ইরাক ফেরত ইমামের লোমহর্ষক বর্ণনা দাড়ি টেনে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয় (ইরাকে কয়েকবছর ধরে নিভৃতে চলে আসা মুসলমানদের উপর রাফেজী শিআদের অকথ্য নির্যাতনের একটি অংশ)

লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:৪৩:৩৮ দুপুর

অনেকে হয়তো জানেনও না, ইরাক ও ইরানে রাফেজি শিআ সম্প্রদায় কিভাবে মুসলমানদের উপর একের পর এক অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ইরাকে সাদ্দাম হোসেন পতনের পর রাফেজী মুতার সন্তান নুরি আল মালিকী ক্ষমতা গ্রহন করে রাফেজীদের প্রত্যক্ষ্য সমর্থন দেয়ার সাথে সাথে এই অত্যাচারের মাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে থাকে। তাদের আতঙ্কে মুসলমানরা জুমুআ আদায় করতে পারতো না, ঈদাইনের সলাত ঈদগাহে আদায় করতে পারতো না। উপরন্তু এই সব রাফেজি সন্ত্রাসিরা তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে নির্মম অত্যাচার চালায়। মেয়ের নাম আয়িশা রাখায় সেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে, যে কিনা কুরআনের হাফিজা ছিলো, তাকে উপর্যুপূরী ধর্ষন করে হত্যা করা হয়। ছোট ছেলেটির নাম উমর হওয়ায় তাকে জীবন্ত ওভেনে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে এই কবরপুজারি রাফেজিরা। সাহাবা (রাযি.) ও উম্মাহাতুল মু'মীনিন দের গালি দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানদের হাত থেতলে দেয়া হতো, নখ উপড়ে দেয়া হতো, দাঁড়ি টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হতো। এভাবেই তারা দিনের পর দিন মুসলমানদের উপর অমানবিক নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়ে যেতে থাকে। তেমনি নির্যাতনের স্বীকার বাংলাদেশী মাহবুব, যিনি ইমামতির দায়িত্ব নিয়ে ইরাক গিয়েছিলেন। গত দিন বহু কষ্টে অবশেষে দেশে ফিরে তিনি সেখানকার লোমহর্ষক বর্ণনাগুলো তুলে ধরেন।

ধন্যবাদ আইএসআইএস কে, যারা এই রাফেজী জারজগুলাকে পথে ঘাটে কুকুরের মতো গুলি করে হত্যা করছে। খিলাফত বির্তকে যেতে চাই না, কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে এগিয়ে এলো না সে বির্তকে যেতে চাই না, শুধু এতটুকু বলবো তারা যে মুসলমানদের রাফেজি জুলুমবাজদের হাত থেকে রক্ষা করছে, সে জন্যেই আমার পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ এবং তাদের নেক উদ্দেশ্য যেন কায়েম থাকে সেই দুআ।


দেশে ফিরেছেন ইরাকে নির্যাতিত সেই ইমাম মাহবুব। সঙ্গে ফিরেছেন নির্যাতিত আরও এক বাংলাদেশী আবদুল মান্নান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে অঝোরে কাঁদেন তারা। তাদের সে নির্যাতনের বর্ণনা শুনে অশ্রু ধরে রাখতে পারেনি বিমান বন্দরে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী ও উপস্থিত লোকজনও। আবদুল মান্নানের ওপর নির্যাতনের নির্মমতা এতটাই বেশি ছিল যে তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারছেন না। তিনি বলেন, দেশে ফেরা তো দূরের কথা, বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। আল্লাহর বিশেষ রহমত ছাড়া ফেরা সম্ভব হতো না। ফেরার আগ পর্যন্ত তারা সেখানকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই ক্লিনিক থেকে সরাসরি তাদেরকে বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কে বা কারা তাদেরকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তারা। ফেরার আগে কোন বাংলাদেশীর সঙ্গেও তাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। মঙ্গলবার রাত ৩টা ২৫ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের কিউআর-৬৩৩ নং ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন। এর আগে গত সোমবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৪টার দিকে বিমানটি ইরাকের বাগদাদ বিমান বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। বিমানটি কাতার বিমানবন্দরে পৌঁছে ২৫ ঘণ্টার যাত্রা বিরতি করে। ওই সময় তাদের সঙ্গে থাকা নির্যাতনের শিকার শরিফুল নামে আরও এক বাংলাদেশী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিমান কতর্ৃৃপক্ষ তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমান তিনি সেখানেই রয়েছেন। শরিফুলের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দরগারবন গ্রামের মাহবুব হোসেন ৭ মাস আগে ৩ লাখ টাকা খরচ করে ইউনিক এজেন্সির মাধ্যমে বাগদাদের নিউ বিসমায়া সিটি প্রজেক্টে কোরিয়ান কোম্পানি হানওয়াহতে কাজ নিয়ে ইরাক যান। সেখানে তিনি ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন। একই সঙ্গে জুনিয়র ক্যাম্পে অবস্থানকালে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের নামাজে ইমামতি করতেন। কিন্তু গত ২৬শে জুন মাগরিবের নামাজের পর হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই ইরাকি সৈন্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। চোখ বেঁধে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বেদম পেটাতে থাকে। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে জেলখানার মতো ছোট্ট একটি ঘরে রেখে বাংলাদেশী অনেকের ছবি দেখিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায় তার কাছে। এক পর্যায়ে শিয়া না সুন্নি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাহবুব বলেন তিনি মুসলমান। এ সময় শিয়া-সুন্নি যাচাইয়ের জন্য তারা আজান দিতে বলে। ইরাকি সেনাদের আজান শোনানোর সময় সুন্নি বলে তার ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে সেনারা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে খোঁচায়। দাঁড়ি টেনে তুলে ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরলে পরদিন রাতে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তাকে ফেরত দিয়ে যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ২৮শে জুন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বিমানবন্দরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শরীরে বিভিন্ন অংশ থেঁতলে গেছে। এখনও প্রচণ্ড ব্যথা পিঠে ও মাথায়। ওই ঘটনার পর থেকে বাম কানে কম শোনেন তিনি। ইমাম মাহবুবকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর ফেরত দেয়ার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন হানওয়াহ কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশীরা। পরে ফেরত দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা। কিন্তু ওই দিন তাদের ওপর নির্যাতন চালায় ইরাকি সৈন্যরা। ওই নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গু প্রায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আবদুল মান্নান। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আল্লাহই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। যে বর্বর নির্যাতন তাদের ওপর হয়েছে তাতে বাঁচার কথা না। ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ইরাক যান তিনি। সেখানে হানওয়াহ কোম্পানির অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি নেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আর কোন ঘটনা ঘটবে না- ২৮শে জুন কোম্পানির লোকেরা এই বলে আশস্ত করে যাওয়ার ৫ মিনিট পরেই ইরাকি সৈন্যরা আসে। একটি রুমে নিয়ে হকিস্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে। লম্বা দাড়ি থাকায় আবদুল মান্নানের ওপর নির্যাতন চলে বেশি। দাড়িগুলো টেনে তুলে থুথু দিয়ে সেগুলো পায়ের নিচেই ফেলে। নির্মম নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। আধা ঘণ্টা পর যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে তখন তার আর নড়াচড়া করার শক্তি ছিল না। এভাবেই কাটে দু’দিন। পরে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। তার সর্বশরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। স্ক্র্যাচ দিয়ে কোন মতে, দাঁড়াতে পারলেও অন্যের সহযোগিতা ছাড়া তিনি ওঠাবসা করতে পারেন না। অন্যের কাঁধে ভর করেই চলছেন তিনি। হাসপাতালে বাথরুম থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ তিনি মাহবুবের কাঁধে ভর দিয়েই সেরেছেন। এয়ারপোর্টের ২নং টার্মিনালের ভেতরে পিলার হেলান দিয়ে বসে হাঁপাতে হাঁপাতে মান্নান জানান, তার এই অবস্থার কথা এখনও পরিবারের কেউ জানে না। আড়াই বছরের তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে কথা হলেও সুস্থ আছেন বলে মাকে জানিয়েছেন। এমনকি তার মা যখন ইরাকের বর্তমান অবস্থার কথা বলেন তখন তিনি মাকে জানান তার এ ধরনের কোন সমস্যা নেই। এমনকি তিনি যে দেশে ফিরেছেন সে কথাও বলেননি পরিবারের কাউকে। শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনি অপেক্ষা করছিলেন বন্ধুর জন্য। যিনি তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠাবেন বলে তিনি জানান। ওখানে কি ধরনের চিকিৎসা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জ্বরের ওষুধ ছাড়া তাদেরকে কিছুই দেয়া হয়নি। কোমরে এক্সরে করানো হয়েছে কিন্তু তাকে রিপোর্ট দেয়া হয়নি। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, একদিনও এজেন্সির লোকজন হাসপাতালে তাদের খোঁজ নিতে যায়নি। একদিন দূতাবাসের লোকজন তাদের খোঁজ নিতে গেলেও কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি। চিকিৎসা খরচ কে বহন করেছে জানতে চাইলে মাহবুব ও মান্নান বলেন তারা কোম্পানির কাছে ২ মাসের বেতন পান। সম্ভবত ওই টাকা দিয়েই তাদের চিকিৎসা চলেছে। এছাড়া নির্যাতনের কথা জানে না মাহবুবের পরিবারও। তারা আরও জানান, তারা যে হাসপাতালে ছিলেন সেখানে হানওয়াহ কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আরও ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৭ মাস ধরে তারা হাসপাতালেই পড়ে আছেন। এর মধ্যে ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার তারা মিয়া নামে একজনের পা কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন অন্যরা হলেন বগুড়ার রায়হান ও পিন্টু, টাঙ্গাইলের শরিফুল ও আবদুল কাদির। উল্লেখ্য, সামপ্রতি ইরাকে শিয়া-সুন্নি সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইরাকি সৈন্যরা বাঙালি সুন্নি সমপ্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালায়। এর আগে ঈদের আগে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সরকারি খরচে দেশে ফেরেন ১৫ কর্মী। এছাড়া কোরিয়ান ওই কোম্পানিতে কর্মরত অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। এদের বেশির ভাগ নিজ খরচে দেশে ফেরেন।

নিজ কানে শুনুন। সৌদি টিভি চ্যানেলের কাছে ফোনে এক ইরাকী মুসলমান তুলে ধরছেন তাদের চরম দূর্দশা ও অত্যাচারের বিবরণ; জুলুমের হাত থেকে বাঁচানোর আকুতি।




আস সাফা চ্যানেলে ফোন কলের মাধ্যমে ইরাকে মুসলমানদের হত্যা করার প্রকাশ্য ঘোষণা এক রাফেজির।




সাহাবা (রাযি.) ও আহলে সুন্নাহ সম্পর্কে শিআরা কি ধারনা পোষণ করে?




(প্রতিটি ক্লিপই ১২ মিনিট বা এর চেয়ে ছোট। তাই একবার দেখার অনুরোধ করছি।)

শিআদের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে নিচের পোস্টটি পড়ুন।

শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা

বিষয়: বিবিধ

২০৫৬ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

251969
০৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
জিসান লিখেছেন : ধন্যবাদ লিখার জন্য।
০৭ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
196156
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খইর
252050
০৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৮
সাদাচোখে লিখেছেন : ভাই চিরবিদ্রোহী - আপনি কিভাবে জানেন, নির্যাতকরা শিয়া ছিল? ইমাম সাহেব কি কনফার্ম করেছে - যে নির্যাতকদের তিনি শিয়া হিসাবে চিনতে পেরেছেন?

আপনি কি নিশ্চিত, নির্যাতকরা ইসরাইল ও আমেরিকা ও সৌদী রাজের তৈরী করা আই এস আই এল নয়? কিংবা আপনি কি নিশ্চিত এ জাতীয় ঘটনা তৈরী করা হচ্ছেনা আমেরিকা আর ইসরাইলী চর দের দিয়ে - যারা শিয়া সুন্নীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে?

আপনি কি চান শিয়া সুন্নী মারামারি করে পরপারে পাড়ি দিক এবং তারপর যারা বেচে থাকবে তারা ইসরাইল আমেরিকা বৃটেন ইত্যাদি দেশের এ্যাবসুলুট গোলামী করবে? ইতোমধ্য আপনার আমার মা বোনদের দিয়ে তারা গার্মেন্টস এর নামে ১২ঘন্টার ও বেশী গোলামের ন্যায় শ্রম নিচ্ছে। অমনটা চাইলে আপনি এমন করে 'রাবিশ লোকদের অডিও ভিডিও' দিয়ে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে পারেন।

আর না চাইলে বিকল্প মিডিয়া হতে সত্যিকার খবর বের করার চেষ্টা করুন, জিও পলিটিক্যাল ইস্যু সমূহ নিয়ে ভাবুন, কোরান হাদীস পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন কেন এমন হচ্ছে, কেন এমন করে হিন্দু দ্বারা, বৌদ্ধ দ্বারা, খৃষ্টান দ্বারা, ইয়াহুদী দ্বারা মুসলিমরা মার খাচ্ছে - যেখানে আজকের সময়ের কথা মোহাম্মদ সঃ আমাদের জন্য বলে গেছেন ১৪০০ বছর আগে - যাতে আমরা গাইডেড হতে পারি এবং দুই দুনিয়ায় ই সাফল্য পাই।

আমাকে ভুল বুঝবেন না।

আল্লাহ আমাদেরকে জানার ও বোঝার আরো বেশী বেশী তৌফিক দিন।
০৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০১
196193
বুড়া মিয়া লিখেছেন : @সাদাচোখের সাথে একমত

@চিরবিদ্রোহী, যদিও বাংলাদেশের যাদেরকে মেরেছে সে ব্যাপারটা লোমহর্ষকঃ তারপরও একটা প্রশ্ন হচ্ছে – এদের সম্বন্ধে সংবাদে যা পড়েছি – অত্যাচারিত লোক- দু’টো কিভাবে প্লেনে চড়ে দেশে এলো তারা নিজেরাও জানে না, তাদের টিকিট-টাকা কে দিলো তাও জানে না! এটাও বলছে তারা আবার বলছে তাদেরকে শি’আ-রা মেরেছে; আর এর চাইতেও অনেক লোমহর্ষক ঘটনা ছাপিয়ে রেখে এগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করছে দেশের সব মিডিয়া।

একেকবারতো মনে হয় কোন গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এসব করে বিভিন্ন মুসলিম দেশে এসব প্রচারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, আর এসব নাটক যাতে ধরা না পড়ে – তাই সত্যিই কিছু মানষুকে অত্যাচার-নির্যাতন করে আবার তাদের নিজ দেশে ওরাই পাঠিয়ে দিয়ে দ্বন্দ-বিভেদ প্রচার-প্রসারে কাজ করছে। শি’আ-সুন্নী দ্বন্দে শি’আ-রা মারলে কি দরকার ছিলো - মেরে আবার চিকিৎসা দিয়ে প্লেনের টিকিট কেটে প্লেনে চড়িয়ে দিয়ে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থার?
০৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:২৪
196197
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আপনাদের উভয়রে প্রশ্ন ও মন্তব্যগুলো মোটেও অমূলক নয়। এমন একটা ষড়যন্ত্রের সন্দেহ আমরা করতেই পারি।

তবে কি ভাই, শিআদের মুসলিম বিদ্বেষ কিন্তু আজ নতুন নয়। এটা তাদের আক্বিদার একটা অংশ, সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) ও মুসলমানদের গালাগালি করাকে তারা ঈমানের অংশ মনে করে। তাদের আক্বিদার কিতাব আমি নিজে পড়েছি, সেখানে রন্ধে রন্ধে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো আছে। মুসলমানদের হত্যা করাকে সাওয়াবের কাজ বলে উৎসাহিত করা হয়, তাগিদ দেয়া হয়। এমনকি তাদের কথিত মাহদীও নাকি আত্মপ্রকাশ করে সমস্ত মুসলমানদের (আহলে সুন্নাহদের) হত্যা করবে, যদিও সে আহলে কিতাবদের সাথে সন্ধি করবেন।
এসব রচনা পড়ে, কিছু ভিডিও দেখে, এবং ইরান ও ইরাক ফেরত কিছু পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেই আমি শিআদের আচরণের বিষয়ে জেনেছি।


আমি অস্বীকার করবো না, হতে পারে পুরো ঘটনাটাই সাজানো। আবার এও তো হতে পারে, আইএসআইএস এর কাছে কোনঠাসা ইরাকী বাহীনি শেষমেষ বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিলো। আল্লাহু আ'লাম।

তবে আমারা বিশ্বাস, এবং অতীতেও যার কিছু নমুনা দেখা গিয়েছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে রাফেজিরা প্রয়োজনে ইহুদি নাসারাদের সাথে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করবে।
০৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৩৯
196363
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আমার জানামতে শি’আ বলে যাদের অভিহিত করা হয় তারা মূলত মুআবিয়া(রাঃ) এর বিরুদ্ধে আলী(রাঃ) এর পক্ষ অবলম্বন করে সিফফিনে যুদ্ধ করেছে এবং সে যুদ্ধে আলী(রাঃ) এর পক্ষ অবলম্বনকারীদের মধ্যে একদল অগ্রগামী হয়ে প্রায় জয় পাওয়া যুদ্ধ ত্যাগ করে সন্ধিতে আলী(রাঃ) কে বাধ্য করেছে এবং পরবর্তীতে সে অগ্রগামী দল খারিজী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং আলী(রাঃ) এবং তার অনুসারী শি’আ-রা অনেক খারিজীদের মেরেছে।

এখন আমার প্রশ্ন শি’আ-রা খারাপ নাকি অন্য কোন দল অর্থাৎ খারিজী? অন্য কোন দল খারাপ হলে আমরা শি’আ-দের দোষ দেই কেন? আলী(রাঃ) এর অনুসারী শি’আ হিসেবে যারা পরিচিত তারা কি ভুল পথের অনুসরন করেছিল?
০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৪
196492
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : @বুড়া মিয়া
আমার জানামতে শি’আ বলে যাদের অভিহিত করা হয় তারা মূলত মুআবিয়া(রাঃ) এর বিরুদ্ধে আলী(রাঃ) এর পক্ষ অবলম্বন করে সিফফিনে যুদ্ধ করেছে এবং সে যুদ্ধে আলী(রাঃ) এর পক্ষ অবলম্বনকারীদের মধ্যে একদল অগ্রগামী হয়ে প্রায় জয় পাওয়া যুদ্ধ ত্যাগ করে সন্ধিতে আলী(রাঃ) কে বাধ্য করেছে এবং পরবর্তীতে সে অগ্রগামী দল খারিজী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং আলী(রাঃ) এবং তার অনুসারী শি’আ-রা অনেক খারিজীদের মেরেছে।


দুঃখিত ভাইজান। আপনার এই ধারণাটা সঠিক নয়। জঙ্গে সিফফিনে হযরত আমীর মুআবিয়া (রাযি.)-এর পক্ষে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন সাহাবা এবং তাবেঈ ছিলেন, যদিও বেশিরভাগ সাহাবাই (রাযি.) আলীর (রাযি.) পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন এবং আম্মার বিন ইয়াসির (রাযি.) শহীদ হয়েছিলেন। শিআরা বাহ্যিক ভাবে এ যুদ্ধে আলীর (রাযি.) পক্ষাবলম্বী বলে নিজেদের প্রচার করলেও তারা যুদ্ধে আসেনি।


শিআদের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আরেকটু পিছনে অর্থাৎ উসমান বিন আফফান (রাযি.)-এর খিলাফতের সময়ের দিকে তাকাতে হবে। এই সময়ে আবদুল্লাহ বিন সাবাহ নামক এক লোক ইয়ামানের সানআ থেকে মদীনায় এসে ইসলাম গ্রহন করে। সে বাহ্যিকভাবে ইসলাম গ্রহন করলেও মূলতঃ সে ছিলো ইয়াহুদি এবং মুসলমানদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টি করে খিলাফত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করতেই এসেছিলো। প্রথমদিকে ইবাদত ও রিয়াজতের ভান ধরে সে মানুষের মধ্যে নিজের জন্য বেশ ভক্তি শ্রদ্ধা অর্জন করতে সক্ষম হয়। ইতোমধ্যে উসমান (রাযি.) কর্তৃক কুরআন পুড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু লোকের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ইবনে সাবা এই ঘটনাটিকে পুঁজি বানিয়ে সাধারণ মুসলমানদের খেপিতে তুলতে থাকে যে উসমান কুরআনকে ধ্বংস করতে প্রবৃত্ত হয়েছে। ফলস্বরূপ: কিছু পথবিভ্রান্ত লোকের হাতে উসমান (রাযি.) শাহাদাত বরণ করেন। ইতোমধ্যে আলী (রাযি.) খিলাফতে অধিষ্ঠিত হলে এই লোকগুলো নিজেদের রক্ষার্থে আলী (রাযি.)-এর অনুগত্য প্রকাশ করতে থাকে এবং বলতে থাকে আলীই খিলাফতের প্রকৃত হকদার ছিলো, কিন্তু আবু বকর, উমর, উসমান তাঁর সেই অধিকার হরণ করায় তারা জাহান্নামে পতিত হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) তাদের এই বাড়াবাড়ি আলী (রাযি.) পছন্দ করেননি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বেই তিনি জঙ্গে সিফফিনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে এই দলটি যুদ্ধে না গিয়ে কুফায় অবস্থান করে এবং মুআবিয়া সহ প্রায় সকল সাহাবা, যারা সিফফিন যুদ্ধে অংশ নেননি অথবা আলী (রাযি.)-এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন; তাদের কাফির বলে প্রচার করতে থাকে। ইতোমধ্যে আলী (রাযি.) ফেরত এসে এদের সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেন। এরা প্রাথমিক অবস্থায় পালালেও কিছুদিনের মধ্যেই শক্তি সঞ্চার করে এবং সূদান দখল করে সেখানে "ফাতেমি খিলাফত" নামে শাসন প্রতিষ্টা করে। এরা নিজেদের "শিআয়ে আলী" বা আলীর অনুসারী ও "শিআয়ে আহলে বাইত" বা আহলে বাইতের অনুসারী বলে। সেই থেকেই শিআ নামটির উৎপত্তি। বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন- (১) আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- ইবনে কাসির (রহ.) (২) হাদিয়াতুশ শিআ- কাসিম নানুতুবি (রহ.) (৩) তোহফায়ে ইসনা আশারিয়া- আল্লামা শাহ আবদুল আযিয ইবনে ওয়ালিউল্লাহ (রহ.), (৪) শরহে আক্বায়িদ- আল্লামা উমর নাসাফি (রহ.), (৫) ইসলামী আক্বিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ- মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন (দা:বাHappy (৬) ফিরকায়ে বাতিলা- শাইখুল হাদিস হাফেজ হাবিবুর রহমান (দা:বাHappy

এখন আমার প্রশ্ন শি’আ-রা খারাপ নাকি অন্য কোন দল অর্থাৎ খারিজী? অন্য কোন দল খারাপ হলে আমরা শি’আ-দের দোষ দেই কেন? আলী(রাঃ) এর অনুসারী শি’আ হিসেবে যারা পরিচিত তারা কি ভুল পথের অনুসরন করেছিল?


ভাইজান, শিআরা শুধুই খারাপ নয়, বরং জঘন্য শ্রেণীর মানুষ। কারণ কি? কারণ শিআরা বিশ্বাস করে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ইন্তিকালের পর আলী, ইবনে আব্বাস, আম্মান, সালমান, আবু মুসা আসআরী (রাযি.) ব্যতিত সকল সাহাব মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো। (নাউজুবিল্লাহ)তারা উম্মাহাতুল মু'মিনীন আয়িশা (রাযি.)-এর উপর ব্যাভিচারের অপবাদ দেয়। উম্মাহাতুল মু'মিনীন আয়িশা ও হাফসা (রাযি.)-এর নামে রাসূল (সাঃ)-কে বিষপানে হত্যার অপবাদ দেয়। আবু বকর, উমর, উসমান (রাযি.) কে জিন্দিক, কাফির, মদ্যপায়ী, দুশ্চরিত্র ও জালিম বর্ণনা করে। (নাউজুবিল্লাহ) তারা কুরআনের বিকৃত হয়ে যাওয়া মতবাদে বিশ্বাসী। এছাড়াও তাদের এমন সব আক্বিদায় বিশ্বাসী যা ইসলামের ধারে কাছেও না। যদি তারা প্রকৃতই আলী (রাযি.)-এর অনুসারী হতো তাহলে কি এসব অপকর্ম ও উদ্ভট বিশ্বাসে অনুসারী হতো?? ইতিহাস সাক্ষি দেয়, মুসলমানদে ক্ষতি সাধনে তারা কোন প্রচেষ্ঠাই বাকি রাখেনি, এমনকি প্রয়োজনে ইহুদি-নাসারাদের সাথে মিলিত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

শিআদের আক্বিদা সম্পর্কে জানতে আমার এই লেখাটি দেখতে পারেন। এখানে তাদের কিতাবাদি থেকেই তাদের আক্বিাদা পেশ করা হয়েছে।
শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা

জাযাকাল্লাহু খইর।
০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০৯
196507
বুড়া মিয়া লিখেছেন : শিআ-দের নামকরনের ব্যাপারটা আমি মনে হয় আল-বিদায়াতেই পড়েছিলাম, যতদূর মনে পড়ে। কুর’আন বিকৃতীর যে আক্বীদা সেটা নিয়ে ঘাটতে গিয়ে আমি নিজেও শিআ-দের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে অনলাইনে তাদের কুর’আন এবং সেখানের আয়াতসংখ্যাও আমি নিজেও গুনে দেখেছি – একই জিনিস, একটুও পার্থক্য নাই।

আবু বকর(রাঃ), উমর(রাঃ) এবং উসমান(রাঃ) এর সম্বন্ধে তাদের বিরূপ ধারনা সম্পর্কে যা জেনেছি – তার মূলে খিলাফত নিয়ে রাসুল(সাঃ) মৃত্যুর পর থেকেই দ্বন্দের কারণে, এর জন্য তারা গাদীরে খাম এর ঘটনা রেফারেন্স হিসেবে দেয় যার উল্লেখ আল-বিদায়াতেও আছে। আয়েশা(রাঃ) এর বিপক্ষে বলে মূলত জামাল যুদ্ধের ঘটনার কারণে – সে ব্যাপারেও আল-বিদায়াতে আছে। আমীরে মুয়াবিয়া(রাঃ) এবং আমর ইবনুল আস(রাঃ) এর ঘটনাও আল-বিদায়াতে রয়েছে, সেখানে আমীরে মুয়াবিয়া(রাঃ) সপক্ষে কিছু হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, যার বদৌলতে আমরা তাকে মুসলিম হিসেবে বলি, কিন্তু ঐ কিতাবে উল্লেখিত সমস্ত ঘটনাবলী এবং অন্যান্য হাদীসও আমীরে মুয়াবিয়া(রাঃ) এর বিপক্ষে এবং আলী(রাঃ) এর পক্ষে যায়, এগুলো আমি পড়েছি।

তবে মুয়াবিয়া(রাঃ) এর শাসনকাল এবং কারবালার কাহিনী আমি এখনও পড়তে পারি নাই আল-বিদায়া এর ৮ম খন্ডের বাংলা ভার্সন অনলাইনে না পাওয়ার কারণে – আপনার কাছে ৮ম খন্ডের বাংলার অনলাইন-লিঙ্ক থাকলে অনুগ্রহপূর্বক জানাবেন আমাকে।

আপনার রেফারেন্স লিঙ্ক আমি ফ্যাভারিট এ এ্যাড করে রাখলাম, অনেক বড় লেখা সময় নিয়ে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:০৮
196544
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন :
কুর’আন বিকৃতীর যে আক্বীদা সেটা নিয়ে ঘাটতে গিয়ে আমি নিজেও শিআ-দের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে অনলাইনে তাদের কুর’আন এবং সেখানের আয়াতসংখ্যাও আমি নিজেও গুনে দেখেছি – একই জিনিস, একটুও পার্থক্য নাই।


দাদা, আমরা মুসলমানরা সাধারণত স্বভাবতই একটু নরম প্রকৃতির। আর আমাদের এই সরলতার সুযোগ নেয় সব বিরোধী পক্ষ।
হয়তো জেনে থাকবেন, শিআদের মধ্যে তাক্বিয়া নামক একটি ইবাদত (!) আছে। যার সারসংক্ষেপ হলো- আপনি ইচ্ছামাফিক নিজের ঈমান ও আক্বিদা গোপন রাখতে পারবেন এবং মিথ্যা বলতে পারবেন। লক্ষ্যনীয়: বিপদের কারণে নয়, ইচ্ছামাফিক। সুতরাং, শিআরা এই তাক্বিয়ার ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন বিশ্বাসকে গোপন রেখে মুসলমানদের কাছে প্রকাশ করে "দেখ, আমরা তোমাদের মতোই।" কিন্তু যদি আপনি শিআদের মৌলিক আক্বিদার কিতাবগুলো দেখেন, তাহলে দেখবেন সেখানে এ ধরনের আলোচনা ভর্তি। উদাহরন স্বরূপ-
১. শিআদের অন্যতম বড় মুজতাহিদ, মুহাদ্দিস ও প্রথম দিককার আকাবির মোল্লা মোহা: বাকের মাজলিসি তার "হায়াতুল ক্বুলুব" গ্রন্থের ৩য় খন্ডের ২৪৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে- প্রচলিত কুরআনে আমরা সূরা আল-আসর যেভাবে দেখি, আসলে এটি নাযিল কৃত সূরা আসরের সঠিক রূপ নয়। বরং সঠিক সূরাটি হলো- إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ এর পরের আয়াতগুলো হলো- انه فيه من لدهر الا الذين امنوا وعملوالصالحت وأتمروا بالتقوى وأتمروا بالصبر- (নাউযুবিল্লাহ)

২. একই গ্রন্থের ৩য় খন্ডের ৩৮৯ নং পৃষ্ঠায় এই গন্ড মূর্খ মজলিশী লিখেছে- "إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَظَلَمُوا لَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ طَرِيقًا " (সূরা নিসা, আয়াত-১৭০) ভূল। সঠিক আয়াতটি হলো-
إِنَّ الَّذِينَ وَظَلَمُوا آل محمد حقهم । (নাউযুবিল্লাহ)

উল্লেখ্য, প্রায় পুরো হায়াতুল কুলুব, যা মোটামুটি একটি বৃহদাকৃতির গ্রন্থ, এই জালেম রচনা করেছে কুরআনের সংশোধনের উপর।

৩. ভন্ড, মুশরিক বাক্বের আল মজলিশী "বিহারুল আনওয়ার" নামে ১১০ খন্ডের একটি গ্রন্থ রচনা করেছে। এটি শিআ হাদীসের সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য গ্রন্থ, পাশাপাশি শিআ আক্বাইদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। (প্রথমটিও এই জাহান্নামির লেখা, উসূলূল কাফি)। এই গ্রন্থের একটি স্বতন্ত্র পরিচ্ছেদ রয়েছে ওহির ভূল ও বিশুদ্ধার উপর ।

৪. শিআদের আরেক বিখ্যাত আকাবির, আয়াতুল্লাহ আল্লামা আবু যাইনাব আল নুমানি তার কিতাব আল গাইবালিল নুমানির ২০০ পৃষ্ঠায় ইমাম মাহদীর আবির্ভাব বিষয়ক আলোচনায় উল্লেখ করেছেন- "সাহিবুয যামান (ইমাম মাহদী) অতঃপর কুরআনের বিকৃতি গুলিকে পরিবর্তন করে সঠিক কুরআন প্রণয়ন করবেন। (একই কথা বিহারুল আনওয়ারেও লেখা আছে, কিন্তু এই মুহুর্তে রেফারেন্সটা মনে নেই)।

তো ভাইজান, যেখানে তাদের বড় বড় আকাবির ও আয়াতুল্লাহরা কুরআনের বিকৃতির ব্যাপারে নিশ্চিত, সেখানে ওরা যে এটা বিশ্বাস করে না তা কিভাবে বিশ্বাস করবো! Remember, The Power of Taqqiyya.

দুঃখিত ভাই। আল বিদায়ার ৮ম খন্ডটি সম্ভবত অনলাইনে নেই। আমিও পাইনি। তবে আমার কাছে হার্ডকপি আছে।
০৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:০৩
196578
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুম তাকিয়্যার ব্যাপারটা নতুন জানলাম, আর ওদের কিতাব এখনো পড়ে দেখা হয় নাই।
০৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
196691
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : সাধারণ গোছের একটি বই আছে ওদের, যেখানে শত প্রচেষ্ঠা স্বত্ত্বেও নিজেদের প্রকৃত মতবাদ ওরা পুরোপুরি লুকাতে পারেনি। বইটার নাম "শিআদের মৌলিক বিশ্বাস", পাওয়া যাবে হুসাইনি দালান সংলগ্ন দারুস সাকলাইন কুতুবখানায়। পড়ে দেখতে পারেন। আর অনলাইনে নামীদামী প্রায় সবগুলো বই পাওয়া যায়, আরবী,ইংরেজী, ফার্সি ও উর্দূ ভাষায়।
০৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
196700
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ পড়ার চেষ্টা করবো
১১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৩:২৯
197194
সাদাচোখে লিখেছেন : @ চিরবিদ্রোহী, শিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আপনার সংগৃহিত তথ্য ও তার উপস্থাপন প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে প্রমান করে আপনি স্ট্রাকচারালী ও টেকনিক্যালী একজন শিয়া বিদ্ধেষী, শিয়া বিরোধী।

একটি সম্প্রদায়ের প্রতি আপনি বিদ্ধেষ পোষন করলে - সে সম্প্রদায়কে আপনি যথাযথ বিচার কিংবা জাজমেন্ট করতে ব্যার্থ হবেন - এটাই স্বাভাবিক এবং স্বতঃসিদ্ধ।

মোহাম্মদ সঃ আমাদের বলেছেন শেষ জামানায় আমরা লিটারেলী নেতৃত্বহীন থাকবো, আমরা সত্য ছেড়ে মিথ্যার পেছনে দৌড়াবো, আমরা দিশা পাবোনা কি করা উচিত এবং কি করা উচিত নয়, আমরা সংখ্যায় অনেক থাকবো কিন্তু আমাদেরকে সর্বত্র লিটারেলী কুকুর বিড়ালের ন্যায় মারা হবে, টর্চার করা হবে, হত্যা করা হবে, আকাশ হতে কোন কারন ছাড়াই মারা হবে এবং যে মারবে সে জানবেও না কেন সে মারছে আর যে মরছে সে জানবেও না কেন তাকে মারছে। এমনি শত শত বিষয় আমাদের সামনে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। আপনি আমি এসব সমস্যা নিয়ে ভাবছি না, ফ্যাক্টস ফিগার শেয়ার করছি না, এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করছি না - আমরা কিনা ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যায় করছি মুসলিমদের ৭৩টি ফ্রাকশানের মেজর দুটি ফ্রাকশানের মধ্যে ঘৃনা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস ডুকিয়ে দু পক্ষকে উসকিয়ে দিয়ে গৃহযুদ্ধ বাধাঁতে।

সবশেষে আবার বলবো - মুসলিমরা ফ্রাকচারড হয়ে ৭৩ ভাগে ভাগ হবে, এটা মোহাম্মদ সঃ এর ভবিষ্যতবানী এবং আমরা তা হয়েছি এবং হচ্ছি। এর মধ্যে কোনটার কোন মানুষ নেই - যে নিজের বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে সে সাফল্য পাবে, তথা বেহেস্ত পাবে। সুতরাং আপনি কেউ নন, আমি কেউ নই - কোন একজন কিংবা কোন একটা মুসলিম সম্প্রদায়কে ভিকটিমাইজ করার। আপনি বরং অন্য বিষয় আনুন - আমরা আপনার কাছ হতে শিখি এবং জানি। এ বিষয়টা ইতোমধ্যে অনেক তেতো হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সিরাতুল মোস্তাকিম এর পথে চলার তৌফিক দিন। আমীন।
১১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৪
197369
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : @ সাদাচোখে
শিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আপনার সংগৃহিত তথ্য ও তার উপস্থাপন প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে প্রমান করে আপনি স্ট্রাকচারালী ও টেকনিক্যালী একজন শিয়া বিদ্ধেষী, শিয়া বিরোধী।

এতে কোন সন্দেহ নেই আমি একজন শিআ বিদ্বেষী। এই বিদ্বেষ আমি জন্মসূত্রে পাইনি; এই বিদ্বেষের সৃষ্টি আমার ধর্ম, আল্লাহর রাসূল (সাঃ), তাঁর সাহাবা (রাযি.) ও তার পূণ্যবতী স্ত্রীদের সম্পর্কে শিআদের অশালিন ও অপমানকর বক্তব্য দেখে। আমার তো মনে হয় না যার মনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ), উম্মাহাতুল মু'মিনীন ও সাহাবায়ে আযমাঈন (রাযি.)-দের প্রতি বিন্দু মাত্র ভালোবাসা ও সম্মান আছে, সে এইসব জানার পরও শিআদের প্রতি সৌহার্দ্য মূলক ধারনা রাখতে পারে না।

একটি সম্প্রদায়ের প্রতি আপনি বিদ্ধেষ পোষন করলে - সে সম্প্রদায়কে আপনি যথাযথ বিচার কিংবা জাজমেন্ট করতে ব্যার্থ হবেন - এটাই স্বাভাবিক এবং স্বতঃসিদ্ধ।


এটা মোটেও স্বাভাবিক বা স্বতঃসিদ্ধ নয়। কেননা মানুষের ধারনা দু'ভাবে হতে পারে (১)শুরু থেকেই একটি অলিক ধারনা পোষন করা এবং (২) দেখা, বোঝা, জানার পর বিশ্লেষণধর্মী একটি ধারণা। কিছু লোক প্রথমোক্তভাবেই ধারনা পোষন করলেও সবাইকে এক পাল্লায় মাপা বরং অস্বাভাবিক।
আগেই বলেছি, শিআদের প্রতি আমার যে ধারনা তা সৃষ্টি হয়েছে ওদের ধর্মীয় বই পড়ে, ওদের সাথে কথা বলে, এবং ওদের বিরুদ্ধে আমাদের আকাবিরদের (রহ.) বই সমূহ পড়ে। এর প্রতিফলন আমার ঐ পোস্টটিতেও হয়েছে, যেখানে আমি গায়ের জোরে বা শুধু যুক্তির দোহাই দিয়ে কিছু বলিনি বরং প্রতিটা কথার পিছনে রয়েছে তাদেরই সর্বস্বীকৃত গ্রন্থাদির রেফারেন্স। এখন যদি কারো সন্দেহ থাকে যে আমি Out of context quote করেছি তাহলে তাকে খুশি মনে এই বিষয়ে তাহক্বীক করার আবেদন জানাবো।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজেই ভবিষ্যতে আগত এসব ফিরকা ও ফিতনা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট ও কঠোর নির্দেশ ছিলো কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবাদের দৃষ্টান্তকে আঁকড়ে ধরতে। এটাই দ্বীনের বেসিক। বাহ্যিক শত্রুর সাথে লড়াইয়ের আগে আভ্যন্তরীন শত্রুকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন, অন্যথায় তারা ভিতরে থেকে ঘুনের মতো ধিরে ধিরে ভীত দূর্বল করে ফেলে।
এ প্রসঙ্গে ইতিহাসের পাতা থেকে একটি মাত্র উদাহরণ দিবো, আশা করি বুঝনে ওয়ালার জন্য এই একটিই যথেষ্ট হবে-
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার (রহ.) জামানায় র্দূধর্ষ তাতারীরা সিরিয়ার আক্রমন চালায়। তিনি এই আক্রমন প্রতিহত করতে স্থানীয় শাসক ও মিশরের সুলতানকে উৎসাহীত করেন অতঃপর তিনি নিজেও যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। প্রথম সাক্ষাতে তাঁরা পরাজয় বরণ করেন, দ্বিতীয় সাক্ষাতে অনেক কষ্টে অবশেষে বিজয় লাভ করেন। এই দুটি যুদ্ধের বিশ্লেষন করতে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় রাফেজি বা শিআ সম্প্রদায় তাতারীদের নানা ভাবে সাহায্য করেছে, গোয়েন্দাগিরীর মাধ্যমে তথ্য জুগিয়েছে, যদিও বাহ্যিকভাবে তারা সিরিয়ার সমর্থক হিসেবেই জাহির হতো। শেষ পর্যন্ত এই অপরাধে তাদের এলাকায় আক্রমন ও বিচার হয়েছিলো।
এমন অসংখ্য উদাহরণ ইতিপাসের পাতায় লিপিবদ্ধ। এই স্বল্প পরিসরে সেগুলো বর্ণনার সুযোগ নেই। তবে আশা করি আমার কথার উদ্দেশ্য ও যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পেরেছি।
২৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:২২
201522
হক কথা ৫৭০ লিখেছেন : ৫) ইসলামী আক্বিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ- মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন


এই বইতে একমাত্র দেওবন্দ ছাড়া বাকি সবাইকেই বাতি কাফির ইত্যাদি বলা হএছে যা সন্দেহজনক।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File