যে শালা যাই বলুক, আমি আমার পিতামাতার দেয়া শিক্ষা নিয়েই থাকবো

লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ১১ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:৫৩:৪৮ দুপুর

আজ সকালে অফিসের পুরোনো পত্রিকা ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে গত ২নভেম্বর শনিবারের প্রথম আলোর বিশেষ সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র “ছুটির দিনে”র সংখ্যাটি চোখে পড়লো। পাতা ওল্টাতেই ৩নঙ পাতার নিচে কার্যকারণ নামক লেখাটি বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষন করলো। দেখলাম, সেখানে আব্দুল কাইয়ুম নামক এক ভদ্রলোক লিখেছেন “মেঝেতে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাবেন কি” শিরোনামে। ভিতরে লেখা, মেঝেতে পড়ে যাওয়া খাবারে অতিমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি মিশে যায়, যা খেলে নির্ঘাত হাসপাতালের বিছানায় আরামের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

সারা জীবন শুনে আসছি, পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া আল্লাহর রাসূল (সাHappy এর অন্যতম বরকতময় সুন্নাত, যা কোন দলীল প্রমানের অপেক্ষা রাখে না। কারণ এটি বিতর্কহীনভাবে প্রমাণিত। সেই জন্যে প্রজম্নের পর প্রজন্ম আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে এই শিক্ষা লাভ করে আসছি। এবং সমাজের বিরাট অংশে পড়ে যাওয়া খাবারটাকে তুলে খাওয়াটাই ভদ্রতা হিসেবে মনে করা হয়। এবং এর বরকতও সর্বস্বীকৃত। একটি ঘটনা বহুল প্রচলিত আছে, সদর সাহেব হুযুর হযরত শামসূল হক ফরিদপুরী (রহ.) কে কোন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলো, হুযুর আপনার মেধাশক্তি যে এত তীক্ষ্ণ, এর কোন বিশেষ কারণ কি আপনার জানা আছে? হুযুর উত্তর দিয়েছিলেন, যখন আমি দেওবন্দে ছিলাম, প্রায়ই দেখতাম রান্নাঘরের পাশের নালায় উচ্ছিস্ট কিছু ভাত পড়ে থাকে। আল্লাহর নেয়ামতের এই অবমাননা আমার সহ্য হত না, তাই আমি সেই ভাত তুলে ধুয়ে খেয়ে নিতাম। আমার যতটুকু মনে হয়, তখন থেকেই আল্লাহ আমার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। এবং এই চর্চা এখনো আমাদের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে প্রচলিত রয়েছে।

কিন্তু ইদানিং এক শ্রেণীর লোক চুলকানিতে আক্রান্ত হয়েছে। এই চুলকানি হলো, আধুনিকতা ও সভ্যতার নামে যতসব ইউরোপ-আমেরিকার আচার ব্যবহার আমদানী করা এবং সমাজে প্রচলিত ইসলামি শিষ্ঠাচারের বিপরীতে কিছু তত্ত্ব দাঁড় করানো। এদের চুলকানির মাত্রাটা সবাই টের পাবে, বিশেষ করে শরঈ বিষয়ে এদের চুলকানি যে দাদের চেয়েও ভয়াবহ তা তাদের কথা শুনলেই বোঝা যায়। আর এই লেখাটিও মনে হয় সেই চুলকানির জীবানুর দংশনের ফলে বেরিয়ে এসেছে।

যতটুকু মনে পড়ে, একদম ছোটকাল থেকেই নিচে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়ায় আমি অভ্যস্থ, কেননা আমি সবসময়ই আমার পরিবারের সকলকে এমন কাজটি করতে দেখেছি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আজ পর্যন্ত কেউ সেরকম মারাত্মক কোন পেটের অসুখে আক্রান্ত হইনি। তাই আমি তো এই আমল চালিয়ে যাবো, আর যারা পড়ছেন তাদের বিষয়টা তাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিব।

বিষয়: বিবিধ

১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File