আমার আরেকটি কবিতা
লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ০৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:১৫:৩৯ রাত
মুসলমান, আমি মুসলমান।
মুসলমান, আমি মুসলমান।
বুকের ভেতর লৌহ দূর্গে
শিখা ঈমানের জ্বলমান।
আমি মুসলমান।
দু’ মেরুর দু প্রান্ত কাঁপিয়ে,
হিমালয়ের উচ্চ চূড়াকে ছাপিয়ে,
জল-স্থল চারিদিক কম্পিত আমার কন্ঠে,
আমার কন্ঠে আযান।
আমি মুসলমান।
আমি কেড়ে নেব লাঠি শোষণ জুলুমের।
ভেঙে দেব প্রাসাদ অহংকারের
নেই ভয় ডর। আছে প্রান যতক্ষণে
শান্তি হবে না, লাত- মানাত- উজ্জার অন্তরে।
পদতলে এনে তাদের দাম্ভিক মস্তক,
ভেঙে দেবো আমি ঠক-পুজোর দস্তক।
সৃষ্টি পুজার ঘটাবোই অবসান।
আমি মুসলমান।
অসহায়ের আমি সম্বল, আমি গরীবের খুঁটি।
মেহেনতী মানুষের ঝরানো ঘাম-
ছিনিয়ে আনবো তার যোগ্য দাম।
হবো না তো কভূ ত্রাস ধণীদের,
তবু এনে দেব তার কাছে যে হক গরীবের।
সকলের মুখে হাসির মেলাবো সন্ধান।
আমি মুসলমান।
আমি প্রকৃত নেতা উমরের ছিন্ন মলিন বেশে,
অর্ধ পৃথিবী শাষন করেছি
ধুলোর তখতে বসে
ক্ষুধাতুর, দরিদ্র, ভাঙা ঘরে থেকে তবু,
করিনি উচ-নীচ ধনী-গরীবে কভু।
আইনের চোখে সকলে সমান,
কি সে সৈয়দ, কি বা পাঠান।
কুরআন বিধান শ্রেষ্ঠতম, আমি করেছি প্রমাণ।
আমি মুসলমান।
আমি আলীর হাতে জুলফিক্কারের চাকচিক্য শোভা,
হোক তা বদর, উহুদ, খায়বারের প্রাচীর
ঈমানের তেজে, ইসলামের বলে
ভেঙে করি চৌচির।
দেবো না কোন জালেমকে নিস্তার-
যদি সে করে অপমান আমার কালিমার।
আলী হয়ে আমি সংহারিব তার প্রাণ
আমি মুসলমান।
আমি কারবালা প্রান্তরে খুনের বণ্যা
সীমারের হাতে লহু লোহান খঞ্জর।
পাশে পড়ে থাকা হুসাইনের দেহ। নিশ্চল, নিথর;
জান দেবো তবু দ্বীন দেবো না,
অন্যায়ের শাসন মেনে নেব না।
তাই তো আমি হুসাইন রূপে প্রমাণ করেছি আজ,
"ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কে বাদ।"
দিচ্ছি আমি মৃত্যুর পর জান্নাতের আহবান।
আমি মুসলমান।
আমি পূর্ণিমার পূর্ণ চন্দ্র, আমি ভালোবাসার বান।
আমি মানব প্রেমি প্রকৃত মানুষ, মানুষের চির আপন,
নিজ বুকে সবে টেনে নিয়ে বলি
মোরা সবাই তো এক সমান।
করিনি ভেদ উচ্চ-নীচে, সকলে আমার ভাই.
যে আপন ভাবে, তার সাথে মোর কোন বিবাদ নাই।
সকলের সাথে রচিব বিশ্ব শান্তি-কল্যান।
আমি মুসলমান।
আমি নির্যাতিত, নিপীড়িত; তবু অত্যাচারে হই না ভীত।
সত্যকে প্রকাশ করার লক্ষ্য চিরদিন;
আসুক আঘাত, ন্যায়ের পথে,
জয় নিশ্চিত হবে আমার একদিন।
মিথ্যার সেদিন ঘটাবো অবসান।
আমি মুসলমান।
আমি অনেক কেঁদেছি, সহেছি কত অত্যাচার।
প্যালেস্টাইন, কাশ্মির, সোমালিয়ায়
বন্ধ হয়নি স্রোত আমার রুধির ধারার।
দেখেনি কেউ আমার ক্ষুধা-তৃষ্ণা; সামান্য মানবতা বোধ
দেখায়নি ঐ হায়েনার দল, করেনি অন্যায় রোধ।
বরং তাদের পোষা কুকুরগুলো
হানে আঘাতের পর আঘাত।
বুলেট আঘাতে রুখতে চেয়েছে আমার আর্তনাদ।
আমার সে আর্তনাদ এখন প্রচন্ড হুংকার;
ঐ জালেমের তখতশাহী আমি করবোই ছারখার।
মুখোশধারী, অত্যাচারী- তোর ঘটাবোই অবসান।
আমি মুসলমান।।।
(আপনাদের মহামূল্যবান পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রইলাম)
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই নাকি ভাই! ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য। জাযাকাল্লাহ খইর।
জাযাকাল্লাহু খইর।
জাযাকাল্লাহু খইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন