যে সব কাজের কোন হিসাব মেলে না
লিখেছেন লিখেছেন আরাপপুর ০৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:১০:০৬ রাত
প্রথমেই একটা ঘটনা বলে নেই:
কিছু দিন আগে – আওয়ামী লীগের এক প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলে (যিনি ইংল্যান্ডে থাকেন)আমাকে বললেন ‘আমি একটা হাসপাতাল দিচ্ছি দেশে, তো যুব লীগের ছেলেরা আমার জায়গাটা দখল করে রেখেছে – তুমি কি র্যািবের সাথে একটু কথা বলতে পারবে?’
এই ঘটনায় আমি আবার একটু পরে আসব।
বিশ্বের প্রতিটা দেশে তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের গর্বের বিষয় হয়ে থাকে। দেশের বাজেটের বিরাট এক অংশ তাদের পিছনে খরচ করা হয় – তারপরেও প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলোকে মানুষ তাদের সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে চায়।
তবে সব ব্যাপারের মত এ ব্যাপারেও – বাংলাদেশ একটু ভিন্ন। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়ে চলছে বিভিন্ন রাজনীতি। মাঝে তারাও আবার কয়েকবার ক্ষমতায় এসে নিজেদেরকে করেছে বিতর্কিত। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে আমাদের দেশের বিরাট একটি অংশ এখনো মনে করে - দেশে যদি কোন ভাল সংস্থা বা সংগঠন থেকে থাকে তাহলো এই প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাই যখনই এই প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ্য ভাবে ক্ষমতায় থাকে – সাধারন মানুষ তাদের কাছেই যায় সমস্য সমাধানের জন্য। শুরুতেই যে গল্পটা বলেছিলাম – তা সাধারন মানুষের অতি সাধারন এক বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।
সেই প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়া হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে। এখানে আমি দুটি ঘটনা উল্লেখ করব সংক্ষেপেঃ
১: আমরা সবাই সাড়ে চার বছর আগের বি ডি আরের গনহত্যার খবর জানি। এই গনহত্যার নাকি বিচারও হয়েছে। আমরা জানি স্বশস্ত্র বিদ্রোহের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। অথচ এই বিচারে কিছু বলির পাঠা কে কয়েক মাসের জেল দন্ড ছাড়া কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে বলে শোনা যায় নি। কিন্তু ঐ হত্যাকান্ড আমাদের দেশের একটা বাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। আর সেনা অফিসারদেরকে করেছে চরম ভাবে অগোছালো – উদ্দেশ্যহীন –খড়কুটোর মত নির্জীব।
২: বছর দুয়েক আগের ঘটনা। কুমিল্লা সেনানীবাসের জি ও সি কে হঠাত করে গ্রেফতার করা হলো। সাথে গ্রেফতার করা হলো উচ্চ ও মধ্য পদস্থ কিছু সেনা কর্মকর্তা ও বেসামরিক ব্যবসায়ী কে। বলা হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাদ্রাসায় শিক্ষিত সন্ত্রাসীতে ভরে গেছে এবং তাদেরকে ব্যাবহার করে এরা বাংলাদেশে একটা অভ্যুত্থান ঘটাচ্ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট জেনারেল সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জাতীকে জানালেন। কিন্তু কিছু আগে এক বন্ধুর ই মেইলের মাধ্যমে জানতে পারলাম – যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমান হয় নি। তারা মুক্ত।
তাহলে এত ঘটা করে গ্রেফতার করা হলো কেন?
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুসলিম সন্ত্রাসবাদীতে ছেয়ে গেছে বলেই বা বিশ্ববাসীকে কেন জানানো হল?
আর এ গুলো কেনই বা সরকারী পৃষ্ঠোপোষতায় করা হল?
আজ ফেইসবুকে একটা সুন্দর কথা দেখলাম। আর তা হলো – ‘যে জাতীর আচরণ ভেড়ার দলের মত – তাদের সরকারের আচরণ হয় নেকড়ে বাঘের মত’।
আমরা আর কতকাল ভেড়ার দল হয়ে থাকবো আর নেকড়ে গুলোকে একে একে সমস্ত রাস্ট্রিয় প্রতিস্টানকে ধ্বংস করতে দেব?
বিষয়: রাজনীতি
১৩৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন