যেসব নাস্তিকরা বলে কুরআন নাকি মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর তৈরি করা, পারলে ঐ গাধার বাচ্চারা এর উপযুক্ত জবাব দিক...(২য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:১৩:৪৭ রাত
প্রথম পর্বটি পড়ুন এখানে
পৃথিবীতে সবচেয়ে জটিল ও অদ্ভুত যন্ত্রটি সম্ভবত মানব দেহ। সুক্ষ্ণ, জটিল আর আশ্চর্যজনক যন্ত্রাংশের সমন্বয় তৈরি এই যন্ত্রটি। এগুলোর কাজকর্ম এতটাই সুক্ষ্ণ ও জটিল যে সেগুলোর কোন একটি সম্পর্কে সঠিক ধারনা লাভ করতে গিয়ে কয়েক প্রজন্ম পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
এই যেমন ধরুন, আমাদের বাহ্যিক তথা শারীরিক অনুভূতি। যখনই গ্রীষ্মের রোদ আমাদের গায়ে এসে পড়ে আমরা বলি ”ওহ! কি গরম।”; আবার মাঘের প্রত্যূশে হাত-মুখ ধোয়ার সময় বরফ-শীতল পানির সংস্পর্শ পেয়ে মনের অজান্তেই বলে উঠি, “ইস! কী ঠান্ডা”; আবার মা যখন মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে যায়, মনে মনে ভাবি “আহ! কী শান্তি।’’
কীভাবে আমরা এই অনুভূতি গুলো বুঝতে পারি? এই প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানীর কাছে ছিলো না। আগের দিনে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, প্রাণী শরীর ঠিক যান্ত্রিক ডিভাইসের মতো, যা মোটর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনা শক্তিকে রূপান্তরিত করে, ফলে আমরা বুঝতে পারি। অর্থা, শরীরের কোন স্থানে স্পর্শ অনুভূত হলে ঐ স্পর্শক থেকে এক প্রকারের শক্তি প্রবাহিত হয়, যা কিনা মস্তিস্কে প্রবাহিত হওয়ার পর আমরা সে স্পর্শের অনুভুতি বোধ করতে পারি। এই তত্ত্ব মোটামুটি ১৯০৬ সাল পর্যন্ত টিকে ছিলো। কিন্তু ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস স্কট শেরিংটন (Charles Scott Sherington) বিভিন্নবিদ পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে সক্ষম হন মূল বিষয় আসলে এমন কিছুই না। প্রকৃতপক্ষে, মানুষ ও অন্য সকল প্রাণীর চর্মাবরণের ঠিক নিচেই অবস্থান করে নোসিসেপ্টরস (Nociceptors) ও অটোনমিক নার্ভ (Autonomic nervous) সিস্টেম। চামড়ার ঠিক নিচেই অবস্থান করায় এরা খুবই স্পর্শকাতর। চামড়ার উপরে হওয়া যে কোন কার্যকলাপ ও অনুভূতি এরা খুবই দ্রুত গ্রহন করে এবং নিউরন সিস্টেমের মাধ্যমে আমাদের মস্তিস্কে প্রেরণ করে, ফলে আমরা সেই কার্যকলাপ বা অনুভূতি বোধ করতে পারি। এবং সমস্ত প্রক্রিয়াটি যে কত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয় তা আমরা সহজেই বুঝতে পারছি। এটাই বিজ্ঞানের স্বীকৃত তত্ত্ব। এই আবিস্কারের জন্য ১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চার্লস স্কট শেরিংটন চিকিৎসা ও শরীরবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
এখন এই আয়াতটি দেখুন-
”إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُواْ الْعَذَابَ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী।
Those who reject our Signs, We shall soon cast into the Fire: as often as their skins are roasted through, We shall change them for fresh skins, that they may taste the penalty: for Allah is Exalted in Power, Wise. ”
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা অবিশ্বাসীদের আখিরাতের শাস্তির কথা বর্ণিত আছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, উপরোল্লিখিত বিষয়ের সাথে এই আয়াতের সম্পর্ক কী? একটু খেয়াল করে দেখুন, “ তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে।” একথা দ্বারা এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে মানুষ অনুভব করে চামড়ার মাধ্যমে, কোন শক্তি বা ডিভাইসের মাধ্যমে নয়।
এখন ইসলাম বিদ্বেষী দালাল চক্রের কাছে প্রশ্ন, আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে, যখন মানুষ চামড়ার গঠন, রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সম্পর্কেই সঠিক ভাবে জানতো না, জানতো না কোন নিউরন বা কোষ সম্পর্কে, সেই সময় দুনিয়ার অন্যতম পশ্চাৎপদ বেদুইন অঞ্চলের অক্ষর জ্ঞান হীন (দুনিয়ার দৃষ্টি থেকে) মানুষটি এই জ্ঞান কোথা থেকে পেল? কে তাকে জানালো এই মহাবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব? এটা কি কোন ভিনগ্রহবাসী এলিয়েনের কাজ? কিন্তু তথাকথিত দালাল নাস্তিকরা তো এলিয়েনকেও বিশ্বাস করার কথা না, কারণ এলিয়েনের অস্তিত্বের কোন নির্ভরযোগ্য প্রমান এখনো কারো হাতে আসেনি। তাহলে কি নাস্তিকদের বাপ-দাদারা তাঁকে এটা শিখিয়ে দিয়ে এসেছে? কিন্তু তারা তো তখন দুনিয়ার দূরতম প্রান্তরে বসে কিভাবে আরো টাইট করে পাতা বাঁধতে হয় আর কিভাবে আরো বেশি বেশি বমি করে বেশি বেশি খাওয়া যায় তা আবিস্কারে ব্যস্ত। তাহলে কে দিলো এই জ্ঞান? তবে কি এটা সবশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, সর্বনিয়ন্ত্রক, সর্বশক্তিমান আল্লাহর পাঠানো বার্তা নয়?
যদি কোন নাস্তিকের কাছে যুক্তি ও প্রমান সহ উপযুক্ত উত্তর থাকে, তাহলে এই যুক্তি খন্ডন করে দেখাক।
(চলবে ইনশাআল্লাহ........)
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৬ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নাস্তিকরা সম্মান করতে জানে ওদের লজ্জা শরম আছে। ওরা যুক্তি ভুজে ইসলামের ছায়াতলে আসে।
আর ইসলাম বিদ্ধেষিগুলা নিজে নাপাকি খেয়ে হলেও আপনার শরীরে লাগানোর চেষ্টা করবে।
আর ইসলাম বিদ্ধেষিগুলা নিজে নাপাকি খেয়ে হলেও আপনার শরীরে লাগানোর চেষ্টা করবে।
খাঁটি কথা। এজন্যেই তো পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছি। ওদের চাপাই ভেঙে দিবো যাতে আর মুখ না খুলতে পারে।
আপনার আল্যার জন্য করুনা, এতো কোরান পুজা করেও ওনার প্রিয় মুমিনরা বিষয়টি মালুম করতে পারেনি। শেষমেশ ইহুদী-নাসারা বিজ্ঞানীদের উপর ভরসা করেই আপনার আল্যা বেঁচে আছেন।
তাছাড়া আমার তো মনে হয়- এসব মামুলি জিনিস একটা ৫ বছরের শিশুও বুঝে। দেখেন্না- ইরাক, আফগানিস্তান, কাশ্মির, আরাকানে ইহুদী-নাসারা-নাস্তিক সৈন্যরা বেত মেরে মুমিনদের পাছা লাল করে দেয়??????
বক্র লেজচ বিশিষ্ট চতুস্পদ প্রাণি শাবকের মতো অযথা গলা না ফাটিয়ে ভালো করেন চর্মচক্ষু দিয়ে দেখেন। ১৪০০ বছর পূর্বে কুরআন এ সত্য জানিয়েছে এং হাজার বছর পূর্বে লেখা তাফসির গ্রন্থগুলোতে এগুলোর বিস্তারিত বিবরণ আছে। প্রকৃত মুসলমানরা দুনিয়ার কুকুর না, তারা কোনকিছু প্রচার প্রসারের জন্য আর নাম কামানোর জন্য করেনি। যারা করে তাদের নামই ছাগলগুলো ঢোল বাজিয়ে দেখাতে থাকে।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
কেউ যদি মনের ইচ্ছায় দুই চারটা খুন করে, ডাকাতি করে কিংবা ধর্ষন করে - তখন তাকে নোংরা একটা জায়গায় বন্দি করে রাখে। আবার কেউ যদি মনের ইচ্ছায় দুই চারটা শিক্ষা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানায়, দুইচারটা মানুষকে খাওয়া দাওয়া করায় - তবে তারে ভিআইপি, সিআইপি ইত্যাদি সব উপাধী দেয়।
নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করায় - এক দেশে দুই নিয়ম - মানা যায়না। দেশের সরকার, আইন আদালত ও মানুষগুলান বড়ই পিচাশ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : আপনি না বুঝেই বলে দিলেন আর কি। আমি কখনো অপরাধীর শাস্তির বিপক্ষে নই। ভয়ানক অপরাধ খুন, ধর্ষনের জন্য ফাঁসি, লেথাল, ইলেক্ট্রিক চেয়ার, ২০-৩০-৫০-১০০ বছের জেল দেয়া দেয়া যেতেই পারে। কিন্তু প্রতি বিশ্বাস না আনার কারনে, মাথানত না করার কারনে কোটিকোটি বছর আগুনে চামড়া তুলে তুলে নির্যাতন এমনটি মেনে নেয়া যায় না। এগুলো স্রোষ্টার বানী হতে পারে না। এটি কূট বুদ্ধি সম্পন্য কোন মানুষের কথা, যিনি পিচাশের ভয় দেখিয়ে মানষ কব্জা করতে চেয়েছেন। ধন্যবাদ।যদিও কুপমুন্ডক শ্রেণির গাধাগুলোকে বুঝানোর কোন প্রয়োজন বোধ করি না, তারপরও বলতে হয়। আপনার কাছে কি প্রমান আছে যে আপনি আপনার বাবার সন্তান? শুধু এতটুকুই যে আপনার মা বলে, তাই আপনি বিশ্বাস করেন। এখন ধরুন, আপনি আপনার বাবার মুখের উপর বলে বসলেন যে যেহেতু আপনার কাছে কোন প্রমান নেই যে আমি আপনার সন্তান, তাই আমি আপনাকে বাবা বলে মানতে পারি না। তখন আপনার বাবা কি করবে? ভৎসনা, মারধর- অতঃপর চিরদিনের জন্য সম্পর্ক ছেদ। তো আল্লাহও এর ব্যতিক্রম করেন না্। যদিও দালাল প্রজাতির মাথায এগুলো ঢুকবে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন