শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা
লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ২২ জুন, ২০১৪, ১১:৩৬:৫৩ রাত
উপক্রমনিকা:
বিগত কয়েকদিন ধরে মিডিয়া ও ব্লগে গরম একটা টপিক ইরাকে ইসলামকি স্টটে ইন ইরাক অ্যান্ড সরিয়িার (আইএসআইএস) এর অনবরত আক্রমন ও নাস্তানাবুদ ইরাকি বাহিনী। হঠাৎ করে জেগে ওঠা এই সুন্নি বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামী খিলাফত স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে নেমেছে। তারা যখন একদিকে ইরাকের সৈনবাহিনীকে পরাস্ত করে চলছে, একই সময়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী ইরাককে সুন্নীদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রকারের সহযোগীতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ইরাকের সর্বোচ্চ শী’আ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী আল সিসতানী ও মুকতাদা আল সদরের আহবানে শী’আ সেচ্ছাসেবকরা প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে সুন্নীদের বিরুদ্ধে নামছে।
এগুলো পুরোনো খবর। আমার চর্বিত চর্বনের অভ্যাস নেই। তবুও এগুলো বলছি প্রি-মিল কোর্স বা স্টার্টার হিসেবে। মূল বিষয়টি হলো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উত্থানে আমাদের অনেক পরিচিতকে বেশ আনন্দিত দেখা গেছে। কারণ হিসেবে তারা বলতে, শী’আ রাও তো মুসলমান। সুতরাং, তারা এখন আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো অবস্থায় গেলে আমাদেরকেও ইহুদি-খ্রিষ্টানদের কবল থেকে বের হতে সাহায্য করবে। তাদের বলেছিলাম শী’আ দের উত্থান আমাদের জন্য ইসরাইলের উত্থানের চেয়ে কোন অংশে কম বিপদজনক নয়। কেননা, অতীত ইতিহাস বলে, শী’আ রা মুসলমানদে ক্ষতি করতে ইহুদি-খ্রিষ্টানদের সাথেও হাত মিলিয়েছে। আমার কথা অনেকেই তখন মানতে রাজি হননি। এখন বাস্তব প্রমান সকলের সামনে।
যাই হোক, আমার মূল আলোচ্য বিষয় শী’আরা কি মুসলমান?
না। এক কথায় বলতে গেলে শী’আরা মুসলমান না। তারা এমন একটি সম্প্রদায় যারা ইসলাম হতে ছিটকে গিয়ে ইসলামের কিছু বিধান গ্রহন করে, কিছু বিকৃত করে এবং কিছু বানোয়াট জিনিস ঢুকিয়ে নতুন একটা ধর্মমত সৃষ্টি করেছে।
শী'আ শব্দটি আভিধানিক অর্থ দল, অনুসারী, সমর্থক ও সাহায্যকারী।
বর্তমান পরিভাষায় শী’আ বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে যিনি আলী (রাঃ) ও আহলে বায়াত এর সমর্থক দাবীকারি, ইমামত আকীদায় বিশ্বাসী এবং হযরত আবূ বকর সিদ্দীক ও ওমর রাযি. এর চেয়ে আলী রাযি. এর অধিক মর্তবা থাকার প্রবক্তা।
শী'আদেরকে "রাফিজী"ও বলা হয়।
শী'আ দলের প্রতিষ্ঠাতা হল ইয়ামানের সানআ শহরের জনৈক ইয়াহুদী আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ওরফে ইবনে সাওদা। এই লোক মুসলমানদের মধ্যে ফেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে মুসলমানদের ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে হযরত উসমান বিন আফফান রাযি.-এর খিলাফত কালে মদীনায় আসে এবং কপট ভাবে ইসলাম গ্রহনের নাটক করে। পরবর্তীতে হযরত উসমান বিন আফফান রাযি. এর সময়ে মুসলমানদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য দেখা দিলে সে এটাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহন করে হযরত উসমানের রাযি. বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, প্রচার করতে থাকে উসমান কুরআন ধ্বংসের চেষ্ঠা করছে, খিলাফতের প্রকৃত হকদার আলী বিন আবি তালিবের ও অন্যান্য আহলে বাইতের রাযি. অধিকার ক্ষুন্ন করছে ইত্যাদি। তার পাতা ফাঁদে অনেকে পা দিয়ে হযরত উসামনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়। প্রাথমিক ভাবে সে এই চেষ্ঠায় সফল হয়। পরবর্তীতে হযরত আলী বিন আবি তালিব রাযি. খিলাফতে অধিষ্ঠিত হয়ে এই লোকটিকে বিতাড়িত করে। তখন সে আফ্রিকায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে ফাতেমি নামে রাজ্য কায়েম করে। সেখান থেকেই সে তার কুকর্ম চালাতে থাকে।
শী'আদের দল-উপদল সমূহঃ
শী'আদের প্রথমতঃ তিনটি দল।
১.তাফযীলিয়া।
এরা আলী রাযি.কে আবূ বকর ও ওমর রাযি. এর উপর ফযীল দিয়ে থাকেন।
২.সাবইয়্যা।এদেরকে "তাবরিয়া"ও বলা হয়।
এরা হযরত সালমান ফারসী, আবূ জর গিফারী, মেকদাদ ও আম্মার ইবনে ইয়াছির প্রমুখ অল্প সংখ্যক সাহাবী ব্যতীত অন্য সকল সাহাবী থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে, এমনকি তাঁদেরকে মুনাফিক এবং কাফের পর্যন্ত বলে।
৩.গুলাত বা চরমপন্থী শী'আ।
এদের কতক আলী রাযি. এর খোদা হওয়ার প্রবক্তা ছিল। আর কতক মনে করত খোদা তাঁর মধ্যে প্রবেশ করেছেন অর্থাত্ তিনি ছিলেন খোদার অবতার বা প্রকাশ।
গুলাত বা চরমপন্থী শী’আ দের ২৪টি উপদল ছিল। যাদের একটি দল ছিল ইমামিয়া। এই ইমামিয়া ছিল লীআদের ১টি বৃহত্ সংখ্যাগরিষ্ট দল।
সাবইয়্যাদের ছিল ৩৯টি উপদল।
ইমামিয়া দলের মধ্যে প্রধান ও প্রসিদ্ধ ৩টি উপদল। যথাঃ
১.ইছনা আশারিয়া। ২.ইসমাঈলিয়া। ৩.যায়দিয়া।
ইছনা আশারিয়া-
শী’আ দের উপরোক্ত ৩টি দলের মধ্যে ইছনা আশারিয়া শী’আ দের অস্তিত্বই প্রবল। এদেরকে ইমামিয়াও বলা হয়।
সাম্প্রতিক কালে সাধারণভাবে শী’আ বলতে এই "ইছনা আশারিয়া" বা "ইমামিয়া" শী’আ দেরকে বোঝানো হয়ে থাকে। উপমহাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র তাদের অনুসারী রয়েছে। বর্তমান ইরানে তারাই ক্ষমতাসীন। ইরাকেও প্রচুর সংখ্যক এরুপ শী’আ রয়েছে।
শী’আ দের মৌলিক আক্বিদা-
একথা ঠিক যে শী’আ দের কিছু মৌলিক আক্বিদা ও বিশ্বাস মুসলমানদের সাথে মিলে যায়। অন্যগুলোর ক্ষেত্রে তারা যে আক্বিদা পোষণ করে তা কোন ক্রমেই ইসলাম অনুমোদন করে না।
১. তাদের কালিমা হলো ”আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না আলীয়্যান ওয়ালিউল্লাহ ওয়া ওয়াসিউর রাসূলুল্লাহ”। তারা আযানেও এই বাক্যটি যোগ করে।
২. তারা ইমামতে বিশ্বাসী। তাদের মতে নবী আ. গনের পর পৃথিবীর মুসলমানদের (তাদের মতে) নেতৃত্ব দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বংশের নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গকে ইমামত দেয়া হয়। ইমামে সংখ্যা নিয়ে তাদের মতে মতভেদ রয়েছে, যার মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যা ৭ জন, সর্বোচ্চ ১২জন। প্রথম ইমাম হযরত আলী বিন আবি তালিব রাযি. এবং শেষ ইমাম হযরত মাহদি আ.। তাদের মতে ইমাম মাহদি আ. জন্মগ্রহন করেছেন, কিন্তু বর্তমানে তিনি লোক চক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন এবং শেষ যামানায় আবার আবির্ভূত হবেন। তাদের বিশ্বাস সকল ইমাম নিস্পাপ, মিয়ারে হক ও শরীআর রক্ষাকর্তা। তাদের মধ্যে অনেকে ইমামদের মর্যাদা নবীদের আ. উপরে বর্ণনা করে থাকে (নাউযুবিল্লাহ)
ইমামদের সম্বন্ধে শী’আ দের আকীদাঃ
এক. ইমামগণের গর্ভ ও জন্ম হয় অদ্ভুদ প্রক্রিয়ায়।
যেমন,
১. ইমাম যখন মায়ের গর্ভ থেকে বাইরে আসে, তখন তার হাত মাটিতে এবং মস্তিস্ক আকাশের দিকে উঠান থাকে।
২, ইমামগণের গর্ভ মায়ের জরায়ূতে নয়- পার্শ্বে কায়েম হয় এবং তারা মেয়েদের উরু দিয়ে ভূমিষ্ট হন।
দুই. ইমামগণ নবীর ন্যায় আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত।
তিন. শী’আ দের বক্তব্য হল কুরআন মজীদে ইমামত ও ইমামগণের বর্ণনা ছিল।
চার. ইমামগণ পয়গম্বরগণের মতই আল্লাহর প্রমাণ, নিস্পাপ ও আনুগত্যশীল।
সৃষ্টিজীবের উপর আল্লাহ তায়ালার প্রমাণ- ইমাম ব্যতিত প্রতিষ্ঠত হয় না।
পাঁচ. ইমামগণ পয়গাম্বরগণের মত নিস্পাপ।
ইমামগণ সমস্ত গুনাহ ও ভূল ত্রুটি থেকে পবিত্র।
ছয়. ইমামগণের মর্তবা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সমান এবং অন্য সকল পয়গম্বরের উর্ধ্বে।
জাফর ছাদেক বলেন,
আলী যে সকল বিধান এনেছেন, আমি তা মেনে চলি। আর যে কাজ তিনি নিষেধ করেছেন, আমি তা করি না। তার ফযীলত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুরুপ। আর মুহাম্মাদ সকল মাখলূকের উপর ফযীলত রাখেন। আলীর কোন আদেশে আপত্তিকারী রাসূলের আদেশে আপত্তিকারীর মত।
সাত. ইমামগণ যা ইচ্ছা হালাল অথবা হারাম করার ক্ষমতা রাখেন।
আট. ইমাম ব্যতিত দুনিয়া কায়েম থাকতে পারে না।
নয়. ইমামগণের অতীত ও ভবিষ্যতের জ্ঞান অর্জিত ছিল।
দশ. ইমামগণের জন্য কুরআন-হাদীস ছাড়াও জ্ঞানের অন্যান্য অত্যাশ্চর্য সূত্র রয়েছে।
এগার. ইমামগণের এমন জ্ঞান আছে, যা ফেরেশতা ও নবীগণেরও নেই।
বার. প্রত্যেক জুমআর রাত্রিতে ইমামগণের মে'রাজ হয়, তারা আরশ পর্যন্ত পৌঁছেন।
তের. ইমামগণের প্রতি বছরের শবে কদরে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক কিতাব নাযিল হয়, যা ফেরেশতা ও "রূহ" নিয়ে আসেন।
চৌদ্দ. ইমামগণ তাদের মৃত্যুর সময়ও জানেন এবং তাদের মৃত্যু তাদের ইচ্ছাধীন থাকে।
পনের. ইমামগণের সামনেও মানুষের দিবারাত্রির আমল পেশ হয়।
ষোল. ইমামগণ কিয়ামতের দিন সমসাময়িক লোকদের জন্য সাক্ষ্য দিবেন।
সতের. ইমামগণের আনুগত্য করা ফরজ।
আঠার. ইমামগণের ইমামত,
নবুওয়াত ও রেসালত স্বীকার করা এবং তাঁদের প্রতি ঈমান-বিশ্বাস স্থাপন করা নাজাতের জন্য শর্ত।
উনিশ. ইমামত, ইমামগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও তা প্রচারের আদেশ সকল পয়গম্ব ও সকল ঐশী গন্থের মাধ্যমে এসেছে।
বিশ. ইমামগণ দুনিয়া ও আখেরাতের মালিক এবং তাঁরা যাকে ইচ্ছা দেন এবং ক্ষমা করেন।
একুশ. ইমামগণ মানুষকে জান্নাতে ও দোযখে প্রেরণকারী।
বাইশ. যে ইমামকে মানে না সে কাফের।
তেইশ. জান্নাতে যাওয়া না যাওয়া ইমামদের মান্য করা না করার উপর নির্ভরশীল।
৩. তাদের মতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ইন্তিকালের পর মাত্র ৫/৬ জন বাদে সকল সাহাবা ইসলাম থেকে খারিজ, মুরতাদ, কাফির হয়ে গিয়েছিলেন। (নাউযুবিল্লাহ)
৪. তারা ”মুতা” বিবাহে ( চুক্তিভিত্তিক সাময়িক বিবাহ) বৈধ হওয়ায় বিশ্বাসী।
৫. তারা ”তাক্বিয়ায় (প্রয়োজনে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলা)” বিশ্বাসী। তাদের মতে, তাক্বিয়া ঈমানের অঙ্গ। তারা বলেন ইমাম জাফর সাদিক রহ. নাকি বলেছেন, ”যার মধ্যে তাক্বিয়া নেই, তার মধ্যে দ্বীন নেই।”
৬. তারা ”রাজাআত” মতবাদে বিশ্বাসী। তাদের মতে কিয়ামতে পরে এবং হাশরের পূর্বে সমস্ত সৃষ্টিকে পৃথিবীতে একত্রিত করা হবে। আবার অপর এক দলের বিশ্বাস সমস্ত সৃষ্টিকে না, বরং কিছু মানুষকে জীবিত করা হবে; এবং সেটা কেয়ামতের পর নয় ইমাম মাহদির খিলাফত কালে। একে বলা হয় রাজাআত।
৭. তারা ”ক্বাজা-ক্বাদা-বাদায়” বিশ্বাসী। তাদের মতে, নামাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে কাযা করলেও সমস্যা নেই। যোহর ও আসরের এবং মাগরীব ও ঈশার নামাযে একত্রেও পড়া যায়, কোন ওজর ব্যাতিতই।
৮. তাদের মতে, মাটিতে সিজদাহ করা অনুত্তম। তারা সিজদার জন্য রওযায়ে খাখ/খাখে শিফা বা কারবালার মাটির টুকরা সাথে রাখে। নামাজের সময় তারা এই টুকরোটি সিজদার স্থানে রেখে তার উপর সিজদাহ করে।
এমন আরো অনেক ভ্রান্ত আক্বিদায় তারা বিশ্বাসী।
(উপরোক্ত কিছু কিছু বিষয় তাদের বাংলা বই ”শী’আ দের মৌলিক বিশ্বাস” (মুল: আকাঈদ আল ইমামিয়াহ, মুহাম্মাদ রেজা আল মুজাফফার, অনুবাদ: মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন তালুকদার, প্রকাশক-মারকাজ এ জাহানী এ উলুমে ইসলামী) হতে বিস্তারিত দ্রষ্টব্য)
কুরআন সম্পর্কে শী’আ দের আক্বিদা:
শী’আ দের সবগুলো শাখার সম্মিলিত বিশ্বাস কুরআন পরিবর্তন করা হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)। বর্তমান আকারে যে কোরআন মজিদ মুসলমানদের হাতে আছে , তা নির্ভেজাল কোরান নয় বরং তা হযরত উসমান(রাঃ) কর্তৃক সংকলিত কোরআন।তারা দাবি করে।রাসূলে কারীম(সাঃ)এর নিকট অবতীর্ণ হয়েছিলেন তার মধ্যে ১৭০০০(সতেরো হাজার) আয়াত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে মুসলমানদের নিকট যে কোরআন শরীফ বিদ্যমান আছে , সে কোরআনের মধ্যে হযরত আয়শা(রাঃ) এর গণনানুযায়ী মাত্র ৬৬৬৬ (ছয় হাজার ছয়শত ছেষট্টি)টি আয়াত রয়েছে।
এছাড়াও তারা নিজেরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে কুরআন বিকৃত করার চেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছে। যেমন
এক. কুরআনের সহীহ বা সঠিক আয়াত হলো- إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَىٰ آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ ( آل عمران: 33 ) নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম (আঃ), নূহ(আঃ), ও ইব্রাহীম (আঃ), এর বংশধর এবং এমরানের খান্দানকে নির্বাচিত করেছেন।
কিন্তু শী’আরা বলে, মক্কা-মদিনাসহ আমাদের মুসলিমদেশ গুলোতে, কুরআনে বিদ্ধমান উল্লেখিত আয়াতটি ভুল বরং সঠিক আয়াত হলো- وَآلَ عِمْرَانَ এর পরে آل محمد শব্দ ছিল৷ যা কুরআন থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ (ترجمہ حیات القلوب: جلد 3 صفحہ 123 ) نعوذ بالله من ذالك
দুই. কুরআনের সহীহ বা সঠিক আয়াত হলো- إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَىٰ ( اليل: 12 ) আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা।
আর শী’আরা বলে,কুরআনে বিদ্ধমান উল্লেখিত আয়াতটি ভুল বরং সঠিক আয়াত হলো- إْنَا علي لَلْهُدَىٰ অর্থঃ আলী এবং তার বংশধরগণ হেদায়াতের উপর আছে। অর্থাত্ শব্দটা عَلَيْنَا নয় বরং علي! (ترجمہ حیات القلوب: جلد 3 صفحہ 275 ) نعوذ بالله من ذالك
তিন. কুরআনের সহীহ বা সঠিক আয়াত হলো- انْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا (فرقان:9) দেখুন, তারা আপনার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে! অতএব তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা পথ পেতে পারে না।
আর শী’আরা বলে,কুরআনে বিদ্ধমান উল্লেখিত আয়াতটি ভুল বরং সঠিক আয়াতে ولاية علي سبيلا আছে। যা কুরআন থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (ترجمہ حیات القلوب: جلد 3 صفحہ 255) نعوذ بالله من ذالك
চার. কুরআনের সহীহ বা সঠিক আয়াত হলো- وَقَالَ الظَّالِمُونَ إِنْ تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلًا مَسْحُورًا ( فرقان: 8 ) জালেমরা বলে, তোমরা তো একজন জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ।
আর শী’আরা বলে,কুরআনে বিদ্ধমান উল্লেখিত আয়াতটি ভুল বরং সঠিক আয়াতে وَقَالَ الظَّالِمُونَ آل محمد حقهم ছিল। যা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (ترجمہ حیات القلوب: جلد 3 صفحہ 255) نعوذ بالله من ذالك
পাঁচ. কুরআনের সহীহ বা সঠিক আয়াত হলো- يَا وَيْلَتَىٰ لَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلًا ( فرقان: 8 ) হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।
আর শী’আরা বলে,কুরআনে বিদ্ধমান উল্লেখিত আয়াতটি ভুল বরং সঠিক আয়াতে- لَمْ أَتَّخِذْ الثاني فُلَانًا خَلِيلًا ছিল। যা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (ترجمہ حیات القلوب: جلد 3 صفحہ254 ) نعوذ بالله من ذالك
ছয়- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- فَأَبَىٰ أَكْثَرُ النَّاسِ إِلَّا كُفُورًا কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না। (সূরায়ে ফুরকান ৫০নং আয়াত)
* শী’আদের আকীদা হলো, উল্লেখিত আয়াতে- فَأَبَىٰ أَكْثَرُ النَّاسِ এর পরে بولاية علي ছিলো। কিন্তু সুন্নিরা তা কুরআন থেকে মুছে ফেলেছে। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ২৩৪ নং পৃষ্ঠা)
সাত- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ ۖ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ ۚ বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক। (সূরায়ে কাহ্ফ ২৯নং আয়াত)
* শী’আদের ইমাম বাকের লেখেন যে, উল্লেখিত আয়াতে- وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ এর পরে فى ولاية علي ছিলো। কিন্তু সুন্নিরা তা কুরআন থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ২৩৪ নং পৃষ্ঠা)
আট- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ অর্থঃ তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (সূরায়ে তাওবাহ ৩৩নং আয়াত)
* শী’আদের আকীদা হলো, উল্লেখিত আয়াতে- وَلَوْ كَرِهَ এর এর পরে بولاية علي ছিলো। যা কুরআন থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ১৯৩ নং পৃষ্ঠা)
নয়- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্য দাতা হও (সূরায়ে বাক্বারা ১৪৩নং আয়াত)
* শী’আদের আকীদা হলো, উল্লেখিত আয়াতে-
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ এর পরের শব্দ أُمَّةً নয় বরং পরের শব্দটা হলো أئمة ! (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ২০৭ নং পৃষ্ঠা)
দশ- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا অর্থঃ আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদের কে পরিবেষ্টন করে থাকবে। (সূরায়ে কাহ্ফ ২৯নং আয়াত)
* শী’আদের আকীদা হলো, উল্লেখিত আয়াতে- إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ এর পরে آل محمد نارا ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ২৩৪ নং পৃষ্ঠা)
এগার – কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- والعصر- কসম যুগের (সময়ের), إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। (সূরায়ে আছর)
* শী’আরা এই সূরাটাকে পরিবর্তন করে বানিয়েছ- إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ এর পরের আয়াতগুলো হলো- انه فيه من لدهر الا الذين امنوا وعملوالصالحت وأتمروا بالتقوى وأتمروا بالصبر- (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ৩৭৮ নং পৃষ্ঠা)
বার- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ ۖ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ ۚ إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا ۚ وَإِنْ يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوهَ ۚ بِئْسَ الشَّرَابُ وَسَاءَتْ مُرْتَفَقًا বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক। আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদের কে পরিবেষ্টন করে থাকবে। যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। কত নিকৃষ্ট পানীয় এবং খুবই মন্দ আশ্রয়। (সূরায়ে কাহ্ফ ২৯নং আয়াত)
* শী’আরা এই সূরায় পরিবর্তন করে বানিয়েছে- وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ এর পরে في ولاية علي وانا اعتدنا لظالمين آل محمد حقهم نارا ছিলো৷ (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ৩৮৫ নং পৃষ্ঠা)
তের- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- ﻓَﺒَﺪَّﻝَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻗِﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢْ ﻓَﺄَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﺭِﺟْﺰًﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻔْﺴُﻘُﻮﻥَ অর্থঃ অতঃপর যালেমরা কথা পাল্টে দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি অবতীর্ণ করেছি যালেমদের উপর আযাব, আসমান থেকে, নির্দেশ লংঘন করার কারণে। (সূরায়ে বাক্বারা ৫৯নং আয়াত)
* শী’আরা এই আয়াতে পরিবর্তন করে- ﻓَﺒَﺪَّﻝَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ এর পরে آل محمد حقهم قولا غير الذي قيل لهم فانزل علي الذين ظلموا آل محمد حقهم رجزا من السماء এই অংশটুকু বাড়িয়ে নিয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ৩৮৭ নং পৃষ্ঠা)
চৌদ্দ- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمُ الرَّسُولُ بِالْحَقِّ مِنْ رَبِّكُمْ فَآمِنُوا خَيْرًا لَكُمْ ۚ وَإِنْ تَكْفُرُوا فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا হে মানবজাতি! তোমাদের পালনকর্তার যথার্থ বাণী নিয়ে তোমাদের নিকট রসূল এসেছেন, তোমরা তা মেনে নাও যাতে তোমাদের কল্যাণ হতে পারে। আর যদি তোমরা তা না মান, জেনে রাখ আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সে সবকিছুই আল্লাহর। আর আল্লাহ হচ্ছে সর্বজ্ঞ, প্রাজ্ঞ৷ (সূরায়ে নিসা ১৬৮নং আয়াত)
* শী’আরা উল্লেখিত আয়াতটিতে- يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمُ الرَّسُولُ بِالْحَقِّ مِنْ رَبِّكُمْ এর পরে في ولاية علي فامنوا خيرا لكم وان تكفروا بولاية على এই অংশটি নিজেদের পক্ষ্য থেকে বাড়িয়ে নিয়েছে। এবং তারা বলে এটিই সঠিক আয়াত। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ৩৮৯ নং পৃষ্ঠা)
পনের- কুরআনের সঠিহ আয়াত হলো- إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَظَلَمُوا لَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ طَرِيقًا যারা কুফরী অবলম্বন করেছে এবং সত্য চাপা দিয়ে রেখেছে, আল্লাহ কখনও তাদের ক্ষমা করবেন না এবং সরল পথ দেখাবেন না। (সূরায়ে নিসা ১৭০নং আয়াত)
* শী’আরা উল্লেখিত আয়াতটি পরিবর্তন করে বানিয়েছে-
إِنَّ الَّذِينَ وَظَلَمُوا آل محمد حقهم । (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ৩য় খণ্ড ৩৮৯ নং পৃষ্ঠা)
উল্লেখিত পনেরটি পবিত্র আয়াত দ্বারা এটাই বুঝে আসে যে, শী’আদের আকীদা হলো, বৃদ্ধমান কুরআন শরীফ পরিপূর্ণ না এবং সহীহও না। কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী এবং কুরআনী আইন অনুযায়ী কুরআনে পরিবর্তনকারী মুরতাদ এবং ক্বতল করা ওয়াজিব। উপরে উল্লেখিত আয়াতগুলোতে শী’আরা যে পরিবর্তন করেছে এর প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।
রেসালতের ক্ষেত্রে শী’আদের কুফূরী আকীদা—
এক. উভয় জাহানের সরদার ও সর্বশেষ নবী রাসূল (সাঃ) এর ব্যাপারে তাদের আকীদাতেও বেয়াদবি করেছে। এক জাহেল, মূর্খ লেখক তিরমিজী শরীফের বাবুল হজ্জ এর রেফারেন্স দিয়ে লেখেছে যে- রাসূল (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরামগণ নেকাহে মুত’আ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) অথচ সহীহ হাদীস হলো- আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) এবং আবু বকর (রাঃ), উমর (রাঃ), ও উসমান (রাঃ) হজ্জে তামাত্তু করেছেন। অর্থাত্ হজ্জ এবং উমরা উভয়টাকে এক সাথে আদায় করেছেন। কিন্তু শী’আ লেখক গোলাম হুসাইন নযফী এই হাদীসের অনুবাদ করেছে, রাসূল (সাঃ) আবু বকর, উমর ও উসমান (রাঃ) মুত’আ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) এই শী’আ আরবী ইবারত “তামাত্তু” কে “মুত’আ” শব্দ দ্বারা পরিবর্তন করে অনুবাদ করেছে এবং তার নিজের কিতাব “খাসায়েল মুআবিয়া” এর ৪৩১ নং পৃষ্ঠায় স্পষ্ট ভাবে লেখেছে যে, রাসূল (সাঃ) মুত’আ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) এটা কি শানে রেসালতের সাথে গোস্তাখী নয় ? (নেকাহে মুত’আ বলা হয়, টাকার বিনিময়ে নিদৃষ্ট সময়ের জন্য কোন মেয়েকে বিবাহ করা। অতঃপর ঐ মেয়ের সাথে নিদৃষ্ট সময়ের ভিতরেই সহবাস করার পরে আবার তালাক দিয়ে দেওয়া। যা আমাদের ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।)
দুই- রেসালতে শরীক করা। শী’আদের আরেকটি আকীদা হলো, আলী (রাঃ) সকল নবীদের থেকে উত্তম। আর যেহেতু নবী (সাঃ) সকল নবীদের থেকে উত্তম, তাই আলী (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে উত্তম। দলীল হিসেবে লিখেছে যে, কূফার প্রসিদ্ধ খতিব আলী (রাঃ) কে প্রশ্ন করেন, আপনি উত্তম নাকি আদম (আঃ) উত্তম? আলী (রাঃ) উত্তরে বলেন- ১. আমি আদম (আঃ) থেকে উত্তম। ২. আমি ইব্রাহীম (আঃ) থেকে উত্তম। ৩. আমি মূসা (আঃ) থেকে উত্তম। ৪. আমি ঈসা (আঃ) থেকে উত্তম। (খুরশিদে খাওয়ার ২৯৪, ২৯৫নং পৃষ্ঠা, “বাকের মাজলিসি” কর্তৃক অনুবাদকৃত, শাহ নজফ কুতুব খানা লাহুর) অথচ সঠিক আকীদা হলো, উম্মতগণ চায় যে নবীরই হোক না কেন, তারা কখনোই নবীদের মর্যাদায় পৌছতে পারে না। সাহাবাদের এবং নবীদের মর্যাদা ভিন্ন ভিন্ন। উভয়টি এক নয়। হযরত আলী (রাঃ) যত বড়ই সাহাবী হোক না কেন, তিনি কখনোই মূসা (আঃ) ইব্রাহীম (আঃ)এর মর্যাদায় পৌছতে পারবেন না। কিন্তু শী’আরা সাহাবীকে নবুওয়াতীর মর্যাদা দিয়ে রেসালতের মধ্যে শিরিকি করেছে। যা শী’আদের কুফূরীর স্পষ্ট একটি দলীল। আলী (রাঃ) কে এ ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া এবং তিনার দিকে এই বিষয়টাকে নিসবত করা কুফূরী থেকেও মারত্মক। এ কিতাবেরই অন্য জাগায় লিখেছে যে, “আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (রাঃ) ফজিলত, কামালত এবং অন্যান্য গুণাবলির ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ) এর সাথে শরিক ছিলেন। অর্থাত্ রাসূলের যে সকল গুণাবলি ছিল তা আলীরও ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) (খুরশিদ খাওয়ার ২৮৫) একটু চিন্তা করে দেখুন তো? আলী (রাঃ)কে রাসূল (সাঃ)এর গুণের সাথে মিলানোটা কি রেসালতে শরিক করা নয় ? এটা কি কুরআন-সুন্নাহের স্পষ্ট বিরুধিতা করা নয়? আর যারা রাসূলের মানহানি করে এবং রাসূলের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয় তারা কখনোই মুসলমান হতে পারে না। তাই শী’আরা বাতিল একটি ফেরক্বাহ এবং তাদেরকে কাফের, মুশরিক বলা, এবং তাদেরকে অমুসলিম আক্ষায়িত করা রাষ্ট্রের উপর আবশ্যক। এই ধরণের জাহান্নামীদেরকে শাস্তি দেওয়া মুসলমানদের জন্য আবশ্যক। অন্য এক স্থানে লিখেছে যে, রাসূল (সাঃ) একদিন যায়েদ ইবনে হারেসার ঘরে আগমণ করেন, আর তখন যায়েদের স্ত্রী যয়নাব গোসল করতে ছিলেন। পরিশেষে রাসূল (সাঃ) যয়নাবের গোসল করা পর্যবেক্ষণ করলেন। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ২য় খন্ড ৮৯১নং পৃষ্ঠা) এখানে রাসূল (সাঃ)এর উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।
তিন- শী’আদের ইমাম জাফর সাদেক থেকে বর্ণিত, এক দিন আবু বকর ও উমর (রাঃ) উম্মে সালামার নিকট আসলেন। এবং উম্মে সালামাকে বললেন, আপনি রাসূল (সাঃ)এর পূর্বে অন্যজনের স্ত্রী ছিলেন। বলুন তো ? রাসূল (সাঃ) ঐ ব্যক্তির (আপনার পূর্বের স্বামীর) তুলনায় সহবাসের ক্ষেত্রে কেমন শক্তিশালী ছিলেন? তখন উম্মুল মু’মিন উম্মে সালামা জবাব দিলেন যে, তিনিও (রাসূল) সহবাসের ক্ষেত্রে অন্যান্য লোকদের মতই। এর শেষেই শী’আদের ইমাম জাফর সাদেক লেখেন যে, জিব্রাঈল বেহেস্ত থেকে একটি হারিয়া (কোন এক প্রকার খাবার বস্তু) আনেন। অতঃপর জনাবে রাসূলে খোদা এবং হযরত আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইনগণ তা বক্ষণ করেন। ফলে রাসূল (সাঃ) এর ৪০জনের যৌন বা সহবাসের শক্তি অর্জন হয়। এর পর অবস্থা এমন হয় যে, রাসূল ইচ্ছা করলে এক রাত্রেই সকল বিবিদের সঙ্গ দিতে পারতেন। (হায়াতুল ক্বুলুব ২য় খণ্ড ৮৯৬নং পৃষ্ঠা) এমনি ভাবে এই মালউন লেখক “উসূলে কাফী”-এর তরজমা “আশ শাফী” তে লেখেছে যে, “মানুষে বলে থাকে আগুনে সর্ব প্রথম প্রবেশকারী রাসূলে খোদা”। (নাউযুবিল্লাহ) (হায়াতুল ক্বুলুব ২য় খণ্ড ১৭নং পৃষ্ঠা) এ ধরণের আকীদা পোষণকারীদের হত্যা করা নিঃসন্দেহে ওয়াজিব এবং এরা জাহান্নামি। এরা ফেরাউন থেকেও নিকৃষ্ট এবং আবু লাহাবের চেয়েও বেশী বদকার। রাসূল (সাঃ)-এর সন্তানগণের ব্যাপারে অপবাদ—
চার. “হুজুর (সাঃ) এর মেয়ে সাইয়িদা রুক্বাইয়া, সাইয়িদা উম্মে কুলসুম যারা একের পর এক উসমানের বিবাহনাধিন ছিলো তারা রাসূলের মেয়েই ছিলো না” “যেমনি ভাবে আবু হুরাইরার পিতা এবং আব্দুল কাদের জিলানীর পিতার ফায়সালা আজ পর্যন্ত হয়নি, ঠিক তেমনি ভাবে উসমান গণীর স্ত্রীদের ফায়সালাও আজ পর্যন্ত হয়নি। তাদের পিতা নিশ্চিত ভাবে রাসূল (সাঃ) না”। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) (ক্বওলে মাকবুল ৪৭৯নং পৃষ্ঠা)
পাঁচ. রাসূল (সাঃ)এর স্ত্রীর ব্যাপার শী’আ ইসনা আশারিয়াদের আকীদা হলো- “ইমাম মুহাম্মাদ বাকের থেকে বর্ণিত, যখন আলে মুহাম্মাদ প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন (নাউযুবিল্লাহ) আয়েশা সিদ্দীকাকে জীবিত করা হবে এবং তার উপর হদ জারী করা হবে। (হায়াতুল ক্বুলুব ২য় খণ্ড ৯০১নং পৃষ্ঠা)
ছয়.
ﺇِﻥْ ﺗَﺘُﻮﺑَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪْ ﺻَﻐَﺖْ ﻗُﻠُﻮﺑُﻜُﻤَﺎ ۖ ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﻈَﺎﻫَﺮَﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻫُﻮَ ﻣَﻮْﻟَﺎﻩُ ﻭَﺟِﺒْﺮِﻳﻞُ ﻭَﺻَﺎﻟِﺢُ
ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ۖ ﻭَﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔُ ﺑَﻌْﺪَ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻇَﻬِﻴﺮٌ
তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।
ﻋَﺴَﻰٰ ﺭَﺑُّﻪُ ﺇِﻥْ ﻃَﻠَّﻘَﻜُﻦَّ ﺃَﻥْ ﻳُﺒْﺪِﻟَﻪُ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟًﺎ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻣِﻨْﻜُﻦَّ ﻣُﺴْﻠِﻤَﺎﺕٍ ﻣُﺆْﻣِﻨَﺎﺕٍ ﻗَﺎﻧِﺘَﺎﺕٍ ﺗَﺎﺋِﺒَﺎﺕٍ ﻋَﺎﺑِﺪَﺍﺕٍ ﺳَﺎﺋِﺤَﺎﺕٍ ﺛَﻴِّﺒَﺎﺕٍ ﻭَﺃَﺑْﻜَﺎﺭًﺍ
যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী,
যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।
(সূরা আততাহরীম আয়াত নং 4-5)
শী’আরা বলে উল্লেখিত আয়াতদ্বয়ে হযরত আয়েশা এবং হাফসা (রাঃ) এর মুনাফেকী, কুফূরী এবং রাসূল (সাঃ) যে তারা কষ্ট দিত এদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)
(হায়াতুল ক্বুলুব ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৯০০)
সাত.
গোলাম হুসাইন নজফী নামক মালাউন “ক্বওলে মাক্ববুল” কিতাবে লিখেছে যে, “হুজুর (সাঃ) রাগান্বিত অবস্থায় বলেন হে গর্দভ! তুমি এসকল কাজ কর্ম থেকে বিরত থাক। নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা এমন মহিলাদের মাঝে বরকত দিয়েছেন, যারা বাচ্চা পয়দাকারে এবং স্বামীকে ভালোবাসে। এবং খাদিজা (রাঃ) আমার এসকল বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন- ১. আব্দুল্লাহ ২. ক্বাসেম ৩. ফাত্বেমাহ ৪. রুক্বাইয়া ৫. উম্মে কুলসুম ৬. যয়নাব (রাঃ)।
আর তুই আয়েশা ঐ সকল মহিলাদের মধ্য থেকে যাদেরকে আল্লাহ বন্ধ্যা বানিয়েছেন”। (নাউযুবিল্লাহ)
এই মালাউন গোলাম হুসাইন আরো লিখেছে যে, নবী (সাঃ) বিবি আয়েশা (রাঃ)কে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতেন বন্ধ্যা হওয়ার কারণে। (নাউযুবিল্লাহ)
প্রিয় পাঠক! একটু চিন্তা করে দেখুন, উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর ব্যাপার মালাউন শী’আ সম্প্রদায় কত জঘণ্য ধরণের আকীদা পোষণ করে থাকে।
(আল্লাহ তা’য়ালা এ ধরণের আকীদা পোষণ কারীদের উপর লাখো লা’নত নাযিল করুন। (আমীন)।)
এমনি ভাবে বাকের মজলিসি লিখেছে যে, সাদেক থেকে গ্রহণযোগ্য সনদে বর্ণিত আছে যে, আয়েশা থেকে স্পষ্ট অশ্লীলতা প্রকাশ পেয়েছে। (হায়াতুল ক্বুলূব ২য় খণ্ড ৮৯০নং পৃষ্ঠা)
(নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহ পাক এ সকল মিথ্যাবাদীদের উপর লা’নত বর্ষণ করুন, আমীন)
আট.
গোলাম হুসাইন নজফী এবং বাক্বের মজলিসি আরো লিখেছে যে, আয়েশা এবং হাফসা উভয়ে রাসূল (সাঃ)কে বিষ দিয়ে ছিলো। আর সে বিষের প্রতিক্রিয়াতেই রাসূল (সাঃ) শহীদ হয়ে যান। (নাউযুবিল্লাহ)
(হায়াতুল ক্বুলূব ২য় খণ্ড ১০২৬নং পৃষ্ঠা)
ক্বওলে মাক্ববুলের ৪৭৯নং পৃষ্ঠায় আরো লিখেছে যে, আজও পর্যন্ত আহলে সুন্নাত ওয়ালারা এটা ফায়সালা করতে পারে নাই যে, ইব্রাহিম (আঃ) এর পিতা কে ছিল? আযর নাকি তারেখ?
সুতরাং যেমনি ভাবে আবু হুরায়রা এর পিতা, এবং আব্দুল কাদের জিলানী এর পিতার ফায়সালা হয়নি ঠিক তেমনি ভাবে উসমান (রাঃ)এর স্ত্রীদ্বয়ের পিতার ফায়সালাও হয়নি। আর তাদের স্ত্রীদ্বয়ের পিতা রাসূল (সাঃ) তো নিশ্চিত ভাবেই নয়। (নাউযুবিল্লাহ) (৪৭৯নং পৃষ্ঠা)
খোলাফায়ে রাশিদেনের ব্যাপারে শী’আয়ে ইছনা আশারিয়াদের কুফূরী আকীদা–
এক.
ইমাম বাকের থেকে বর্ণিত, জনাবে রাসূলে খোদা (সাঃ) দুনিয়া থেকে ইন্তেকাল করার পরে, ১. আলী ইবনে আবী ত্বলেব ২. মিক্বদাদ ৩. সালমান ফারসী ৪. আবু যর উল্লেখিত চার জন ব্যতিত বাকি সবাই মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো। (হায়াতুল কুলূব ২য় খণ্ড ৯২৩নং পৃষ্ঠা)
এখানে কিন্তু ইমাম হাসান ও হুসাইন (রাঃ) এবং ফাতেমা (রাঃ) এর কথা উল্লেখ নেই। এর দ্বারা এটাই বুঝে আসে যে, কাফের শী’আ এবং রাফেযীদের নিকট এ সকল ব্যক্তিগণও মুসলাম ছিলেন না বরং কাফের ছিলেন। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
দুই.
খলিফাগণ গুনাহগার ছিলেন এবং তারা নিষ্পাপ ছিলেন না। শয়তান তাদের উপর শাসন করত। (নূর ঈমান ৮৮নং পৃষ্ঠা, লেখক খায়রাত আহমদ)
তিন.
মালাউন মোল্লা বাকের মজলিসি লিখেছে যে, যদি সমস্ত সাহাবায়ে কেরামগণ আবু বকর এর বায়আত গ্রহণ করত, তাহলে আল্লাহ তা’য়ালা জমিনে অধিবাসীদের উপর আযাব নাযিল করতেন। ফলে কেউ জমিনে জীবিত থাকতে পারতো না। (হায়াতুল ক্বূলুব ২য় খণ্ড)
চার.
হযরত উমর ফারুক ইসলাম গ্রহণের পরে শরাব পান করতেন। (নূরে ঈমান ৯২০পৃষ্ঠা)
পাঁচ.
খায়রাত আহমদ আরো লিখেছে যে, কুরআনের রুহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ফেরাউন, হামান, ক্বারুন এবং দ্বিতীয় খলিফা উমরের দীল বা অন্তর উদ্দেশ্য। (নাউযুবিল্লাহ) (নূরে ঈমান ২৯৫নং পৃষ্ঠা)
ছয়.
গোলাম হুসাইন নজফী লিখেছে যে, উসমান (রাঃ) নিজের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (রাঃ) মারা যাওয়ার পরেও তাঁর লাশের সাথে রাত্রি যাপন করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) (ক্বওলে মাক্ববুল ৪২০নং পৃষ্ঠা)
সাত.
গোলাম হুসাইন নজফী নামক এই মালাউন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উপর অপবাদ দিতে গিয়ে আরো লিখেছে যে, “মসজিদের ইমাম হিসেবে সেই উত্তম যার মাথা বড় হবে এবং আলায়ে তানাসূল অর্থাত্ বিশেষ অঙ্গ ছোট হবে। আলায়ে তানাসুলের ফজিলত এ জন্যই বেশী কেননা সে অধিক যৌন সম্ভোগের উপযোগী হয়ে থাকে। আর এই উল্লেখিত বিষয়টা জনাবে উসমানের মাঝে মজুদ ছিল। তাই তো তিনি মৃত বিবিকেও (উম্মে কুলসুম) ক্ষমা করেননি, তার সাথেও যৌন সম্ভোগ করেছে”।(নাউযুবিল্লাহ) (ক্বওলে মাকবূল ৪৩০নং পৃষ্ঠা)
আট.
এই মালাউন নজফী আরো লিখেছে যে, “উসমান গণী (রাঃ) গোসল ব্যতিতই জানাযার নামাযে শরীক হয়ে জানাযার নামায পড়ান”।(ক্বওলে মাকবূল ৪১৮নং পৃষ্ঠা)
নয়.
গোলাম হুসাইন নামাক এই নির্লজ্জ মালাউনে আরো লিখেছে যে, “উসমান (রাঃ) মহিলাদের আশেক ছিলো। আর তাই তিনি রুক্বাইয়াকে পাওয়ার জন্যই ইসলাম গ্রহণ করে ছিলেন।
(ক্বওলে মাকবুল ৪৩৫)
দশ.
এই মিথ্যাবাদী গোলাম হুসাইন আরো লিখেছে যে, “যখন বিশেষ অঙ্গ দন্ডায়মান হয়, তখন আক্বলের দুই ভাগ বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর উসমানের অবস্থাও তাই হয়েছিল যে, যৌন উত্তেজনার কারণ নিজের অসুস্থ বিবি উম্মে ক্বুলসুমকে যৌন সম্ভোগ করেই হত্যা করে ছিলো”।(নাউযুবিল্লাহ)
(ক্বওলে মাক্ববুল ৪২৫)
এগার.
ইমাম জাফর ইমাম আবু হানীফার মায়ের সাথে মু’তা করে ছিল এবং আলী উমরের বোনের সাথে মু’তা করেছিল। আর হুজুর (সাঃ) আয়েশা এবং হাফসা (রাঃ) কে বিবাহ করেছিলেন, যাতে আবু বকর ও উমর (রাঃ) ইসলামে কোন ধরণের বিশৃঙ্খালা সৃষ্টি না করে। কিন্তু রাসূল (সাঃ)ও নিজের মাকসাদ বা উদ্দেশ্যে সফলতা লাভ করতে পারে নাই এবং আমাদের ইমাম জাফর সাদেকও সফলতা লাভ করতে পারে নাই।
(ক্বওলে মাক্ববুল ৩৯৫নং পৃষ্ঠা)
বার.
গোলাম হুসাইন নজফী লিখেছে যে, মু’আবিয়া (রাঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ)কে হত্যা করে ছিল। (খাছায়েলে মু’আবিয়া ২৪৯নং পৃষ্ঠা)
আরো লিখেছে যে, উসমানগণী (রাঃ) এর স্ত্রী হযরত নায়েলাহ নৃত্য করেছিল। (খাছায়েলে মুআবিয়া ১৪৩)
এমনি ভাবে এই কাফেরে আরো লিখেছে যে, হযরত খালেদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ) একজন মুসলমানকে শহীদ করে এবং প্রথম রাত্রেই ঐ শহীদ সাহাবির স্ত্রীর সাথে সারা রাত্র যিনা করে। (খাছায়েল মুআবিয়া)
তের.
মালাউন নজফী হযরত মুআবিয়া (রাঃ) এর ব্যাপারে আরো লিখেছে যে, মদ্যপায়ী পিতার সন্তান মদ্যপায়ী ছেলে কখনোই খলিফা হতে পারে না।
চৌদ্দ.
হিন্দা প্রসিদ্ধ যিনাকারী মহিলা ছিল এটা শুনে রাসূল (সাঃ) মুচকি হাসলেন। হিন্দাকে চিনে রাসূল বললেন তুমিই হিন্দা ? হিন্দা উত্তর দিল হ্যাঁ।
অতপর রাসূল বললেন যিনা করিও না। হিন্দা বলল স্বাধীন মহিলারাও যিনা করে। ইহা শুনে উমর মুচকি হাসলেন কেননা আইয়ামে জাহিলিয়াতে তার সাথে যিনা করেছিল। আর হিন্দা প্রসিদ্ধ যিনাকারী মহিলা ছিল এবং মুআবিয়া যিনার সন্তান ছিল”।(হায়াতুল ক্বুলূব ২য় খণ্ড ৭০০)
পনের.
আবু সুফিয়ান শেষ বয়স পর্যন্ত যিন্দিক এবং মুনাফিক ছিল। (খাছায়েল মুআবিয়া ২৯)
যোল.
ইমাম জাফর সাদেক আবু বকর, উমর, উসমানের উপর লা’নত না করে জায়নামায থেকে উঠতেন না। (আইনূল হায়াত)
সতের.
রাসূল (সাঃ) এর ওয়াফাতের পর সকল সাহাবী মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল। (নাউযুবিলাহ) (আইনূল হায়াত ৪নং পৃষ্ঠা)
আঠারো.
ইমাম মাহদী এসে হযরত আবু বকর এবং উমরকে কবর থেকে তুলে শাস্তি দিবেন। (হক্কুল ইয়াকীন ৩৮৫)
শী’আয়ে ইসনায়ে আশারিয়া কর্তৃক সাহাবীদেরকে গালা গালি—-
এক.
ফেরাউন এবং হামান দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আবু বকর এবং উমর। (হক্কুল ইয়াকীন ৩১৮)
দুই.
আবু বকর খলিফা নয় বরং সে মুরতাদ এবং হত্যার উপযুক্ত।(হক্কুল ইয়াকীন ২২২)
তিন.
শয়তান দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, উমর। (হক্কুল ইয়াকীন ২২৯)
চার.
হযরত ত্বলহা এবং যুবায়ের মুরতাদ ছিলেন। (হক্কুল ইয়াকীন ২৩১)
ছয়.
উসমানের উপর লা’নত বর্ষিত হোক। (হক্কুল ইয়াকীন ২২০)
সাত.
উসমানকে কুফূরী অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল। (হক্কুল ইয়াকীন ২৮০)
আট.
উসমানকে ইয়াহুদীদের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। (হক্কুল ইয়াকীন ২৮৩)
নয়.
হযরত খালেদ ইবনে ওয়ালিদ যিনা করে ছিল। (খাছায়েলে মুআবিয়া ২৭৮)
দশ.
উসমানের বিবি নায়েলা নৃত্য করত। (খাসায়েলে মুআবিয়া ১৪৩)
এগার.
আবু হুরাইরার ধর্মত্যাগী হওয়া প্রমাণিত। (খুরশিদ খাওয়ার ১৯৫)
বার.
আবু হুরায়রা রাসূল (সাঃ)এর উপর মিথ্যা আরোপ করেছে। (খুরশিদ খাওয়ার ১৯৬)
কাতেবে ওহী আমিরে মুআবিয়া (রাঃ) এর ব্যাপারে লিখেছে—
এক.
হিন্দা মুআবিয়াকে বিবাহের মজলিসে প্রসব করে।
দুই.
মুআবিয়া ৪০ বছর জালিমের মত রাজত্ব করেছেন। (খুরশিদে খাওয়ার ৩৯)
তিন.
মুআবিয়া যদি জঙ্গে সিফ্ফিনে মারা যেত তাহলে তার জানাযা পড়া হারাম হত। (খুরশিদে খাওয়ার ৪৯)
চার.
মুআবিয়া শুকর খাওয়াকে হালাল মনে করতেন। (খুরশিদ খাওয়ার ৪৩৩)
পাঁচ.
ইসলামী হুকুমত বনু উমাইয়ার এক অসত্ লোকের পরে আরেক অসত্ লোক পেয়েছে। (খুরশিদ খাওয়ার ৪৩৭)
ছয়.
সাহাবীদের মধ্যে দু’ধরণের ব্যক্তি ছিল- মুমিন-মুনাফিক, সত্-অসত্। (খুরশিদে খাওয়ার ৫৭০)
আট.
শী’আ দের ইমাম নেকাহে মুতআর অনেক প্রসংশা করেছে। তুহফাতুল আওয়াম নামক কিতাবে এ ব্যাপারে অনেক ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মুতআকারী জান্নাতী। মুতআর প্রকারসমূহের মধ্যে এক প্রকার হলো, ছেলে মেয়েকে কোন সাক্ষী ব্যতিতই পছন্দ করে বলবে যে, আমি নেকাহে মুতআর জন্য নিজের শরীরকে তোমরা কাছে সোপর্দ করে দিলাম।(বিঃ দ্রঃ ইসলাম নেকাহে মুতআ হারাম।)
শী’আ রা বলে বাকেরা পবিত্র মেয়ের সাথে মুতআ কারী ব্যক্তি জান্নাতী।ছাড়াও শী’আ দের চৌদাহ সেতারা নামক কিতাব লিখেছে যে, হযরত উমর ফারুক সারা জীবন কূফুর এবং শিরিকিতে লিপ্ত ছিল।
এই কিতাবেরই ২০৪নং পৃষ্ঠাতে আছে যে, হযরত মুআবিয়া জারজ সন্তান ছিল।
নাজমূল হাসান লিখিত হাযা নামক কিতাবের ১২৩নং পৃষ্ঠাতে আছে যে, আলীর সাথে আয়েশার পুরাতন দুশমনি ছিল। এই কিতাবেরই ৪৮নং পৃষ্ঠাতে আছে যে, রাসূল (সাঃ)কে হালিমা সাদিয়া এবং সাওদা দুধ পান করান নি।
নয়.
শী’আ দের অন্যতম কিতাব হুলয়াতুল ইয়াকীনের ২য় খণ্ডে লিখেছে যে, আবু বকর ও উমর কাফের ছিল।(নাউযুবিল্লাহ)
দশ.
ওমর এবং খালেদ ইবনে ওয়ালিদ উভয় জনই মুনাফিক ছিল এবং আলীর দুশমন ছিল। (হুলয়াতুল ইয়াকীন ২য় খণ্ড ৪৪ নং পৃষ্ঠা)
এগার.
হযরত উমর নির্লজ্জ এবং আত্মমর্যাহীন ব্যক্তি ছিল। (নূরে ঈমান ৭৫)
বার.
হযরত আদম (আঃ) থেকে নিয়ে এমন বেহায়া আত্মমর্যাহীন কে অতিবাহিত হয়েছে? (নূরে ঈমান ৭১)
তের.
এমনি ভাবে খোলাফায়ে ছালাছাহ আবু বকর, উমর ও উসমান কখনোই মুসলমানদের বুযুর্গ হতে পারেন না। (নূরে ঈমান ১৬২)
চৌদ্দ.
রাসূলের সামনেই রাসূলের স্ত্রীদেরকে ওমর মারধর করত। (নূরে ঈমান ২০৯)
এই কিতাবের ৩৪নং পৃষ্ঠাতে লিখেছে যে, হযরত আয়েশা শী’আ ছিল।
পনের.
রাসূলের তিন মেয়ে রক্ত সম্পর্কিত ছিল না। উসমান অর্থ সাপ, মুআবিয়া অর্থ কুত্তা। (ক্বওলে মাক্ববূল)
সতের.
ইমাম বুখারী অগ্নি পূজকের ফসল। (অর্থাত্ বাপ অগ্নি পূজক ছিল) ইয়াহুদীদের অথবা সাবায়িদের বীর্য। (কওলে মাকবুল ৫৩৪)
আঠার.
হযরত আয়েশা মৃত্যুর যে ভূমিকা রেখেছে তা অত্যন্ত আফসোস জনক। আয়েশা রাসূলে কামরায় আবু বকর ও ওমরকে দাফনের অনুমতি দিয়ে রাসূলের কামরাকে কবরস্থান তো বানিয়েছেই কিন্তু জনাব হাসানকে সেখানে দাফন করলে কি সমস্যা হত? কিন্তু আয়েশাও মুআবিয়ার চেয়ে কম ছিল না বরং দ্বিতীয় মুআবিয়া ছিল। (খাসায়েল মুআবিয়া ৮৩)
উনিশ.
হযরত মুআবিয়া হাসান (রাঃ)এর মৃত্যুতে শুকরিয়ার সেজদা আদায় করেন। (খাসায়েল মুআবিয়া ৮২)
বিশ.
ইয়াযিদ নিজের মা, বোন এবং নিজের মেয়েদের সাথে যৌন সম্ভোগ করত এবং বাদশা হারুনুর রশিদ নিজের মায়ের সাথে যৌন সম্ভোগ করে ছিল।
জনাবে আবু বকর, উমর ও উসমান মুসলমানদের এবং আল্লাহর রাসূলের নির্বাচিত নেতা ছিলেন না বরং তারা ধোকাবাজি করে নেতা হয়ে ছিল।
নবী (সাঃ) আবু বকর ও উমরের মেয়েকে বিবাহ করেছিল কিন্তু নবী (সাঃ) নিজের উদ্দেশ্যে সফলতা লাভ করতে পারে নাই। ইমাম জাফর আবু হানীফা এর মায়ের সাথে নেকাহে মুতআ করে ছিল কিন্তু তিনিও সফলতা লাভ করতে পারে নাই। (ক্বওলে মাকবুল ৩৯৫)
একুশ.
খোলাফায়ে রাসেদীনসহ অন্যান্য সাহাবাদের ব্যাপারে শী’আ দের আকীদা হলো, রাসূলের ইন্তেকালের পরে তিন জন ব্যতিত বাকী সবাই মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল। তিনজন হলো ১. সালমান ফারসী ২. আবু যর ও মিক্বদাদ (রাঃ)।(হায়াতুল ক্বলূব ২য় খণ্ড ৯৯২)
রাসূল (সাঃ) দু’জন মুনাফিককে নিজের মেয়ে দিয়ে ছিলেন। মুনাফিক দুজন হলো, আবু আস এবং উসমান গণী। (হায়াতুল ক্বূলুব ২য় খণ্ড ৮১৫)
বাইশ.
হযরত উসমান ঐ সকল কাজ গুলোই করেছে যেগুলো কুফূরী। তিনি কাফের মুরতাদ হেয়ে গেছেন। (হায়াতুল ক্বূলুব ২য় খণ্ড ৮৭১)
তেইশ.
আবু সুফয়ান, ইকরামা, সফওয়ান, খালেদ ইবনে ওয়ালিদ ইত্যাদি সকল সাহাবিরা দ্বীন থেকে ফিরে গিয়েছিল এবং তাদের খবিস অন্তরে এবং পরিবারে আবু বকর এর মুহাব্বত ছিলো। যেমন নাকি নবী ইসরাঈলিদের অন্তরে বাচুর এবং সামেরির মুহাব্বত ছিলো। (হায়াতুল ক্বূলুব ৮৩২)
(নাউযুবিল্লাহ)
চব্বিশ.
শী’আ আলেমদের আকীদা হলো, আলী (রাঃ) সকল নবীদের থেকে উত্তম। (হায়াতুল ক্বূলুব ২য় খণ্ড ৭৮৭)
পচিশ.
উমর এর কথা অনুযায়ী আয়েশা অনেক ছোট ছিলো। আল্লাহ তা’য়ালা আয়েশার ভিতরে আগমন করতেন। অতপর রাসূল (সাঃ) আয়েশার সাথে যৌন সম্ভোগ করতেন। (ক্বওলে মাক্ববুল ৪৭৬) (নাউযুবিল্লাহ)
সাতাশ.
আয়িম্মায়ে কুফূর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, ত্বলহা, যুবাইর, ইকরামা ও আবু সুফিয়ান। (নাউযুবিল্লাহ) (রুহুল কুরআন ১১৭নং পৃষ্ঠা)
ইমাম খোমিনী ও ইরানের শী’আ বিপ্লব :
১৯৭৯ সালের বহুল আলোচিত শী’আ বিপ্লব (যাকে ইসলামী বিপ্লব বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য শী’আ জনগোষ্ঠি ও এর দোসররা কোমর বেধে নেমেছে) এর মূল হোতা ইমাম আয়াতুল্লাহ রূহুল্লাহ (?) খোমিনী সম্পর্কে কিছু না লিখলেই নয়। তার বিভিন্ন পুস্তিকা ও গ্রন্থে এটা দিবালোকের মত সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে l অসংখ্যা উক্তি থেকে উদ্ধৃতি সহ মাত্র কয়েকটি তুলে ধরা হল –
১l সৃষ্টি জগতের প্রতিটি কণার উপর ইমামগণের আধিপত্য রয়েছে l [আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২]
২l ইমাম গণের মর্যাদা নৈকট্যশীল ফেরেশতা,নবী, ও রাসূলগণেরও উর্ধে ! [ঐ পৃঃ ৫২]
৩l ইমামগণের শিক্ষা কূরআনের বিধানাবলী ও শিক্ষার মতই চিরস্থায়ী এবং অবশ্য পালনীয় l [আল হুকূমাতূল ইসলামীয়া পৃঃ ১১৩]
৪l আবু বকর ও উমর দিল থেকে ঈমান আনেনি বরং শুধু নেতৃত্বের লোভে বাহ্যিক ভাবে ইসলাম কবুল করেছিল এবং রাসূলে খোদা (সাঃ) এরর সাথে নিজেদেরকে লাগিয়ে রেখেছিল l [কাশফুল আসরার]
৫l কূরআনী আহকাম ও খোদায়ী ফরমানের বিরোধিতা করা ছিল এদের জন্য (হযরতআ আবু বকর,উমর,উসমান)- (রাঃ) সাধারণ ব্যাপার,তারা প্রচূর সংখ্যক কূরআনে আয়াতের বিরোধিতা করেছে এবং ফরমানে ইলাহীর কোন তোয়াক্কা করেনি ! [কাশফূল আসরার]
৬l যদি এরা নিজেদের আসল উদ্দেশ্য তথা ক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্য কূরআনের ঐ আয়াতগুলো কূরআন হতে বের করে দিতে পারতো,তবে অবশ্যই বের করে দিত l এটা তাদের জন্য খুবই সাধারণ ব্যাপার ছিল l [কাশফূল আসরার]
৭l উসমান,মুয়াবিয়া ও হয়যীদ একই ধরনের অত্যাচারী ও অপরাধী ছিল !
৮l আমাদের ইমামগণ এ জগৎ সৃষ্টির পূর্বে নূর ও তাজ্জালীর আকৃতিতে ছিলেন,যা আল্লাহ’র আরশকে বেষ্টন করে রেখেছিল,তাদের মর্যাদা ও নৈকট্যপ্রাপ্তির কথা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ জানেনা l [আল বিলায়াতুত তাকবীনিয়্যাহ শিরোনামে 'আল হুকূমাতুল ইসলামীয়াহ' গ্রন্থে:পৃঃ৫২]
৯l আমাদের ইমামগণ ভূল ও গাফলত হতে মুক্ত-পবিত্র l [আল হিকমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ৯১]
১০l মিঃ খোমিনী তার কুখ্যাত [কাশফুল আসরার] গ্রন্থে ‘আল্লাহ’র কূরআনের সাথে উমরের বিরোধিতা’ শিরোনামে যে আলোচনা করেছে তাতে হযরত উমর ফারুক (রাঃ) কে অত্যন্ত কর্কশ ভাষায় কাফির ও যিন্দিক আখ্যায়িত করেছে ! [পৃঃ ১১৯]
১১l আমরা এমন আল্লাহ’রই ইবাদত করি এবং তাকেই মানি যার সকল কাজ বিবেক ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী হয়,আমরা এমন আল্লাহ’র ইবাদত করি না যিনি খোদা পুরুস্তী,আদালত ও দ্বীনদারীর এক বিশাল সৌধ নির্মান করিয়ে নিজেই তা ধ্বংসের চেষ্টা করেন যে-ইয়াযীদ,মুয়াববিয়া এবং উসমানের ন্যায় জালিম ও বদমাশদেরকে ইমারাত ও হুকুমাত সোপর্দ করে দেন l (কাশফুল আসরার পৃঃ১০৭)
শী’আ দের বিরুদ্ধে আহলে হক আলিমগণের ফাতওয়া:
শী’আ দের অমুসলিম হওয়ার ব্যাপারে সর্বপ্রথম ফাতওয়া দেন ইমাম ইদরিস মুহাম্মাদ শাফিঈ রহ.। পরবর্তীতে একে একে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম ইবনে তাইমিয়া, ইমাম বুখারী, ইবনে খালদুন, ইবনে হাযম সহ আরো অসংখ্য আলেম।
ইমাম ইবনে আবেদিন আশ-শামী তার ফাতওয়ায় লেখেন-”যারা উম্মাহাতুল মু’মিনিন আয়িশা রাযি.-এর উপর অপবাদ আরোপ করে, হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযি.-এর সাহাবা হওয়ার উপর অবিশ্বাস করে এবং এই আক্বিদা পোষণ করে যে জিবরাইল আ. ভূল করে আলী রাযি. এর পরিবর্তে রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর নিকট অহি নিয়ে এসেছিলো, এগুলো নিঃসন্দেহে কুরআনের বিপরিত বিশ্বাস তথা কুফর, এবং তারাও নিঃসন্দেহে কাফির।” (রদ্দুল মুখতার ৪/৪৫৩)
শী’আ দের বিরুদ্ধে দেওবন্দি আলেমদের ফতোয়া: শী’আ রা কেবল মুরতাদ, কাফের আর ইসলাম বহির্ভূতই নয় বরং তারা ইসলাম এবং মুসলমানদের এমন শত্র“ যা অন্যান্য সম্প্রদায়ে কম পাওয়া যাবে। মুসলমানদের এ ধরণের লোকদের সাথে সব ধরণের সম্পর্ক ছেদ করা উচিত। বিশেষ করে বিয়ে শাদির ব্যপারে। (মৌলানা মুহাম্মদ আব্দুশ শাকুর থেকে প্রকাশিত ফতোয়া ১৩৪৮ হিজরি সন)
হাল আমলের কিছু ফাতওয়ার লিংক-
শী’আরা অমুসলিম- মিশরআল আজহার- http://www.sunnah.org/history/fatwa_ashar_shia.htm
শী’আরা কাফির-সৌদি উলাম পরিষদ- http://islamic-forum.net/index.php?showtopic=12442
শী’আরা মুশরিক সালাফি শেইখ উমার বাকরি মুহাম্মাদ https://¬www.youtube.com/¬watch?v=zdEpftuV0kg
শীআদের কুফরি আক্বিদার বিস্তারিত ও তার উপযুক্ত জওয়াব জানতে মাওলানা রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী (রহ.) রচিত ”হাদিয়াতুশ শী’আ ” একটি অনবদ্য ও অদ্বিতীয় কিতাব।
এছাড়াও পাকিস্তানের বিখ্যাত আলেম, সিপাহে সাহাবার সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকীর (রহ.) ”শী’আ কাফের কিউ হ্যায় (শী’আরা কেন কাফের)” উর্দূ ভিডিওটি এই লিঙ্ক থেকে দেখতে পারেন।
তার আরো একটি ভিডিও "ইরান কি তাকরিব কারি" দেখুন এখানে
বিষয়: বিবিধ
৮২৯৭ বার পঠিত, ৭২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, "মুসা (আ)এর উম্মতরা ৭১টি দলে বিভক্ত হয়েছিলো, ঈসা (আঃ) এর উম্মতরা ৭২টি দলে বিভক্ত হয়েছিলো, কিন্তু আমার উম্মতরা ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে। কিন্তু তাদের মধ্যে ১টি দল বাদে অন্য সকল দলের স্থান হবে জাহান্নামে।" সাহাবারা (রাযি.) জিজ্ঞাস করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ! সেই (নাজাতপ্রাপ্ত দল) কোনটি?" রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উত্তর দিলেন, "যারা আমার ও আমার সাহাবাদের প্রদর্শিত পথের উপর থাকবে।" (আবু দাউদ, তিরমিযী, আহমাদ, দারিমী)
আমার জানা মতে, ইসলামের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে কোন মুহাদ্দিস, মুহাক্কিক, মুফতি, মুজতাহিদ, উলামা এই বিষয়টির সাথে দ্বিমত করেননি যে, এই মুক্তি প্রাপ্ত দলটি হলো, যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদায় বিশ্বাসী, অর্থাৎ সুন্নী।
জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
এছাড়াও কাফের খোমেনি তার "কাশফুল আসরার" গ্রন্থে লিখেছে 'আমি সেই আল্লাহকে আল্লাহ বলে মানতে রাজি নই যে আবু বকর, উমর ও উসমানের মতো অযোগ্য ব্যক্তিকে খিলাফতের দায়িত্ব দিয়েছে।" (নাউযুবিল্লাহ)
শিআদের অন্যতম বিখ্যাত ও স্বীকৃত তাফসীর (!) গ্রন্থ বিহার আল আনওয়ারে লেখা আছে, "রাসূল (সাঃ), আয়িশা ও আলী রযি. প্রায়ই এক কম্বলের নিচে ঘুমাতেন। রাত্রে রাসূল সাঃ তাদের মাঝ থেকে উঠে নামাজে চলে যেতেনে, এবং বাকী দুইজন ঐ অবস্থায় থাকতো।" (নাউযুবিল্লাহ)
এমন আরো বেয়াদবি, অশ্লীলতা তাদের বিখ্যাত কিতাবগুলোতে ভরপূর।
অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ!
আপনার মত এত বিস্তারিত না,সংক্ষিপ্ত ভাবে বলতে গিয়ে অনেক বার আক্রমনের স্বীকার হয়েছি।
শিয়াদেরকে মুসলমান মনে করে আপন ভাবাটা আমাদের একধরনের বোকামি।
বিস্তারিত আলোচনার জন্য আবারও ধন্যবাদ আপনাকে!
ক্ষতিসাধনে ইরানের ভূমিকা !
আমরা কি অন্তত একটিবার
ভেবে দেখেছি ইরান এযাবত
ইসলামের কী কী ক্ষতি করেছে?
এই ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন, আমরা অত্যন্ত
সংক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন মুসলিম
দেশসমুহে ইরানের চক্রান্তের
কথা তুলে ধরবো।
আমরা একথা ভালোভাবে জানি উনবিংশ
শতাব্দির শুরুতে বিশ্বের কোথাও শীয়া-সুন্নী সহিংসতার খবর
পাইনি। শীয়া-সুন্নীরা তখন
পরস্পরে কাধে কাধ
মিলিয়ে চলতেন। যার
কারণে জিন্নাহের মতো একজন
শীয়া যখন পাকিস্তানের স্থপতি হন তখন
কোনো সুন্নী মুসলমান
শীয়া হওয়ার কারণে তার
বিরোধিতা করেন নি।
মুসলিমবিশ্বে শীয়া-
সুন্নী সহিংসতা শুরু হয়েছে ১৯৭৯ সালে ইরানে খোমেনির
নেতৃত্বে শীয়াবিপ্লব হওয়ার পর
থেকেই । খোমেনি যখন ফ্রান্সের
নির্বাসিনী জীবন ত্যাগ
করে ইরানের ধর্মীয়নেতায় পরিণত
হন, তখন মুসলিমবিশ্বের বিপ্লবীরা তাকে সাধুবাদ ও
অভিনন্দন জানান । কিন্তু
খোমেনি সে অভিনন্দনের জবাব
দেন সাহাবায়ে কেরামের
বিরুদ্ধে কাশফে আসরার নামক বই
লিখে । এই বইয়ে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় সাহাবায়ে কেরাম রাযি.
কে গালি দেন। এবং এই বই
ইরানি দুতাবাসের
মাধ্যমে সারা মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট
হোন । বিভিন্ন মুসলিমদেশ
সমুহে নিজের মতবাদ চালু করার সব ধরনের ছল-চাতুরির আশ্রয় নেন।
এমনকি বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়
যে, খোমেনি বলেছেন,
সুন্নীরা হচ্ছে ইরানের মতবাদ
প্রচারের প্রথম বাধা, তাই
প্রথমে এদেরকে শেষ করে দিতে হবে।
আমরা নিম্নে বিভিন্ন মুসলিম
দেশে ইরানি আগ্রাসনের
কথা উল্লেখ করব।
ইরানঃ
রাজধানী তেহরানে ইয়াহুদিদের উপাসনালয় এবং খৃষ্টানদের
গীর্জা থাকলেও
সুন্নী মুসলমানদের কোনো মসজিদ
নেই! ইরানের বেলুচিস্তান
এবং সিস্তান
হচ্ছে সুন্নি অধ্যুষিত, কিন্তু সেখানকার মুসলমানরা খুবই কষ্ট
আছেন। সরকারি চাকুরিতে সুন্নির
অবস্থায শূন্যের কোঠায়। তাই
বেলুচিস্তানের
মুসলমানরা দীর্ঘদিন নির্যাতিত
থাকার পর জাস্টিস আর্মি নামে একটি সশস্ত্র গ্রুপ
খুলেছেন। কদিন পুর্বে যে ইরানের
সীমান্তে ১৭ সেনা মারা গেছে,বলা হয় এটা তাদেরই কাজ।
সৌদী আরবঃ
খোমেনি ক্ষমতায় আসার পরপরই মক্কায় পবিত্র
কাবা চত্বরে শীয়াদের
মাধ্যমে একটি বিশৃংখলা তৈরি করেন।
পরে সৌদী সরকার
তাদেরকে পাকড়াও করে মৃত্যুদন্ড
দেয়। তখন থেকেই ইরানের
সাথে সৌদী আরবের কুটনৈতিক
সম্পর্কের ছেদ হয়।
পাকিস্তানঃ
পাকিস্তানের ১৬%
শীয়ারা ইরানের আস্কারা পেয়ে শীয়া মতাদর্শ
প্রসারে ততপর হয়। তখন
সিপাহে সাহাবা নামে মুসলমানদের
একটি সংগঠনের জন্ম হয়,
যারা শীয়াদের মুখোশ উন্মোচন
করা শুরু করেন, পরবর্তীতে শীয়ারা এ সংগঠনের
আমীর ও উলামাদের শহীদ
করা শুরু করে। শীয়াদের
হাতে শহীদ হওয়া কয়েকজন
পাকিস্তানি আলেমদের
মধ্যে হচ্ছেন, শহীদে ইসলাম মাওলানা ইউসুফ
লুধিয়ানভি রাহ. , মাওলানা হক
নওয়াজ জঙভি রাহ.
মাওলানা হাবীবুল্লাহ মুখতার
রাহ. , মাওলানা আজম তারেক
রাহ. এবং মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকি রাহ., প্রমুখ ।
আফগানিস্তান ঃ
রাশিয়া নেতৃত্বাধীন
সভিয়েতরা চলে যাওয়ার পর ইরান
আব্দুর রশীদ নামক শীয়ার
পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া শুরু করে। তালেবানের উত্থানের পর ইরান
এই দোস্তামের মাধ্যমে মাজার-ই-
শরীফে প্রচুর তালেবানকে শহীদ
করে। তালেবানদের বিজয় যখন
সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত তখন ইরান
উত্তারাঞ্চলীয় জোটকে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের
মোকাবেলায় দাড় করায়।
তাদেরকে ইরান অস্ত্র
দিয়ে সাহায্য করে।
মুজাহিদরা নর্দান এলায়েন্সের
প্রধান আহমদ শাহ মাসুদকে হত্যা করেন তখন
তাকে সাথে সাথে ইরান
চিকিতসার জন্যে নেওয়া হয়। এই
জোটের উপর ভর করেই
আমেরিকা তালেবানদের পতন
ঘটায় । তালেবানের পতনের পর আহমিনেজাদ বলেছিল, এটা আহমদ
শাহ মাসুদের শাহাদতের বিজয়।
ইরাকঃ
সাদ্দাম ফাসির পুর্বে বলেছিলেন,
আমি আমেরিকান
গোয়েন্দা এবং ইরানের কাছে পরাজিত হয়েছি ।
সাদ্দামের ফাসির পর
শীয়ারা আনন্দ মিছিল বের করে।
ইরানের
সাহায্যে ইরাকে মুকতাদা সদর
একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠিন করে। এটা সেখানে সুন্নী মুসলমানদেরকে গণহত্যা শুরু
করে। ইরান নিজেকে মার্কিন
বিরোধী প্রচার করে, অথচ ইরাকের
বর্তমান প্রেসিডেন্ট আমেরিকার
দালাল শীয়া নুরি মালিকির
সাথে ইরানের গলায় গলায় ভাব,বাহিরে মার্কিন
বিরোধিতা আর ভেতরে এ
অবস্থা কীসের আলামত? আর এখন
তো ইরানের আসল চেহারা প্রকাশ
পেয়েছে।
সিরিয়াঃ ইরানে খোমেনি বিপ্লবের পর
সিরিয়ার
ইখওয়াননেতারা খোমেনির
কাছে সাহায্যের জন্যে যান।
কিন্তু খোমেনি তাদের সাহায্য
দিলোই না, উল্টো ইখওয়ানিদের সব তথ্য বাশারের পিতা কসাই
হাফিযের কাছে প্রকাশ
করে দিল। ফলে ১৯৮২
সালে সিরিয়ার ইখওয়ানিদের
ঘাটি হামায় চলল ইতিহাসের
ভয়ংকরতম ম্যাসাকার। সিরিয়া সম্পর্কে ইরানের বর্তমান
ভূমিকা তো সবারই জানা।
লেবাননঃ
ইরানের শীয়ারা লেবাননের
শীয়াদের
মাধ্যমে একটি সংগঠনের জন্ম দেয়, যার নাম হিজবুল্লাত.! কসাই
বাশারের পাপে সমান পাপী। যখন
হিজবুল্লাতের
সদস্যরা দলে দলে সিরিয়ায়
যাচ্ছিল তখন সেদেশে বিশিষ্ট
আলেম শায়খ আহমদ আসির এর তীব্র বিরোধিতা করেন,
ফলে হিজবুল্লাহ তার
মসজিদে হামলা চালায়।
হিজবুল্লাহর চরম অপকর্ম
দেখে লেবাননে জন্ম হয়
আব্দুল্লাহ আযযাম ব্রিগেডের, যারা লেবাননে ইরানি দুতাবাসে হামলার
দায়িত্ব স্বীকার করে।
বাহরাইনঃ
ইরান আরববসন্তের সময় চেয়েছিল
সেদেশের ৭০% শীয়ার
মাধ্যমে সেদেশের সুন্নী শাসককে উতখাত করতে।
সিরিয়ার শাসক শীয়া তাই ইরান
বাশারের সাথে, আর বাহরাইনের
জনতা শীয়া, তাই ইরান জনতার
পাশে।
ইয়ামেনঃ শায়খ আওলাকি রাহ. এক
বক্তব্যে বলেছেন, ইরান
ইয়ামেনে তাদের আগ্রাসনের
বিস্তার করছে।
বাংলাদেশঃ
বাংলাদেশে ইরানি মতবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে রেডিও তেহরান,
খোমেনি ফাউন্ডেশন
এবং ইরানি কালচ্যারাল ফোরাম।
আর
সাথে আছে ইরানি ভাবাদর্শের
তথাকথিত ইসলামি দল। ইরানের আরো কুতসিত
চেহারা আমরা দেখলাম,
লেডি হিটলারকে অভিনন্দন
জানানোর মাধ্যমে ।
ইরান যখন উল্লেখিত
দেশসমুহে অশান্তি সৃষ্টি করে ফেলেছে, তখন সে সাধু সেজে মার্কিন
ব্লকে যোগ দিচ্ছে।
আর আমেরিকা তার
মিত্রতা রূপে ইরানকে বড় প্রেমের
বন্ধনে আবদ্ধ করছে। এখন ইরান-
রাশিয়া-আমেরিকা একজোট হয়ে উম্মাহের মুজাহিদদের
বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে।
الفرقة السنية ودينها/ مثل شجرة خبيثة, بعد مثل شجرة طيبة
ولد محمد في العرب وفي قبيلة قريش، فمحمد عربي وقرشي وهاشمي. وهو النبي العربي والنبي للعرب، ثم للعجم، لو لاه لما خلق الأفلاك. أول ما خلق الله نوره، ثم العالمين بعده...!
الأئمة من قريش إلى قيام الساعة. "الأئمة من قريش" مبدأ إمامتهم ومنتهاها.
الأصحاب كالنجوم، وهم المعصومون، أو المغفورون من الذنوب. وخاصة, الخلفاء الأربع وهم الراشدون، والعشرة جميعا من قبيلة قريش، ولا أحد من غيرها، هم الراشدون والمبشرون بالجنة، دون غيرهم. بأيهم إقتديتم، إهتديتم..................
هم الذين شقُّوا عصا الإسلام إثر وفاة الرسول صلى الله عليه وسلم- مهاجرا وأنصارا- منا الأمراء ومنكم الوزراء- الأئمة من قريش- ثم فرقوا وتفرقوا إلى بضع وسبعون فرقة. فيهم السنيون فقط على الحق دون غيرهم.
وهم أهل الجنة، والباقون أهل النار.........................
هم عرقي وسلالي مثل اليهود. ولا يستحق لأحد أن يكون إماما على الأمة الإسلامية من دونهم. فحتما- حسب زعمهم- يكون الإمام المهدى المنتظر، عربيا وقريشيا.............
الأئمة حتما من قريش، ومن قريش من بنى هاشم- خزنة 360 ستون أصنام الكعبة- بيت التوحيد! من سلالة عبد المطلب، وإبنه أبى طالب، ثم من صلب علي ابن أبي طالب، وبطن فاطمة بنت محمد القرشى...............
لهم خمسة من نجمة- بدءاً من محمد صلى الله عليه وسلم، ثم ختنه، على، ثم بنته فاطمة، ثم إبنها الحسن والحسين............
الإمامة المعصومة والمشروعة تدور في سلالتهم إلى يوم القيامة...................
أما الخارجون من هذه الدائرة السلالية، من الخلفاء والأئمة- في الماضي،ن وفي الحال، أو في المستفبل كانوا، ويكونون غاصبين، من أهل النار.
الثاني عشر من أئمتهم اختفى من مدة تزيد على أثني قرن، وهو الذي سيظهر الأمام المهدي، من بطن فاطمة، والشيعة تنتظر لظهوره، ليكون لها المهدي مثل المسيا لليهود، والمسيح للنصارى..........
ও, আপনারা তো আবার তাক্বিয়্যা করেন। বলতেই পারেন যা খুশি।
উত্তর: না।
চেনেন একে? আপনাদের শিআ মতবাদের বিখ্যাত পন্ডিত ইয়াসির আল হাবিব। লক্ষ্য করে শুনেন, উনি কি কালিমা পড়েন।
শিআ ও মুসলিমদের আযানের পদ্ধতি ও বাক্য কি এক?
উত্তর: না।
কারবালা মসজিদ থেকে শিআ আযান। মিলিয়ে দেখুন।
শিআরা কি মুসলিমদের মতো কুরআনের অবিকৃত অবস্থায় থাকা বিশ্বাস করে?
উত্তর: না।
শিআরা বিশ্বাস করে তাদের ১৩তম ইমাম মাহদী আস সাহিবাল জামান কিয়ামতের পূর্বে আত্মপ্রকাশ করবেন এবং প্রচলিত কুরআনের ভূলত্রুটি সংশোধন করবেন। (আল গাইবালিল নুযমানি, পৃ:২০০)
এমনকি শিআরা তাদের ইমামদের নবী-রাসূল (আঃ), এমনকি আল্লাহর চেয়ে বড় বলে (নাউযুবিল্লাহ)
হুসাইন আল্লাহর চেয়ে বড় (নাউযুবিল্লাহ)
সবকিছুই আপনাদের আকাবিরদের কিতাব এবং বড় বড় আয়াতুল্লাহদের থেকে নেয়া। এগুলো মিথ্যা হলে তো আপনাদের ধর্মই মিথ্যা হয়ে যায়।
আলাপ তো অনেক করলাম। ওনারা উত্তর দেন না, গোঁ ধরে বসে থাকেন, নতুবা কৌশলে এড়িয়ে যান।
কসম খোদার এগুলো মিথ্যাচার
আপনার সন্দেহ থাকলে আপনি অবশ্যই উল্লেখিত বইগুলো সংগ্রহ করে পড়ে দেখুন। তারপর যদি কোন ভূল রেফারেন্স পান তাহলে নির্ভেজাল ভাবে আমাকে দেখিয়ে দিন। প্রয়োজন পড়লে আমিও পাতাগুলোর স্ক্যান কপি দিব।
আগে নিজেদের সামলাম, আপনাদের গুরুদের সামলান, তারপর আমাদের লাতন করতে আসেন। আমি যদি, যদি মিথ্যা বলি তাহলে লানত, কিন্তু রাফেজীদের উপর সেদিন থেকেই আল্লাহ ও তার রাসূলের লানত যেদিন তারা সাহাবাদের (রাযি.) পথ ছেড়ে মুনাফিক ইয়াহুদি আবদুল্লাহ বিন সাবাহ-এর মুরিদ হয়েছিলো।
যদি আমি আপনাকে বইটা থেকে পাতা টু পাতা রেফারেন্স দিতে পারি, প্রয়োজনে স্ক্যান কপি, তাহলে কি হবে? চ্যালেঞ্জ যখন করেছেন, আসুন ভালোভাবেই চ্যালেঞ্জ হোক।
তারপর না হয় পরবর্তী আলোচনায় যাওয়া যাবে। আর এ ক্ষেত্রে মনে হয় চিরবিদ্রোহী ভাইয়ের প্রথমে শুরু করা উচিৎ।
আপনি শিআ বলেই প্রত্যাখান করতে পারেন, আমি আহলে সুন্নাহ বিধায় প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। কারণ, আমাদের মধ্যে তাক্বিয়ার কোন ভিত্তি নেই, জায়েজ ও নেই। আর ত্বাকিয়া তো আপনাদের ঈমানের অঙ্গ, ত্বাকিয়া না করলে দ্বীনই থাকে না। ত্বাকিয়া করলে আবার প্রত্যাখ্যান না করা যায় ক্যামনে!!!
আর আপনি প্রীত হবার কথা বলছেন!!! ভাই, এই ক্ষুদ্র জীবনে কম অভিজ্ঞতা হয়নি আলহামদুল্লিাহ। আপনাদের ঐ ইরানিয়ান কালচারাল সেন্টারেই একবার এমন একটি বিষয় নিয়ে বাজে একটা অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলাম। ভাগ্যক্রমে আমার কলেজ আশে পাশে হওয়ায় সে যাত্রায় ভয়াবহ কিছু হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। মীরপুরেও এমনই ঘটনা আবার হয়েছিলো, কিন্তু মীরপুর আমার এলাকা দেখে সমস্যা করতে পারে নি। এমন বেশ কয়েকটি বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে, অপরাধ মতামত জানতে চাওয়া এবং মুখের উপর দালীলিক সমালোচনা করা। ফেতনা আমার পছন্দ না; সুতরাং, এমন ঘটনা আর ঘটাতে চাই না।
তবে হ্যাঁ, এখনো সামনাসামনি বাহাসের প্রস্তাব গ্রহন করি, কিন্তু শর্ত থাকে সেটা অবশ্যই পাবলিক প্লেস হতে হবে।
যেহেতু চিরবিদ্রোহী ভাই এবং শিআনে আলী ভাই উভয়েই রাজী, এখানে করতে তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না!
ভাই সুন্দর একটা প্রস্তাব করেছেন। ধন্যবাদ।
আর নিয়ম অনুযায়ী দলিল দেয়ার প্রথম পালা আমারই অবশ্যই। সুতরাং প্রথম দলীল আমিই দেবো ইনশাআল্লাহ।
দাবী অনুযায়ী উল্লেখিত বই হতেই আমি সেই কিছু বিষয় প্রমাণ করবো।
এই বইয়ের রেফারেন্সের উপর সরাসরি আপত্তি তোলা হয়েছে। সেদিক বিবেচনা করে, এবং বইটি সবচেয়ে সহজলভ্য ও বাংলায় হওয়ায় প্রথম দলীল এখান থেকেই সাবিত করছি ইনশাআল্লাহ। এগুলোকে যদি মিথ্যা প্রমাণ করতে পারে, বা আদৌ খন্ডাতে পারে তাহলে পরবর্তী মূল আরবী আক্বিদার কিতাবগুলোতেও যাবো।
লক্ষনীয় যে, একই অধ্যায় বা পৃষ্ঠায় একাধিক পয়েন্ট এসেছে, যার কারণে চিহ্নিতকরণ ও একই সাথে করা হয়েছে। পড়ে দেখলেই সমস্যা হবে না আশা করি।
১। তারা ইমামতে বিশ্বাসী। তাদের মতে নবী আ. গনের পর পৃথিবীর মুসলমানদের (তাদের মতে) নেতৃত্ব দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বংশের নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গকে ইমামত দেয়া হয়।
পর্ব-৩, পৃষ্ঠা-৪১ হতে এ বিষয়ে পৃথক অধ্যায় লিখিত আছে।
২. ইমামগণ নবীর ন্যায় আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত
পর্ব-৩, পয়েন্ট-২৩, পৃষ্ঠা: ৪১
৩. ইমামগণ পয়গম্বরগণের মতই আল্লাহর প্রমাণ, নিস্পাপ ও আনুগত্যশীল
পর্ব-৩, পয়েন্ট-২৪, পৃষ্ঠা: ৪৩
৪. ইমামগণ পয়গাম্বরগণের মত নিস্পাপ। ইমামগণ সমস্ত গুনাহ ও ভূল ত্রুটি থেকে পবিত্র
পর্ব-৩, পয়েন্ট-২৪, পৃষ্ঠা: ৪৩
৫. ইমামগণের আনুগত্য করা ফরজ
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৫
৬. যে ইমামকে মানে না সে কাফের।
অন্যত্র সরাসরি পাওয়া গেলেও আলোচিত বইয়ে সরাসরি না প্রকাশ করে ইঙ্গিতে প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যেহেতু উপরে প্রমাণ করা হয়েছে যে ইমামগণের অানুগত্য করা বাধ্যতামূলক (শিআ ফিকাহ অনুসারে), সুতরাং যৌক্তিকভাবেই তাদের আনুগত্য না করা অথবা না মানা নিশ্চিতরূপেই অবৈধ বা কুফর।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৬
৭. শী’আ দের বক্তব্য হল কুরআন মজীদে ইমামত ও ইমামগণের বর্ণনা ছিল।
একটু ভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে, এবং দলিল হিসেবে দেয়া হয়েছে কুরআনের দুটি আয়াত – সুরা রাদ-এর ৮নং ও সুরা ফাতির-এর ২৪নং আয়াত। মজার বিষয় হলো সূরা রাদ এর ৮নং আয়াতটি হলো
اللّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنثَى وَمَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِندَهُ بِمِقْدَارٍ
আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়। এবং তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুরই একটা পরিমাণ রয়েছে।
যাই হোক, এই দুটি আয়াত দ্বারাই ইমামগণের অনুসরণের বাধ্যবাধকতা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৩, পৃষ্ঠা: ৪২
৮. ইমামগণের জন্য কুরআন-হাদীস ছাড়াও জ্ঞানের অন্যান্য অত্যাশ্চর্য সূত্র রয়েছে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৫, পৃষ্ঠা: ৪৩
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৫, পৃষ্ঠা: ৪৪
৯. ইমামত, ইমামগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও তা প্রচারের আদেশ সকল পয়গম্ব ও সকল ঐশী গন্থের মাধ্যমে এসেছে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৬
১০. জান্নাতে যাওয়া না যাওয়া ইমামদের মান্য করা না করার উপর নির্ভরশীল।
বিষয়টি কিছুটা ঘুরিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, পড়া মাত্রই বুঝা যাবে।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ২৬, পৃষ্ঠা: ৪৬
১১. তারা ”তাক্বিয়ায় (প্রয়োজনে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলা)” বিশ্বাসী। তাদের মতে, তাক্বিয়া ঈমানের অঙ্গ। তারা বলেন ইমাম জাফর সাদিক রহ. নাকি বলেছেন, ”যার মধ্যে তাক্বিয়া নেই, তার মধ্যে দ্বীন নেই।”
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ৩৩, পৃষ্ঠা: ৬০
১২. তারা ”রাজাআত” মতবাদে বিশ্বাসী। তাদের মতে কিয়ামতে পরে এবং হাশরের পূর্বে সমস্ত সৃষ্টিকে পৃথিবীতে একত্রিত করা হবে। আবার অপর এক দলের বিশ্বাস সমস্ত সৃষ্টিকে না, বরং কিছু মানুষকে জীবিত করা হবে; এবং সেটা কেয়ামতের পর নয় ইমাম মাহদির খিলাফত কালে। একে বলা হয় রাজাআত।
পর্ব্-৩, পয়েন্ট ৩২, পৃষ্ঠা: ৫৬
(এই তিনটি লেখা অন্য আরেকটি সহজলভ্য বই "ইসলামী নামায: শী'আ দীনিয়াত" থেকে রেফারেন্স দেওয়া হল। রেফারেন্স স্ক্যান কপি দিতে পারলাম না, আমার স্ক্যানারটা হঠাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে। তবে পুরোপুরি রেফারেন্স থাকছে, যে কেউ বইটি সংগ্রহ করে চেক করে নিতে কোন অসুবিধা হবে না।)
১৩. তাদের মতে, মাটিতে সিজদাহ করা অনুত্তম। তারা সিজদার জন্য রওযায়ে খাখ/খাখে শিফা বা কারবালার মাটির টুকরা সাথে রাখে। নামাজের সময় তারা এই টুকরোটি সিজদার স্থানে রেখে তার উপর সিজদাহ করে।
ইসলামী নামায: শী’অ দীনিয়াত, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাসেম (জান সাহেব), তাবলীগাতে হোসাইনি প্রকাশিত, ”সেজদা সম্বন্ধে বর্ণনা”, পৃষ্ঠা-৪০
১৪. তাদের মতে, নামাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে কাযা করলেও সমস্যা নেই। যোহর ও আসরের এবং মাগরীব ও ঈশার নামাযে একত্রেও পড়া যায়, কোন ওজর ব্যাতিতই।
ইসলামী নামায: শী’অ দীনিয়াত, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাসেম (জান সাহেব), তাবলীগাতে হোসাইনি প্রকাশিত, ”নামাজের সময় নিরূপন”, পৃষ্ঠা-৩৯
১৭. তাদের কালিমা হলো ”আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না আলীয়্যান ওয়ালিউল্লাহ ওয়া ওয়াসিউর রাসূলুল্লাহ”। তারা আযানেও এই বাক্যটি যোগ করে।
কালিমার বিষয়টি উল্লেখিত বইদুটিতে নেই, তবে আযান স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে এবং যথারীতি সেখানে "আশহাদু আন্না আমিরুল মো'মিনিন ওয়া ইমামুল মুত্তাক্বীন আলীয়্যান ওয়ালিউল্লাহ ওয়া ওয়াসিয়ে রাসূলুল্লাহ" স্পষ্টভাবেই উপস্থিত আছে।
ইসলামী নামায: শী’অ দীনিয়াত, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাসেম (জান সাহেব), তাবলীগাতে হোসাইনি প্রকাশিত, ”আযান - আযানের নিয়ম”, পৃষ্ঠা-৪২
দুই ঘন্টার আগে নাকি পোস্ট দেয়া যাবে না। একটু আগে একটা ড্রাফট করেছিলাম, সম্ভবত সেই কারণে। তাহলে তো কালকেই দিতে হবে। আজ আর হবে না..
আমাকে দয়া করে ফোন দেন। বুড়া মিয়া আপনিও দিয়েন।
সুতরাং আমি অন্য কোন মাধ্যমে যোগাযোগে আগ্রহী নই। আমার পরিচয় গোপন থাকুক এটাই আমার কাম্য। আমার পরিচয় আমার লেখা, আমি কে বা কি তাতে নয়।
আল্লাহর কসম, কেউ যদি আহলে সুন্নাহর কোন কিতাব থেকে এভাবে দৃঢ়তার সাথে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তো তাহলে তার উত্তর দেয়ার জন্য বই স্ক্যান, বই কেনা, সাধ্য এবং সামর্থ থাকতে কিছুই বাদ দিতাম না। আমার কাছে আমার ঈমান অন্য সকল কিছুর উধ্বে। সেই ঈমানে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করলে তার যথাযথ উত্তর ও যাচাইবাছাই করতে কোন ত্রুটিই আমি করি না।
আর আপনার কথা যদি আমি মেনেও নেই, তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি নিজেই আপনাদের মাযহাব, আক্বিদা ও ফিকাহ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানেন না। এটা অস্বাভাবিক না, বাংলাদেশের- এমনকি শিআ ও আহলে সুন্নাহর সিংহভাগই তাদের ধর্মগ্রন্থের গভির আলোচনার ধারেকাছেও জানে না। সেক্ষেত্রে কিভাবে যে আপনি শিআ হলেন, সেটা আসলেই এ মুহুর্তে আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
যাই হোক, এগুলো আপনাদের বইগুলোতে আছে, তার একটু ঝলক উপরে দিয়ে দিয়েছি। পড়ে দেখুন, আরবী না জানা থাকলে আরবী শিখে দেখুন।
আর বললাম তো, বইগুলো আমাদের সংগ্রহে আছে বলেই এভাবে দৃঢ়তার সাথে বলতে পারছি। কিছু হার্ড কপি আছে যা বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করা, কিছু সফটকপি যা অনলাইন থেকে নেওয়া। যাচাই করলেই বুঝতে পারবেন।
জাজাকাল্লাহ।
তথাপি আমার কমেন্টেও বিষয়টা স্পষ্ট করতেই বলেছি
যাই হোক, যদিও বলেছিলাম আমার প্রথম দলীল খন্ডানো না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় দলীল দিবো না, কেননা কাজটা সময়সাপেক্ষ, আর যে প্রাথমিক দলীলই খন্ডাতে পারবে না তাকে উর্ধ্বতন দলীল দেয়ার মানে কি!! তথাপি, শুধু আপনাকে বুঝাতে এখন কিছু দলিল দিচ্ছি। আমার ব্যক্তিগত স্ক্যানারটা নষ্ট থাকায় অন্যত্র থেকে স্ক্যান করে এনে দিতে হলো, ঠিকমতো মার্ক করতে পারিনি। তথাপি পড়লে বুঝতে সমস্যা হবে না। -
এক. কুরআনের সহীহ বা সঠিক আয়াত হলো- إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَىٰ آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ ( آل عمران: 33 ) নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম (আঃ), নূহ(আঃ), ও ইব্রাহীম (আঃ), এর বংশধর এবং এমরানের খান্দানকে নির্বাচিত করেছেন।
কিন্তু শী’আরা বলে, মক্কা-মদিনাসহ আমাদের মুসলিমদেশ গুলোতে, কুরআনে বিদ্ধমান উল্লেখিত আয়াতটি ভুল বরং সঠিক আয়াত হলো- وَآلَ عِمْرَانَ এর পরে آل محمد শব্দ ছিল৷ যা কুরআন থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ (ترجمہ حیات القلوب: جلد 3 صفحہ 123 ) نعوذ بالله من ذالك
তিন. কুরআনের সহীহ বা সঠিক আয়াত হলো- انْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا (فرقان:9) দেখুন, তারা আপনার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে! অতএব তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা পথ পেতে পারে না।
আর শী’আরা বলে,কুরআনে বিদ্ধমান উল্লেখিত আয়াতটি ভুল বরং সঠিক আয়াতে ولاية علي سبيلا আছে। যা কুরআন থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (ترجمہ حیات القلوب: جلد 3 صفحہ 255) نعوذ بالله من ذالك
তবে এতটুকু সত্য যে ইদানিংকার কিছু শিআ স্কলার তাহরিফে কুরআন (কুরআন বিকৃতি বা আংশিক হারিয়ে যাওয়া) মতবাদের সাথে ভিন্নমত পোষন করে। তবে তাদের সংখ্যা আটার মধ্যে নুনের চেয়েও নগন্য।
আলোচিত বইটি মাত্র ১০৮ পৃষ্টার একটা চটি বই, বাংলায় লেখা। এমন একটি পরিবেশ, যেখানে ৮৫% -এর ও বেশী আহলে সুন্নাহ মুসলমানদের বসবাস, সেখানে এমন বিতর্কিত বিষয়গুলো একেবারে প্রকাশ করার সাহস না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। সঙ্গত কারণেই উক্ত বইয়ে এমন বিষয়গুলোই আলোচনা করা হয়েছে, যা আহলে সুন্নাহর আক্বিদার বাহিরে হলেও সাধারণের কাছে সহজেই চালিয়ে দেয়া যায়।
তবে তাহরীফে কুরআন সম্পর্কে যে রেফারেন্স আমি দিয়েছি, অর্থাৎ বাক্বের আল মজলিশী রচিত হায়াতে কুলুব থেকে যে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ করতে উপরের মন্তব্যে স্ক্যান করা পেজ থেকে হাইলাইট করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শিআ আক্বিদার মৌলিক কিতাব যেমন উসুল আল কাফি, বিহার আল আনওয়ার, হাক্বকুল ইয়াকিন, মিরাতুল উকুল ফি আখবারুর রাসূল ইত্যাদি গ্রন্থেও উক্ত আক্বিদার পক্ষে মন্তব্য পাওয়া যায়।
এই সহজ ভাষার পরও যদি কারো বুঝে না আসে, তাহলে তার জন্য কুরআনের এই আয়াতটিই প্রযোজ্য-
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَرْجِعُونَ"
তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।" (সূরা বাক্বরা, আয়াত: ১৮)
জাজাকাল্লাহু খায়র। আপনি অনেক কষ্ট করেছেন ভাই। প্রিয়তে রাখলাম পোস্টটি।
এটাতো ইমাম শাফেঈ (রহি.) থেকে ইবনে তাইমিয়াহ (রহি.), শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহি.), শাহ আব্দুল আযীয (রহি.), মাওলানা রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহী (রহি.)-সহ আহলে হক্ব উলামার ফাতওয়া দ্বারা প্রমাণিত যে শিআদের মুসলমান মনে করাও ঈমানের খিলাফ।
জাযাকাল্লাহ খইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন