মায়ের মমতা মায়ের কষ্ট ........................

লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ০১ মে, ২০১৪, ১১:৩৮:৫০ রাত



সন্তানের কষ্ট মায়ের বুকে বাজে। মা কাঁদে। মায়ের চোখে অশ্রু ঝরে মমতার অশ্রু এবং বেদনার অশ্রু। মায়ের কষ্ট কি বাজে সন্তানের বুকে? সন্তান কি কাঁদে? তার চোখে কি অশ্রু ঝরে মায়ের দুঃখে? মা কত ভালোবাসেন সন্তানকে। সন্তান যদি তা বুঝতে পেতো। মা কত কাঁদেন সন্তানের জন্য, সন্তান যদি এক ফোঁটাও কাঁদতো মায়ের জন্য! মায়ের মুখে হাসি ফুটতো। তার বুকটা আনন্দে ভরে যেতো। কিন্তু মা যতটা উদার, সন্তান ততটাই উদাসীন। মায়েরমমতা ও মাতৃবেদনা কতটা গভীর অনেক সন্তানই তা জানে না। সন্তানের গর্ভব্যথা, প্রসব ব্যথা এবং জন্মের পর আরও কতশত ব্যথা সইতে হয় মাকে, পুরুষ যদি তার কিছুটাও ভুগতো হয়ত বুঝতো কাকে বলে মাতৃমমতা এবং মাতৃযাতনা।

মেয়েরা যখন শুধু ‘মেয়ে’ থাকে তখন তারাও বোঝে না কেমন হয় মায়ের বুকের বেদনা এবং হৃদয়ের মমতা। এক সময় তার মাতৃত্ব তাকে বুঝিয়ে দেয় মায়ের মমতা এবং হৃদয়ের বেদনা কাকে বালে?

আমিও এখন বুঝতে পারি। তাই কোন সন্তান যদি তার মায়ের মাতৃত্বকে অসম্মান করে সে আঘাত আমার যেন দিলে লাগে। আমার মাতৃহৃদয় চরমভাবে আহত হয়।

মায়ের বুক ভরা আশা থাকে

সন্তানের জন্য। আশার এক একটি ইট দিয়ে মা তৈরি করেন স্বপ্নের প্রাসাদ। এই স্বপ্নবোনা শুরু হয় মায়ের মাতৃজীবনের সূচনালগ্ন থেকে এবং সেই স্বপ্নের জন্য মা তিলে তিলে ক্ষয় করেন নিজেকে।

একদিন সন্তান বড় হয়। কিন্তু সে বোঝে না মায়ের বুকের বেদনা। তাই মা যে স্বপ্নকে তিল তিল করে গড়ে তোলে কোনো কোনো সন্তান এক এক করে তা ভাঙতে থাকে। এভাবেই ভেঙে যায় মায়ের কষ্টে তৈরী স্বপ্ন-প্রাসাদ। সেই সঙ্গে মায়ের বুকটাও। ভাঙা বুক চিরে বের হয়ে আসে বেদনার দীর্ঘ নিঃশ্বাস।

বুকের বেদনা না হয়ে সন্তানের হওয়া উচিত মায়েরর বুকের সান্তনা। আমি কেন হতে পারি না আমার মায়ের চোখের শীতলতা? অথচ আমার সন্তানের কাছে আমার তো এটাই চাওয়া।

হে আল্লাহ! আমার মা, আমার

সন্তানের মা এবং পৃথিবীর সব মায়ের মনে তুমি শান্তি দাও। মায়েদের কষ্ট ও মনোবাসনা বুঝে চলার তাওফীক সন্তানদের দান করো। মায়ের বুকের বেদনা মুছে দিয়ে বুলিয়ে দাও সান্ত্বনার শীতল পরশ।

আলাহর দয়া

আল্লাহ কতভাবে দয়া করেন বান্দাকে। আল্লাহর দয়ার কথা শুনতে বড় ভালো লাগে। বলতে ভালো লাগে। লিখতেও ভালো লাগে। বান্দা অযোগ্য হতে পারে। অবুঝ ও অবোধ হতে পারে। কিন্তু যখন ডাকে ইয়া আল্লাহ! সঙ্গে সঙ্গে জবাব আসেও লাববাইক ইয়া আবদী!

আল্লাহর ছোট্ট এক বান্দা। তার ইচ্ছা হলো চকোলেট খাবে। জায়নামাজে দাঁড়ালো আল্লাহর সামনে। নামায পড়ে আল্লাহর কাছে চকোলেটের আব্দার জানাবে। ছোট্ট বান্দা সিজদায় গেলো আর আল্লাহর রহমতের দরিয়ায় জোশ এলো। আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন চকোলেট তার এক বান্দীকে উসীলা করে। চকোলেট পেয়ে ছোট্ট বান্দার আরও ছোট্ট মনটা খুশিতে ভরে ওঠলো। আল্লাহর প্রতি তার বিশ্বাস ও ভালোবাসা আরও সুদৃঢ় হলো।

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সে যেন এ বিশ্বাসের উপর অটল থাকে-এ প্রার্থনাই তোমার কাছে হে আল্লাহ!

বিষয়: বিবিধ

২৫৫৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

216310
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:৪৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:৪৯
164438
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
216328
০২ মে ২০১৪ রাত ১২:২৭
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : এত দরদ দিয়ে লিখলেন...
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
164661
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : দিতে তো পারিনি, এসে গেছে। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর।
216357
০২ মে ২০১৪ রাত ০৪:৪৪
পাহারা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো।
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
164662
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ধন্যবাদ। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর
216435
০২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
164663
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ধন্যবাদ। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর
216452
০২ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
আফরা লিখেছেন : অনেক আবেগ দিয়ে লেখা পড়ে ভাল লাগল ।
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
164664
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ধন্যবাদ। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর
216674
০২ মে ২০১৪ রাত ১০:২৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : একটি আবেদন একটি উপলব্ধি [পুরোটা না পড়ে লাইক না দিতে অনুরোধ]

পড়াশোনা শেষ করার পর পেড়িয়ে গেছে বেশ কিছু বছর। নেট জগতে আগমণের বয়স প্রায় ৪ বছর। ব্লগিং জীবনেও আছে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা। বিডিনিউজ২৪ ব্লগে সংবাদ দেখতে গিয়ে ঢুকে যাই বিডিনিউজ ব্লগে।

এক নতুন অভিজ্ঞতা। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম কতিপয় মানুষরূপী পশুর দাম্ভিকতা আর মিথ্যাচারের ভাগাড়ময় পোষ্ট। ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে জঘন্য সব লেখার সমাহার।

জেগে উঠল ঈমানী চেতনা। অনভিজ্ঞতা সত্বেও খুললাম আইডি। জবাব দিতে চেষ্টা করলাম নাস্তিকদের মিথ্যাচারের নিজের সাধ্যানুযায়ী। বাহাস হল, আইরিন সুলতানাসহ বেশ কিছু হাফ নাস্তিক ও ফুল নাস্তিকদের সাথে। তারপর একে একে প্রথম আলো ব্লগ, আমার ব্লগ ইত্যাদিতেও লেখতে চেষ্টা করলাম। প্রতিজ্ঞা নিলাম, নাস্তিক ও খৃষ্টান মিশনারীদের অভিযোগকৃত সকল অভিযোগের জবাব লিখবো নিজের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে।

কিন্তু হোচট খেলাম। আগ্রহ আর উদ্দীপনার স্পীডটা থেমে গেল হঠাৎ। মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠে সোনার বাংলাদেশ ব্লগ এবং আমার বর্ণমালা ব্লগে আইডি খুলে।

একি তাজ্জব! এখানেতো দেখি পুরাই কুরুক্ষেত্র! আমি কিসের উপর দাঁড়িয়ে নাস্তিক আর অমুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে যাচ্ছি? এখানে যে আমার অস্তিত্ব আর বিশ্বাসের উপরই কুঠারাঘাত করছে আমারই কিছু জ্ঞাতি ভাই। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম-খাঁটি মুসলিমদের মুশরিক, কাফের প্রমাণের মিশনে একদল উন্মাতাল ব্যক্তিদের অবাধ আস্ফালন। একদিকে লাখো যুবক ছুটছে নাস্তিকতার দিকে। ধর্মদ্রোহিতার দিকে। আর এদিকে খাঁটি মুসলিমদেরও কাফের, মুশরিক বানিয়ে দেয়ার মিশনে ব্যস্ত কথিত বেতনভূক্ত দাঈদের দল। দেখলাম আব্দুল্লাহ শাহেদ, আব্দুল্লাহিল হাদিসহ আরো কত বেতনভূক্ত দাঈদের হুংকার।

বে-নামাযীকে নামাযী বানানোর দাঈ নয়, সুদখোরকে সুদ ছেড়ে দেয়ার আহবানের দাঈ নয়, নয় নাস্তিকদের দ্বীনের পথে ডেকে আনার দাঈ, এরা বিজ্ঞ ব্যক্তির অনুসরণে শরীয়ত মানা ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছেমত বাংলা অনুবাদ পড়ে আল্লামা সাজার দাঈ। উপমহাদেশের ধর্মীয় একতার প্লাটফর্ম হানাফী মাযহাব ত্যাগ করে মনের পূজার মাযহাব অনুসরণের আহবানকারী দাঈ। এরা মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছা সুন্নতের দাঈ নয়, আমীন জোরে বলার দাঈ। রফয়ে ইয়াদাইনের দাঈ। কিরাত খালফাল ইমামের দাঈ। উমর রাঃ এর আমল থেকে জারি হওয়া সুন্নত বিশ রাকাত তারাবীহ ছেড়ে দেয়ার দাঈ। তাবলীগী ভাইদের প্রাণান্তকর মেহনতে মসজিদে আসা মুসল্লির মনে ওয়াওয়াসা সৃষ্টির দাঈ।

ওরে বাপরে! সে সব দাঈদের সে কি দাপট! কোন কিছু বলার আগেই হামলে পড়ছে। মুশরিক, কাফের ফাতওয়া দিয়ে দুনিয়া বিজয় করে ফেলার তৃপ্তি হাসি হাসছে। ভাবটা এমন যে, মুসলিম ও ইসলামের যদি কোন শত্রু থাকে, তাহলে তারা যেন কেবল উলামায়ে দেওবন্দেরাই। নিজের অর্থ খরচ করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে গিয়ে দ্বীনভোলা মানুষকে মসজিদে নিয়ে আসা তাবলীগী ভাইয়েরাই। যদি কোন শত্রু থাকে, তাহলে তারা শুধু ঐ সকল ব্যক্তিরাই যারা নিজের পেটে পাথর বেঁধে সারা উপমহাদেশে দ্বীনের আলো ছড়িয়েছেন তারাই ইসলামের সবচে’ বড় শত্রু।
যাদের মেহনত-মোজাহাদায় জাহান্নামী পৌত্তলিক ধর্ম ছেড়ে জান্নাতী ধর্মে দিক্ষীত হলাম তারাই নাকি দ্বীনে ইসলামের সবচে’ ক্ষতিকারক। তারাই সবচে’ বড় দুশমন।

মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা, অপপ্রচার, ধোঁকাবাজী, গলাবাজীর বাগাড়াম্বরতা দেখে ভড়কে গেলাম। চমকে উঠলাম। এ যে আমার অস্তিত্বের উপর আঘাত। ভাবতে লাগলাম-
নাস্তিকতো আমাকে জাহান্নামী বলে না। ধর্মদ্রোহীতো আমাকে নরকের কিট বলে না! মুরতাদগুলোতো আমাকে ইসলামের শত্রু বলে না। ইসলাম! যার প্রতি নিস্কলুশ মোহাব্বত আমার রগ-রেশায় মিশে আছে। এ যে আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দুর চেয়েও প্রিয়। আমার অস্তিত্ব। আমার জীবন। যার জন্য উৎসর্গিত হতে আমার শরীরের প্রতিটি পারদকে প্রস্তুত করেছি।

কিন্তু কথিত এসব দাঈরাতো আমাকে মুশরিক বলছে। আমাকে ইসলামের দুশমন বলছে। ইসলাম থেকে বহিস্কৃত বলছে।

আমি এখন কী করবো? যাদের দ্বারা ইসলাম পেলাম। যাদের রক্ত নদী পেড়িয়ে আমার দুয়ারে ইসলামের স্নিগ্ধালো আছড়ে পড়েছে তারা মুশরিক? তারাই অমুসলিম? তারাই ইসলামের শত্রু? এও কি হয়?

আহ! কলমটা ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হলাম। মনের তীব্র কষ্ট নিয়ে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে লেখা ছেড়ে নিজেকে মুসলিম প্রমাণ করতে মেহনত করতে শুরু করলাম। খুলে দিতে চেষ্টা করলাম কথিত দাঈদের মিথ্যার মুখোশ। দিনের পর দিন চলতে লাগল কলম যুদ্ধ। হাত ব্যথা হয়ে গেল। ডান হাত ছেড়ে বাম হাতে মাউস তুলে নিলাম। কম্পিউটার স্ক্রীনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চশমার পাওয়ার বেড়ে গেল।

কিন্তু কী পেলাম? কতটুকু সফল হলাম? মিথ্যুকদের জবান থামাকে পারলাম কি না? এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এখনো মাঝে মাঝে বসে কাঁদতে মনে চায়, কখনো কখনো লিখতে বসে চোখে পানিও চলে আসে।

কেন লিখতে হচ্ছে এসব আমাকে? আর এত মিথ্যাচার আর ধোঁকাবাজী ওরা কেনইবা করছে আমাদের সাথে? নিজেকে দাবি করছে দ্বীনের দাঈ। পরিচয় দিচ্ছে তার নাম মুসলিম। কিন্তু কাজ করছে চরম ইসলাম বিদ্বেষীর। একজন অমুসলিমও মুসলমানদের বিরুদ্ধে এত জঘন্য সব ভাষা ব্যবহার করে কি না? সন্দেহে পড়ে যাই!

এসব মিথ্যাচারের নাম ইসলাম প্রচার? এরকম ধোঁকাবাজীর নাম ইসলামের দাওয়াত?

নিজেকে আত্মরক্ষা করার এ সংগ্রামে কতশত জনের সাথে পরিচয় হল। কত বন্ধু পেলাম। আবার কত প্রতিবাদী কিংবা প্রতিশোধী বা বিরুদ্ধবাদী পেলাম।

কিন্তু আফসোস রয়ে গেল। চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার পরও অভিশপ্ত জামাতটির লোকেরা ফিরে আসার পথ দেখতে পায় না। মুখরোচক স্লোগানের নাম সর্বস্ব বক্তব্যের আধাঁরি পথেই গোড়পাক খেয়ে চলে দিনের পর দিন।

আলোচনায় আসে দাম্ভিকতার সাথে। আবার পালিয়ে যায় আগমণের চেয়েও দ্রুতগতিতে। আবার আসে উপদেশের ঢালি সাজিয়ে। আবার পালায়। এ যেন এক বিড়াল ইদুর খেলা।

প্রশ্ন করে এমন ভাব নিয়ে যে, এর জবাব বুঝি ইমাম আবু হানীফা রহঃ ও দিতে পারবেন না। কিন্তু জবাব শুনে খিস্তি খেইর করতে করতে পালিয়ে যান আবার।

মাযহাবটাই মনে হচ্ছে বড় ফ্যাক্টর তাদের কাছে। আসলে মাযহাব নয় একতাটা বড় বিষয়। এ উপমহাদেশে ইসলাম আসার পর থেকে এখানকার সকল মুসলমানরা হানাফী মাযহাব অনুযায়ী দ্বীনে শরীয়ত পালন করে আসছে। কিছু শাখাগত মাসায়েলে পার্থক্য থাকলেও মূল বিষয়ে বিরাজ করছিল এক অবিস্মরনীয় একতা।

কিন্তু মুসলমানদের মাঝের এ অনুপম ঐক্যবদ্ধতা সইবে কেন শয়তান? ইংরেজদের মাধ্যমে “মাযহাব ছেড়ে দিন, কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্লাটফর্মে আসুন” নামক মুখরোচক স্লোগান দিয়ে নামিয়ে দিল আব্দুল হক বানারসীকে। সেই যে শুরু উপমহাদেশে মুসলিমদের মাঝে বিভক্তির ঢামাঢোল। আজো চলছে তা। আল্লাহ তাআলা কবে যে, এসব মুসলিম নামধারী একতার দুশমনদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করবেন? তা আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।

"মাজহাব মানার নির্দেশ কে দিয়েছেন? আল্লাহ্‌? রসুল সঃ? সাহাবিগন কোন মাজহাব মানতেন? হানাফি? আবু হানিফার বিশুদ্ধতার সার্টিফিকেট দিয়েছে?"

কি সুন্দর সব স্লোগান আর প্রচার।

আমরা যখন পাল্টা প্রশ্ন করিঃ

১- বুখারীকে অন্য কিতাবের উপর প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ কে দিয়েছেন?

২- সিহাহ সিত্তাকে অন্য কিতাবের উপর প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ কে দিয়েছেন?

৩- হাদীসকে সহীহ জঈফ বলার নির্দেশ কে দিয়েছেন?

৪- সাহাবাগণ কোন কিতাবের হাদীস এবং কোন ধরণের হাদীস মানতেন?

৫- কোন সাহাবী ইমাম বুখারী এবং সহীহ হাদীসের বিশুদ্ধতার সার্টিফিকেট দিয়েছেন?

আমাদের প্রশ্ন শুনে তাহারা পালিয়ে যান। জবাব দেন না। এভাবে আরেকদিন আসেন আরেক বিষয় নিয়ে। সেখানেও যখন জবাব দেয়া হয়, দাঁতভাঙ্গা জবাব পেয়ে আবারো পালিয়ে যান। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন।

কিন্তু এভাবে আর কত?
বিবেকটাকে খাটাবার সময় কি হয়নি এখনো?
হাশরের ময়দানে একদিন দাঁড়াতে হবে এ বিশ্বাস কি ভুলে যেতে বসেছেন?
প্রতিটি কথার জবাব আল্লাহর আদালতে দিতে হবে মনে আছে?

একবার নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। একবার আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর ঈমান নিয়ে নিজের হিসেবটা কষে নেই। দুনিয়াতে মিথ্যা, ধোঁকা আর প্রতারণা করে পাড় পাওয়া যাবে, মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে, কথিত শায়েখ হওয়া যাবে, হাদিয়া তোহফায় পেটটাকে ভরা যাবে, কিন্তু আখেরাতের সঙ্গীন পুলসিরাতও কি পাড় হওয়া যাবে ধোঁকা দিয়ে?

বিবেকটাকে কাজে লাগিয়ে। আখেরাতকে বিশ্বাস করে। হাশরকে বিশ্বাস করে। আসুন মিথ্যাচার বর্জন করি। ধোঁকাবাজী পরিহার করি। নাস্তিকতা, ধর্মদ্রোহিতা, ধর্মান্তরের ফিতনার বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করি।

হে আল্লাহ! আমাদের সামনে সত্যকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করে দাও, যেন তা মানতে পারি। আর মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে উপস্থাপন করে দাও, যেন তা থেকে বিরত থাকতে পারি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের এক ও নেক হয়ে সত্যিকার দ্বীনের দাঈ হয়ে তার প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
সরি পোষ্ট বহির্ভূত মন্তব্য।
লূৎফর ফরায়েজি ভাইয়ের ফেসবুক স্টাটাস।
০৩ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
165179
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : চমৎকার কথা। আমিও কিন্তু ভাই একই কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রথম থেকেই আমি কিছুটা নমনীয় ছিলাম। অতঃপর কোথাকার কোন এক "ইমরান ভাই" তার পোস্টে মন্তব্য করায় আমাকে বলে "ভাল না লাগলে ১০০হাত দূরে থাকেন।" ভাবখানা এমন যে ব্লগটা ওনাদের পিতৃপ্রাপ্ত সম্পত্তি। এখন আমার খুব ইচ্ছা, যদি আমরা যে কয়জন মাযহাব ইত্যাদি বিষয়ে "সালফে সালেহীন" ও আকাবীরদের অনুসরণ করি, তারা যদি পারস্পরিক একটা যোগাযোগ রাখি, তাহলে এইসব ফেতনাবাজদের দাত ভাঙা জবাব দেয়া সম্ভব হতো। আদৌ জানিনা, তা সম্ভব হবে কিনা, আর যদি সম্ভব করতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের মতো সিনিয়ার ব্লগারদের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিঃদ্র: মন্তব্যটাকে সতন্ত্র ব্লগ হিসেবে প্রকাশের অনুরোধ রইলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File