড়লেও আমার এ সম্বন্ধে কিছুটা ধারনা আছে ।
ইন্টারনেটের কল্যানেই জানা ।
মূল দ্বন্দ হল খেলাফাত নিয়ে।
এদের ধর্মিয় নেতার লেখা বই পড়েই এরা ঐসকল সাহাবাদের গালিগালাজ করে আসছে।
প্রথমত খেলাফাত নিয়ে এদের ধোকা দিয়েছেন,পথ ভ্রষ্ট বানিয়েছেন আব্দুল্লাহ্ আল শাবা নামক ইহুদি দম্পতির সন্তান !যিনি কিনা কৌশলে ইসলামের মাঝে ঢুকেছিল।(পবিত্র কোরআন মতে ইহুদিরা হচ্ছে অভিশপ্ত জাতী যারা কিনা আল্লাহ্'র নিয়ামত সালওয়া মারওয়া পেয়েও আল্লাহ্র শোকর গুজার করেনি) ।
আমাদের অবশ্যই জানা যে ,
শিয়াদের ২টা গোত্রকে আমরা সাপোর্ট দেই{দুঃখিত গোত্র ২টার নাম এই মুহুর্তে মনে নেই।} ।
আবার সাহাবাদের যারা গালিগালাজ করে -মূলত খোমেনি- তাদেরকে আমরা ঘৃণা করি ।
কিন্তু তাদেরকে অমুসলিম তো বলার অধিকার আমাদের আছে কি ?
অমুসলিম কারা ?
যারা কিনা কালিমা জীবনে একবার হলেও পড়েনি ।
এখানে আমরা তাদের পথভ্রষ্ট বলতে পারি মালাউন(অভিশপ্ত) অথবা কাফির বলতে পারিনা ।
হ্যা তাদের আকিদাগত ভুল আছে ,তাদের ঈমান দুর্বল ।
রাসুলুল্লাহ্ সঃ নিজেই সাহাবীদের সমালোচনা করতে নিষেধ করেছেন অথচ শিয়ারা করছে এর মূল হল ,শয়তানের ধোকা ।
আর এই শয়তান হল খোমেনীর মত ধর্মীয় নেতারা যারা কিনা ধর্মের মাঝে ভ্রান্তি প্রচার করে ।
তাহলে আমরা বলতে পারি মূলত দোষী ঐ খোমেনীর মত ধর্মীয় নেতারা শিয়ারা নয় ।
আর আমি ফিকাহ গ্রন্থে পেয়েছি ,একটা গোত্রের সর্বপ্রথম জাহান্নামি ঐসকল নেতারা যারা কিনা মনগড়া কথা তাদের ধর্মগ্রন্থে ঢুকিয়ে বিবাদের সৃষ্টি করে ।
আল্লাহ্ আমাদের ঐসকল নেতা থেকে হেফাজাত করুন ।
আরেকটি বিষয় আপনি বলেছেনঃ-
এটা ভুল ,পৃথিবীতে শিয়ারা যদি মলের চেয়েও যদি কিছু ঘৃণা করে সেটা হচ্ছে ইহুদি ।
রাসুলুল্লাহ্ সাঃ এর এই ভবিষ্যদ্বানিটির দিকে লক্ষ্য করুন:
বইটি না পড়লেও আমার এ সম্বন্ধে কিছুটা ধারনা আছে ।
ইন্টারনেটের কল্যানেই জানা ।
মূল দ্বন্দ হল খেলাফাত নিয়ে।
এদের ধর্মীয় নেতার লেখা বই পড়েই /তাদের কথামত এরা ঐসকল সম্মানিত সাহাবাদের এবং উম্মূল মুমেনিনকে গালিগালাজ করে আসছে।
প্রথমত খেলাফাত নিয়ে এদের ধোকা দিয়েছেন,পথ ভ্রষ্ট বানিয়েছেন আব্দুল্লাহ্ আল শাবা নামক ইহুদি দম্পতির সন্তান !যিনি কিনা কৌশলে ইসলামের মাঝে ঢুকেছিল।(পবিত্র কোরআন মতে ইহুদিরা হচ্ছে অভিশপ্ত জাতী যারা কিনা আল্লাহ্'র নিয়ামত সালওয়া মারওয়া পেয়েও আল্লাহ্র শোকর গুজার করেনি) ।
আমাদের অবশ্যই জানা যে ,
শিয়াদের ২টা গোত্রকে আমরা সাপোর্ট দেই{দুঃখিত গোত্র ২টার নাম এই মুহুর্তে মনে নেই।} ।
আবার সাহাবাদের যারা গালিগালাজ করে -মূলত খোমেনি- তাদেরকে আমরা ঘৃণা করি ।
কিন্তু তাদেরকে অমুসলিম তো বলার অধিকার আমাদের আছে কি ?
অমুসলিম কারা ?
যারা আল্লাহ্ এবং রাসুলকে মানেন না ।
যারা কিনা কালিমা জীবনে একবার হলেও পড়েনি ।
এখানে আমরা তাদের পথভ্রষ্ট বলতে পারি মালাউন(অভিশপ্ত) অথবা কাফির বলতে পারিনা ।
হ্যা তাদের আকিদাগত ভুল আছে ,তাদের ঈমান দুর্বল ।
রাসুলুল্লাহ্ সঃ নিজেই সাহাবীদের সমালোচনা করতে নিষেধ করেছেন অথচ শিয়ারা করছে এর মূল হল ,শয়তানের ধোকা।
আর এই শয়তান হল খোমেনীর মত ধর্মীয় নেতারা যারা কিনা ধর্মের মাঝে ভ্রান্তি প্রচার করে ।
তাহলে আমরা বলতে পারি মূলত দোষী ঐ খোমেনীর মত ধর্মীয় নেতারা সকল প্রকার শিয়ারা নয় ।
আর আমি ফিকাহ গ্রন্থে পেয়েছি ,একটা গোত্রের সর্বপ্রথম জাহান্নামি ঐসকল নেতারা যারা কিনা মনগড়া কথা তাদের ধর্মগ্রন্থে ঢুকিয়ে বিবাদের সৃষ্টি করেছে ।
আল্লাহ্ আমাদের ঐসকল নেতা থেকে হেফাজাত করুন ।
আরেকটি বিষয় আপনি বলেছেনঃ-
এটা ভুল ,পৃথিবীতে শিয়ারা যদি মলের চেয়েও যদি কিছু ঘৃণা করে সেটা হচ্ছে ইহুদি ।
রাসুলুল্লাহ্ সাঃ এর এই ভবিষ্যদ্বানিটির দিকে লক্ষ্য করুন:
এবার নিজেই চিন্তা করুন রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যদ্বানি কিভাবে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে !
কালিমা ঈমান আনায়ন ও ঈমানের সঞ্চারণের সাথে সম্পৃত্ত। আর ঈমানের বহাল ও স্থায়ীত্ব নির্ভরশীল আক্বিদা ও আমলের উপর। যতক্ষন না আক্বিদা ঠিক হচ্ছে, ঈমান থাকবে না। আর যতক্ষন না আমল সহীহ হচ্ছে, ঈমান থাকবে না। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি. ইচ্ছাকৃত নামাজ তরককারীকে হযরত উমর, ইবনে মাসউদ ও ইবনে আব্বাস (রাযি.) কাফির সাব্যস্ত করেছেন। (জামেউ বায়ানিল ঈমান, খ: ২, পৃ:৮০)। তেমনি ভাবে খালেস ইসলামী বিশ্বাসের সাথে যোগ বিয়োগ করতে গেলেও ঈমান হারাতে হবে এটা একটা সর্বসিদ্ধ মত।
যদি আপনার কথা অনুযায়ী শুধু কালিমার বিষয়টাও ধরে নেই, আপনাকে আমি প্রশ্ন করবো কালিমা কোনটা? নিশ্চিতভাবে আপনি একেবারে বেসিক কালিমা
”لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله”
অথবা
”أَشْهَدُ أنْ لا إلَٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَأشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ” ।
কিন্তু শিআরা কি এই কালিমা পড়ে? না, তারা এই কালিমার সাথে ”আশহাদু আন্না আলিয়্যান ওয়ালিউল্লাহ ওয়া ওয়াসিউর রাসূল।” তাহলে আপনার হিসাবেও তো গোড়াতেই গলদ। এটা নিশ্চয়ই জানেন, এই জামানায় আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুসা কালিমুল্লাহ/ঈসা রুহুল্লাহ” পড়লেও লাভ হবে না। খালেস কালিমা সেটাই যেটা আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছেন, একমাত্র সেটাই ঈমানের নিয়ামক।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি বলতে চাই, আমি বলেছি যে- আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে এই শিআরা খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সাথে মিলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আমার এই ধারণা প্রমাণের জন্য আমি একটি অতীত বাচক ও একটি ভবিষ্যৎ বাচক উদাহরণ দিবো, আমার মনে হয় এটুকুই যথেষ্ঠ হবে।
(১) আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যার জামানায় দুর্ধর্ষ তাতার জাতি সিরিয়া আক্রমন করেছিলো। শাইখ তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে ওয়াজিব বলে ফাতওয়া দিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর অনুরোধ, কুটনৈতিক তৎপরতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় যেমন মামলুক সুলতান স্বয়ং এই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলেন, তিনি সাধারন মানুষকে শুধু উদ্বুদ্ধই করেননি, নিজেও তাদের সাথে একই কাতারে যুদ্ধ করেছেন। প্রথম বারের চেষ্ঠায় শাইখ ও তার বাহীনি পরাজিত হলেও দ্বিতীয় বারের চেষ্ঠায় তারা বিজয়ী হন। যুদ্ধ চলাকালিন একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় ছিলো। মুসলমান সৈন্যের যাবতীয় তৎপরতা, পরিকল্পনা ও গোপন তথ্য যে কোন ভাবে তাতারীদের কাছে প্রকাশ পেয়ে যেত। যুদ্ধ শেষে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় শহরের বাহিরে পাহাড়ি অঞ্চলে কিছু শিআ ও খ্রিষ্টান গোত্র বাস করে। তারা শুধু তাতারীদের পক্ষপাতিত্বই করেনি, তাদের খাদ্য রসদ দিয়ে সহযোগীতা করেছে এবং তাদের পক্ষে মুসলমানদের মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তিও করেছে। সিরিয়ার শাসক তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে চাইলেও শাইখের অনুরোধে এবং তাওবার প্রেক্ষিতে তাদের ক্ষমা করা হয়। (বিস্তারিত: তা’রিখে দাওয়াত ওয়া আজিমাত; সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী, খন্ড-২)
(২) আপনি হয়তো জেনে থাকবেন শিআরা বিশ্বাস করে ইমাম মাহদী পৃথিবীতে অনেক আগেই এসে গেছেন। তিনি বর্তমানে গুপ্ত অবস্থায় আছেন এবং কিয়ামতের আগে আত্মপ্রকাশ করবেন। তো তিনি আত্মপ্রকাশ করে কি করবেন? তিনি আবু বকর (রাযি.), উমর (রাযি.) ও আয়িশা (রাযি.)-কে কবর থেকে জীবিত করে তুলবেন, তাদের বিচার করবেন এবং চাবুকের আঘাতে জর্জরিত করবেন। অতঃপর তিনি মনযোগী হবেন নাসিবী অর্থাৎ আহলে সুন্নাহর দিকে। তিনি আহলে সুন্নাহকে বলবেন হয় জিজিয়া দাও, না হলে মাথা হারাও। এভাবে তার হাতে হাজারে হাজারে আহলে সুন্নাহ নিহত হতে থাকবে, এমনকি কুরাইশ গোত্রের লোকও রেহাই পাবে না। এমনকি তিনি গর্ভবতী নারীর পেট চিরে ফেলবেন এবং গর্ভের শিশুকেও হত্যা করবেন (নাউজুবিল্লাহ)। তবে কি তিনি শুধুই হত্যা করবেন? না, তিনি শান্তি চুক্তিও করবেন। কাদের সাথে? মুসলমানদের সাথে? না, তিনি চুক্তি করবেন ইহুদি ও নাসারাদের সাথে। (বিস্তারিত: বিহার আল আনওয়ার, খন্ড: ৫২, পৃষ্ঠা: ৩৭৬, ৩৪৯, ৩৪৮, ৩৪৬ ইত্যাদি )
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন আমি এমন ধারণা পোষণ করছি।
সবিশেষ, শিআদের অমুসলিম ঘোষণা করা আমার নিজস্ব মস্তিস্কপ্রসূত তথ্য নয়। এই ফাতওয়া আজ হতে আরো অনেক আগেই এসেছে। এবং এই ফাতওয়া যারা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ইমাম শাফেঈ , ইবনে হাজম, ইবনে খালদুন, ইবনে তাইমিয়্যাহ, শাহ আব্দুল আজিজ, কাসিম নানুতুবী, মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহ.)-এর মতো ব্যক্তিগন উল্লেখযোগ্য। এমনকি বিদআতীদের ইমাম আহমেদ রেজা খান বেরলভীও শিআদের অমুসলিম হিসেবে ফাতওয়া দিয়েছে। হালআমলের নামকরা বেশ কয়েকজন স্কলারও তাদের অমুসলিম ঘোষণা করে ফাতওয়া দিয়েছে, যার লিঙ্ক আমি মূল পোস্টে যুক্ত করেছি।
রাসূল (সাঃ) যে দ্বন্দের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন তা ছিলো মুসলমানদের আভ্যন্তরিন দ্বন্দ। আজ আমার নিশ্চিতভাবেই বিভিন্ন খুটিনাটি অজুহাতে সেই দ্বন্দে লিপ্ত। কিন্তু এর মধ্যে শিআ, কাদিয়ানি ইত্যাদি অমুসলিম ফেরকা সামিল নেই।
ভাই, ইসলাম কি শুধু কালিমার সাথে সম্পৃত্ত? ধরে নিন, আমি কালিমা পড়লাম, মানলাম, অথচ বিশ্বাস রাখলাম যে হিন্দুদের দেবতারা, বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণ আল্লাহর প্রেরিত নবী, তাহলে কি আমার ঈমান ঠিক থাকলো?
কালিমা ঈমান আনায়ন ও ঈমানের সঞ্চারণের সাথে সম্পৃত্ত। আর ঈমানের বহাল ও স্থায়ীত্ব নির্ভরশীল আক্বিদা ও আমলের উপর। যতক্ষন না আক্বিদা ঠিক হচ্ছে, ঈমান থাকবে না। আর যতক্ষন না আমল সহীহ হচ্ছে, ঈমান থাকবে না। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি. ইচ্ছাকৃত নামাজ তরককারীকে হযরত উমর, ইবনে মাসউদ ও ইবনে আব্বাস (রাযি.) কাফির সাব্যস্ত করেছেন। (জামেউ বায়ানিল ঈমান, খ: ২, পৃ:৮০)। তেমনি ভাবে খালেস ইসলামী বিশ্বাসের সাথে যোগ বিয়োগ করতে গেলেও ঈমান হারাতে হবে এটা একটা সর্বসিদ্ধ মত।
যদি আপনার কথা অনুযায়ী শুধু কালিমার বিষয়টাও ধরে নেই, আপনাকে আমি প্রশ্ন করবো কালিমা কোনটা? নিশ্চিতভাবে আপনি একেবারে বেসিক কালিমা ”” ”” । কিন্তু শিআরা কি এই কালিমা পড়ে? না, তারা এই কালিমার সাথে ”আশহাদু আন্না আলিয়্যান ওয়ালিউল্লাহ ওয়া ওয়াসিউর রাসূল।” তাহলে আপনার হিসাবেও তো গোড়াতেই গলদ। এটা নিশ্চয়ই জানেন, এই জামানায় আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুসা কালিমুল্লাহ/ঈসা রুহুল্লাহ” পড়লেও লাভ হবে না। খালেস কালিমা সেটাই যেটা আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছেন, একমাত্র সেটাই ঈমানের নিয়ামক।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি বলতে চাই, আমি বলেছি যে- আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে এই শিআরা খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সাথে মিলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আমার এই ধারণা প্রমাণের জন্য আমি একটি অতীত বাচক ও একটি ভবিষ্যৎ বাচক উদাহরণ দিবো, আমার মনে হয় এটুকুই যথেষ্ঠ হবে।
(১) আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যার জামানায় দুর্ধর্ষ তাতার জাতি সিরিয়া আক্রমন করেছিলো। শাইখ তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে ওয়াজিব বলে ফাতওয়া দিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর অনুরোধ, কুটনৈতিক তৎপরতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় যেমন মামলুক সুলতান স্বয়ং এই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলেন, তিনি সাধারন মানুষকে শুধু উদ্বুদ্ধই করেননি, নিজেও তাদের সাথে একই কাতারে যুদ্ধ করেছেন। প্রথম বারের চেষ্ঠায় শাইখ ও তার বাহীনি পরাজিত হলেও দ্বিতীয় বারের চেষ্ঠায় তারা বিজয়ী হন। যুদ্ধ চলাকালিন একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় ছিলো। মুসলমান সৈন্যের যাবতীয় তৎপরতা, পরিকল্পনা ও গোপন তথ্য যে কোন ভাবে তাতারীদের কাছে প্রকাশ পেয়ে যেত। যুদ্ধ শেষে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় শহরের বাহিরে পাহাড়ি অঞ্চলে কিছু শিআ ও খ্রিষ্টান গোত্র বাস করে। তারা শুধু তাতারীদের পক্ষপাতিত্বই করেনি, তাদের খাদ্য রসদ দিয়ে সহযোগীতা করেছে এবং তাদের পক্ষে মুসলমানদের মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তিও করেছে। সিরিয়ার শাসক তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে চাইলেও শাইখের অনুরোধে এবং তাওবার প্রেক্ষিতে তাদের ক্ষমা করা হয়। (বিস্তারিত: তা’রিখে দাওয়াত ওয়া আজিমাত; সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী, খন্ড-২)
(২) আপনি হয়তো জেনে থাকবেন শিআরা বিশ্বাস করে ইমাম মাহদী পৃথিবীতে অনেক আগেই এসে গেছেন। তিনি বর্তমানে গুপ্ত অবস্থায় আছেন এবং কিয়ামতের আগে আত্মপ্রকাশ করবেন। তো তিনি আত্মপ্রকাশ করে কি করবেন? তিনি আবু বকর (রাযি.), উমর (রাযি.) ও আয়িশা (রাযি.)-কে কবর থেকে জীবিত করে তুলবেন, তাদের বিচার করবেন এবং চাবুকের আঘাতে জর্জরিত করবেন। অতঃপর তিনি মনযোগী হবেন নাসিবী অর্থাৎ আহলে সুন্নাহর দিকে। তিনি আহলে সুন্নাহকে বলবেন হয় জিজিয়া দাও, না হলে মাথা হারাও। এভাবে তার হাতে হাজারে হাজারে আহলে সুন্নাহ নিহত হতে থাকবে, এমনকি কুরাইশ গোত্রের লোকও রেহাই পাবে না। এমনকি তিনি গর্ভবতী নারীর পেট চিরে ফেলবেন এবং গর্ভের শিশুকেও হত্যা করবেন (নাউজুবিল্লাহ)। তবে কি তিনি শুধুই হত্যা করবেন? না, তিনি শান্তি চুক্তিও করবেন। কাদের সাথে? মুসলমানদের সাথে? না, তিনি চুক্তি করবেন ইহুদি ও নাসারাদের সাথে। (বিস্তারিত: বিহার আল আনওয়ার, খন্ড: ৫২, পৃষ্ঠা: ৩৭৬, ৩৪৯, ৩৪৮, ৩৪৬ ইত্যাদি )
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন আমি এমন ধারণা পোষণ করছি।
সবিশেষ, শিআদের অমুসলিম ঘোষণা করা আমার নিজস্ব মস্তিস্কপ্রসূত তথ্য নয়। এই ফাতওয়া আজ হতে আরো অনেক আগেই এসেছে। এবং এই ফাতওয়া যারা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ইমাম শাফেঈ , ইবনে হাজম, ইবনে খালদুন, ইবনে তাইমিয়্যাহ, শাহ আব্দুল আজিজ, কাসিম নানুতুবী, মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহ.)-এর মতো ব্যক্তিগন উল্লেখযোগ্য। এমনকি বিদআতীদের ইমাম আহমেদ রেজা খান বেরলভীও শিআদের অমুসলিম হিসেবে ফাতওয়া দিয়েছে। হালআমলের নামকরা বেশ কয়েকজন স্কলারও তাদের অমুসলিম ঘোষণা করে ফাতওয়া দিয়েছে, যার লিঙ্ক আমি মূল পোস্টে যুক্ত করেছি।
এটা মাযহাবে মাযহাবে ঝগড়া নয়। এটা বাতিল ফেরকার অমুসলিমদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ।
হয়তো এটা আমারই ব্যর্থতা যে আমি আপনাকে বিষয়টা স্পষ্ট করে বুঝাতে পারলাম না।
চলুন একট দেখি ইতিহাস:
১। আরবরে বভিন্নি অঞ্চলরে ক্বারীগণ কোরানরে আয়াতরে সংখ্যা নর্ধিারণ করছেনে: কুফীদরে মতে: ৬,২৩৬টি আয়াত; বসরাবাসীদরে মতে: ৬,২১৬টি আয়াত; সরিীয়াবাসীদরে মতে: ৬,২৫০টি আয়াত; ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে: ৬,২১৪টি আয়াত; মক্কীদরে মতে: ৬,২১৮টি আয়াত; হযরত আয়শার মতে: ৬,৬৬৬টি আয়াত”। [দ্র: সং. ই. বশ্বিকোষ,১ম খ. ৩য় মুদ্রণ ‘আয়াত’ অধ্যায়; পৃ: ৭০; ই. ফা.
২। বশেি দনিরে কথা নয়, প্রায় ৫০ বৎসর র্পূবরে অনুদতি ও প্রকাশতি যে কোন কোরানরে প্রারম্ভে কয়টি সুরা, কয়টি পারা, মনজলি, রুকু, সজেদা ও আয়াত, শব্দ, জরে, জবর, পশে, তাসদদি সংখ্যার হিসাবসহ একটি স্বতন্ত্র তালকিা থাকতো এবং তাতে আয়াতরে সংখ্যা ৬,৬৬৬টি উল্লখে থাকতো। কনি’ আধুনকি প্রকাশতি কোরানে সবই থাকে কনি’ আয়াত সংখ্যা থাকে না। উদাহরণ স্বরূপ বাংলাদশে ইসলামকি ফাউন্ডশেন র্কতৃক প্রকাশতি কোরান অন্যতম। এর কারণ অজ্ঞাত ও রহস্যজনক বটে বলাবাহুল্য, মোবারক করীম জওহর অনুদতি কোরানে আজও ৬,৬৬৬টি আয়াত লখো আছে লখো আছে আশরাফ আলী থানভীর অনুদতি কোরানসহ অধকিাংশ কোরানে। কনি’ কোরানখানরি আয়াত সংখ্যা একুন করলে পাওয়া যায় মাত্র ৬,২৩৬টি; র্অথাৎ ৪৩০ টি আয়াত কম! আয়শার মতে আয়াত সংখ্যা ৬,৬৬৬টি। তার স্ব-পক্ষে একটি ঐতহিাসকি র্দুদান্ত- প্রমাণ রয়ছে:
তৎকালে তুরস্করে শাষণর্কতা আরবরে খলফিা নামে রাজা-বাদশাদরে শুভ দৃষ্টি আর্কষণরে জন্য কোরানরে ৬,৬৬৬টি আয়াতরে প্রমাণ ও প্রতীক স্বরূপ ৬,৬৬৬টি র্স্বণরে মোমবাতি সংবলতি মহা মূল্যবান একটি বাতদিানী তরৈী করনে কাবা ঘরে উপহার দযে়ার জন্য। কিনতু বিধি বাম, হঠাৎ মুসলমি বীর কামাল আতার্তুকরে আগমণে র্তুকী মৌলবাদ লন্ড-ভন্ড হওয়ার ফলে সে পরকিল্পনা বাতলি হয়ে যায়। অতঃপর কামাল পাশা তোপকাপী মউিজযি়ামে ঐ বাতদিানীটি রক্ষণ করনে, যা আজও সখোনে অক্ষত অবস্থায় রয়ছে। শুধু তাই-ই নয়, হযরত ওসমানরে লখিতি কোরানও সখোনে রয়ছে। [ দ্র: সরাসরি তোপকাপী মউিজযি়াম অথবা এ্যাম্বসেীতে খোঁজ নতিে হবে
সুন্নিদের মত তাদেরও অনেক দলিল আছে। তারা যেমন তাদের টিকিয়ে রাখতে কোরআনরে কিছু আয়াত ব্যবহার করে ঠিক তেমন সুন্নিরাও তাদের ফলাও করে তুলে ধরতে কোরআরনের কিছু আয়াত ব্যবহার করে। উভয়ে উভয়কে নন মুসলিম বলে তাতে ধর্মের কি আসে যায়। ইপনি নিজে একজন সুন্নি তায় শিয়অদের গুয়ারে পেছনে লেগেছেন। আর আপনার বাবা যদি শিয়া মতালম্বী হতো তাহলে আপনি আজ শিয়া নিয়েই বলতেন। কেন? কারন এটা জন্মগত পাওয়া। এগুলো ছেড়ে মানব সেবায় আসুন তাহলে হয়তো মিলবে জান্নাত।
আমনের নিজের ঘরের খবর নাই, আইছেন ভীখারির মত অন্যরে উপদেশ দিতে। আগে নিজের পোষ্টে গিয়া বলদীয় উত্তর মাইরা আহেন, তারপরে জ্ঞানীদের কাতারে আসিয়েন।
আমি মনে করি অজ্ঞতাই বিভেদের মূল কারণ! এবং এসব বিষয়ে আমার মতো অধিকাংশই অজ্ঞ তাও আমার মনে হয়, তাই এসব বিষয়ের অনেক বেশি রেফারেন্সসহ আলোচনা-সমালোচনা আমাকে এবং আমার মতোদের অনেক জ্ঞান সরবরাহ করে বিভেদ দূরীকরনের কাজে আসে বলেই আমার মনে হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এ পোষ্ট দেয়ায়।
একদম ঠিক কথা।
না জেনেই শির্ককের বিরুদ্ধে কাফিরের বিরুদ্ধ্যে কথা বললে অনেকে বিভেদ মনে করে।
অথচ সুরা লোকমানে আল্লাহ বলেছেন,
”ইন্নাশিরকু লাজুলুমান আজীম”
নিশ্চই শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম।
আল্লাহু আকবার।
লাইলাহা ইলাল্লাহ।
ধন্যবাদ বুড়াভাই।
আপনার কথাতেই তো দিলাম, ধন্যবাদটা সবার আগে আপনার প্রাপ্য। জাযাকাল্লাহু খইর।
আপনি এই শির্ক,কাফেরদের বিরুদ্ধে কথা বন্ধ করবেন না এটা আমার অনুরোধ।
অনেকে না জেনেই অনেক কথা বলতেই পারে সেটা তাদের অজ্ঞতা।
আল্লাহ আমাদের মুশরিক হতে কাফির হতে রক্ষা করুন আমীন।
বিঃদ্রঃ আপনার মোরগটার উপর আমার বহুদিনের নজর। কোনদিন গায়েব কইরা দিমু, সাবধানে রাইখেন।
বুঝতে পারছেন ?
এদের ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে আমার মূল পোস্টটি পড়ার আমন্ত্রন রইলো। উপরে লিঙ্ক দেয়া আছে।
শিআরা যে অমুসলমান এই ফাতওয়া যারা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ইমাম শাফেঈ , ইবনে হাজম, ইবনে খালদুন, ইবনে তাইমিয়্যাহ, শাহ আব্দুল আজিজ, কাসিম নানুতুবী, মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহ.)-এর মতো ব্যক্তিগন উল্লেখযোগ্য। এমনকি বিদআতীদের ইমাম আহমেদ রেজা খান বেরলভীও শিআদের অমুসলিম হিসেবে ফাতওয়া দিয়েছে। হালআমলের নামকরা বেশ কয়েকজন স্কলারও তাদের অমুসলিম ঘোষণা করে ফাতওয়া দিয়েছে, যার লিঙ্ক আমি মূল পোস্টে যুক্ত করেছি।
জাযাকাল্লাহু খইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন