ফরগটেন হিরোস- এ ট্রিবিউট টু দ্যা গ্রেটেস্ট মেন অন আর্থ (Forgotten Heroes- A tribute to the greatest men on earth) প্রথম পর্ব শাহ সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদে বালাকোট (রহ.)
লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ০৬ মে, ২০১৪, ০৯:১০:১৬ রাত
আজ ৬ই মে। ১৮৩১ সালের এই দিনে বালাকোটের প্রান্তরে সহযোদ্ধা সহ শাহাদাত বরণ করেন উপমহাদেশে ইংরেজ জুলুমবাজ ও তাদের তলাচাটা দালালদের বিরুদ্ধে প্রথম জিহাদকারী মহান সিপাহসালার শাহ সৈয়দ আহমাদ বেরলভী (রহ.)। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন এবং আমাদের তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করার তৌফিক দান করুন। আমীন...
ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পথ প্রদর্শক, অকুতোভয় সিপাহসালার, মুত্তাক্বি আলেমে দ্বীন, রাহনুমায়ে ত্বরীকত ও আমিরুল মুজাহিদীন হযরত মাওলনা শাহ সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদে বালাকোট (রহঃ)। উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনামলের শৈশবকালেই যারা এর ভবিষ্যত ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন, এই মহান দূরদর্শী মুজাহিদ ছিলেন তাদের প্রথম ও অন্যতম।
ভারতের স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যাওয়া দেখে যে সকল মুখোশধারী সুযোগসন্ধানিরা ব্রিটিশদের তাবেদারী করা শুরু করে, তাদের ও তাদের পালক ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এই মর্দে মুজাহিদ সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ন হন। ভারতবর্ষের মুসলমানদের ব্রিটিশ ও তাদের অনুগত জুলুমবাজ জমিদারদের থাবা থেকে মুক্ত করতে তিনি শেষ অবধি সংগ্রাম করে গেছেন। তৎকালীন অনেক তথাকথিত প্রখ্যাত ও বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ অত্যাচারী শাসকদের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে নিজেদের আখের গুছাতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ও ব্রিটিশ স¤্রাজ্ঞীকে ”ভারত সম্রাজ্ঞী”, ”ভারতেশ্বরী” ”ইংল্যান্ডেশ্বরী” ইত্যাদি খেতাব দেয়ায় বিভর, নিচেদের ব্রিটিশ রঙে রাঙিয়ে তুলতে ব্যাতিব্যস্ত, এই অকুতভয় সিপাহসালার তখন নিরীহ মানুষগুলোকে জালিমের চাবুকের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য তরবারী হাতে যুদ্ধের ময়দান দাপিয়ে বেড়ান। তার দেখানো পথ ধরেই পরে একে একে সংঘটিত সিপাহী বিপ্লব, তিতুমীরের সংগ্রাম, দেওবন্দ আন্দোলন, খিলাফত আন্দোলন সহ ভারত বর্ষের অনেক স্বাধীনতা সংগ্রাম। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ হিসেবে সিপাহী আন্দোলনের প্রথম দিকের যোদ্ধা মঙ্গল পান্ডেকেই সাধারন ভাবে জানা হয়। কিন্তু সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদ (রহ) শহীদ হয়েছিলেন তারও বিশ বছর পূর্বে। যদিও তার নাম কদাচিৎ শোনা যায়।
চিরসংগ্রামী ক্ষনজস্মা এই মহামানবের জন্ম ইংরেজী ১৭৮৬ সালে ভারতের রায় বারেলী শহরে। তার বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় না। বিক্ষিপ্ত কিছু তথ্য থেকে যতটুকু জান যায়, তারা বাবা বড় আলেম ছিলেন। তিনি তার সন্তানের সুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। অল্প বয়সে নিজের তীক্ষè মেধার পরিচয় দিয়ে সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদ (রহ) ইসলামী জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে অন্যমত ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, উপমহাদেশে আলেমদের রাহবার শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.)-এর সূযোগ্য পুত্র ও খলিফা শাহ আবদুল আযীয (রহ.)। পরবর্তীতে তিনি শাহ সাহেবের কাছে বাইয়াত ও খেলাফতও লাভ করেন। সৈয়দ আহমাদ শহীদ (রহ) মধ্যে যে প্রজ্ঞা, বিচক্ষনতা, ন্যায়পরায়নতা, সাহসিকতা ও শৌর্য দেখা যায় তা মূলত তার শায়খের সংস্পর্শেই গড়ে ওঠে।
শিক্ষাজীবন শেষ করে সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদ (রহ) প্রথমে কিছুদিন উত্তর ভারতের টংক অঞ্চলের শাসক আমির খানের রাজকীয় বাহিনীতে কাজ করেন। এসময় তিনি ভারতের অনেক স্থানে ভ্রমন করেন। সেখানে তিনি দেখেন মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থা। মুসলমানরা যেন শুধু নামেই মুসলমান, অনেক ক্ষেত্রে তাও না। ধর্মের নামে সেখানে চলে বিভিন্ন কবর, মাজার, পীরের পূজা। এমনকি অনেক স্থানে রীতিমতো কালী পূজাও চলে। ভারত বর্ষে তখন মোঘল সা¤্রাজ্যের সূর্য অ¯মিত গিয়ে সেখানে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নতূন রবি উদিত। নিজেদের শাসন সুসংহত করার জন্যে ব্রিটিশরা বেছে নিয়েছিলো ছলচাতুরি, অত্যাচার-নিপিড়ন আর ষড়যন্ত্রের কৌশল। নিজেদের কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখতে কিছু জমিদার ও আঞ্চলিক শাসনকর্তারাও ব্রিটিশদের অনুগত হয়ে তাদের তালে তাল মিলিয়ে স্বদেশ বাসীদের উপর শোষন-নির্যাতন চালিয়ে যেত। সর্বত্র এক অরাজকতাময় পরিস্থিতি বিদ্যমান, আর এ পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় শিকার মুসলমানরা। তারা ছিল প্রজাদের নুন্যতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের কোন সুযোগ ছিল না, ছিল না শিক্ষা লাভের কোন মাধ্যম। শাসকের খুশি মত তাদের উপর বিভিন্ন কর চাপিয়ে দেয়া হতো। ফলে অনেকের অবস্থা এই ছিল যে, তারা মুসলমান পরিচয় দিতেও ভয় করত।
সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদ (রহ) মুসলমানদের এহেন দুরাবস্থা দেখে অত্যন্ত ব্যথিত হন। মুসলনমান ও স্বদেশবাসীদের অত্যাচারের বেড়াজাল থেকে রক্ষা করার চিন্তা তাকে কুরে কুরে খেতে থাকে। তিনি অনুভব করলেন সংঘবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া এ থেকে উত্তরনের কোন উপায় নেই। প্রথমে তিনি ধর্মীয় সংস্কারের লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন তাবলিগি সফর করেন। তার অক্লান্ত চেষ্ঠায় মানুষ আবারও হারানো ধর্মের পথের সন্ধান খুজে পায়। এবার তিনি মানুষকে মুক্তির সংগ্রামে ডাক দিলেন। মানুষও বুঝল সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদ (রহ)ই তাদের মুক্তির পথ দেখাতে পারেন। তারা দলে দলে হযরত সৈয়দ আহমাদ বেরলভী শহীদ (রহ)এর আন্দোলনের পতাকাতলে আশ্রয় গ্রহন করে। মাওলানা ইমামুদ্দিন বাঙালি, মাওলানা নুর মুহাম্মাদ সহ অনেক বাংলাদেশী মুসলমানও সৈয়দ সাহেবের (রহ.) শরনাপন্ন হয়ে তার আন্দোলনে যোগ দেন। সাধারন মানুষের পক্ষ থেকে সৈয়দ সাহেবকে (রহ.) ’আমীরুল মু’মিনীন’ উপাধি দেওয়া হয়। সূচনা হতে থাকে ভারতের স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের। ১৮২২/২৩ সালের দিকে সৈয়দ সাহেব (রহ) তার বেশ কিছু সাথীদের নিয়ে হজ্ব পালনার্থে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সেখানে তিনি হজ্বব্রত পালন করার পাশাপাশি বিখ্যাত আলেম, মুহাদ্দিস ও ফকীহগনের খেদমতে উপস্থিন হয়ে দ্বীন ইসলামের আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। এইসব হক্কানী আলেমগনের অনুপ্রেরনায় তিনি তার উদ্দেশ্য পূরনের জন্যে আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। এহেন মুহুর্তে তিনি সেখানে বসেই অবগত হন তাঁর শায়েখ মাওলানা আবদুল আযীয (রহ) ইংরেজ শাসিত ভারতকে ’দারুল হারব’ আখ্যা দিয়ে ফাতওয়া জারি করেছেন। এ সংবাদ পাওয়ার পর তার মনে আর কোন সন্দেহ থাকে। তিনি সেখানে বসেই আগত সংগ্রামের জন্য সর্ব্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহন করতে থাকেন। দীর্ঘ আড়াই বছর পর ১৮২৬ সালের শেষ দিকে তিনি ভারতবর্ষের পেশোয়ারে আগমন করেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান হতে ধর্মপ্রান ও মুক্তিকামী মুসলমান তার দলে যোগ দিতে থাকে। সৈয়দ সাহেব (রহ.) তার অনুসারীদের নিয়ে হাসনগরের চরসাদ্দা গ্রামে কেন্দ্র স্থাপন করেন। সেখান থেকে তিনি দ্বীনী তাবলিগ ও অন্যায়ের প্রতিরোধের দীক্ষা দিতে থাকেন। গড়ে উঠতে থাকে এক বিশাল আন্দোলনের স্রোতধারা।
হযরত সৈয়দ আহমাদ শহীদ (রহ.) উপলব্ধি করতে পারলেন, এদেশের ব্রিটিশ দালাল জমিদার ও শাসকদের পরাজিত না করতে পারলে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন কখনো সম্ভব নয়। সেসময় ঐ অঞ্চলের শাসনকর্তা ছিলো শিখ রাজা রঞ্জিত সিংহ। প্রজাদের, বিশেষ করে মুসলমানদের উপর নির্যাতনে তার জুড়ি মেলা ভার ছিল। সৈয়দ সাহেব (রহ.) পত্র মারফতে মুসলমান ও দরিদ্র প্রজাদের উপর নির্যাতন বন্ধে ও ন্যায় পরায়নতার সাথে রাজ্য পরিচালনা করার জন্যে তাকে অনুরোধ জানান। কিন্তু রঞ্জিত সিংহ পত্রের কোন উত্তর না দিয়ে মুসলমানদের শায়েস্তা করার জন্য সর্দার বুধ সিংহের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী প্রেরন করে। মুসলিম বাহিনীও নির্ভয়ে তাদের মুখোমুখি হয়। ১৮২৬ সালের ২১শে ডিসেম্বর ”হাজারা’ নামক স্থানে মুসলমানদের কাছে শিখ বাহিনী শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়। এ যুদ্ধের দিন কয়েক পরে আবারো শিখ বাহিনী মুসলমানদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসে এবং এবারও শোচনীয় ভাবে পরাজিত ও বিতাড়িত হয়। এই বিজয়ের কারনে মুসলমানদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয়ের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে, মুসলমানদের এই বিজয় স্থানীয় পাঠানরা সঙ্কিত হয়। তারা দীর্ঘদিন শিখদের মোসাহেবি করে নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষন করে আসছিলো। এমনকি, নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে তারা মুসলমানদের উপর শিখদের নির্যাতনেও সমর্থন দিতো। সৈয়দ আহমাদ শহীদ (রহ.)এর এই বিজয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ভীত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে থাকে কিভাবে মুসলিম বাহিনীকে ঠেকানো যায়। উপায় হিসেবে তারা মুনাফেকির পথ বেছে নেয়। ছদ্মবেশে তারা মুসলিম বাহীনিতে প্রবেশ করে এবং তাদের যাবতীয় তথ্যাদি শিখদের গোপনে দিতে থাকে।
পাঠানরা এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে শিখদের সাথে যুক্ত হয়। তখনো তাদের কিছু গুপ্তচর মুসলিম সেনাবাহিনীতে ছিলো। গুপ্তচরদের দেয়া তথ্য অনুসারে পাঠান ও শিখদের সম্মিলিত বাহিনী অতর্কিত অপ্রস্তুত মুসলমানদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু হয় ”সিঁদুর” যুদ্ধ। অপ্রস্তুত মুসলিম বাহিনী সাময়িক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হলেও পাল্টা আক্রমনে নিজেদের রক্ষা ও শিখদের পিছু হটতে বাধ্য করে। এ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঘটে ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কিত ঘটনা। একদিন রাতে যখন মুসলিম সেনাবাহিনী জামাতে এশার নামায আদায় করছে তখন অতর্কিত চারিদিক থেকে পাঠান ও শিখ সেনা ঝাপিয়ে পড়ে। কাপুরুষ সূচক এ আক্রমনে মুসলমানরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। অনেক সৈন্য শহীদ হন। বাকিরা কোন মতে আহত অর্ধমৃত অবস্থায় নিজেদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন।
সৈয়দ আহমাদ শহীদ (রহ.) লক্ষ্য করলেন এ অতর্কিত আক্রমনে মুসলমানদের আত্মবিশ্বাসে যথেষ্ঠ চিড় ধরেছে। অবস্থার দাবি বুঝতে পেরে তিনি সকলকে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলেন। কিন্তু অনেকেই তাকে ছেড়ে যেতে রাজি হননি। অবশিষ্টদের নিয়ে নতুন ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করার লক্ষ্যে তিনি গোপনে আফগানিস্থানের দিকে রওনা দেন। কিন্তু মুসলিমবেশি পাঠান মুনাফেকরা তখনও তার দলে ছিলো। তারা গোপনে পাঠানদের এ সংবাদ পাঠিয়ে দেয়। ফলে এক বিশাল পাঠান ও শিখ সম্মিলিত বাহিনী মুসলিমদের পিছু নেয়।
৬মে ১৮৩১ সাল। ফযরের নামায আদায় শেষে সৈয়দ আহমাদ শহীদ (রহ.) সাথীদের উদ্দেশ্যে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি ন্যায়ের পথে যুদ্ধ করার গুরুত্ব, শহীদের মাহত্ম ও আখেরাতে পুরস্কার নিয়ে আলোচনা করেন। তার এ ভাষন সাথীদের মধ্যে শহীদী চেতনার জন্ম দেয়। তারা রওনা দেয়ার কিছু পরে বালাকোট নামক স্থানে শিখদের বাহিনী তাদের উপর আক্রমন করে। জিহাদের চেতনায় মত্ত মুসলিম বাহিনীর আল্লাহর উপর আস্থা রেখে ও শাহাদাতের অমিয় সুধার আশায় সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধ করতে থাকে। শিখরা প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে এদিক ওদিক পালাতে থাকে। এমন সময়ে মুসলিম সেনায় থাকা মুনাফিকরা তাদের আসল রূপ দেখায়। তাদের বিশ্বাস ঘাতকতায় মুসলিমদের নিশ্চিত বিজয় পরিনত হয় করুন পরাজয়ে। শহীদ হন সৈয়দ আহমাদ, শাহ ইসমাঈল (রহ) সহ প্রায় ২০০জন মুজাহিদ (আল্লাহ তাদের বেহেশতে উচু মাকাম দান করুন, আমিন)। ভারতের মাটি শহীদের রক্তে প্রথম লাল হয়, বপন হয় শহীদি বীজ। যে বীজ থেকে পরে জন্ম নিয়েছে অনেক মুজাহিদ সেনানী।
সৈয়দ আহমাদ শহীদ (রহ.) যে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা তিনি পূরন করতে পারেননি। কিন্তু তিনি যে শিক্ষা, যে প্রেরনা দিয়ে গেছেন তা যুগে যুগে মানুষকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিপক্ষে লড়াই করার প্রেরনা যুগিয়ে যাবে। দুঃখজনক ভাবে হলেও, আজ স্বাধীন ভারতবর্ষের এই স্বপ্নদ্রষ্টার নাম ফিকে হয়ে গেছে ইতিহাসের পাতা থেকে। আমরা চাই, তার নাম কারো মনে থাক বা না থাক, তার ত্যাগ ও শিক্ষা যদি আমাদের ন্যায়ের পথে চলার প্রেরনা যোগায়, তাই হবে তার এবং আমাদের প্রকৃত সাফল্য।
এই মহান সিপাহসালারের প্রতি রইলো হাজারো সালাম।
তথ্য সূত্র:
১. শাহ শফিউদ্দিন মিয়াজী, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলিমদের ভূমিকা
২. বৈরি বসতি, শফিউদ্দিন সরদার
৩. দাবানল, শফিউদ্দিন সরদার
৪. ওয়াহিদ আহমাদ মাসুদ, সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ কি সহীহ তাসবির
৫. গোলাম রসূল মেহের, সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ
৬. ইতিহাসের ইতিহাস; আল্লামা গোলাম মুর্তজা
৭. চেপে রাখা ইতিহাস; আল্লামা গোলাম মুর্তজা
৮. আব্দুল করিম; বাংলার ইতিহাস: মুসলিম শাসন থেকে সিপাহী বিপ্লব
৯. নবাব মুহাম্মাদ ওয়াজীর খান, মুকাদ্দামা ওয়াক্ব ই সাইয়েদ আহমাদ শহীদ (রহ)
১০. মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী , সীরাত ই সাইয়েদ আহমাদ শহীদ
১১. মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী তা’রিখে দাওয়াত ওয়া আজিমাত, খন্ড-৪
১২. মাওলানা আকরাম খাঁ; মোছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস
১৩. ইসলামী ফাউন্ডেশন, অমর বালাকোট
১৪. মদীনা পাবলিকেশন্স, উপমহাদেশের স্বাধীনতা ও রাজনীতিতে আলেম সমাজের ভূমিকা
১৫. হাফেজ মাওলানা হাবীবুর রহমান, আমরা যাদের উত্তরসূরী
১৬. Sayyed Abul Hasan Ali Nadvi, A misunderstood reformer.
১৭. W. Hunter, The Indian Muselmans.
১৮. Mr. Karry, Beyond the fall of Brithish empire in India
১৯. M. Mallison, History of India Mutinity
২০. R.C Majumder, History of Independent India
২১. J. Wise, Early freedom movement in British rule India.
২২. Nigel smith, PAKISTAN History, culture and Government
২৩. Edward Moretimer, Faith and Power
২৪. Oliver Roy, Islam and Resistance in Afganistan
২৫. Barbara Daly Metcalf, Islamic revival in British India : Deoband,
২৬. Robert Nicolas; Setting the Frontier : Land, law and Society in the Peshwar Valley (1500-1900)
২৭. Freeland Abbott; The Jihad of Sayyid Ahamd
২৮. Aamir Basher; Shari’at and Tariqat : A study of the Deobandi Understanding and Practice of Tasawwuf
২৯. Ahmad Qeyamuddin; Wahhabi Movement in India
৩০. Altaf Qadir; Sayyid Ahmad Barailvi: His Movement and Legacy from the Pukhtun Perspective.
৩২. Wikipedia
৩৩. স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকা, স্মারক ও ম্যাগাজিন
৩৩. অন্যান্য
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই পোস্টটি মূলত আমার ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে লেখা। আজ সেই মহান দিবস উপলক্ষে রি-পোস্ট করলাম।
তার ত্যাগ আমাদের প্রেরণার বাতিঘর হয়ে জেগে থাকুক কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে সেটাই প্রত্যাশা
নিঃসন্দেহে।
আরো গতিশীল করবে। একদিন এই জমিনে
কলেমার জান্ডা উড়বে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন