হায়রে নির্বাচন! একে ১০% এর কম ভোট, তাও আবার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের হিড়িক.....
লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ০৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:২৯:৩৯ রাত
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও জালভোটের অভিযোগ এনে অন্তত ৩১ জন প্রার্থী ইতোমধ্যেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে একতরফা বিতর্কিত এই নির্বাচন আরো প্রশ্নবিদ্ধ হলো।
ব্যাপক ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের (রামগতি-কমলনগর) তিন প্রার্থীর মধ্যে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই দুই প্রার্থী হলেন এ কে এম শরিফ উদ্দিন (ফুটবল) ও আজাদ উদ্দিন চৌধুরী (হরিণ)।
নির্বাচন বর্জনের পর শরিফ উদ্দিন বলেন, প্রচুর কারচুপি ও ভোট জালিয়াতি হচ্ছে। ২৫টি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। একটি কেন্দ্রে তার নিজের বোন পোলিং এজেন্ট ছিলেন। তাকে ঢুকতেই দেয়া হয়নি।
এছাড়া একই অভিযোগে জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজ আহম্মদ হাসান, জামালপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান লুইস, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আতাউর রহমান রতন এবং ঢাকা-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এখলাস উদ্দিন মোল্লা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এখলাস মোল্লা জানান, তার আসনে মোট ১২৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭০টি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের জোর করে বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে বরগুনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন শিকদার এবং বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার।
নিজের ভোট দিতে না পেরে নির্বাচন বর্জন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের জাতীয় পার্টি (জেপি/মঞ্জু) মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. ফরিদ আহমেদ।
তিনি অভিযোগ করেন, সকাল সোয়া ১০ টার দিকে শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি তার নিজের ভোট (নম্বর-৪৩৩) দিতে গিয়ে দেখেন তার ভোট ইতোমধ্যে দেয়া হয়ে গেছে। এর প্রতিবাদে তিনি ওই কেন্দ্রে দাড়িয়েই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
একই অভিযোগে নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ড. শওকত আলী, ঢাকা-৬ আসনে সাঈদুর রহমান সহিদ, ঝিনাইদাহ-১ আসনে নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, ফেনী-৩ আসনে রিন্টু আনোয়ার, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে নাসির উজ্জামান, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে মাহবুবউদ্দীন আহমেদ, ঢাকা-৫ আরজু শাহ, লালমনিরহাট-১ সাদিকুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-১ আফজাল হোসেন, চট্টগ্রাম-১২ সিরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
গাইবান্ধা-৪ প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (আ.লীগ বিদ্রোহী), খুলনা-২ জেপির (মঞ্জু) রাশেদা করিম, জামালপুর-৫ জেপির (মঞ্জুর) বাবর আলী, কক্সবাজার-৪ এর জাপা প্রার্থী তাহা ইয়াহইয়া, বগুড়া-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন শিকদার, শেরপুর-২ স্বতন্ত্রপ্রার্থী বদিউজ্জামান বাদশা, শেরপুর-৩ এর জাপা প্রার্থী খোরশেদ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ জাপা প্রার্থী কাজী মামুনুর রশীদ, নোয়াখালী-৬ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-১ জাসদ প্রার্থী আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-১ ডা. শফিকুল ইসলাম এবং বরিশাল-৩ জাপা প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু নির্বাচন বর্জন করেন।
বর্জনকারী প্রার্থীদের অনেকে মৌখিক এবং কেউ আবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশন তাদের কোনো অভিযোগ আমলে নেয়নি।
কৃতজ্ঞতা: আরটিএনএন
বিষয়: বিবিধ
১১৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন