ঈদ মুবারাক!!!
লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ১৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:০০:০৮ সন্ধ্যা
এই মুহুর্তে যারা টুডে ব্লগে আছেন, যারা পরে থাকবেন তাদের সকলকে জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে পবিত্র ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা।
ঈদ মুবারাক
মুসলমানদের জন্যে আল্লাহর মহা নেয়ামতের অন্যমত দুটি ঈদ। তার একটি এই ঈদ উল আযহা। পবিত্রতম চারটি মাসের একটি মহিমান্বিত মাস জিলহাজ্ব। এই মাসে আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্যে খাঁটি বান্দাদের বেছে নেন তার প্রিয় দুটি ইবাদত পালনের জন্য, হাজ্ব ও কুরবানি।
হযরত ইবরাহিম (আঃ)-এর স্মৃতিধন্য কুরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সাথে এই প্রতিজ্ঞায় বদ্ধ হয় "হে প্রভূ, আমার জান, আমার সম্পদ, আমার সবকিছু যদি তোমার সন্তুষ্টির জন্যে উৎসর্গ করতে হয়, আমি বিন্দুমাত্র পিছপা হব না।'' পশু কুরবানির মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই প্রতিজ্ঞাকে তাজা করি।
কিছু মানুষের কাছে কুরবানি মানে নিছক পশু হত্যা। এই সব নাদানের জন্য আফসোস হয়। তারা কুরবানির আসল মাহাত্ম উপলব্ধি করতে্ই অক্ষম। তাদের ঘুমন্ত বিবেকে এই বিষয়টা নাড়া দেয়না যে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ কুরবানির রক্ত-মাংসের মুখাপেক্ষি নন, তিনি শুধুমাত্র দেখতে চান বান্দাদের মধ্যে কে কে তার আদেশ পালনে কোন অজুহাত দাঁড় করায় না। "আল্লাহর কাছে তোমাদের কুরবানির পশুর গোশত এবং রক্ত কখনোই পৌছায় না, বরং তোমাদের মনের তাকওয়াই তাঁর কাছে পৌছায়"
(সূরা হজ্ব,আয়াত-৩৭)"
কুরবানি বিষয়ে সমাজে কিছু কুপ্রথার প্রচলন রয়েছে যা কুরবানির মূল উদ্দেশ্য তথা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্তরায়। অনেকে কুরবানির পশু কেনা নিয়ে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হন, অনেকে আবার পশুর গোশত ভাগ বাটোয়ারার নিয়ম উপেক্ষা করে ইচ্ছেমত বিতরন করেন, অনেকে মনে লোক দেখানোর ইচ্ছাও থাকে। মনে রাখা উচিত, "প্রতিটি কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল" (সহীহ বুখারী, অধ্যায়-১, হাদীস-১) সুতরাং, যেখানে রিয়া থাকে, সেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি নয় বরং আযাবের আহবান থাকে।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ""বলুন (হে নবী (সাঃ), আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু শুধুমাত্র বিশ্ব জগতের প্রতিপালক মহান রব্বুল আলামিনের জন্যেই।" (সুরা আন-আম, আয়াত-১৬২)।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এই শ্বাশত আয়াতের তাৎপর্য বাস্তবায়ন হোক, দুআ কবুলের জন্য সর্বোত্তম এই মাসে এটা আমাদের দুআ, আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন